তেলাপোকা যদি পাখি হয় তবে রাজাকার কেনো মুক্তিযোদ্ধা নয়?!
লিখেছেন লিখেছেন মুহাইমিনুর ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৫:০০:১৫ বিকাল
তেলাপোকা একটা পাখি!যা একসময় মুরগীর সহদোর ছিল।কালের বিবর্তনে এটি ঈগলের সহজাতে পরিনত হয়েছে।অতঃপর সেই তেলাপোকা এখন বুক উচু করে গর্বের সহিত বলে আমি উটপাখি অপেক্ষা সেরা,আমি উড়ি আকাশে,সে হাটে মাটিতে...আমি তবু উচুতে,উড়ি যেনো আকাশে!
শাহরিয়ার কবির যখন নিজেকে একজন স্যকুলার দাবি করে তখন আমার এরকমি তেলাপোকার কথা মনে পড়ে যায়!কারন সেটাও একটা পাখি।
একজন শাহরিয়ার কবিরই পারে একটা মুক্তিযুদ্ধের একটা নতুন ইতিহাস তৈরী করতে!
কথায় কথায় যিনি মুক্তিযুদ্ধের বুলি আওড়াতে শুরু করেন তিনি আসলেই কি মুক্তিযোদ্ধা?
তিনি রাজাকার নন তো?!
আসলি তিনি যুদ্ধের সময় পাকি ক্যাম্পে মুরগি সাপ্লাই করতেন।
মুক্তিযোদ্ধা ঈসমাইল এক টোক শোতে একথা স্পষ্ট করেন।(Click this link)
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি শাহরিয়ার কবিরের ভন্ড মুক্তিযোদ্ধা সাজা নিয়ে কথা তোলেন এবং তিনি যে মুরগী সাপ্লাইয়ার ছিলেন তা স্পষ্ট করে।(Click this link) (Click this link)
মুরগী সাপ্লাই দিতেন তার রেফারেন্স (Click this link)
শাহরিয়ার কবিরের প্রধান সমস্যা তিনি একজন নামধারী স্যকুলার।একজন মানুষ যদি অসাম্প্রদায়িক হত তাহলে সে অন্য জনের ধর্মে আঘাত হানত না।অন্যজনের মতামতকে দমিয়ে দেয়ার চেষ্টা করত না।বরং অসসাম্প্রদিয়তার মুখোশে সাম্প্রদায়িকতা স্থাপন করে এইসব লোক। তারা অসাম্প্রদায়িকতার নামে নাস্তিকতাকে জায়গা করে দিতে চায়।তার সমস্যা জামাত-শিবির না তার সমস্যা ইসলাম।
সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকায় খুশি নন তিনি(Click this link)
প্রতিটি ইসলামিক দলই তাহার সমস্যাঃ(Click this link)
রামুর ঘটনায় জামাত শিবির জড়িত এবং জামাত শিবিরের সাথ দিয়েছিল বিএনপি ও আওয়ামীলীগ। এমটাই বলেন শাহরিয়ার কবির।..সেই টকশোতেই খালেদ মহিউদ্দীন কিছু রেফারেন্স দেন।
কথায় আছেনা চোরের মায়ের বড় গোলা!ঠিক এমনটাই অবস্থা হয়েছে শাহরিয়ার কবিরের।নিজের ঢাক ঢোল নিজেই পেটাচ্ছেন।
এরকম নকল মুক্তিযোদ্ধাদের মুখে যখন আমরা মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী শুনি তখন যেন ইতিহাসে একটা বিবর্তন হয়ে যায়।
এদের দ্বারাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আজ বিকৃত।
এরা অসাম্প্রদায়িক নয় এরা নাস্তিকতার প্রচার চালাচ্ছে সাথে দেশকে অস্থীতিশীল করে তুলছে।
বছর খানেক আগে তসলিমা নাসরিন একটা করে উষ্কানিমূলক স্ট্যাটাস দিত আর তার পর পরেই শাহবাগ সক্রিয় হয়ে উঠত।
এই প্রজাতির লোকগুলা নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মানুষের অনুভূতীকে কাজে লাগাচ্ছে।আর আমরা রাজনৈতিক ফল লাভের আশায় তাদের মাথায় তুলে নিচ্ছি।
একবার ভাবা উচিত যারা নবী(সা) সম্পর্কে কটুক্তি করে,যারা ইসলামকে বিভ্রান্তির মুখে ফেলে,যারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে তারা কতটুকুই বা কাজে আসার মত!যাদের নিজের ধর্ম নাই তারা সংখ্যালঘুদের ধর্মকে কিভাবে ঠাই দেবে তা ভেবে দেখা উচিত।
অবশেষে বলিতে চাই,রাজাকার এখন মুক্তিযোদ্ধা।
বিষয়: বিবিধ
১২০৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লাখ লাখ জামায়াত কর্মী কেন নিজেদের সেরকম ভাবে প্রেজেন্ট করতে পারেন না ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন