একজন জিন্দা শহীদ !
লিখেছেন লিখেছেন নৌশাদ আল নোমানী ২৮ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:৪২:৫৯ সকাল
একজন জিন্দা-শহীদ !
.
>>আয়শা খন্দকার <<
.
২৮ অক্টোবর ২০০৬ আওয়ামী
অপরাজনীতির বর্বরোচিত কান্ড
যেমন ইতিহাসে কলংকময় সাক্ষয হয়ে
থাকবে। তেমনি থাকবে
ইসলামী আন্দলনে বদরের মত বিজয়ের
এক গৌরবময় অধ্যায়
হয়ে স্বর্ণালী আভায় দীপ্তমান।
জোট সরকারের দায়ীত্ব শেষ।
ত্বত্তাব্ধায়ক প্রধান দায়ীত্ব নেয়ার
আগেই
আওয়ামী দোসর সহ প্রফেসর
ইয়াজউদ্দীন কে প্রেসিডেন্ট ও
তত্তাবধায়ক
প্রধান না মানার দাবীতে লগি বৈঠার
সহ ময়দানে নামার নির্দেশ দেন।
২৮ শে অক্টোবর বিএনপি নয়া পল্টন
তাদের অফিসের সামনে অবস্থান নেয়।
জামায়াতে ইসলামী পুর্ব ঘোষিত স্থান
বায়তুল মুকাররম উত্তর গেটে
গনসভার
জন্য অবস্থান নেয়।সভাশুরুর আগ
থেকেই অযাচিত ভাবে আক্রমন চালায়।
এদের লগি বৈঠার , আঘাতে ঝুরে যায়
ফুলের মত তরতাজা কুরআনের
কর্মীদের
প্রান।আহত হয় শত শত আর মৃত
প্রায় হয়ে থাকে বেশ কিছু মর্দে মুমীন
যাদের বেঁচে উঠার আশা ডক্তারা
ছেড়েই দিয়েছিলেন.....
আমিনুর রহমান আমান (তদানিন্তন
মহানগরীর প্রশিক্ষন সম্পাদক)
অন্যতম।
তাকে বলা হয় জিন্দা শহীদ।
সিপি শফিকুল ইসলাম মাসুদ লিখেছেন"
আমান ভাইর জানাজা পড়ানোর
কথা ছিল। আমরা আল্লাহর কাছে
আবেদন করলাম।প্রভু আমাদের দোয়া
কবুল করলেন।আমানকে ফিরিয়ে
দিলেন।"
আমানের ভাষায় " আগের রাতেই
আমরা অফিসে থেকে যাই দায়ীত্ব
পালনের
জন্য।স্টেজ বানানো হচ্ছিল। তার
চারিদিক ঘিরে নিরাপত্তা বেস্টনী
গড়ে তুলেছিল দায়ীত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা।
আমরা যারা তদারকীর দায়ীত্বে ছিলাম
তারা ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম।এমন সময়ে
দেখি আওয়ামী মহিলাগন শাড়ি
কোমড়ে পেঁচিয়ে কেডস পায়ে
মারমুখোভাবে ধেয়ে যাচ্ছে।একটু খটকা
লাগল।
আর একটু এগুলাম -দেখি ট্রাক ভরে
লগি বইঠা হাতে শ্লোগান দিতে দিতে
শাঁ শাঁ করে যাচ্ছে।এরমধ্যে একদম
কাছে এসে শ্লোগান দিতেই আমরা
তাকবীর দিয়ে উঠলাম আর অরা
পালাল।আবার আরেকটা এসে ইট
মারল। আমরাও তাকবীর দিয়ে ইটা
ছুড়তেই অরা পালিয়ে যায়।
এমনি অদের ছোটা ইটের টুকরা ই আমরা
অদ্ব্র দিকে ছুড়ি আর তাকবীর
ধাওয়া পালটা ধাওয়ায় আহত অবসন্ন
হয়ে ভাবলাম একটু স্থির হয়ে
চিন্তা করি।কস্তুরী মোড়ের দিকে
আগাতেই দেখি অদের ট্রাক।অন্য দিকে
সরে যেতে দেখি সেখানেও ট্রাক।
অন্যভাইরা এসে বললো আমরা
ঘেরাও হয়ে গেছি। তখন আল্লাহর নামে
গগনবিদারী তাকবীর দিয়ে
আমরা রুখে দাড়ালাম। এরপর আর কিছু
আমার মনে নেই।"
আমানের আম্মা নিবেদিত প্রান
বাইয়াত প্রাপ্তবোন আঞ্জুমান আরা
মন্নুজান
বলেন " বেলা ১১টায় এই ঘটনা আর।
আমি খবর পেয়েছি সন্ধায়।
পরে ছেলেদের মুখে শুনেছি -অরা
ড্রেনের পাশে একটা লাশ পরে থাকতে
দেখে এমন রক্তাক্ত যে চেহারা বা কিছু
চেনা যায় না। হঠাৎ সম্ভাবত নওশাদ
অর সার্টের সামান্য একটু কোনা যা
শুকনা ছিল তা দেখে চিনতে পারে
আগের রাতে অফিসে আমানকে এমন
সার্ট গায়ে দেখেছিল।
ব্যাংক হাস্পাতালে নিলে প্রাথমিক
চিকিৎসা দিয়ে তারা মেডিকেলে
নিতে বলে গুরুতর অবস্থা দেখে।ঢাকা
মেডিকেলে দীর্ঘক্ষন পরে থাকে
চিকিৎসা করে কোন লাভ হবে বলে তারা
মনে করেনা। মাথায় বিরাট
আঘাত। চোয়াল ভেংগে গেছে। গালের
গোস্ত চাম্রা সহ চলে গেছে।
দাঁত ভাংগা। কান ছিড়ে ঝুলে আছে।
চোখে মুখে ঘাড়্বে গলায় বুকে পেটে
হাত পায়ে অজস্র আঘাত।রক্ত ঝড়তে
ঝড়তে মনে হয় রক্তে ডুবান
লাশ।ছেলেদের বারবার বিনীত অনুরোধে
ডাক্তার চিকিৎসা শুরু করেন।"
আমান তো পুরোপুরি কমায়। ডঃ আব্দুল
রাজ্জাক লিখেছে " comma
gread -3 মানে ভিষণ বিপদপুর্ণ। "
আইসিইউ দরকার । আনা হল ইবনে
সিনায়।
হায় আল্লাহ সেখানে তখন অন্য
আহতদের ভীর।কোন বেড খালি নেই।
কি করা?জানা গেল রেঁনেসা হাসপাতালে
আই সি ইউ তে বেড আছে।
নেয়া হল। সেখানে।আর এর জিন্দা শহীদ
পরের দিন সত্য ই শাহাদাতের
আমীয় সুধা পান করেছেন।বেড খালী
হল।আবার আনা হল ইবনে সিনায়।
রেনেসায় নেয়ার আগেই বাবা মা ইবনে
সিনায় আসেন।
আওয়ামী ঘরানার বাবএকমাত্র পুত্র
কে দেখে ব্যাকুল কান্নায় ভেংগে পরেন।
মা দেখেন আমানকে......
স্ট্রেচারে করে সাদা কাপড়ে ঢাকা যেন
এক টি লাশ।
সবাই বলছে"বাঁচবেনা"
কিন্তু আল্লাহর পথের মুজাহিদা মা র
মন বলে "আমার আমান বাঁচবে
ইনশা আল্লাহ।"
আমান বেঁচে আছে আলহামদুলিল্লাহ।
একটা ব্যবসায়ী প্রতিসঠানের সাথে
আছে।
বিয়ে করেছে ছাত্রী সংস্থার এক
সদস্যাকে।
দুই সন্তানের বাবা।
আমি বলি মন্নু আপা "আমান তো
আবার মিছিলে যাচ্ছে মিটিংে এ যাচ্ছে
বিভিন্ন দায়ীত্ব পালন করছে না শুধু
মামলাও একগাদা। এখন আপনার
কেমন লাগে? যদি আবার কিছু হয়!
মন্নুজা আপা হেসে বলেন-
"মৃত্যু তো একদিন হবেই। বাচিয়ে
রেখেছেন তো আল্লাহ
তাঁর পথে কাজ করার জন্যিই।"
বিষয়: বিবিধ
১১৪২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"মৃত্যু তো একদিন হবেই। বাচিয়ে রেখেছেন তো আল্লাহ তাঁর পথে কাজ করার জন্যিই।"
... Alhamdulillah
হবেই। বাচিয়ে
রেখেছেন তো আল্লাহ
তাঁর পথে কাজ করার
জন্যিই।"
মন্তব্য করতে লগইন করুন