শান্তিবাহিনী ও সন্তু লারমারা কি যুদ্ধাপরাধী নয় ?
লিখেছেন লিখেছেন তুই নাস্তিক ১০ আগস্ট, ২০১৫, ০২:০৪:১১ দুপুর
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সূত্রপাত। কিন্তু এই সমস্যা ও ষড়যন্ত্রের বীজ বহু পূরনো। স্বাধীনতা লাভের পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এক সমাবেশে পাহাড়ী উপজাতিদেরকে তাদের পরিচয় মুছে বাঙালী হওয়ার জন্য বলে। পাহাড়ীরা এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে পাশ্ববর্তী দেশের সহায়তায় তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করে। ঐ দেশের সহায়তায় সন্ত্রাসী সংগঠন শান্তিবাহিনীর গঠন করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। প্রতিবেশী দেশের কর্তাব্যক্তিরা তাদেরকে এই বলে আশ্বাস দেয় বাংলাদেশেকে স্বাধীন করে দিয়েছি নয় মাসে, তোমাদেরকে দেব ছয় মাসে। এই দৃঢ় বিশ্বাসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াই শুরু করেছিল। শেখ সাহেব পরবর্তী কোন সরকার পাহাড়ী সন্ত্রাসীদেরকে প্রশয় দেয় নি। ৯৬তে আ’লীগ ক্ষমতায় আসলে শান্তি বাহিনীর প্রভুদের কথায় তকালীন সরকারের সাথে শান্তি চুক্তি করে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম থেকে ক্ষান্ত দেয়। গোপনে ঠিকই তারা এগুচ্ছে। জনসংহতি সমিতির নেতারা পৌরসভা নির্বাচনে জিতেছে, সামনে আরো আরো অগ্রসর হচ্ছে। এছাড়া পার্বত্য উপজাতিদের মধ্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দল, যেমন ঃ হিল উইমেন ফেডারেশন, ইউপিডিএফ,পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, পাহাড়ী গণপরিষদ প্রভৃৃতি। ওখানে অন্যান্যরা শান্তিচুক্তি মতে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক, পাহাড়ীরাই সর্বেসর্বা। ওদের অপকর্ম কি থেমে গেছে? ধর্ষণ, খুন, গুম, বিদেশী নাগরিক জিম্মি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, লুটপাট, জ্বালাও-পোড়াও, বিতাড়ন, নির্যাতন আগের মতই অব্যাহত আছে, নীরবে-নিভৃত্যে। তথাকথিত শান্তিচুক্তির একযুগ হতে চলেছে, তারপর শান্তি কতটুকু হয়েছে তা চোখের সামনেই জাজ্বল্যমান। চুক্তির ফলে দেশের সবর্ত্রই তারা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে, শিক্ষা-দীক্ষা, চাকরি-বাকরি, চিকিৎসা সবকিছুতেই। ওই বিতর্কিত চুক্তির ফলেই নিরীহ বাঙালী হত্যাকারী, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী অনেক সদস্য হত্যাকারীরা শুধু পারই পায়নি, আজ পুর®কৃতও হয়েছে। তাদের এ অপকর্ম কি যুদ্ধাপরাধ ছিল না? আজকে যারা যুদ্ধাপরাধী! যুদ্ধাপরাধী! বলে জাতিকে বিভক্ত করে চিৎকার করছেন, সন্তু লারমারা তবে বাদ যাবে কেন? আজকে সেক্টর কমান্ডারদের কাছে সেটাই দেশবাসীর জিজ্ঞাসা?
বৃহত্তর তিন পার্বত্য জেলায় যুদ্ধের বিভীষিকাময় দিনগুলির কিছু নৃশংস গণহত্যার ঘটনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতার চিত্র তুলে ধরা হল : ১। সরকারী হিসাব মতে, ১৯৮৬ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৯২ সালের ফেব্র“য়ারী পর্যন্ত খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ও রাঙামাটি জেলায় মোট ২১০টি সন্ত্রাসী ঘটনায় মোট বাঙালী হত্যা করে ৭৩২২ জন, আহত হয় ২৪৭৭ জন, অপহরণ ও গুম করে ১৮৯৭টি এবং অগ্নিসংযোগ করে ৫৭৯টি ঘর-বাড়ী। (সাপ্তাহিক বনভুমি,২৩/৮/১৯৯২) ২। শান্তিবাহিনী এ পর্যন্ত ৯০১ বার অস্ত্রবিরতি চুক্তি লংঘন করে। (আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম- অতন্দ্র জনতা বাংলাদেশ, পৃ.৭৩) ৩। লেখক হুমায়ুন আজাদ লিখেছেন, শান্তিবাহিনী চাঁদা হিসাবে উঠিয়ে থাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, বছরে প্রায় ২০-৩০ কোটি টাকা। আর শান্তি বাহিনীর সাথে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও পাহাড়ী নারী পরিষদও চাঁদা তোলে থাকে। ১৯৯২ সালে নিজেদের ঘোষিত যুদ্ধ বিরতির পর চাঁদা তোলাই হচ্ছে তিনটি পরিষদের প্রধান কাজ। (পাবর্ত চট্টগ্রাম, সবুজ পাহাড়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হিংসার ঝর্ণাধারা-পৃ. ২৬) ৪। ১৯৭৯-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত শান্তিবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্য নিহত ও আহত হয়। সেনাবাহিনী নিহত-১৭০ জন ও আহত-৭ জন, বিডিআর নিহত-২০৬ ও আহত-১০। আর্মড পুলিশ নিহত-৯৩ ও আহত-৩৩০, পুলিশ নিহত-৭৮ ও আহত-৩৬৭, আনসার নিহত-৩৭ ও আহত-২১। ((আহা পর্বত! আহা চট্টগ্রাম- অতন্দ্র জনতা বাংলাদেশ, পৃ. ২০৮)
কিছৃ নৃশংস গণহত্যার ঘটনা তুলে ধরছি :
১। লংগদু হত্যাকান্ড : ১৯৭৯ সালের ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর শান্তিবাহিনী লংগদু থানার একটি গ্রামে হামলা চালিয়ে শতাধিক বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়। ২। কাউখালী হত্যাকান্ড ঃ ১৯৮৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর কাউখালী থানার একটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ১৩জনকে হত্যা ও ২৩জনকে আহত করে। ৩। ভুষণছড়া হত্যাকান্ড ঃ ১৯৮০ সালে ৩১ মে বরকল থানার ভুষণছড়া ইউনিয়নে হামলা চালিয়ে ২৬০জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে ও বাড়ী-ঘর জ্বালিয়ে দেয়। ৪। পানছড়ি হত্যাকান্ড ঃ ১৯৮৬ সালের ২৯ এপ্রিল পানছড়ি এবং মাটিরাঙা থানার গ্রাম সমূহে হামলা চালিয়ে ৩৮জন নিহত ও ২০জন আহত করে। ৫। নানিয়ারচর হত্যাকান্ড ঃ ১৯৯৩ সালের ১৭ নভেম্বর নানিয়ার চর বাজারে হামলা চালিয়ে ২০ নিহত ও ৩৫ জনকে আহত করে। ৬। বাঘাইছড়ি হত্যাকান্ড ঃ ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বাঘাইছড়ির লংগদুতে বনে কাঠকাঠতে যাওয়া ২৮জন কাঠুরিয়াকে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করে।( পাবর্ত চট্টগ্রাম, শান্তিবাহিনী ও মানবাধিকার ঃ লে. (অব) আবু রুশদ) এগুলো শান্তিবাহিনী নামক বিষফোঁড়ার যুদ্ধলীলার সামান্য খতিয়ান মাত্র। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদ, প্রভাবশালী মহল চাঁদাবাজি এবং দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের সন্মুখীন হতে হয়েছিল। ৭১এর যুদ্ধাপরাধী এবং দালালদের বিচারের দাবীও উঠেছে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে দু’যুগ ধরে শান্তিবাহিনী নামক দেশদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধ করে ভয়ানক ধ্বংস সাধন করেছিল, তাদের বিচারের দাবী উঠছে না কেন? তাদের অপকর্মেরও যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ বাংলাদেশের জনগণের নিকট আছে।
শুধু তাই নয় ’৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী ছিল শান্তিবাহিনীর র্শীষ নেতারা। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় ও বোমাং প্রধান মং সাচ প্র“ চৌধুরী প্রত্যক্ষভাবে পাকহানাদার বাহিনীর পক্ষাবলম্বন করে বাংলাদশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেন। যদিও বেশীরভাগ চাকমা বাংলাদেশের পক্ষে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভুমিকা পালন করেন, তবুও চাকমা প্রধান ও বোমাং প্রধানের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য বাংলাদেশী জনগণের কাছে (প্রায়) পুরো উপজাতিরাই দেশদ্রোহী হিসাবে চিহ্নিত হয়। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায়ের বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে উল্লেখ করতে গিয়ে এক উপজাতীয় লেখক মন্তব্য করেন,“ আমাদের অজানা নয় রাজা ত্রিদিব রায়ের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কালের ভুমিকার কথা। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আ’লীগের টিকেট গ্রহণে রাজা ত্রিদিব রায় অনীহা প্রকাশ করেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আ’লীগের প্রার্থী চারু বিকাশ চাকমার বিরুদ্ধে জয়ী হন।
মূলতঃ তখন থেকেই স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরুদ্ধাচরণ শুরু হয়। তিনি চাকমা জনগোষ্ঠীকে জাতীয় সংকটময় মূহুর্তে রাজনৈতিক স্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিলেন। যার ফলে চাকমা জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতা যুদ্ধের ভুমিকা বিতর্কিত। তার একক সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে চাকমা জনগোষ্ঠী আস্থা হারায় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে বিরত ছিল। তার স্বাধীনতা বিরোধী ভুমিকার কারণে বহু চাকমা যুবক পাকিস্তা সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত মুজাহিদ ও সিভিল আর্মড ফোর্সে যোগদান করে। ( উপজাতীয় নেতৃত্ব : সশস্ত্র আন্দোলনের ইতিকথা-এস. বি. চাকমা) কিছু কিছু উপজাতীয় নেতা স্বাধীনতার স্বপক্ষে থাকলেও এরা আবার পাবর্ত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অংশ হিসাবেই দেখতে চায়নি। তাদের কথা হল, ১৯৪৭ সালের ৫ে আগষ্ট যেমন চাকমারা পাবর্ত্য চট্টগ্রামে ভারতের পতাকা প্রকাশ্যে উড়িয়ে ঘোষণা করেছিল, আমরা হিন্দুস্তানের সংগে থাকতে চাই, পাকিস্তানের সাথে নয়। তেমনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ও তৎকালীন চাকমা নেতারা চেয়েছিলেন,“যদি ভারতের সংগে পাবর্ত্য চট্টগ্রামকে জুড়ে দেয়া যায়!”(মাসিক আলোকপাত, কলকাতা-৯/১১/১৯৯৩ সংখ্যা) শান্তিবাহিনীর সকল তৎপরতার লক্ষ্য কি তা ষ্পষ্টভাবে বুঝা যায় যে, তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অংশে পরিণত করতে তো চায়ই,এমনকি চট্টগ্রাম বন্দরকে ভারতভুক্ত করাও শান্তিবাহিনীর অন্যতম লক্ষ্য। চাকমা নেতা ভাগ্য চাকমার ভাষায়,“ জওহরলাল নেহেরু যদি সর্দার প্যাটেলের কথা শুনে ৯৮.৫ ভাগ বৌদ্ধ প্রধান পার্বত্য চট্টগ্রামকে ভারতের অর্ন্তভুক্ত করতো তাহলে আজ চাকমাদের এই অবর্ণনীয় দূর্দশা হত না। উত্তর-পূর্ব ভারতও পেয়ে যেত একটি সামুদ্রিক বন্দর চট্টগ্রাম।” (ঐ)
বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে, স্বাধীন “জুম্মল্যান্ড” প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত শান্তিবাহিনীর নেতারা এখন বড় বড় সরকারী পদে অধিষ্ঠিত। এমনকি বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকোরেও তাদের প্রতিনিধি ছিল। তাদের এমন কুকীর্তির তো বিচার হয়ই নি আরো বিভিন্নভাবে পুরষ্কার, উপঢৌকন দিয়ে বিদেশী প্রভুদের মনোরঞ্জন করা হয়েছে। আজ যুদ্ধাপরাধী বিচারের দাবী উঠেছে স্বাধীনতার ৩৮ বৎসর পর, শান্তিবাহিনীর নেতারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিল, অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ছিল, এদেশের বিরুদ্ধে যে লোমহর্ষক গণহত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের বিচারের দাবী উঠছে না কেন? ’৭১ সালের অপরাধীরা যুদ্ধ করেছিল নয় মাস, আর শান্তিবাহিনীরা অশান্তিতে রেখেছিল পুরো বাংলাদেশকে কয়েক দশক। শান্তিচুক্তি করে তাদের স্বাগত জানিয়ে সরকার বাহাদুর ক্ষমা দিলেও আমার বাংলাদেশীদের নির্বিচারে যারা হত্যা করেছিল জনগণ তাদের ক্ষমা করেনি। যদি স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দেয়ার পরও বিচারের দাবী উঠতে পারে, বিচার প্রক্রিয়ার জন্য সংসদে প্রস্তাব পাশ হতে পারে, তবে শান্তিচুক্তির পরও জনগণ যেহেতু ক্ষমা করেনি। তাই সন্তুলারমাদেরকেও আজ বিচারের কাঠগড়ায় তুলতে হবে। যদি এর ব্যতয় ঘটে তবে জনগণ মনে করবে এর পেছনে কোন দুরভীসন্ধি আছে, পেছনে কোন শক্তি আছে!
আজ শান্তি বাহিনী ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের যদি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচার করা না হয় তবে সবুজ পাহাড়ের বুকে যে সুপ্ত আর্তনাদ রয়েছে, তা একদিন বিষ্ফারিত হবেই। এদেরকেও যুদ্ধাপরাধী হিসাবে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে উচ্চকিত করতে হবে।শান্তিবাহিনীর বর্বরতা পাকবাহিনীর বর্বরতার চেয়েও কত নিষ্ঠুর ছিল! লে. (অব) আবু রুশদের ভাষায়,“ এ যেন আরেক একাত্তর। পাক বাহিনীর বর্বরতা, নৃশংশতা যেন কেঁদে ফিরে এ উপত্যকায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের আকাশে-বাতাসে, পাহাড়ে-হ্রদে, ক্ষুব্ধ হতাশায় পাখা মেলে মানবতার লাশ। মানবাধিকার থমকে দাঁড়ায় হায়েনার হিংস্রতায়। কিন্তু আর কত দিন? কত লাশের বিনিময়ে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে শান্তির জন্যে?” ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের ঔরসজাত কুসন্তান শান্তিবাহিনীরা কি পার পেয়ে যাবে? তাদের বিচারের প্রক্রিয়ায় কি আনা যাবে না? যারা মানবতার বিরুদ্ধে, বাংলাদেশী জাতিসত্বা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণকারী সন্তুু লারমা ও শান্তিবাহিনী গংদের যুদ্ধাপরাধী হিসাবে বিচার না করলে ইতিহাস কি আমাদের ক্ষমা করবে?
#####
বিষয়: বিবিধ
২৩২২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন