জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী ভবিষ্যৎ নিয়ে ড. তুহিন মালিকের পর্যালোচনা আর আমার ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রেজাউর রহমান ওয়াকিল ২৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০৯:২৮:২৯ সকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ড. তুহিন মালিক হচ্ছেন বর্তমান সরকারের আমলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে একজন বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ তাকে খুব সুন্দর বাচন ভংগি দিয়েছেন এবং তিনি একজন ভাল আলোচক নিঃসন্দেহে। উনাকে আমরা জামায়াত শিবির বিএনপি সমমনা মানুষরা খুব ভালবাসি।
আমাদের সমাজে শিবিরের প্রশংসা মনে হয় মিডিয়াতে খুব কম লোকই করে। শতকরা হিসেবে বলতে গেলে ০.৫% মানুষও করে কিনা সন্দেহ। এমনকি বিগত জোট সরকারের সময়ও এই ব্যাপারটাকে খুব সন্তর্পণে এড়িয়ে যাওয়া হত। এটা শিবির করা মানুষদের এক প্রকার আক্ষেপই বলা চলে। আর এখন তো আরও খারাপ অবস্থা, বিশেষ করে চেতনার বিষ্ফোরনের পর তো কথাই নাই। কিন্তু শিবির bad publicity কে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলছে আলহামদুলিল্লাহ্। যাই হোক, আমি একজন শিবির সমর্থক হিসেবে সবসময়ই খুব শক্ত স্বভাবের। বাংলাদেশের টক শো মাতানো মানুষদের খুব সুচারুভাবে পরীক্ষা করে রায় দেই যে কে আমাদের হুকুমে ইলাহিয়ার পক্ষে। যেমন আমাদের অনেক ভাইয়েরা মনে করেন নুরুল কবির আমাদের পক্ষের লোক। কিন্তু আমি মনে করি তিনি একজন আদর্শ মার্ক্সবাদী মানুষ। তিনি জিবনেও আল্লাহর আইনের বাস্তবায়ন চান না। তিনি সময়মত আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। ঠিক সেইরকম আসিফ নজরুল, মাহফুজুল্লাহ, জাফরুল্লাহ, গোলাম মউলা রনি, মাহি বি, পার্থ এরা সবাই সময় মত দেইখেন পাল্টি মারবে। কিন্তু একজন মানুষকে আমি দেখেছি যিনি সবসময় সবার থেকে আলাদা। তিনি সবসময় পবিত্র কুরান থেকে আয়াত বলেন, ইসলামী ধ্যান ধারনা রাখেন, আর শিবিরের ব্যাপারে নেগেটিভ মন্তব্য করেন না। যদিও আমি বলছি না যে শিবির ভুলের উরধে,কিন্তু সমসাময়িক অন্যান্য ছাত্রসংঘটন এর চেয়ে ভাল এটা প্রমানিত।
তিনি বিচক্ষন মাণূষ হিসেবে সেয়া বোঝেন আলহামদুলিল্লাহ্। তিনিই প্রথম ব্যাক্তি যিনি শিবিরের প্রাইভেট পড়িয়ে খরচ চালানো আমার দ্বীনি ভাইদের প্রশংসা করেছেন জাতীয় গনমাধ্যমে। উনাকে সত্যি হৃদয়ের অন্তঃস্থল হতে ধন্যবাদ জানাই।
এখন আসি মুল প্রসংগে, সেটা হচ্ছে যে সাম্প্রতিক ড. তুহিন মালিক জামায়তের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা লিখা লিখেছেন যার শিরোনামে তিনি বাই বাই জানিয়েছেন দাঁড়িপাল্লাকে, যা জামায়েতে ইসলামি র নির্বাচনী প্রতীক। সেই লিখাতে তিনি খুব য যৌক্তিকভাবে কিছু হিসাব দেখিয়েছেন যা থেকে বুঝা যায় যে জামায়তের ভবিষ্যৎ সত্যি খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে, যদিও সেটা সাংঘটনিকভাবে না বরং নির্বাচনী দিক থেকে। কারন উনার হিসেবে উনি দেখিয়েছেন যে জামায়াতকে ক্ষমতার রাজনীতি থেকে এক প্রকার সাফল্যের সাথেই বর্তমান সরকার সরিয়ে দিতে পেরেছে। আসলে আমি অনেক খোলা মন নিয়ে চিন্তা করে দেখলাম, আসলেই সরিয়ে দিয়েছে সরকার? আমি আমার সম্পূর্ণ ভাবনাতে এই অকাট্য যুক্তিকে আবেগী কিছু চিন্তা ছাড়া আর কোন কিছু দিয়ে খন্ডাতে পারি নি। আমার আবেগটা জামায়াতের লন্ডনস্থ মুখপাত্র ব্যারিস্টার আবু বকর মোল্লাহ ভাইয়ের ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মতই। তখন মনের অজান্তেই তুহিন ভাইয়ের জন্য দোয়া আসলো আর বুঝলাম যে না তিনি আসলেই জামায়াত শিবিরের শুভাকাঙ্ক্ষী। যে কারণে তিনি আমাদের জানান দিলেন অদূর ভবিষ্যতের কথা। আমার মনে হয় তুহিন মালিক সাহেব ঠিকই ধরেছেন। তিনি সর্বাত্মক পজিটিভভাবে বলার চেষ্টা করেছেন। এর চেয়ে সুন্দর করে বুঝানো সম্ভব নয়। আমার বিস্বাস জামায়াতের নীতিনির্ধারকরা তার ম্যাসেজ পেয়ে গেছেন এবং উপযুক্ত ব্যাবস্থা নিবেন ইনশাআল্লাহ।
শেষ কিভাবে করব বুঝতে পারছিলাম না। পরে মনে হল সুরা তারিকের সেই আয়াতগুলো দিয়েই শেষ করি
১৫.) এরা কিছু চক্রান্ত করছে
১৬.) এবং আমিও একটি কৌশল করছি।
১৭.) কাজেই ছেড়ে দাও, হে নবী! এ কাফেরদেরকে সামান্য কিছুক্ষণের জন্য এদের অবস্থার ওপর ছেড়ে দাও।
বিষয়: রাজনীতি
১৭৩৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন