বাংলার মুসলিম জাগরণের মুয়াজ্জিন মাহমুদুর রহমান
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ রেজাউর রহমান ওয়াকিল ১৪ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:৩৮:০৫ সকাল
বলা হয়ে থাকে যে মানুষ খুব আজব প্রকৃতির একটা জীব। তারা আসলে সব সময় অপেক্ষা করে যে কে পরিবর্তনের ডাক দিবে? সবসময় আশায় থাকে যে, একজন আসবে, আল্লাহ কাউকে পাঠাবেন, কেউ একজন নিয়ে আসবে আলোকবর্তিকা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মশাল নিয়ে এগিয়ে যাবেন অত্যাচারীর প্রাসাদ ভাংগার জন্য। কিন্তু মানুষরা নিজেরা সেই ব্যাক্তি হতে ভয় পায়। যেমন আমাদের মুসলমানদের অনেকেই বসে আছে ইমাম মাহদীর আগমনের আশায়, হিন্দুরা বসে আছে কল্কি অবতারের অপেক্ষায়। আমাদের সমাজে আমরা এভাবে আশায় বেচে থাকি কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা বিবেকের তাড়নায় এসব ভয় ভীতি নিয়ে চিন্তা না করে এগিয়ে চলেন পরিবর্তন আনার জন্য। কারো পরোয়া করেন না। আর আল্লাহ খুলুসিয়াত সম্পন্ন এইসব মানুষদের সম্মানিত করেন সেই জিহাদি মিছিলের আহবায়ক হিসেবে ভূষিত করে। সেরকম একজন মানুষ হচ্ছে আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি এমন সময় এগিয়ে এসেছিলেন যে সময় বাংলার মুসলমানরা ছিলেন দিশেহারা। গনজাগরণ মঞ্চ নামের ক্যান্সার তখন বিস্তার লাভ করছিল। অনেক মধ্যম্পন্থী মানুষ মুনাফিক মিডিয়ার বদৌলতে হয়েছিলেন দিশেহারা। মনে হচ্ছিলো যে গনজাগরন মঞ্চকে সমর্থন না করলে হয়তবা বাংলাদেশি দাবী করা হারাম হয়ে যাবে। ধর্মপ্রান বাংলাদেশিরা এমনেতেই খুব বিব্রত ছিলেন গনজাগরন মঞ্চের বাংগালী সংস্কৃতির নামে চালানো হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি হালাল করার কাজে। তারা খুব দুয়া করছিলেন একজন মুয়াজ্জিনের আযানের। যে আযান আহবান করবে সত্যের পথে। সেই সময় আমারদেশ পত্রিকা শিরোনাম করল "শাহাবাগে ফ্যাসিবাদের পদ্বধ্বনি"। আশ্রয়সন্ধানী মানুষ পেয়ে গেল তাদের কাংখিত আলোকদিশারিকে। শুরু হল যুদ্ধ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে। শাহাবাগে চলমান আন্দলোনের বেশে চলা নাস্তিক, ধর্মবিদ্বেষী, শয়তানদের ষড়যন্ত্রের সত্য উন্মোচন শুরু হল। জেগে উঠল ইসলামপ্রিয় জনগন, শয়ের কোঠায় নেমে আসলো গনজাগরন মঞ্চের উপস্থিতি। হেফাযতে ইসলাম করল পূর্ন আত্মপ্রকাশ। মাহমুদুর রহমান হলেন ইসলামি পুনঃজাগরনের মুয়াজ্জিন। চিন্তা করেছেন, আল্লাহ কোন হুযুরকে, কোন ইসলামি দলকে, কোন জাতিয়তাবাদী দলকে এই সৌভাগ্য দেয় নাই(মুয়াজ্জিন হওয়ার)। দিয়েছেন একজন দাড়িবিহীন, সুন্নতি লেবাসধারীহীন, মেসওয়াক ছাড়া মানুষকে। এর দ্বারা আমরা বুঝতে পারি আমাদের ইসলামি দলগুলোর ঐক্যের অভাব, আমাদের হেকমতি সিদ্ধান্তের নামে ভুল সিদ্ধান্ত, আর বাহ্যিক ইসলামি প্রসার আমাদের আজকে এই অবস্থার কারণ। তাছাড়া মাহমুদুর রহমান আমাদের এই শিক্ষা দিতে পেরেছেন যে আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ আনুগত্যই আমাদের উনার অবস্থানে নিয়ে যেতে পারেন।
খুব কষ্ট হয় যখন দেখি এই মুয়াজ্জিনের খারাপ সময়ে তার পাশে দাড়িয়ে সহমর্মিতা জানানোর মত সাহস তথাকথিত জাতিয়তাবাদী দলের দেখতে খুব দেরী হয়।
আমি যখন দেখি যে মাহমুদুর রহমানকে তাগুত অত্যাচার করে চলেছে, জেল দিচ্ছে তখন খুব ভালো লাগে এই ভেবে যে, যুগে যুগে চলে আসা আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্ত মজলুমের লিষ্টে উনি নিজেকে হয়তোবা শামিল করে নিয়েছেন ইনশাআল্লাহ।
কিন্তু খারাপ লাগে এই ভেবে যে আমরা তার জন্য কি করতে পেরেছি। তার জন্য একট আন্দোলন আমরা করতে পারি নাই। তাকে অনুপ্রানিত করতে পারলাম না আবারো সেই আযান দেয়ার জন্য। হয়তোবা আবারো আমরা সেই চিরাচরিত নিয়মে অপেক্ষায় আছি আরেকজন ক্রান্তিকারীর, আরেকজন নেতার, আরেকজন মুয়াজ্জিনের। কিন্তু মাহমুদুর রহমান সাহেব আপনি চিন্তা করবেন না কারন আমাদের মত অথর্বদের আপনার কোন দরকার নেই। আপনি তো আল্লাহকেই পেয়েগেছেন আলহামদুলিল্লাহ্। আপনিতো আসল মজলুম যার আর আল্লাহর মাঝে কোন পরদা থাকে না। আপনি দুয়া করবেন আমাদের জন্য যাতে আমরা অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আমাদের আওয়াজ তুলতে পারি।
বিষয়: রাজনীতি
১১৮৪ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গতকাল তার চেহারা দেখালাম । শরীর শুকিয়ে গেছে তো অবশ্যই , যাবেই কারণ তার নামে তো এক কারণেই ৫০ টারও বেশী মামলা দেওয়া হয়েছিল দেশের বিভিন্ন স্থানে ।
তবুও মনে হয়েছে লোকটা হাল ছাড়ে নি - মাশা আল্লাহ !
মহান আল্লাহ হয়ত তার মাধ্যমেই বড় কিছু করানোর জন্য তাকে টিকিয়ে রেখেছেন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন