মেডিকেল কোশ্চিন পেয়েও চান্স হয়নি,শুধুমাত্র বিবেকের তাড়নায়!!

লিখেছেন লিখেছেন মুহাইমিনুর ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:০৮:১০ রাত

দুই বন্ধুর whatsapp এ কথোপকথন…

১ম বন্ধু :দোস্ত তুই নাকি মেডিকেল কোশ্চিন নিচ্ছিস??

২য় বন্ধু :হে রে,,, অফার পাইছিলাম।মাত্র ১০ লাখ টাকার,না নিয়ে পারলাম না।।

১ম বন্ধু :গাধা আমাকে আগে বলবি না!

২য় বন্ধু :কেন তুই করতি নাকি??

১ম বন্ধু : হুমমমম।

২য় বন্ধু :এখনো করা যাবে বাসায় কথা বল।

২য় বন্ধু :দাড়া বাসায় কথা বলে তকে যানাচ্ছি।

.

১ম বন্ধু বাড়িতে জানাচ্ছে…

মা মা আমার বদ্ধু না মেডিকেল কোশ্চিন কিনতেছে আমিও কিনব নাকি?

-- কিন। সমস্যা কোথায়?

--টাকা লাগবে....

--কত?

--এই ১০ লাখ মাত্র।

--(বিরক্তিকর স্বরে) তোর মাথা গেছে নাকি যা পড়তে বস। আর অইসব ধান্দা বাদ দে।সাহস থাকলে তর আব্বাজানককে বলিস।…………………………

--আব্বা আমি মেডিকেল কোশ্চিন কিনব।

-- কত টাকা।

--১০ লাখ।

.

--(রাগান্বিত স্বরে) আহা ছেলের শোক কত? কোশ্চিন কিনে পরিক্ষা দিবে। যাও পড়তে বস। যত সব আজাইরা চিন্তা ভাবনা।

______আবার whatsapp এ

২য় বন্ধু : কি রে কিছু হইলো?

১ম বন্ধু:নারে কোশ্চিন নিব না, নিলে সারা জীবন বিবেকের কাছে প্রশ্ন থাকবে।

.

জানতে ইচ্ছা করে এদের বিবেকটা এমন কেন???

এই স্ট্যাটাসটা গত বছরের ছিল।

.

আরো কিছু মানুষের বিবেক…

একজনের মুখে শুনলাম সে নাকি কোশ্চিন পাইছিল।কিন্তু দাগায় আসে নি।বিবেকের তাড়নায়!!

জানতে ইচ্ছে হয় এদের বিবেক এমন কেন র??

.

আরেক জনের মুখে শুনলাম তার রুমমেট নাকি কোশ্চিন পাইছিল।কিন্তু ৭৫ টা দাগায় আসছিল।১০০ টা দাগাইলে যদি ধরা খায়ে যায়!!সে তার রুমমেটকে বলছে…তাইলে তোর চান্সটা আর হইলো না!

রেজাল্ট হইলো লাস্ট মার্ক ছিল ৭৬।তার চান্স হবে কেমনে?

.

আরেক ফ্রেন্ড পরীক্ষার আগে কোশ্চিনের অফার পাইছিল।টাকা চাইছিল ১০ লাখ।পরে কমায় ৫ লাখে আসে।সে তার ফেমিলিকে এ বেপারে জানাইলে তার ফেমিলি আড়াই লাখ দিতে রাজি হয়।কিন্তু কাজ হয়নি।

.

এখন সে গালিগালাজ করছে তাদের যারা কোশ্চিন কিনে চান্স পাইছে।কিন্তু দু’দিন আগেও সে প্রশ্ন কিনার জন্য প্রস্তুত ছিল।তখন হয়তবা সেটা তার বিবেকে বাধা দেয়নি এখন বা্ধা দেয় কারন চান্স পায়নি!!

.

এটাকে নৈতিক অবক্ষয় বলবো নাকি না পাওয়ার বেদনা ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা!কেউ পাবে কেউ পাবেনা এই মানুষিকতা থেকে বের হয়ে আসা উচিত।আর যারা দুর্নীতি করে চান্স পাইছে তাদের কিইবা দোষ!দোষতো তাদের অভিভাবকদের।

.

একজন এইচ.এস.সি পাস করা শিক্ষার্থীর পক্ষে কখনই ৫ বা ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে মেডিকেল কোশ্চিন কেনা সম্ভব না।তাহলে এই টাকার জোগান দেয় কারা?অবশ্যই তাদের বাবা।

.

নিজের সন্তানকে ডাক্তার বানানোর প্রবনতা থেকেই এ ধরনের দুর্নীতির সূত্রপাত হয়।প্রয়োজন দৃষ্টিভংগি পরিবর্তনের।

.

দৃষ্টিভংগি পরিবর্তন না হলে আপনার বিবেক আপনাকে খারাপ কাজ করতে বাধা দেবে না।আর তখনি আমরা দুর্নীতি করি যখন আমাদের বিবেক আমাদের তাড়না করবেনা।তাই দুর্নীতি মোকাবেলায় প্রয়োজন দৃষ্টিভংগি পরিবর্তনের।

বিষয়: বিবিধ

১৩৪৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343069
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:২২
হতভাগা লিখেছেন : ডাক্তারী পড়াই সব কিছু না ।

এমনও হয় যে , যে ছেলে আপনার মত ডাক্তারী পড়ার সুযোগ পায় নি , জেনারেল লাইনে গিয়ে সে তর তর করে পোস্ট গ্র‍্যাডুয়েশন করে বড় মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে মোটা বেতনে চাকরি করছে । আপনি তখনও ক্লিনিকে ক্লিনিকে ডিউটি ডক্টর হিসেবে মর্নিং - ইভিনিং-নাইট করতে ফাইট করছেন ।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:১৭
284399
মুহাইমিনুর লিখেছেন : এইসব ডাক্তারদের অবস্থাও অবশ্য এমনই হবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File