মানুষের নৈতিকতা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে????

লিখেছেন লিখেছেন রক্তিম পথের যাত্রী ১৯ আগস্ট, ২০১৫, ১১:৪০:২৯ সকাল

এ কোন ভাইরাসে আক্রান্ত সমাজ

॥ মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল ॥

‘হ্যালো জান! আই এম আন হ্যাপী

জাস্ট ফর ইউ; আমি পৃথিবীর অন্য

কোন কিছুই চাইনা চাই শুধু

তোমাকে.....’ রাত তখন ২টা; চাঁদপুর টু

ঢাকা ময়ূর-২ লঞ্চের প্রথম

শ্রেণিতে যাত্রীদের

অনেকেই ঘুমাচ্ছেন; অনেকে

হয়তো আড়ি পেতে কথাগুলোর

স্পর্শ কাতরতা অনুভব করছেন। হঠাৎ

ত্রিশোর্ধ এক তরুণ ভদ্র ভাষায়

বললেন; আপু এবার বন্ধ করা যায়না?

আগুণের তীব্রতার ভিতর ঝড়ো

ধাক্কায় পাশে থাকা তেলের ড্রাম

উল্টে পড়লো। এক নোংরা

পরিবেশ সৃষ্টি হলো লঞ্চের

প্রথম শ্রেণির কামরায়। অশালীন

ভাষায় ত্রিশষোর্ধ একজন গৃহবধু

চালিয়ে যাচ্ছেন তার কর্ম। থামানোর

যেন কোন লোক নেই। হঠাৎ

মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি! প্রবাসীর

ফোন; জান তুমি ঘুমাওনি? ঘুমের বান

করে এতো লোকের সামনেই;

জান আমি ঘুমাচ্ছি, আমার প্রচন্ড

মাথাব্যাথা বাবুকে সকালে স্কুলে

পাঠিয়ে কথা বলবো। উপস্থিত

কারো আর বুঝতে বাকী রইলোনা

ইনি কে? কোথায় যাচ্ছেন?

লঞ্চের ম্যানেজারকে ডেকে

সবার অনুরোধে ভদ্র মহিলাকে

একটি কেবিনে পাঠিয়ে আপাতত

পরিবেশ বসার উপযোগী করা

হলো। পিনপতন নিরবতায় ষাটোর্ধ

একজন ভদ্রলোক বলে উঠলেন

আহ! মোবাইল। আমার ঘুম আসছিলনা

লঞ্চের বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম চার

জন তরুণ এক সঙ্গে এতো রাতে

মোবাইল দেখছে। হঠাৎ আমার

নজর সেদিকে যেতেই

চোখাচোখি হলো তাদের সাথে;

তারা মোবাইলটি বন্ধকরে চুপচাপ

বসে থাকলো। আমি কিংকর্তব্য বিমূঢ়

হয়ে আমার অবস্থানে চলে

আসলাম।

আমার কয়েক জন বন্ধু; যারা

বর্তমানে স্কুল-কলেজে শিক্ষকতা

করছেন; তাদের কাছে শোনা।

আজকাল স্কুল শিক্ষার্থীরা গ্রুপ

করে মোবাইল কিনছে। এক

সপ্তাহে একেক জনের কাছে

থাকে এ মোবাইল। ক্লাস চলাকালীন

সময়েও চলে মোবাইলে ভিডিও

দেখা। এমন কয়েকটি মোবাইল

জব্দ করার পর দেখা গেলো

মোবাইল মেমোরিতে যা

রয়েছে তা সুস্থ্য মস্তিস্কে

দেখার মতো নয়।

গত কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম

কয়েকটি মোবাইল কাস্টমার কেয়ার

দোকানে পরিকল্পিত ভাবে এক ঘন্টা

করে অবস্থান নিয়েছি নির্দিষ্ট

স্থানে। বাস্তবতা এবং তথ্য অনুযায়ী

শতকরা ৮০ জন আসেন মোবাইলে

ইন্টারনেট চালানো বিষয়ে সমস্যা

নিয়ে। আগুন্তুকদের ৮০ ভাগই যুবক

যুবতী। সমাজের এক শ্রেণির

লোক যেন অন্ধ এবং বধির হয়ে

গেছে; মোবাইল প্রেম যেন

ভাইরাসের মতো আক্রান্ত করে

ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে

সমাজের ছোট থেকে বড়ো

সব বয়সের নারী-পুরুষকে।

মোবাইল ভাইরাসের ভয়াবহতা এতটাই

বেড়েছে যে অপরিচিত নাম্বারে

প্রথমে আলাপচারিতা তারপর প্রণয় এক

সময় ফালিয়ে বিয়ে; অত:পর

যৌতুকের দাবীতে অত্যাচারীত

হয়ে পারিবারিক বন্ধন থেকে বিতাড়িত।

পত্রিকার পাতা অথবা টিভি স্কিনে এমন

কোন দিন নেই যে দিন গুলোতে

আমরা এ ধরনের খবর পড়ছি অথবা

দেখছিনা। এ ভাইরাস থেকে এখন

মুক্ত নেই গৃহবধু থেকে গৃহিনী,

শিক্ষক থেকে শিক্ষার্থী, ডাক্তার

থেকে আইনজীবী, ভিআইপি

থেকে ব্যবসায়ী, এমনকি সাধারন

মানুষও। এটিকে এখন আর শুধুমাত্র

সামাজিক অবক্ষয় বলেই শেষ করা

যায় না এটি এখন রীতি মতো

ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এক

জনের দেখা দেখি অপর জন। এক

পরিবারের পাশাপাশি অপর পরিবার। এক

গ্রাম থেকে অপর গ্রাম। ছড়িয়ে

পড়ছে মরণ ব্যাধির মতো গোটা

দেশে।

আরবী প্রবাদ বাক্য রয়েছে :

‘‘কোন বস্তুর ভালবাসা তাকে অন্ধ ও

বধির করে দেয়।’’ অর্থাৎ মানুষ যখন

কোন বস্তুকে ভালোবাসে এবং

তার ভালবাসা সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন

সে তার দোষ-ত্রুটি ও ক্ষতিকর দিক

ভুলে যায়। ফলে সে তাতে

কোন দোষ-ত্রুটি দেখেনা,

তাতে কোন বিপদ বা অকল্যাণ

খুঁজে পায় না, যদিও তাতে অনেক

দোষ-ত্রুটি, অনেক বিপদ ও

অকল্যাণ থাকে। সে হারিয়ে

ফেলে তার বিবেক; তার কাছে

প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে গোটা সমাজ।

যেমন বলা হয়ঃ ‘‘আমি তার ভালোবাসার

কারণে কালো জিনিসকেও

ভালোবাসি, এমনকি তার ভালোবাসার

কালো কুকুরকেও ভালোবাসি;

ভালোবাসি তার ইচ্ছা অনিচ্ছা তার চাওয়া

পাওয়া আনন্দ বেদনা তার প্রতিটি

মুহুর্ত।’’ সামাজিক এ অবক্ষয়ের

অন্যতম একটি কারণ আধুনিক যুগে

যুবক ও যুবতীদের মাঝে

ইন্টারনেট প্রীতি, গভীর

মনোনিবেশ সহকারে এর যথেচ্ছ

ব্যবহার, কোন প্রকার ক্লান্তি অথবা

বিরক্তবোধ ছাড়াই দীর্ঘ সময়

ধরে ইন্টারনেটের সামনে বসে

থাকা এমনি একটি বিষয় যা সামাজিক ও

চারিত্রিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার

ফলশ্রুতিতে আমরা হারাতে বসেছি

আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য দেশীয়

সংস্কৃতি। বিরোধ শুরু হয়েছে পিতার

সাথে পুত্রের; ভাইয়ের সাথে

ভাইয়ের; মায়ের সাথে কন্যার;

বোনের সাথে বোনের,

আতœীয়ের সাথে

আতœীয়ের।

এখানে সঠিক পথ প্রাপ্ত যুবক

যুবতীদের ব্যাপারে কথা বলছিনা, যারা

মোবাইল এবং ইন্টারনেটকে বৈধ

প্রয়োজনে ব্যবহার করে, অথবা

জাতির কল্যাণে ব্যবহার করে অথবা

বিভিন্ন কল্যাণকর অঙ্গনে ব্যবহার

করে। যেমন সৎ কাজের আদেশ,

অসৎ কাজের নিষেধ, ইসলামের

দিকে দাওয়াত, ইসলামের শত্রুদের

জবাব দান, উত্তম চরিত্র ও উপকারী

জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসার। আর তারা

মাকড়সার জালের ন্যায় পৃথিবীতে

ছড়িয়ে থাকা এ ইন্টারনেটের

মাধ্যমে সকল উপকারী ও কল্যাণকর

বিষয় সমূহ থেকে যথা সম্ভব উপকৃত

হয়ে থাকে।

বরং কথা বলছি ঐ সকল হাজার হাজার

যুবক-যুবতী ও সমূহ বিপদগ্রস্থদের

ব্যাপারে, যারা মোবাইল এবং

ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিপর্যস্ত

হয়েছে, এতে কঠিনভাবে আসক্ত

হয়েছে, এমনকি জীবনের

গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমূহ থেকে বিমুখ

হয়েছে। ফলতঃ ইন্টারনেট ও

মোবাইল এদেরকে সন্ত্রাস ও

বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্ম কান্ডের

দিকে ধাবিত করেছে। বিশেষ

করে তাদেরকে ইন্টারনেট কি

কল্যাণ উপহার দিয়েছে? আল্লাহর

দিকে দাওয়াতের ক্ষেত্রে কোন

উপকারিতা কি তারা পেয়েছে? তারা কি

ইসলামের শত্রুদের পদক্ষেপ সমূহ

চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে?

ইসলাম ও মুসলিমদের নিধন করার

ব্যাপারে শত্রুদের ঘৃণা ও ষড়যন্ত্র

সমূহ তারা কি চিহ্নিত করতে

পেরেছে? তারা কি ইসলামী

ওয়েবসাইটসমূহের মাধ্যমে

উপকারী শরয়ী জ্ঞানসমূহ লাভ

করতে সক্ষম হয়েছে? তারা কি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞান লাভ এবং

এর মাধ্যমে উন্নতি ও অগ্রগতির কারণ

সমূহ জানতে সক্ষম হয়েছে? তারা

কি পরিসংখ্যান বিদ্যা ও বিশিষ্ট

বিষয়সমূহের উপর নির্ভরশীল

সামগ্রীক গবেষণা কর্ম সম্পাদন

করতে সক্ষম হয়েছে? তারা কি

জাতির মর্যাদা পুনরুদ্ধার এবং

অতীতের গৌরব গাঁথার ইতিহাস

প্রসারে সক্ষম হয়েছে? ইসলাম

সম্পর্কে যে সকল অপপ্রচার

ছড়ানো হয়েছে, তার জবাব দিতে

সক্ষম হয়েছে? তারাকি পেরেছে

আমাদের স্বাধীনাতার খ্যাতি পৃথিবী

ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে। আমাদের

নিজস্ব সংস্কৃতিকে পশ্চিমা বিশ্বের

সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে। তারাকি

পেরেছে আমাদের দেশের

সফলতা তুলে ধরতে ? আসলে

ইন্টারনেটের উপকারীতা বহুবিধ।

অধিকাংশ যুবক এ সকল উপকারী বিষয়

সমূহের প্রতি গুরুত্বারোপ করেনা।

তারা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে

উলঙ্গ ছবি দেখার ক্ষেত্রে,

অশ্লীল দৃশ্যসমূহ উপভোগ করার

জন্য এবং এমন অবৈধ ওয়েবসাইট সমূহ

খোঁজার ক্ষেত্রে, যা একজন

যুবককে পাশবিক শক্তিতে বন্দি

করে ফেলে আর পাশবিক

কুপ্রবৃত্তির সামনে দূর্বল করে

ফেলে। তাকে শিক্ষাদেয় পশুর

মতো আচরণ। ফলে তাকে

ফলদায়ক উপকারী যে কোন কাজ

থেকে বিরত রাখে এবং তাকে

সংকীর্ণ গন্ডীতে বন্দি করে

রাখে। অথচ এ ইন্টারনেট বিভিন্ন

অঞ্চলের বিভিন্ন ঘটনাবলীর

মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের

জন্য ব্যবহার করা যায়, এক কথায় যাকে

‘বিশ্বকে এক কক্ষে নিয়ে আসার

মাধ্যম’ বলা যায়। এর মাধ্যমে উলঙ্গ

ছবি দেখা অথবা পথভ্রষ্ট যুবক

যুবতীদের মাঝে

যোগাযোগের মাধ্যমে এত

বেশী সময় নষ্ট করা হয়, যে সময়

তার জীবন উন্নয়নের কাজে

ব্যবহার করা যেতো। অপর দিকে

মোবাইলের অপব্যবহারের কারণে

প্রতিনিয়তই ঘর ভাঙ্গছে অনেক

সংসারের। পরিবার থেকে ফলিয়ে

যাচ্ছে কন্যা সন্তানরা। বাবা মায়ের

খোঁজ খবর নেয়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে

সন্তানদের কাছ থেকে।

বিশ্লেষকদের মতেঃ মোবাইল এবং

ইন্টারনেটের আড্ডায় নিমজ্জিত ৮০%

যুবক পরবর্তীতে বিয়ে করে না।

এদের ৭০% নিষিদ্ধ পল্লীতে

যাতায়াত করে এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবন

যাপনে অভ্যস্থ হয়ে পড়ে।

এদের ৫৫% তাদের পরিবারের

কোন খোঁজখবর নেয়না। এদের

অধিকাংশই খারাপ ওয়েবসাইট সমূহের

ঠিকানা বিনিময় করে, এমনকি তাদের

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহেও। ফলে এটি

শিক্ষা কার্যক্রকে বড়ই

বাধাগ্রস্তকরে। ইন্টারনেটে

আসক্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষা

জীবনের উপর কুপ্র্রভাব পড়ে।

ইন্টারনেটে আসক্ততা নৈতিক

মূল্যবোধের ভিত্তিতে গড়ে উঠার

পরিবর্তে অভ্যন্তরীন দ্বন্ধ-

সংঘাতের ঘটনা ঘটায়। ইন্টারনেট

পারিবারিক বন্ধনকে শিথিল করে দেয়,

এর মাধ্যমে স্বাভাবিক বিবাহের

মাধ্যমে গঠিত পরিবারতন্ত্র ধ্বংস

প্রাপ্ত হয়। ফলে পরিবারের

পরিবর্তে অবৈধ পন্থার অবাধ জীবন

যাপনে এরা অভ্যস্ত হয়ে উঠে। এরা

মনে করে যৌনতাই বিবাহের মূল

উদ্দেশ্য, আর সে উদ্দেশ্য যদি

বিবাহ ছাড়াই পূরণ করা সম্ভব হয়, তাহলে

বিাবহের আর প্রয়োজন কি? অথচ

ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহ বন্ধনে

আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ

উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে। দেশে

মোবাইল এবং কম্পিউটার সামগ্রীর

মূল্য এবং ইন্টারনেট সংযোগ সস্তা

হওয়ার ফলে অধিক সংখ্যক যুবক

ইন্টারনেট জগতের দিকে ঝুঁকে

পড়ার সুযোগ পায়। অনেক

রক্ষণশীল ও ইসলামী

আন্দোলনের সাথে জড়িত

পরিবারের সন্তানদের অনলাইন

মোবাইল ব্যবহারের ফলে নৈতিকতা

দূর্বল হয়ে পড়ে।

প্রশ্ন হচ্ছে একজন মুসলিম কি সব

কিছুর সাথে সম্পর্ক রাখতে পারে

অথবা তা রাখা উচিত? একজন বুদ্ধিমান

যুবক যে তার নিজের, তার

দ্বীনের, তার জাতির সেবায়

নিজেকে নিয়োজিত রাখবে, অথচ

সে কি চরিত্র বিধ্বংসী অশ্লীল

দৃশ্য, উলঙ্গ ছবি দেখা এবং

মোবাইলে অশালীন কথা বলার

মাধ্যমে তার মূল্যবোধ ধ্বংস করে

দিবে? অথচ যেখানে অমুসলিম

যুবকেরা এ সংযোগের মাধ্যমে

জ্ঞানভিত্তিক গবেষণা, বিশ্বজগৎ

নিয়ে গবেষণা এবং নতুন নতুন

আস্কিারের মাধ্যমে উন্নতি ও

অগ্রগতির শীর্ষে পৌঁছে যাচ্ছে।

মহান রব আমাদের কেন সৃষ্টি

করেছেন আমরা কি বেমালুম ভুলে

যাচ্ছি? আমরা কি ভুলে যাচ্ছি আমাদের

মরতে হবে? কিয়ামতের মাঠে এ

পৃথিবীর সকল কর্মের হিসেব

আমাদের কাছ থেকে নেয়া হবে।

আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার

জন্যই মহান আল্লাহ অনুগ্রহ করে

আমাদের মাঝে বিশ্ব নবী (সHappy এর

মাধ্যমে পাঠিয়েছেন সর্বশ্রেষ্ঠ

গ্রন্থ আল-কোরআন। কোর

আনে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন-

‘সে দিন তাদের মন্দ কাজগুলো

তাদের কাছে স্পষ্ট প্রকাশ হয়ে

পড়বে, এবং সে বিষয়টিই তাদের

পরিবেষ্টন করে নেবে যে

ব্যাপারে তারা হাসি ঠাট্টা করে বেড়াত।

(সূরা আল-জাছিয়া : ৩৩) তুমি কি জাননা,

আল্লাহ তোমাকে দেখেন? তুমি

যে অবস্থায়ই থাকনা কেন, তোমার

সব কিছুই তাঁর সামনে প্রকাশিত।

“অবশ্যই আল্লাহ তা‘আলার কাছে

আকাশমালা ও ভূখন্ডের কোন তথ্যই

গোপন নেই।” (সূরা আলে ‘ইমরান :

৫)

এ ভয়াবহ ভাইরাস থেকে মুক্তি

পেতে হলে; আমাদের উচিত

আল্লাহ তা‘আলাকে ভয় করা।

প্রতিপালকের নাফরমানি থেকে বিরত

থাক। যৌবন ও সুস্থতা যেন আমরা ক্ষতি

না করি এবং শয়তান যেন আমাদের

ধোকায় না ফেলে। আমরা নিজেরাই

নিজেদের চিকিৎসক হতে পারি।

মাধ্যম হলো রবের ইবাদাত

বন্দেগী, জিকির ও শুকর-গুজারী,

তার কিতাবের তেলাওয়াতের

মাধ্যমে আমাদের অন্তরের

রোগ সমুহ দুর হবে। সাময়িক

প্রবৃত্তির তাড়নায় জান্নাতকে বিক্রি

করে দেয়া কি ঠিক?, যে জান্নাতের

প্রস্থ আসমান ও যমীনের সমান।

সৌভাগ্যশালী সে ব্যক্তি যে

অন্যের ভালো উপদেশ গ্রহণ

করে। অতপর তাকওয়া ও সঠিক পথে

চলার জন্য রবের সাহায্য ও

তওফীক কামনা করে। কারণ, আল¬াহ

তা‘আলাই একমাত্র তাওফীক দাতা, তিনিই

উত্তম অভিভাবক, তিনিই উত্তম

সাহায্যকারী। সুন্দর পরিবার এবং সমৃদ্ধ

সমাজ গড়তে সন্তানদের নৈতিক ভাবে

গড়ে তোলার দায়িত্ব অভিভাকরাই

নিতে হবে; আমাদের সন্তানদের

আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয়

শিক্ষায় শিক্ষিত করে নৈতিক ভাবে

গড়তে পারলেই মোবাইল এবং

ইন্টারনেট নামক এ ভয়াবহ ভাইরাস

থেকে মুক্তি পাবে সমাজ।

লেখক পরিচিতি:

মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল

নির্বাহী সম্পাদক

দৈনিক চাঁদপুর দিগন্ত

বিষয়: বিবিধ

১১০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File