আমরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে....................
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান ১৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:১৭:৪৯ দুপুর
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের একটি গাণের কলি ‘‘আমরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি........তোমার ভয় নেই মা.....’’। একটি শোষণমুক্ত, বঞ্চনামুক্ত, স্বাধীন সোনার বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত প্রত্যয়ে মুক্তিযোদ্ধরা জীবনপণ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। দুঃখী মানুষের মূখে হাসি ফোটানো হবে, আত্ম মর্যাদশীল জাতি হিসেবে আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উচু করে দাড়াবো, থাকবে না, শোষণ, বঞ্চনা, জুলুম, নির্যাতন, অন্যায়, অনাচার। কিন্তু এ কোন বাংলাদেশ উপহার দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ধারক ও বাহক দাবীদার বর্তমান সরকার এবং সরকারের অঙ্গ সংগঠনগুলো? ? মুক্তিযুদ্ধের একক কৃতিত্বের দাবীদার সরকারের আমলে পত্রিকার পাতায় ছবি দেখি বীর মুক্তিযোদ্ধা রিক্সা চালায়। মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখল করে সরকারী দলের ক্যাডাররা। মুক্তিযুদ্ধে স্বজন হারানো পরিবারের উত্তরাধীকারী প্রবীণ সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ক্রাচে ভর দিয়ে হাতে হাতকরা পড়ে আদালতে হাজির হয়। সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে কোন কারণ ছাড়াই গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। আমার দেশ সম্পাদকের জেল হয় তিন বছর। তুমুল সমালোচনার মূখে প্রবীর শিকদারের জামিন হলেও শওকত মাহমুদকে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আসামী করে জেলে পাঠানো হয়। যে ভাষা আন্দোলন আমাদের গর্ব, ঐতিহ্য আর স্বাধীনতার চেতনায় বীজ বপন করেছে, সেই ভাষা আন্দোলনের বীর সেনানীর সন্তান অর্ধাহারে-অনাহারে দিন যাপন করে। স্বাধীন দেশে জীবন ও সম্পদের কতটুকু নিরাপত্তা আছে? এ প্রশ্ন করাও সম্ভবত অন্যায়। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে কারো বেডরুম পাহাড়া দেয়া সম্ভব নয়। বেডরুম না হয় পাহাড়া দিলেন না। রাস্তায় যাদের জীবন যায়? কেন স্কুলের কিশোর-কিশোরীদের উপর হামলা হয়? কেন মায়ের বুকের শিশু গুলিবিদ্ধ হয়? একের পর এক শিশু ও নারী হত্যার পাশাপাশি চলছে সরকারী দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের অঘোষিত যুদ্ধের মহড়া, ঝড়ছে প্রাণ, খালি হচ্ছে মায়ের বুক। রাজনৈতিক ময়দানে এখন সরকারের প্রতিপক্ষরা নিশ্চুপ, প্রতিদন্দী কেউ রাজপথে নেই। কিন্তু সংঘাত, সংঘর্ষ থেমে নেই, নিজেরাই নিজেদের সতীর্থদের খুনের নেশায় যেন পাগলপাড়া। আওয়ামীলীগ নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একমাত্র ধারক বাহক বলে মনে করে। কিন্তু আমাদেরকে কি উপহার দিচ্ছে আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা? ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা কর্মীরা ফুলকে বাঁচানেরা জন্য লড়াই করছে না ফুল ঝড়াচ্ছে? কার কাছে করবো এ প্রশ্ন? শোক দিবসের ফুল বিতরণ করতে গিয়ে নিজেরাই গুলি করে হত্যা করলো নিজ দলের কর্মীকে, দলীয় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে একদিনে খুন হলো তিনজন নেতা-কর্মী। মোবাইল চুরির অভিযোগে এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করলো প্রভাবশালী ছাত্রলীগ নেতা,চাঁদা না পেয়ে স্কুলের কোমলমতি শিশুদের উপর যারা হামলা করে তাদেরকে কোন অভিধায় মানুষ বলে ঘোষণা করবো? পত্রিকার পাতায় প্রতিদিন প্রকশিত হচ্ছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের বড় দাগের সুকর্মগুলো? রাজাধানী থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত সর্বত্র চলছে শাসক দলের অঙ্গ সংগঠনের সংঘাত, সংঘর্ষ, দখল, চাঁদাবাজী, লুটপাট- হেন কোন অপকর্ম নেই যা তারা করছে না। কমিটিতে পদ না পাওয়া, চাঁদা দিতে অস্বীকার করা, হলে সীট না পাওয়া, ব্যবসায়ীরা বখড়া দিতে অস্বীকার করা, ভর্তি বাণ্যিজ্যে বাধা দিলে শুরু হয় ছাত্রলীগের তান্ডব। কোন যায়গায় নেই ছাত্রলীগ যুবলীগ ও শাসক দলের নেতা কর্মীরা? ইয়াবা ব্যবসা, ঝুট ব্যবসার আধিপত্য, চাঁদাবাজি, দখল, হামলা সব কাজেই তারা পারঙ্গম। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর থেকেই চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি, ইয়াবাসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীদের কর্মকান্ডের সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে । ২০১১ সালে বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের সচিত্র প্রতিবেদন সকল পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। ছবিতে দেখা গেছে কিভাবে নিজ দলের কর্মীরা একে অপরকে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করছে। ২০১৩ সালের চাঁদাবাজীর টাকা ভাগাভাগি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হয় এক ছাত্রলীগ কর্মী। একই বছর সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে নিজ দলের কর্মীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। ৫ জানুয়ারীর ভোটারবিহীন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতার মেয়াদকে আরো পাচ বছরের জন্য বাড়িয়ে দিলে সরকারী দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের অন্যায় অপরাধ করার সাহস ও মানসিকতা আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়। তারা এখন নিজেরাই নিজেদের সাথে সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। নিজেরাই নিজেদের সতীর্থদের হত্যা করছে। বাড্ডায় একই দিনে খুন হলো দু’যুবলীগ কর্মী। হত্যাকান্ডের কারণ স্বার্থের সংঘাত, ঝুট ব্যবসার ভাগ বাটোয়ারা। সরকারী দলের নেতা কর্মীদের নিজেদের সামনে এখন প্রতিদন্দী নেই, কিন্তু হাতে অস্ত্র আছে। একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে ফার্মগেটের পাবলিক টয়লেট চালান শাহ আলম। বর্তমান সরকার আমলে তিনি বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন। একই এলাকার টেম্পোস্ট্যান্ডের টাকা ওঠান চুন্নু। টেম্পোস্ট্যান্ড দখল নিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছিল। তবে তিনিও লাইসেন্সধারী বৈধ অস্ত্রের মালিক। ফুটপাথ বাণিজ্য করেন নজরুল। অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে তিনিও বাদ যাননি। এরা তিনজনই ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা। এদের বৈধ ব্যবসা বা সামাজিক কোনো অবস্থান না থাকলেও রাজনৈতিক বিবেচনায় বাগিয়ে নিয়েছেন বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্স। বৈধ অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যেই এরা ঘোরাফেরা করেন। অস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্তির এই চিত্র এখন সারা দেশের। দলীয় পরিচয়ে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা পর্যন্ত অস্ত্রের লাইসেন্স পাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছে, রাজনৈতিক কর্মী হলেই অস্ত্রের লাইসেন্স মিলছে। বাছ-বিচার ছাড়াই গণহারে দেওয়া হচ্ছে অস্ত্রের লাইসেন্স। এ সুযোগে সন্ত্রাসী-অপরাধী এমনকি রাস্তার লোকজনের অনেকেই রাজনৈতিক পরিচয়ে বৈধ অস্ত্র হাতিয়ে নিয়েছে। এ অবস্থায় হাতে হাতে এখন বৈধ অস্ত্র। আর এসব বৈধ অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে খুন-খারাবি থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে। গত ১৫ আগস্ট কুষ্টিয়ায় জাতীয় শোকদিবসের অনুষ্ঠানে, ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহতের পর ১০ জনের অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করেছে প্রশাসন। এরাও দলীয় বিবেচনায় অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছিলেন। একই ভাবে মহাজোট সরকার আমলে অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গডফাদার হত্যাসহ অন্তত দুই ডজন মামলার আসামি নূর হোসেন ও তার সহযোগীরা। তাদের নামে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয় নয়টি। এর মধ্যে নূর হোসেনের নামেই দুটি। প্রশ্ন হচ্ছে যাদের রাজনৈতিক পরিচয় ব্যতীত অন্য কান সামাজিক মর্যাদা নেই, আর্থিক মর্যাদা নেই, তারা লাইসেন্স পায় কি করে? ছাত্রলীগ-যুবলীগ পরিচয়ে অস্ত্রের লাইসেন্স মিলছে অনায়াসে। লাইসেন্স ছাড়াও লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র তাদের হাতে কম নয়। যার ছবি মাঝে মাঝে পত্রিকার পাতায় ছাপা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করেছিল সে সব আস্ত্র আজো পর্যন্ত পুলিশ উদ্ধার করতে পারে নি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেয়া শিক্ষকের কি শাস্তি হয়েছে জাতি তা জানতে পারে নি। যাদের হাতে অস্ত্র আছে, যারা নিজেদের আইনের উর্ধ্বে মনে করে, তাদের দ্বারা আইন ভঙ্গ হবে এটাই স্বাভাবিক। ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ সরকারী দলের অঙ্গ সংগঠনগুলো এখন সরকারের গলার কাটা হিেেসবে দেখা দিয়েছে। গলার কাটা সরানোর জন্য সরকার ক্রসফায়ার এবং বন্দণশ যুদ্ধের পথ বেছে নিয়েছে। র্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ারে ঢাকায় কিশোরকে পিটিয়ে হত্যাকারী ছাত্রলীগ নেতা ও মাগুরায় শিশু গুলিবিদ্ধের মামলার আসামির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তাদের মৃত্যু হয় বলে র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ঢাকায় র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত মো. আরজু মিয়া (২৮) হাজারীবাগ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। কুষ্টিয়ায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জাকির হোসেন (৩০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। কুষ্টিয়ায় জাতীয় শোক দিবসের র্যালির পর দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী সবুজ নিহত হওয়ার ঘটনার মামলায় তিনি সন্দেহভাজন আসামি ছিলেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। জাকিরের বাড়ি মিরপুর উপজেলার কলবাড়িয়া গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুর রাজ্জাক। রাতে সাংবাদিকদের কাছে কুষ্টিয়া ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, সবুজ হত্যা মামলার আসামিরা জগতি গ্রামের একটি বাগানে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বলে জানতে পারেন তাঁরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির একটি দল সেখানে অভিযানে চালায়। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলে। (দৈনিক মানব জমিন ও বাংলাদেশ প্রতিদিন) কিন্তু এভাবে কি সমস্যার সমাধান হবে? । পুলিশের এই বন্দুক যুদ্ধের গল্প নিয়ে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু সমাজের বিশিস্টজন সবারই প্রশ্ন এবং আপত্তি আছে। রাস্ট্রীয়ভাবে যে ভয়ংকর দানব তৈরী করা হয়েছে। অবাধ অন্যায়ের লাইসেন্স দিয়ে যাদের বড় করে তোলা হয়েছে তারা আজ সিন্দাবাদের ভুতের মতো গোটা রাস্ট্রীয় কাঠামোকে গিলে ফেলার কাজে লিপ্ত। ছাত্রলীগ নেতাদের ক্রসফায়ারে হত্যার পর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এটা মেনে নেয়া যায় না। যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন এ্যাকশন শুরু। যখন বিরোধী দলের নেতাদের বিনা অপরাধে ধরে ধরে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে তখন ছাত্রলীগ নেতারা কেন বললেন না, এটা মেনে নেয়া যায় না। তবে এখন তারা তাদের বক্তব্যের পক্ষে জনগণের সাড়া পেতেন। যোগাযোগ মন্ত্রীর এ্যাকশন? না এটাও মেনে নেয়া যায় না। কারণ কোনভাবেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড সমর্থন করা যায় না। অপরাধী যতো বড়ই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। ক্রসফায়ার কোন সমাধান হতে পারে না। মূলত সরকারের ভুল নীতির কারণে সব যায়গায় ভয়ংকর বিষফোড়ার জন্ম হয়েছে। এখন তারা বিষফোড়া কেটে ফেলতে গিয়ে সমাজ কাঠামোর মাথা কাটার উদ্যোগ নিচ্ছেন। একজন সন্ত্রাসীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করলে অন্য একদিন একজন সাধারণ মানুষকেও একইভাবে হত্যা করা হবে। যা আমার ইতিপূর্বে প্রত্যক্ষ করেছি। একটি ভুলকে শোধরানোর জন্য আর একটি ভুল পথে অগ্রসর হচ্ছে সরকার। দরকার আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া। ছাত্রলীগ ফ্রাইঙ্কেইনস্টাইন দানবে রুপান্তরে যে পথ, পন্থা ও পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে তা বন্ধ করতে হবে। আইনের দৃস্টিতে সবাই সমান এ নীতি বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে। সরকারী দলের অঙ্গ সংগঠনের লাগাম টেনে ধরতে হবে। একজন সাধারণ নাগরিক যে সুবিধা ভোগ করে ছাত্রলীগ যুবলীগ হিসেবে তাঁর চেয়ে বেশী কোন সুযোগ সুবিধা ভোগ করার অধিকার তাদের নেই। এ বিষয়টি রাস্ট্রযন্ত্রের সাথে জড়িত সবাইকে বুঝতে হবে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণকারী কর্মকান্ড পরিচালনা করার কোন অধিকার জনগণ বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে দেয়নি। এ কথা ভালভাবে বুঝতে হবে। ছাত্রলীগ প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে করতে এখন নিজেদের হত্যা করছে। র্যাব পুলিশকে বন্দুক যুদ্ধের খলনায়ক বানিয়ে বিরোধীদেও দমনের পর এখন ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা কোন সুষ্ঠু সমাধান হতে পারে না। গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরে সাংবাদিক নেতাদের জেলে পুরে, মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে হাতকড়া পড়িয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত করা যাবে না। মৌলিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপদান, দলীয় ক্যাডারদের যথাযথ বিচারের আওতায় আনা, আইন ও মানবাধিকার পরিপন্থী সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। মালির কাজ বাগানের র্চচা করা, গাছকে অক্সিজেন গ্রহণ করতে দেয়া, তাঁর গোড়ায় পানি দেয়া, গাছের দুশমন পোকা-মাকড়ের উপদ্রব হতে রক্ষা করা, যে সব প্রাণী গাছ নস্ট করে তাদের হাত থেকে বাগানকে রক্ষা করা। কিন্তু বাগানের রক্ষ করা । সুজলা সুফলা সবুজ বদ্বীপ জনপদ স্বাধীন বাংলাদেশ নামক এ বাগানের কর্তৃত্ব আজ যাদের হাতে ন্যস্ত তাদেরকে ভালভাবে অনুধাবন করতে হবে বাগান নস্ট করে কখনো ফুলকে বাঁচানো যায় না। স্বাধীনে বাংলা বেতার কেন্দ্রের এ গাণে দেশের প্রতিটি প্রাণকে ফুলের সাথে তুলনা করা হয়েছে। ফুল নামক মানব গোষ্ঠীকে বাঁচাতে তাই ফুল ফোটার উপযোগী পরিবেশ তৈরী করতে হবে।। ঢাকা, ১৯ আগস্ট-২০১৫
বিষয়: বিবিধ
১১৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন