ছিঃ ছিঃ কি লজ্জা
লিখেছেন লিখেছেন ফুরফুরি ০৮ মে, ২০১৬, ০৬:০৫:৩৪ সন্ধ্যা
আমার মেয়ে আজ একা একা কোচিং এ যাবে কখনো একা একা কোথাও যায় নি। কোচিং সেন্টার বাসা থেকে খুব বেশী দূরে না। দেখলাম ও খুব ভয় পাচ্ছে। আমারও একটু অজানা আশংকা ভর করছে দিনকালতো ভালনা। আমাকে বলছে আমি যদি হারিয়ে যাই। আবার বলছে রিক্সা কিভাবে ঠিক করবো ভারা কত দিব। আমি আসবো কিভাবে সন্ধ্যা হয়ে যাবে। একবার কোচিং থেকে একা এসেছিল ওর কাছে ১০০ টাকা ছিল ভারা করেছিল ২৫ টাকা রিক্সা ওয়ালা ভাংতি নাই বলে ১০০ টাকাই রেখে দিল। ও রিক্সা ওয়ালাকে কিছু বলবে তার আগেই রিক্সাওয়ালা চম্পট। আজও যদি এমন বেঈমান রিক্সাওয়ালা হয়। আমিও সময় পাইনা ওকে নিয়ে আনা নেওয়া করবো। তা ছাড়া জীবনে তো একাই চলতে হবে একটু চালাক চতুর হউক। তবে ঐ রিক্সাওয়ালার মত বেঈমান যেন না হয়। আপনারা দোয়া করবেন ওকে যেন মানুষ করতে পারি। ঐ রিক্সাওয়ালা ওর কাছ থেকে ১০০ টাকা খেয়ে বড় হতে পারবেনা। সেটার চরম মূল্য তাকে এই পৃথিবীতে দিতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৩ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু তবু তো আমরা বের হই !! কেন বের হই !! দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনের সুখের জন্য !!কিন্তু সুখের চেয়ে আমাদের জীবনে নেমে আসছে নানা ধরনের অশান্তি ।
আমার অনেক ইচ্ছে ইল লিখা পড়াটা করি কিন্তু জব করব না ।কিন্তু এখন তো না করে ও পারছিনা !! কি করব বলেন তো বান্ধুবী ।
অমুক ভাল স্টুডেন্ট, ও এ প্লাস পায় তুমি পারনা কেন? এত টাকা খরচ করি রেজাল্ট ভাল হয়না কেন? তোমার কোন ফিউচার নেই, তোমাকে করতেই হবে, পারতেই হবে- এসব বাবামায়ের রেগুলার কথা। একটা বাচ্চা সকাল 6 টায় বাসায় টিচারের কাছে পড়ে, তারপর স্কুল আবার বিকালে কোচিং আবার বাসায় এসেই দুজন প্রাইভেট টিচারের কাছে রাত দশটা -এগারোটা পর্যন্ত পড়া। তাও বাবা মায়ের মন ভরেনা। এভাবে পড়াশুনার জন্য় বাবা মায়েরা সন্তানটাকে একধরনের মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন তখন সন্তানের কাছে বাবা মায়ের ভালবাসাটা নষ্ট হয়ে যায় সে মারাত্মক একাকিত্বে ভোগে, কারো ভালবাসা কামনা করে, সঙ্গ চায় আর সে পথ ধরেই প্রেম। সেটাই বললাম। আমি যেখানে আমার নিজের সমস্যাই সমাধান করতে পারছিনা, হতাশায় হাবুডুবু খাচ্ছি- সেখানে আপনাকে আমি কি পরামর্শ দিব? আর আপনি থাকেন ভিন্ন দেশে, ভিন্ন একটা কালচারে আর তাছাড়া আপনার সব কিছু না জেনে আমি কি বলব, বলেন? আর আপনি কেন ভাবেন আপনাকে পরামর্শ দেয়ার মত যোগ্যতা আমার আছে? আর দুনায়াবি দৃষ্টিতে আমি সত্যিই একজন অযোগ্য, আপনি আমার চেয়ে অনেক বেশি যোগ্যতাসম্পন্ন। সরি বড় হয়ে গেল জবাবটা ।
চুমকি চলেছে একা পথে সঙ্গী হলে দোষ কি তাতে? সুন্দরী চলেছে একা পথে- এই গানটা এই দেশের বাস্তবতাকে নির্দেশ করে। এ প্লাস না পেলে আপনার মান সন্মান চুলোয় যাবেনা। একা চলা শিখতে হবে মানে আপনি কি বুঝাচ্ছেন? বখাটেদের নোংরা কথা, কোচিংয়ে ছেলেদের প্রেম প্রস্তাব, শিক্ষকের কুনজর এসবের মাঝে মেয়েকে ছেড়ে দিতে হবে যেন সে মানিয়ে চলতে পারে তাইতো? কিন্তু যদি সে এই মানিয়ে নিতে গিয়ে কোন বিপদে পরে তখন সে দায় কার? আপনার না? বাচ্চাকে বাসায় নিজে পড়ান না পারলে মেয়ে হোম টিউটর রাখুন ,আপনার হাজবেন্ডকে বোঝান। জাস্ট এ প্লাস এর শখ পূরণ করার জন্য় একটা বাচ্চা মেয়েকে কোচিংয়ে দিতেই হবে এটা কেমন কথা?
মন্তব্য করতে লগইন করুন