শহীদের ফাঁসী আর নোমানীর হাঁসি !

লিখেছেন লিখেছেন নৌশাদ আল নোমানী ০৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:০৫:১৩ দুপুর

শহীদের ফাঁসী আর নোমানীর হাঁসি !

.

আমাদের লেনের এক ব্যাক্তির নাম আব্দুস শহীদ !

.

সবাই তাকে শহীদ বলে ডাকে !

.

জন্ম থেকেই তার পায়ে প্রবলেম এবং কিছুটা সে মানসিক ভারসাম্যহীন !

.

শহীদের বয়স প্রায় ৪০

বছরের উপরে !

.

তার ছোট আরও দুটি ভাই আছে , ছোট ভাইগুলি বড় ভাইকে রেখে কিছুদিন হল বিয়ে করে !

.

এদিকে মহল্লার কিছু খারাপ ছেলে

শহীদকে বিয়ের করার জন্য উস্কানি দিচ্ছিল !

.

তুর ছোট দুভাইরা বিয়ে করে ফেলল আর তুই এখনও বিয়ের বাকী ?

.

শহীদ তার বাবা মার কাছে বলল,সে বিয়ে করবে ,বাবা মাও শহীদকে নিয়ে চিন্তায় পরে গেল !

.

এমন ভারসাম্যহীন ছেলের কাছে কে বিয়ে দিবে ?

.

এদিকে খারাপ ছেলেদের উস্কানি আর বিয়ে করতে না পেরে শহীদ তার ফেমেলির সাথে রাগ করে !

.

হঠাত্ তার মাথায় এক কু বুদ্ধি এসে বসল ,সে আত্ব্যহত্যা করবে !

.

আত্ব্যহত্যার জন্য বাসা থেকে দঁড়ি নিয়ে সে বেরিয়ে পরল !

.

তাদের বাসার পিঁছনে ছিল ছোট্র একটি আম গাছে !

.

ঐ আম গাছে ফাঁসী নিতে প্রথমে সে গাছে দঁড়ি বাঁধে !

.

দঁড়ি বাঁধা শেষে নিজের গলায় সে দঁড়ি দিয়ে বাঁধল !

.

গলায়ও দঁড়ি বাঁধা শেষে শহীদ গাছ থেকে দিল এক লাফ !

.

আত্মহত্যার জন্য শহীদের বডি এখন গাছের মধ্যে ঝুলছে !

.

এমন সময় আম গাছের ডাল ভেঙ্গে শহীদ মাটিতে পরে যায় !

.

শহীদ চিত্কার করছে আমাকে বাচাও ,আমাকে বাচাও আমি মরে গেলাম !

.

তার চিত্কার শুনে বাসা থেকে ফেমেলি মেম্বাররা ছুটে আসল !

.

এদের দেখে ভারসাম্যহীন শহীদ ছোট্র শিশুদের মত কাঁদতে লাগল!

.

কেঁদে কেঁদে বলল, গাছের ডাল ভেঙ্গে না পরলে আমি আজ শেষ হয়ে যেতাম !

.

মা ,মা আমি আর বিয়ে করমু না!

.

ঘটনার পর কেউ বিয়ের কথা বললে ,সে বলে তোরা বিয়ে কর , আমি বিয়ের স্বাদ বুঝে গেছি !

.

ফাঁসী নেয়ার পর শহীদ এখন মুখে দাঁড়ি এবং মসজিদে গিয়ে নামাজ পরে !

.

মৃত্যু যে কত কষ্টের তা আমি বুঝেছি ফাঁসীর দঁড়ি গলায় পরে !

.

তাই বাকী জীবন মৃত্যুর পরবর্তী সময়ের জন্য কিছু করে যেতে চায়!

.

আলহামদুলিল্লাহ আব্দুস শহীদ এখন মানসিকভাবেও অনেকটা সুস্থ হয়ে গেছে !

বিষয়: বিবিধ

৮২৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

344539
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
344549
০৫ অক্টোবর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৭
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File