ক্যারিয়ার প্লানিং কেন প্রয়োজন

লিখেছেন লিখেছেন শেখ জাহিদ ১১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:৫৮:৩৯ রাত

ভূমিকা

মানব উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজন পূরণের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ক্যারিয়ার পরিকল্পনা হওয়া উচিত। দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে সময়ের চাহিদা পূরণ এবং ব্যক্তির সামর্থ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলো ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় স্থান পাওয়া উচিত।

ইচ্ছা করলেই কি আমি সবকিছু হতে পারি? না তবে অনেক কিছুই হতে পারি। মনের শক্তি দিয়ে মানুষ যে রোগ ও দৈহিক পঙ্গুত্বকেও উপহাস করতে পারে তার প্রমাণ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। লিখতে পারেন না, কথা বলতে পারেন না, দুরারোগ্য মোটর নিউরোন ব্যাধিতে ক্রমান্বয়ে নিঃশেষ হওয়ার পথে এগিয়ে যেতে যেতেও তিনি বিশেষ ভাবে তৈরী কম্পিউটারের সহযোগিতায় রচনা করেছেন বর্তমান যুগের বিজ্ঞান জগতের সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী গন্থ, এ ব্রীফ হিষ্ট্রি অব টাইম। হুইল চেয়ার থেকে তুলে যাকে বিছানায় নিতে হয় তিনি অবলীলায় মহাবিশ্ব পরিভ্রমণ করে উপহার দিয়েছেন বিশ্ব সৃষ্টির নতুন তত্ত্ব। আইনস্টাইনের পর তাঁকেই মনে করা হচ্ছে বিশ্বের প্রধান বিজ্ঞানী। বিংশ শতাব্দির বিস্ময় আলবার্ট আইনস্টাইন দুই বার নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন। তাঁর প্রদত্ত Theory of Relativity বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত বিশ্ববাসী ভাল করে বুঝতেই পারেনি। অথচ এই আবিষ্কারের ফলে প্রচলিত বহু বৈজ্ঞানিক সূত্রের পরিবর্তন ঘটাতে হয়েছে পরে। এই বিজ্ঞানী intermediate level- এর ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম বছরে অকৃতকার্য হয়েছিলেন। নেপোলিয়ন তাঁর ভাগ্য রেখা তৈরী করার জন্য নিজে নিজের হাতের তালু কেটেছিলেন একবার। তাঁর অদম্য স্পৃহা এবং অনড় আত্মবিশ্বাস তাঁকে একজন ইতিহাস জয়ী সমরিক অফিসার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছে। এবারে একটু rearrange করে দেখিতো তাদেরকে অর্থাৎ আইনস্টাইনের কর্মকাণ্ডে নেপোলিয়ান, আর যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাপতি হিসাবে আইনস্টাইনকে দাঁড় করে। কাজ দুটোর কোনটিই যে সম্পন্ন হবে না তা নির্ঘাত বলা চলে। কিন্তু কেন?

বিভিন্ন পেশার দাবি বিভিন্ন

প্রকৃতপক্ষে এক এক পেশার দাবি এক এক ধরণের গুণাবলী। কে কোন পেশায় যাওয়ার জন্য উপযোগী তা নির্ধারিত হয়ে থাকে বহুলাংশে তাঁর সহজাত গুণাবলীর উপরে। এই গুণাবলী এবং ব্যক্তিগত আগ্রহ ধরে হিসাব করতে হয় কে কোন পেশায় নিয়োজিত করবে নিজেকে। বর্তমান সময়ে জগৎটি বড় বেশি প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ দেশের অবস্থাতো আরও বেশি গুরুতর। জনসংখ্যার অনুপাতে আমাদের দেশে সুযোগ সুবিধা যথার্থই অপ্রতুল। এ অবস্থায় একটি সুন্দর পেশা অর্জন প্রকৃত অর্থেই সুকঠিন হয়ে পড়েছে। বর্তমান সময়ে এ দেশের যে কোন যুবকের পার্থিব জীবনের প্রয়োজনে এই অর্জটুকুর জন্যে ঘাম ঝরাতে হয় বহুদিন যাবৎ। প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে? তার জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং দৃঢ় পদক্ষেপ নেবার।

চলবে........

বিষয়: বিবিধ

৯৩৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

376113
১১ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৭:৩৮
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভালো লাগলো মনের শক্তি দিয়ে মানুষ যে রোগ ও দৈহিক পঙ্গুত্বকেও উপহাস করতে পারে তার প্রমাণ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং অনেক অনেক ধন্যবাদ
376119
১১ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৯:৪৯
শেখ জাহিদ লিখেছেন : আপনাকে ও অনেক অনেক ধন্যবাদ নিয়মিত মন্তব্য জন্য।
376128
১১ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ১২:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ। তবে আমাদের দেশে এই চিন্তা কেউ বিশেষ করে বলে মনে হয়না।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File