খুবাইবের ফাঁসী আর জামায়াত নেতাদের শিক্ষা !!

লিখেছেন লিখেছেন নৌশাদ আল নোমানী ১৭ আগস্ট, ২০১৫, ০৭:২৫:২৬ সকাল

হজরত খুবাইব (রা.) হলেন ইসলামের একজন শ্রেষ্ঠ শহীদ এবং সাহাবী !

.

নির্যাতনের সর্বপ্রকার ভয়াবহতা,

নির্মমতা সহ্য করে যিনি ঈমানের ওপর ছিলেন অটল !

.

কুরাইশরা খুবাইবের নির্যাতন এবং ফাঁসির দৃশ্য দেখানোর জন্য

মানুষদেরকে ডাকল !

.

১ম তাকে হাত পা শিকলে বেঁধে

ধাক্কাতে ধাক্কাতে ফাঁসীর মন্চে নিয়ে যেতে লাগল !

.

তখন উপস্থিত দর্শকেরা হাত তালি

দিয়ে এই নির্মমতাকে উৎসাহ দিচ্ছিল !

.

ঠিক এমনি মূহুর্তে তিনি অনুমতি

চাইলেন ,ফাঁসির পূর্বে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়তে !

.

দুই রাকাত নামাজের জন্য অনুমতি দেয়া হল এবং তিনি নামাজও শেষ করলেন !

.

নামাজ শেষে উপস্থিত লোকদের

উদ্দেশ্যে খুবাইব রাঃ বললেনঃ

আল্লাহর শপথ ...

.

"আমি মৃত্যুর ভয়ে নামাজ লম্বা করছি তোমরা এ ধারণা করবে বলে মনে না হলে ,আমি নামাজ আরো দীর্ঘ করতাম" !

.

তারপরেই ফাঁসীর মঞ্চ থেকে খুবাইবের কন্ঠে ভেসে আসল নিচের কবিতাটি !

.

কবিতার দুইটি শ্লোক নিম্নরূপ :

“আমাকে যখন মুসলিম হবার কারণে হত্যা করা হচ্ছে ,

.

তখন মৃত্যুকালে আমি যে যাতনাই ভোগ করি তাতে আমার কিছুই আসে যায় না" !

.

কবিতার শ্লোকটি দ্বীপ্ত কন্ঠে

ঘোষণার পরেই কাফিররা তার ওপর সেই পৈশাচিক ও অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে দিলো !

.

ইবনে হারেস মুবাইয়া আবদী খুবাইব রাঃ এর গলায় ফাঁসীর রশি পরিয়ে দিল !

.

মানুষ তো দূরের কথা একটি নিরেট পশুকেও জীবিত অবস্থায়, তার দেহ থেকে প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ

একের পর এক কেটে বিচ্ছিন্ন করার মতো নির্মমতা প্রদর্শন করতে পারে না !

.

অথচ মানুষরূপী জালেমরা জীবিত

অবস্থায়ই খুবাইব (রা.)-এর শরীর থেকে তার অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলো কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয় !

.

হজরত খুবাইব (রা.) এর শরীর

থেকে তখন ভীষণভাবে রক্তপাত

হচ্ছিল !

.

শত নির্যাতন-নিপীড়ন সত্ত্বেও

আল্লাহর নির্ভীক সৈনিক খুবাইব (রা.) বলিষ্ঠ ঈমানী চেতনায় অটল !

.

কিছুক্ষণ পরেই সত্যের এ মহান সৈনিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শাহাদাতের পেয়ালা পান করেন !

.

অহির মাধ্যমে রাসূলে করীম (সা.) প্রিয় সাহাবী খুবাইবের শাহাদাতের ঘটনা জেনে বললেন: খুবাইব তোমার প্রতি সালাম !

.

রাসূল সাঃ আমর ইবন উমাইয়া দাসরীকে শহীদের লাশের খোঁজে মক্কায় পাঠালেন !

.

আমর রাতের অন্ধকারে শঙ্কিত

চিত্রে ফাঁসীর মঞ্চে যান এবং

অতি গোপনে ফাঁসির রশিটি কেটে দেন !

.

শহীদ খুবাইব রাঃ পবিত্র দেহ মাটিতে পড়ে যায় !

.

আমর ইচ্ছা করছিলেন, লাশটি কাঁধে করে ফিরবেন, কিন্তু মঞ্চ

থেকে নেমে লাশের কোনো চিহ্ন পেলেন না !

.

কারণ কাফেররা খুবাইবের দেহকে

আঘাতে আঘাতে খন্ড বিখন্ড করে দেয় যার কারণে তিনি লাশটি কাঁধে নিতে পারলেন না !

.

খুবাইবের এ শিক্ষা থেকে জামায়াতের নেতারাও আজ একই পরিক্ষায় উত্তীর্ন !

.

যার প্রমান শহীদ মোল্লা ভাই এবং

প্রিয় কামরূজ্জামান ভাই !

.

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকেও শহীদি মৃত্যু দান করূন !

.

আমীন !

বিষয়: বিবিধ

১০৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File