কিভাবে আপনার সন্তান কে রক্ষা করতে পারবেন

লিখেছেন লিখেছেন রফিক খন্দকার ১৬ মে, ২০১৬, ০১:৫১:৪৯ রাত



আমরা সবাই কোন না কোন ভাবে কোন শিশুর অভিভাবক। কারো নিজের সন্তান আছে আবার কারো ভাই বা বোনের সন্তান আছে। বর্তমান সমাজে শিশুদের যৌন নির্যাতন এক জঘন্য সামাজিক ব্যাধি হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বব্যাপী। শিশুরা বাবা মা কারো কাছেই নিরাপদ না এখন। এই নিয়ে লিখালেখি ঠেলাঠেলি সবই চলছে কিন্তু শিশুদের নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। তাই এসব নিয়ে লিখালেখি আর কাদা ছোড়াছুড়ির চেয়ে নিজের দায়িত্ব নিজের নেয়াই উত্তম। কারন কোন ঝামেলা হলে সরকার কিংবা রাষ্ট্র কারো ক্ষতি হবে না, হবে আপনার আমার। তাই আগে আমরা নিজেরা সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি। আপনার যদি সন্তান নাও থাকে তবুও পরে রাখুন কেননা আপনি একদিন বাবা/ মা হবেন। অথবা আপনার বোন কিংবা ভাইকে পড়ে শোনান। তাদের কাজে লাগবে।

নিচে কিছু পদক্ষেপের তালিকা দেওয়া হলো আপনার শিশুকে শিক্ষা দিতে পারেনঃ

১. আপনার শিশুকে কারো কোলে বসতে দিবেন না।

২. সন্তানের বয়স দু’বছরের বেশী হলেই তার সামনে আর আপনি কাপড়চোপড় পাল্টাবেন না।

৩. প্রাপ্ত বয়স্ক কেউ আপনার শিশুকে উদ্দেশ্য করে বলছে: ‘আমার বৌ’, ‘আমার স্বামী’- এটা অ্যালাউ করবেন না।

৪. আপনার শিশু যখন বলছে সে খেলতে যাচ্ছে, কোন্ ধরণের খেলা সে খেলছে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন, উঠতি বয়সি বাচ্চাদের মধ্যে অ্যাবিউজিং প্রবণতা পাওয়া যাচ্ছে।

৫. স্বাচ্ছন্দবোধ করছে না এমন কারো সাথে কোথাও যেতে আপনার শিশুকে জোরাজুরি করবেন না। পাশাপাশি লক্ষ্য রাখুন, আপনার শিশু বিশেষ কোন প্রাপ্ত বয়স্কের ভক্ত হয়ে উঠেছে কিনা।

৬. দারুণ প্রাণচ্ছল কোন শিশু হঠাৎ নির্জিব হয়ে গেলে, তাকে প্রশ্ন করুণ। তার মনের অবস্থাটা পড়তে চেষ্টা করুণ।

৭. বয়:সন্ধি পেরোচ্ছে এমন বাচ্চাকে যৌনমূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দিন। আপনি যদি এ কাজ না করেন, তবে সমাজ তাকে ভুল টা শিখিয়ে দেবে।

৮. কোন ছবি, কার্টুন ইত্যাদি বাচ্চাদের জন্য আনলে আগে তা নিজে দেখুন। কোন বই সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই তা কোমলমতি সন্তানের হাতে দিন।

৯. আপনি নিশ্চিত হন যে আপনি প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অপশন অ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন কেবল নেটওয়ার্কে, বিশেষ করে সেই সমস্ত নেটওয়ার্কে যেখানে আপনার শিশু প্রায়শই ভিজিট করে।

১০. তিন বছর বয়স হয়েছে এমন সন্তানকে তাদের ব্যক্তিগত গোপন স্থানসমূহ কিভাবে পরিস্কারপরিচ্ছন্ন রাখতে হয় তা শেখান। সতর্ক করে দিন যেন সেসব এলাকা কেউ স্পর্শ করতে না পারে- নিষিদ্ধদের মধ্যে আপনিও আছেন (মনে রাখবেন চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম এ্যান্ড উইথ ইউ)।

১১. কালো তালিকাভুক্ত করুণ সেই সব বই, গান, মুভি, পরিবার বা ব্যক্তিকে- আপনি মনে করেন যে বা যা আপনার শিশুর মনের সৌন্দর্য নষ্ট করতে পারে।

১২. আপনার শিশুকে ভিড়ের বাইরে গিয়ে দাড়ানোর মূল্যবোধ শেখান।

১৩. আপনার শিশু যদি কারো সম্পর্কে অভিযোগ করে তবে দয়া করে বিষয়টি নিয়ে মুখ বুজে থাকবেন না।

মনে রাখবেন আপনি হয় বাবা মা হবেন দু’দিন বাদে, যে কোন ব্যথা কিন্তু সারাজীবন বয়ে বেড়াতে হয়...

আপনার সচেতনতা আপনার পরিবারের নিরাপত্তা।

(সংগৃহিত)

বিষয়: বিবিধ

১১১৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

369208
১৬ মে ২০১৬ সকাল ০৮:৪০
হতভাগা লিখেছেন :
১. আপনার শিশুকে কারো কোলে বসতে দিবেন না।


০ কোন আত্মীয় বা বন্ধু বান্ধবদের বাসায় গেলে বা তারা আসলে তখন বাচ্চাকে কি আটকে রাখতে হবে ? সে যদি কারও কোলে যেতে চায় তাহলে কি উনাদের সামনেই সরিয়ে আনতে হবে ?
(পোস্ট ডবল হয়ে গেছে)
369244
১৬ মে ২০১৬ দুপুর ০১:৩২
রফিক খন্দকার লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ, আমি এডিট করে দিয়েছি। অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য সরি।
** আর শিশুরা কোলে যেতে চায়, তবে মেয়ে শিশুদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা টা আস্তে আস্তে কমিয়ে আনাই ভাল।
369339
১৬ মে ২০১৬ রাত ১১:৪১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হলো পিতামাতার শিশুর সাথে সহজ সম্পর্ক গড়ে তোলা। অনেক পিতা মাতাই যেটাকে বেয়াদবি মনে করেন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File