আর কত বিচ্ছিন্নতা,গোলাপগঞ্জ সাংবাদিকদের ঐক্য চাই!
লিখেছেন লিখেছেন শেখ জাহিদ ০৭ আগস্ট, ২০১৬, ০২:১৬:৪০ রাত
ইংরেজীতে একটি প্রবাদ আছে United we strong, divided we fall. একতায় আমরা শক্তিশালী, বিভক্তিতে আমরা পতিত। উপরোক্ত প্রবাদটির যথার্থ সরূপ উপলব্ধি করার মতা বোধ করি আমরা হারিয়ে ফেলেছি বা ক্রমাগতভাবে হারিয়ে ফেলছি।
সাংবাদিকতা একটি ঝু্ঁকিপুর্ণ সম্মানজনক পেশা। এখানে নিজের চেয়ে অন্যের, সমাজের এবং রাষ্ট্রের শান্তি, কল্যাণ ও উন্নয়নের কথা ভাবতে হয় বেশী। এই পেশায় দিতে পারার মধ্যেই পাওয়ার সুখ-শান্তি ও তৃপ্তি উপভোগ করতে হয়। সব অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে চৌকষ কলম সৈনিকের ভুমিকায় লড়াইয়ের ময়দানে সর্বদা সোচ্চার থাকা তাদের মহান দায়িত্ব। জবাবদিহিতা করতে হয় নিজের বিবেকের কাছে। সে জন্যই জাতির বিবেক বলা হয় সাংবাদিকদের। কিন্তু আজকের প্রেক্ষাপট কি ? সে প্রশ্নের উত্তর আমি দিতে চাই না। প্রশ্নটি শুধু সাংবাদিক সমাজের বিবেকের উপর বসিয়ে দিলাম। উত্তরে “উপায় নাই” বলার আগে কবর, হাশর ও পরকালের ভাবনা সামনে নিয়ে একটু সময় বসুন। একই কথা সমাজপতি, রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের রাঘব-বোয়ালদের প্রতিও রইলো। যারা নিজেদের কু-কর্ম ঢাকতে সংবাদপত্র ও সাংবাদিক সমাজকে কলংকিত করেন। সময় থাকতে সময়ের মূল্য দিতে হবে আমাদের সকলের। অসতর্ক ও অবহেলায় সময় ফুরিয়ে গেলে সে সময়ে গগনবিদারী চিৎকারেও আপনজনের কেউ কারো দিকে ফিরে তাকাবেন না।
সাংবাদিকতায় আমি নবীন, শুরুর পর থেকে গোলাপগঞ্জ সাংবাদিকদের সাংগঠনিক বিষয়ে সমন্নয় দেখিনি। এক শ্রেণীর সুবিধাবাদীরা সাংবাদিকতার মনোভাব বেছে নিয়ে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলছে। এ কারণে গোলাপগঞ্জ সাংবাদিকদের মধ্যে বিরোধ থাকায় রয়েছে একাধিক সংগঠন।
সাংবাদিকতায় বিভক্তির ফলে সাংবাদিকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে,গোলাপগঞ্জে অন্যায় ও দূর্নীতির প্রতিবাদে ঐক্যের প্রতীক গোলাপগঞ্জের তরুন ও সাহসী সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী উপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছিলো।গোলাপগঞ্জ সাংবাদিকদের এ বিভক্তির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুর্নীতিবাজ ও অপরাধী চক্র তাদের নিত্যদিনের অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে সুযোগ খঁজে পান। অপরাধীরা অনায়াসেই বিভক্ত সাংবাদিকদের এক পক্ষকে ম্যানেজ (!) করে নিতে সক্ষম হন। ফলে দেখা যায়, সত্য ঘটনা নিয়ে কোন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে নিউজ করলো এক পক্ষের সাংবাদিকেরা। পরক্ষণেই দেখা গেল, অপর পক্ষের সাংবাদিকেরা ওই অপরাধীর পক্ষ নিয়ে পাল্টা আরেকটি মিথ্যা নিউজ করে ওই সন্ত্রাসীকে মহা সাধু বানিয়ে দেয়। এ ঘটনার ফলে একদিকে পার পেয়ে যায় ভয়ংকর ওই চিহ্নিত সন্ত্রাসী, অন্যদিকে প্রকৃত সত্য ঘটনা একেবারেই আড়ালে পড়ে যায়।
ঠিক তেমনি এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননা সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারি ও জনপ্রতিনিধিরাও।এরফলে সব মহলের কাছে হেয় প্রতিপন্ন ও অবহেলার পাত্র হন জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকেরা। আর এ সুযোগে সমাজে বেড়ে যায় দুর্নীতি, অনিয়ম, অপশাসন আর সন্ত্রাস।
সম্প্রতি গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তান প্রবাসী সাংবাদিক ও গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের ভুমি ও ভবনদাতা আনোয়ার শাহজাহানের উদ্যোগে গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের বিরোধ নিরসনে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে সম্মতি জানিয়ে সকল সাংবাদিককে এক হওয়ার আহবান জানাই।এখনই প্রয়োজন জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকদের মধ্যে দৃঢ় ঐক্য।ঐক্য হলেই কেবল ফিরে আসবে সাংবাদিকদের হারানো অতীত আর গৌরবময় ঐতিহ্য। সুতরাং গোলাপগঞ্জের সার্বিক মঙ্গল কামনায় সৎ ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের উচিত সততা আর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এখনই বিভক্ত এই সাংবাদিক সমাজকে দ্রুত ঐক্যবদ্ধ করা।
লেখক : রিপোর্টার,নিউজ অর্গান টোয়েন্টিফোর.কম
বিষয়: বিবিধ
৯৪৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গোপালীরা তো কপালি হয়
মন্তব্য করতে লগইন করুন