গড়ে তুলুন এক মহিমান্বিত সার্থক জীবন
লিখেছেন লিখেছেন শেখ জাহিদ ০৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১১:৫২:২৩ সকাল
শেখ সাদী একবার প্রবাদ জীবনে নিমন্ত্রিত হয়ে একটি ভোজসভায় গিয়েছেন।তাকে ওখানে তেমন কেউ চিনতো না।তার বেশভুষাও ছিলো সাদামাটা। ঐ ভোজসভায় গন্যমান্য ব্যক্তিরা ছিলেন যাদের পোশাক -পপরিচ্ছেদ ছিলো দামি এবং জাঁকজমকপূর্ণ। তাদেরকে বিশেষভাবে সমাদর করা হলো এবং উত্তম খানা-পিনা পরিবেশনন করা হলো।শেখ সাদীকে তাদের সাথে একত্রে বসতে দেয়া হলো না এবং খানা-পিনার ব্যপারেও সুস্পষ্ট বৈষম্য শেখ সাদীর নজর এড়ালো না।তিনি কাউকে কিছু না বলে নীরবে হজম করে সে জায়গা পপরিত্যাগ করেলেন।কিছুদিন পরে আবার ঐ জায়গা একটি ভোজসভায় তিনি নিমন্ত্রিত হলেন। তবে এবার তার পোশাক ছিলো জাঁকজমকপূর্ণ। এবারে নিমন্ত্রণকারীগণ তাকে খুবই আদর-আপ্যায়ন করলেন। কিন্তু তিনি খাবার মুখে না পুড়ে দামি পোশাকের পকেটে ভরতে লাগলেন।তার এই আচারণে বিস্মিত হয়ে নিমনন্ত্রণকারী তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন।তিনি সহাস্যে বললেন,আমার খাওয়া তো আমি গতবারে খেয়ে গিয়েছি যখন আমি খুব সাদা-মাটা পোশাকে এসেছিলাম।এবারের উৎকৃষ্ট খাবার তো এই পোশাকেরই জন্যে।এই খাবার পোশাকের প্রাপ্য বিধায় আমি পোশাককে খাওয়াচ্ছি।নিমনন্তণকারীরা তখন লজ্জিত হয়ে কবির কাছে করজোরে ক্ষমা চাইলেন। এ তো সেই কবেকার কথা। বর্তমান যুগেও আমরা এর থেকে খুব বেশি অগ্রসর হতে পারি নি।এ যুগে মিডিয়া আমাদের ব্যাক্তিত্ব বলতে যা বোঝাচ্ছে তাই বুঝছি।যেমন ব্যান্ডের পোশাক পড়তে হবে।বিশেষ কিছু টুথপেস্ট ব্যবহারে আপনার আত্নবিশ্বাস জাগ্রত হয়।আপনার গায়ের রং একমাসের মধ্যে ফর্সা হয়ে গেলে আপনার ব্যক্তিত্বের উন্নতি ঘটবে। যত ডিজুস করতে পারবেন যত ফেসবুক নিজেকে প্রচার করতে পারবেন তত আপনি স্মার্ট তত আপনি ব্যক্তিত্ববান।এর ফলে আমরা নিজেকে মানুষ বানানোর পরিবতে পণ্য বানাতে আরো বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি।আসলে যে শার্টটি আপনি ৫০০ টাকায় কিনতে পারতেন সেই শার্টটি অভিজাত এলাকা থেকে ৫০০০ টাকা দিয়ে কিনছেন। কারণ আপনার কাছে শার্টের চেয়ে লোগোটাই মুখ্য।একবার ঈদের বাজারের ওপর একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন ছিল-একটি অভিজাত বিদেশি পণ্যের বিপণি থেকে এক ভদ্রমহিলা ২২ হাজার টাকা দিয়ে একটি ঈদের শাড়ি কিনছেন।ঈদের দিন দেখা গেল ঠিক ঐ রকম শাড়ি পরে তার বাসায় তার ড্রাইভারের স্ত্রী বেড়াতে এসেছেন।তিনি জানতে পারলেন যে এই শাড়িটি ড্রাইভার সাহেব ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট থেকে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন। পরে মনের দুঃখে ভদ্রমহিলা শাড়িটি আর পরলেনই না।ব্যান্ডিং করতে গিয়ে কী পরিশ্রম করতে হলো তাকে।
বিষয়: বিবিধ
১১৪১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাহিদ সাহেব, কারও মন্তব্যের জবাব বা প্রতি মন্তব্য করতে মন্তব্যের নীচে ডানদিকে নীল বাঁকা তীরটিতে ক্লিক করুন৷ নীচেয় জবাব প্রকাশ করুন নামের একটা ফিল্ড আসবে, তাতে জবাব লিখুন৷ তবেই মন্তব্যকারী খবর পাবে৷ ধন্যবাদ৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন