২৮শে অক্টোবরে শহীদ হওয়া ভাইদের পিতামাতার ফরিয়াদ !
লিখেছেন লিখেছেন নৌশাদ আল নোমানী ২৭ অক্টোবর, ২০১৫, ১০:৩৮:৫৭ রাত
২৮শে অক্টোবরে শহীদ হওয়া ভাইদের
পিতামাতার ফরিয়াদ !
.
শহীদ শিপনের মায়ের ফরিয়াদঃ
আল্লাহর দরবারে আমার স্বপ্ন ছিল
আমি শহীদের মা হবো, আল্লাহ যেন
আমাকে একজন শহীদের মা হিসেবে কবুল
করেন ।শিপন সবসময় সত্যকে সত্য
জানতো, মিথ্যাকে মিথ্যা জানতো !
.
শহীদ মাসুমের মায়ের আহ্বানঃ আমার
জীবনের আশা ছিল আমার ছেলে খালেদ
বিন ওয়ালিদ হবে, নিষ্পাপ হবে। আমার
ছেলে হাসান-হুসাইনের মতো হবে। আমি
আমার মাসুমের রক্তের বিনিময়ে এ
দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হোক এই
প্রার্থনা সবসময় করি !
.
শহীদ ফয়সলের মায়ের বক্তব্যঃ
তাদের কথা শুনেই মনে হয় তারা সত্যিই
ইবরাহিম (আ)-এর উত্তরসূরি।
ইসমাইল (আ)কে আল্লাহর পথে কুরবান
করে ইবরাহিম (আ) যেভাবে সন্তুষ্ট
হয়েছিলেন ঠিক তেমনি তিনি বলেন,
আলহামদুলিল্লাহ। আমি আশা করি
ইনশাআল্লাহ আমার এই সুশিক্ষিত
বিনয়ী, ভদ্র, শান্ত, অমায়িক ও সুন্দর
আচরণবিশিষ্ট সন্তানকে আল্লাহ
শাহাদাতের মর্যাদা দান করবেন।
আমার সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়
সন্তানকে আল্লাহ কবুল করে নিয়েছেন
সে জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায়
করছি !
.
শহীদ রফিকুলের পিতার চাওয়াঃ
আমার ছেলে আল্লাহর দরবারে
শহীদ হিসেবে কবুল হয়েছে বলে আমি
মনে করি। কুড়িগ্রামবাসী সবাই তার
জন্য কেঁদেছেন। জীবনে সে কারো সাথে
ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়নি। সে সবসময়
সৎ সঙ্গে মিশত এবং দ্বীনের পথে
মানুষকে ডাকত !
.
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ
“আল্লাহর নিকট শহীদের জন্য ছয়টি
বিশেষ পুরস্কার রয়েছে , (১) শরীরের
রক্তের প্রথম ফোঁটা
ঝরতেই তাকে মাফ করে দেওয়া হয় এবং
প্রাণ বের হওয়ার প্রাক্কালে
জান্নাতের মধ্যে তার অবস্থানের
জায়গাটি চাক্ষুষ দেখানো হয়। (২)
কবরের আযাব হতে তাঁকে নিরাপদে
রাখা হয়। (৩) ক্বিয়ামতের দিনের
ভয়াবহতা হতে তাঁকে নিরাপদে রাখা হয়।
(৪) তার মাথায় সম্মান ও মর্যাদার
মুকুট পরানো হবে । তার একটি ইয়াকুত
দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে
সমস্ত কিছু হতে উত্তম। (৫) তার
স্ত্রী হিসেবে বড় বড় চক্ষু বিশিষ্ট
৭২ জন হুর দেওয়া হবে। (৬) তার
নিকট আত্মীয়দের মধ্য হতে ৭০
জনের জন্য সুপারিশ কবুল করা
হবে।” (তিরমীযী, ইবনু মাজাহ,
মিশকাত-হাদিস সহিহ)
.
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের
সবাইকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন !
.
আমীন !
বিষয়: বিবিধ
৯৮১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন