তাবলীগ জামায়াত, দেওবন্দী ও জামায়াতে ইসলামী

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রেজাউর রহমান ওয়াকিল ২৪ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:৩১:১৫ রাত

আমাদের বাংলাদেশে অনেকের মধ্যেই একটা ভ্রান্ত ধারনা আছে যে তাবলীগ জামাত আর উলামায়ে দেওবন্দ জামায়াতে ইসলামীকে কোনভাবেই দেখতে পারে না। আসলে কি ব্যাপারটা সেরকম? আমার মনে হয় না। আমরা যদি একটু খেয়াল করে দেখি, তাহলে দেখতে পাই যে অনেক ব্যাপারে ইখতিলাফ আছে বিশেষভাবে রাজনৈতিক কারণটা মুখ্য। কিন্তু আরেকটু ভিতরে ঢুকলে দেখা যায় যে আকিদাগত কিছু অভিযোগ আছে দলটির প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে। থাকতেই পারে। কারন সবার দৃষ্টিভংগি এক হবার বিশেষ করে এখন কোন কারন নেই।

এইখানে একটা ব্যাপার একটু শুধরানো প্রয়োজন। সেটা হচ্ছে যে জামায়াত দল হিসেবে মউদুদি (রঃ) এর আকিদা পোষন করতে বাধ্য নয়। এটা কিন্তু জামায়াতের সিদ্ধান্ত নয়, এটা মউদুদি(রঃ) করে যাওয়া অসিয়ত বলতে পারেন। এবং যারা মনে করেন যে মউদুদি(রঃ) এর বই ছাড়া আর কোন বই পড়া হয় না তারা একটু কষ্ট করে ics online library টা ভিজিট করবেন তাহলে দেখবেন যে মউদুদি(রঃ) সমালোচনাকারীদের বইও সেই লিস্ট এ আছে।

যাই হোক মূল কথায় আসি। তাবলীগ এর ব্যাপারে মউদুদি(রঃ) ছিলেন পজিটিভ। উনি উনার লিখাতে তাবলীগের প্রসংশা করেছেন। তার অনুপ্রেরণাতে অনুপ্রেরিত হয়ে দেওবন্দী আলেম মাওলানা আবুল হাসান নদভী (রঃ) মাওলানা ইলিয়াস (রঃ) এর সাথে দেখা করেছেন এবং ব্যাপক উতসাহ দিয়েছেন। তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কে মাওলানা মওদূদী রহঃ এর উচ্চাসিত প্রসংসাঃ . জামায়াতের এক কর্মী তাবলীগ জামায়াত সম্পর্কে মাওলানা মওদূদী রহঃ কে প্রশ্ন করেছে তাবলীগ সম্পর্কে আপনার ধারনা কী ? তখন মাওলানা মওদূদী রহঃ বলেন, আমি মাওলানা ইলিয়াছ সাহেবের প্রাথমিক কর্মস্থল পূর্ব পাঞ্জাবের মিওয়াতে যেয়ে তাবলীগকে জানার চেষ্ঠা করেছি এবং অশিক্ষিত ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ সাধারন লোকদের তিনি যে পদ্ধতিতে ইসলামের আলো দান করেছিলেন তাঁর উচ্চাসিত প্রসংশার যোগ্যতা রাখে । . এক প্রোগ্রামে তাবলীগ সম্পর্কে বলেন, এই সব ঈমানদার লোক যারা তেরী করছেন তারা যদি সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তনের উদ্দেশ্য তাদের মন মগজ গড়ে তুলতেন তাহলে এরা সহজেই ইকামাতে দ্বীনের মুজাহীদে পরিনত হতেন । কিন্তু শুধু ব্যক্তি জিবনে যারা সৎ হয়ে গড়ে উঠেন তারা বাতিল সমাজ ব্যবস্থার দিয়ানতদার খাদেমে পরিনত হতে বাধ্য । এই জাতিয় লোক ঘুষ খাবেনা, অন্যায় করবেনা, যুলুম করবেনা, এক শতভাগ সঠিক । সূদী ব্যংকে চাকরী করতে নিষ্ঠার পরিচয় দেবে, কিন্তু সূদ মুক্ত ব্যংক প্রতিষ্ঠার চিন্তা এদের মাথায় কাজ করবেনা ফলে বাতিল সমাজ ব্যবস্থা এই জাতের ঈমানদারদের থেকে তাদের সূদ ব্যবস্থায় নিঃস্বার্থ খেদমত পায় । . একবার মাওলানার সামনে এক লোক তাবলীগ জামায়াতের এস্তেমায় বিপুল সংখ্যক লোকের সমাগম সম্পর্কে মন্তব্য করছিলেন । তাবলীগ জামায়াতে কী আকর্ষন আছে সে বিষয়ে মাওলানা বলেন, জান্নাতের আকাংখা মানুষের রুহের খাঁটি পিপাসা । মানুষ যখন এই কথা বিশ্বাস করে যে, অমুক আমলের ফলে বেহেশ্তে যাওয়া সহজ তখন সেই দিকে আকৃষ্ট হওয়া স্বাভাবিক । মাওলানা আরো বলেন, আলাহর সাথে বান্দাহর যে রুহানী সম্পর্ক তা কাতরভাবে দোয়া করার দ্বারা অবশ্যয় ঘনিষ্ট হয় তাই এই এজতেমায় এই আকর্ষন স্বাভাবিক । . কিন্তু আল্লাহর জমিনে আল্লাহর খেলাফত কায়েমের দায়িত্ব পালন করা হলো বান্দার আসল কাজ । এই কাজ করতে গিয়ে বাতিলের অত্যাচারের শিকার হলে মাবুদের সাহায্য চেয়ে যে কাতর আবেদন জানানো হয় এর স্বাদ আরো অনেক বেশী । . চীন- রাশিয়ার মতো দেশে তাবলীগ জামায়াতের কাজ সম্পর্কে মাওলানা বলেন, কালেমার যেটুকু বীজ তাঁরা ছড়াচ্ছেন এক সময় সে বীজ থেকেও ইসলামী আন্দোলনের গাছ জন্ম নিতে পারে । যে সব দেশে প্রকাশ্য ইসলামী আন্দোলন করতে দেওয়া হয়না সেখানে তাবলীগ জামায়াত যদি দ্বীনের বীজ ছড়িয়ে দেন তা অবশ্যয় অনেক বড় খেদমত । দ্বীনের জন্য যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব ততটুকুর স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ । একটা জিনিস খেয়াল করেছি যে তাবলীগের ব্যাপারে আমাদের অনেক জামায়াতী ভাইদের অভিযোগ আছে কিন্তু আপনারা মনে হয় শপথের কর্মী নন। কারন যারা সিলেবাস শেষ করা মানুষ তারা কিভাবে তাবলীগ বিরোধী হতে পারে সেটা আমার বোধগম্য নয়। আপনারা কি খেয়াল করেন না যে সাঈদী সাহেব কী বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন তাবলীগ হচ্ছে প্রাইমারি ধাপ। আর শিবিরকে বলেছিলেন ইউনিভারসিটি। কিন্তু আপনারা কেন ভুলে যান যে প্রাথমিক শিক্ষা ছাড়া কি যেতে পারবেন পরের ধাপে? আর গোলাম আযম(রঃ) কি বলেছেন ইকামতে দীন বইতে দেখেন,,,,,,,,

"

দ্বীনের বিরাট খেদমত হিসেবে দেওবন্দ মাদ্রাসাসহ আমাদের দেশের ছোট বড় সব মাদ্রাসার নিকটই মুসলিম জাতি কৃতজ্ঞ। এ খেদমতের গুরুত্ব কোন মুসলিমই অস্বীকার করতে পারে না। এসব মাদ্রাসা নিশ্চয়ই ইসলামী আন্দোলনের সহায়ক। আন্দোলনের যোগ্য বহু আলেম এসব মাদ্রামা থেকে এসছেন। কিন্তু মাদ্রাসাগুলো নিজেরা প্রত্যক্ষভাবে ইকামাতে দ্বীনের আন্দোলন চালাচ্ছে না।

তেমনিভাবে তাবলীগ জামায়াত দ্বীনের এক মহান খেদমতের আঞ্জাম দিচ্ছে। এ জামায়াত সারা দুনিয়ায়ই বিপুল সংখক লোককে আল্লাহ, রাসূল ও আখেরাতমুখী বানাচ্ছে। এ জামায়াতের কেন্দ্র ভারতের দিল্লীতে অবস্থিত। এ বিশ্ব জামায়াতের আমীর ও ভারতের নাগরিক। কিন্তু এ জামায়াতকে কোন দেশের সরকারই তাদের জন্য ক্ষতিকর মনে করে না। এমন কি চীন ও রাশিয়াতে পর্যন্ত এ জামায়াতকে যেতে বাধা দেয়নি। এ মহান জামায়াতের উসিলায় কমিউনিষ্ট দেশেও কালেমা-নামাযের পয়গাম এবং আল্লাহ, রাসূল ও আখেরাতের দাওয়াত পৌঁছতে পারছে–এটা খুবই আনন্দের কথা। এটাকে ছোট খেদমত মনে করা অন্যায়। মুসলিম সংখ্যালঘু দেশ-এমন কি কমিউনিষ্ট দেশেও এ জামায়াতকে কাজ করতে হচ্ছে। সুতরাং বাতিলের সাথে সংঘর্ষ এড়িয়ে দ্বীনের খেদমত করার যতটুকু সুযোগ নেয়া সম্ভব ততটুকুই এ জামায়াত নিচ্ছে।

সাড়ে চার বছর মনপ্রাণ লাগিয়ে এ জামায়াতে কাজ করার আমার সৌভাগ্য হয়েেেছ। এম. এ. পরীক্ষা দিয়েই তিন চিল্লায় (চার মাস) একটানা এ জামায়াতের সাথে থাকা কালেই নিজের জীবনকে ইসলামের জন্য উৎসর্গ করার জযবা ও প্রেরণা বোধ করি। সুতরাং আমার জীবনে তাবলীগ জামায়াতের সাথে আমার মহব্বত স্বাভাবিকভাবেই গভীর ও স্থায়ী।

বাংলাদেশ তাবলীগ জামায়াতের নেতৃস্থানীয় সবাইকে আমি অন্তর থেকে মহব্বত করি। কারণ এক সাথে কয়েক বছর এক জামায়াতে কাজ করার দরুন ব্যক্তিগতভাবে তাদের ইখলাস ও একাগ্রতা সম্পর্কে আমার সঠিক ধারণা হবার সুযোগ হয়েছে। তাদের কাউকে আমি অন্তরে উস্তাদ হিসেবে শ্রদ্ধা করি- যেমন হযরত মাওলানা আব্দুল আযীয, সাবেক আমীর, তাবলীগ জামায়াত, বাংলাদেশ। কেউ আমার শ্রদ্ধাভজন দ্বীনি মুরুব্বী যার কাছ থেকে ইসলামের জন্য জীবনকে উৎসর্গ করার প্রেরণা পেয়েছি- যেমন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মুকীত ভাই। নেতৃস্থানীয়রে মধ্যে বেশ কয়েকজন আছেন যাদেরকে ঘনিষ্ট সহকর্মী ও মহব্বতের বন্ধু হিসেবে পেয়েছিলাম।

আমার ঐস উস্তাদ, মুরুব্বী ও বন্ধুদের খেদমতে অত্যন্ত দরদের সাথে আকুল আবেদন জানাই যাতে তাদের নেতৃতে¦ পরিচালিত এ মহান জামায়াত সম্পর্কে এ দেশের মুসলমানদের মধ্যে কেই কোন ভূল ধারণার সৃষ্টি করতে না পারে।"

কিছুদিন আগে পাকিস্তান জামায়াতের আমীর সিরাজুল হক সাহেব লাহোর তাবলীগের আমীরের শারীরিক খোজ নিতে তার মারকাজে গিয়েছিলেন। তাবলীগের অন্যান্য ব্যাক্তিরা তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এ থেকে আমরা কি দেখি??? জামায়াত ও শিবিরের ভাইয়েরা যারা আহলে হাদীস ভাইদের দেখানো পথে হাটছেন তারা একটা বারও কি চিন্তা করেছেন যে আপনাদের মুরুব্বীরা কেন উনাদের সাথে দেখা করেন?? আপনাদের চেয়ে নিশ্চয় উনারা বেশি বুঝেন ইনশাআল্লাহ।তাহলে আপনাদের এতো ক্রোধ কিসের?? তাদের বয়ানে না বসলে তারা আপনাদের বৈঠকে কেমনে বসবে??

এখন আসি আমাদের দেওবন্দি ও তাবলীগি ভাইদের নিকট। ভাই আপনাদেরকে আমি অনেক ভালোবাসি। আপনাদের অবদান অনেক। কিন্তু আপনারা একটু খেয়াল করুন আপনাদের আগের আলেমদের অনেকেই কিন্তু জামায়াতকে গোমরাহ বলে গালিগালাজ করেন নাই। মাওলানা আবুল হাসান আলি নদভি জামায়াত থেকে বের হয়ে গেছেন কিন্তু জামায়াতের নেতাদের সাথে ঊষ্ণ পরিবেশ বজায় রাখসেন। আপনারা মুফতি আমিনী (রঃ), মাওলানা আযিযুল হক (রঃ), মাওলানা ইসাক সাহেব এদেরকে দেখেন উনারা কিন্তু বৃহত্তর সার্থে কাজ করছেন। কি সার্থ? ক্ষমতা দখলের?

না। উনারা আমাদের ভবিষ্যৎ সুন্দর করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের সবার সপ্ন ইসলামকে বিজয়ী করা বাংলার মাটিতে।

তাবলীগি ভাইয়েরা আপনারা একটু আপনাদের বড় বুজুর্গ মাওলানা তারিক জামিলের দিকে তাকান। দেখুন কত অমায়িক একজন মানুষ মাশাআল্লাহ।উনি উনার একটি বয়ানে মওলানা মউদুদীকে একজন আলেম বলে ভুয়সী প্রশংসা করেছেন আলহামদুলিল্লাহ। উনি কিন্তু পাকিস্তান জামায়াতের কুরআনের মাহফিলে প্রায়ই বয়ান করেন। উনি কিছুদিন আগে পাকিস্তান জামায়েতের আমীরের সাথে নিজে গিয়ে দেখা করে এসেছেন শুধুমাত্র ইসলামের জন্য। উনি কিন্তু জামায়াতকে তিরষ্কার করেন নি। বসে পরেন নি ফোতোয়ার ডালি নিয়ে। আপনারা তো এইটুকু মানেন যে উনার জ্ঞান, ইখলাস, ঈমান আপনাদের চেয়ে মযবুত। তাহলে উনাকে অনুসরন করুন। দেখুন এই মানুষগুলো শুধু ইসলামের জন্যে সব ভুলে এক কাতারে দাড়াচ্ছেন। আসুন আমরাও দাড়াই। আমি দৃঢ় আশা রাখি আমাদের ইসলামের বিজয় হবেই। রাজনীতি ভালো না লাগলে করব না, কিন্তু কাউকে খাটো করার আগে একটু ভাববো কাকে খাটো করছি? আমার সে ভাইকে যে নামাযী,যে বিনয়ী,যে সচ্চরিত্রবান, যে খারাপ হইতে পারতো কিন্তু হয় নাই। যদি সত্যি আল্লাহকে ভালোবাসেন আল্লাহর রাসুল(সাঃ) ভালোবাসেন তাহলে তার কমতি থাকলে সেটা বাড়ান। আপনাদের মতামত শেয়ার করেন। বন্ধু হয়ে যান একে অপরের। জয় আমাদের সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ।

বিষয়: বিবিধ

২৮৫৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

367015
২৫ এপ্রিল ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
বিন হারুন লিখেছেন : মা-শা-আল্লাহ্, আল্লাহ্ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন.সম্পূর্ণ পড়েছি একবার নয় দু'বার পড়লাম, আমরা একটু চেষ্টা করলেই পারি এক কাতারে সামিল হতে, আল্লাহ্ আমাদের সেই তাওফিক দিন.
আল্লাহ্ আপনাকে এই মেহনতের উত্তম প্রতিদান দিন. Rose
367041
২৫ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৩৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ধন্যবাদ দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। সত্যিই হৃদয় নিংড়ানো উম্মতের ভালোবাসা দিয়ে কথাগুলো লিখেছেন। মুসলমান ভাই ভাই হওয়াই আজ একান্ত প্রয়োজন। জাযাকাল্লাহ খাইর
367074
২৫ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:১২
মোঃ রেজাউর রহমান ওয়াকিল লিখেছেন : ধন্যবাদ। দুয়া করবেন আমার জন্য আর উম্মাহর জন্য।
367083
২৫ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:৪৪
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। আসলে আমাদের কিছু আলিম স্রেফ ব্যক্তিগত শত্রুতার বসে ইসলামে বিরোধ এর সৃষ্টি করেন।
367678
০১ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:৩৬
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আপনার লেখাটি তাবলীগ সম্পর্কে জামায়াতের দৃষ্টিভঙ্গির কথা উল্লেখ করেছেন। জামায়াত সম্পর্কে তাবলীগের কী ধারণা আরো স্পষ্ঠভাবে পরবর্তী সংখ্যায় তুলে ধরবেন। আর মওদুদী বানানটা আপনি কী ইচ্ছে করে (মউদুদি/মউদুদী) লিখেছেন?
367728
০২ মে ২০১৬ রাত ০২:৩৮
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : জামাত শিবির কবর পুজারীদের ছাড়া আর কাউকে নিন্দা করেনা, সবাইকে আন্তরিক ভাবেই ভালোবাসে, কিন্তু কিছু ইসলামিক দল আছে যারা সকালে ঘুম থেকে উঠে জামাতকে গালি না দিলে যেন তাদের টয়লেট টাও ক্লিয়ার হয় না। ধন্যবাদ আপনাকে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File