ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি এস এম মিজানুর রহমান রাজ এর অবৈধ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি!
লিখেছেন লিখেছেন নৈশ শিকারী ০৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:৫৯:২৬ রাত
আমি ১৯৭৫ সালে মুজিব নির্মিত 'বাকশাল' নামক ক্ষমতাকে চির কুক্ষিগত করার অপকৌশল দেখিনি কিন্তু, নব্য বাকশাল সৃজনকারী খুনি হাসিনাকে দেখেছি। আমি তৎকালীন কুখ্যাত দুর্নীতিবাজ, দখলদার বাকশালীদের রক্ষীবাহিনী দেখিনি তবে, বর্তমানে হাসিনা কর্তৃক নির্মিত দুরাচারের শ্বাপদ স্বরূপ নব্য পুলিশ লীগ নামক রক্ষীবাহিনীদের দেখেছি।
যাদের প্রধান কাজ জনগণের জানমাল হেফাজত করার জায়গায় ক্ষতি করা এবং আজ্ঞাবহ সরকারের পা-চাটা কুকুর হয়ে শুধুমাত্র বিরোধীদলীয়'দের উপর অত্যাচার করা। আজ ঢাকা প্রেসক্লাবে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশ থেকে নব্য বাকশালীদের রক্ষীবাহিনী রূপি পুলিশ লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সংগ্রামী সভাপতি এস এম মিজানুর রহমান রাজকে টেনে-হিঁচড়ে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করার পর রক্তাক্ত এবং অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় অত্যন্ত অশ্লীল ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় যা প্রত্যেকটি ছাত্র নেতার জন্য অপমানজনক। রাজ মুজিব পরিবারের মতো চুরি ডাকাতি কিংবা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত না যে, তাকে এমন লাঞ্চিত ভাবে গ্রেফতার করতে হবে।
আজ দেশকে ভালোবেসে, দেশের আপামর জনতাকে ভালোবেসে, সকলের সার্বিক কল্যাণার্থে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে রাজনীতি আমরা করি সে, রাজনীতিকে যখন কোন অপশক্তি পদদলিত করার চেষ্টা করে তখন আমজনতার নির্বাক নিস্তব্ধতা আমাকে হতবাক করে দেয়। আজ আমরা দেশের কল্যাণের জন্য, দুর্নীতি এবং শোষণ মুক্ত স্বাধীন বাংলা উপহার দেয়ার জন্য যে প্রাণপণ সংগ্রাম করে যাচ্ছি তা কি শুধু আমাদের স্বার্থ রক্ষায়? এই সংগ্রামে জয়ী হলে এর সুফল তো আপনারাও ভোগ করবেন! তাহলে আর কতদিন মুখ বুজে এই অনাচার সহ্য করবেন কিংবা আমার এই লেখার মত হাজারো লেখায় শুধু মৌখিক সমবেদনা জানিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ করবেন?
এখনো কি আপনাদের জেগে উঠার সময় হয়নি? দেশের অর্থনৈতিক দশা তলানীতে, প্রত্যাহিক প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশছোঁয়া, হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ এর পর বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে যা আপনার আমার রক্ত ঝরানো শ্রমে উপার্জিত। আরো রয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রকে ধ্বংস করে দেয়া, জঙ্গি নাটক সাজিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র প্রমাণ করা ছাড়াও নানারকম অবৈধ কাজ করে দেশকে ফোকলা করে দিচ্ছে এই অবৈধ আওয়ামীলীগ সরকার।
আবার কুত্তালীগ কর্তৃক নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনারতো শেষই নেই, সাম্প্রতিক সময়ে "অদিতি" নামক একজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে এই শূয়োরেরা, অভিমানি এই বোন অতি আক্ষেপে বলতে বাধ্য হয়েছে, "যেদেশে জয়বাংলা বলে মেয়েদের মলেস্ট করা হয় সে দেশে আমি থাকবোনা" কতটা অপমানিত হলে আর কষ্ট পেলে একজন নারী আপন মাতৃভূমিকে ত্যাগ করার মত পাষাণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে ভেবে দেখেছেন?
আমরা জানি আপনারা মনেপ্রাণে আমাদের সাথে আছেন তাই আর মৌন না থেকে আসুন ভারতের দালাল এবং নব্য বাকশালিদের এই দেশ থেকে তাড়িয়ে পুনরায় দেশের সত্যিকারের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনি। নিজেকে বাঁচানোর জন্য যদি নিশ্চুপ থাকেন তাহলে পরবর্তীতে প্রত্যক্ষ ক্ষতির শিকার আপনারাই হবেন, আজ "অদিতি"র মত অনেকে শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছে, কাল যে আপনার ঘরে ঢুকে দুর্বৃত্তরা আপনার মা এবং বোনকে আপনারই সামনে ধর্ষন করবে না তার নিশ্চয়তা কি?
পন্যদ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি আর বেতনের নিম্নগতির ফলস্বরূপ পরিবারের ভরণ-পোষণ করার অপারগতার কারণে পরবর্তীতে না আপনাকে আবার আত্মহত্যার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় কিংবা অর্থনৈতিক ধ্বসের কারণে ১৯৭৪ সালের মতো বাংলাদেশে আবার নতুন করে দুর্ভিক্ষের সূচনা না হয়? এভাবে ধুকে ধুকে মরার চেয়ে চলুন রুখে দাড়াই; এখনই সময় রুখে দাঁড়াবার। ওরা জানেনা কোণঠাসা আহত বাঘ মুক্ত বাঘের চেয়ে বেশী ভয়ংকর হয়। গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার অর্থনৈতিক কাঠামো রক্ষা এবং দেশের মানুষদের বাঁচানোর জন্য এই নব্য বাকশালী হাসিনা সরকারের পতনের বিকল্প নেই তাই, আসুন আজ এক সুরে বলি, "বাকশাল নিপাত যাক; গণতন্ত্র মুক্তি পাক"
আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে, মহানগর উত্তর এর সংগ্রামী সভাপতি, "এস এম মিজানুর রহমান রাজ"কে অবৈধ গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং পাশাপাশি রাজ সহ সকল রাজনৈতিক বন্দী, রাজবন্দীদের অতিসত্বর মুক্তি দাবি করছি।
বিষয়: রাজনীতি
১২২১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন