সৃষ্টির মাঝে মহান স্রষ্টা আল্লাহ রব্বুল আলামীনের অস্তিত্ব এবং বিজ্ঞানের অভিমত!
লিখেছেন লিখেছেন নৈশ শিকারী ০৬ মার্চ, ২০১৮, ১০:৩৩:৪৪ সকাল
এই মহাবিশ্ব, ছায়াপথ, অন্তরীক্ষ, আমাদের সৌরজগত এবং আমাদের বাসস্থান এই পৃথিবী অনেকগুলো বিষয় দ্বারা পরিচালিত। মানুষের বসবাস এবং জীবন ধারণের জন্য এইসব নিয়ম এবং সাম্যতা গুরুত্বের সাথে পরিকল্পিত এবং পরিচালিত হচ্ছে। আমদের এই মহাবিশ্ব পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা করে পাওয়া যায় যে গুরুত্বপূর্ণ মহাবিশ্বের সুত্র থেকে শুরু করে জটিলতর পদার্থের বৈশিষ্ট্য পর্যন্ত, ক্ষুদ্রতম সাম্যতা থেকে অতিক্ষুদ্র অনুপাত পর্যন্ত সবকিছুই ঠিক ততটুকুই আছে যতটুকু মানুষের বেঁচে থাকার এবং জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজন। মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ থেকে শুরু করে ছায়াপথে পৃথিবীর অবস্থান, সূর্যের বিকিরিত রশ্মির পরিমান, পানির সান্দ্রতা, পৃথিবী থেকে চাদের দূরত্ব, বায়ুমণ্ডল সৃষ্টিকারী গ্যাসেগুলোর অনুপাত এবং অন্যান্য বিষয়গুলো মানুষের বেঁচে থাকার জন্য সঠিক পরিমানে আছে। এসব হাজার হাজার বিষয় এবং অবস্থাগুলো একত্রীত হয়ে পৃথিবীকে মানুষের বসবাসের উপযোগী করেছে।
এসব কিছুর সামান্যতম ব্যাতিক্রম হলেই পৃথিবী মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যেত। কোনো coincidence এর মাধ্যমে এতগুলো বিষয় সঠিক হওয়া অসম্ভব। হঠাৎ ঘোটে যাওয়া কোনো ঘটনা থেকে এত কিছু সঠিক ভাবে তৈরি হওয়াটা অসম্ভব। কোনো অলৌকিক শক্তির সাহায্য ছাড়া আপনা আপনি এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব। এই মহাবিশ্বের এই নিয়ন্ত্রিত অবস্থাই প্রমাণ করে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব। নাসার জ্যোতির্বিদ প্রফেসর জন ও’কিফ এর মতে“ আমরা (মানবজাতি) পরিকল্পিত ভাবে সৃষ্টি করা একটি জাতী। যদি এই মহাবিশ্ব সঠিক ভাবে তৈরি না হত তাহলে আমদের অস্তিত্বই থাকত না। এসব দেখে আমার মনে হয় এই মহাবিশ্ব মানুষের সৃষ্টি এবং বসবাসের লক্ষ্যেই তৈরি করা হয়েছে। ব্রিটিশ জ্যোতির্বিদ প্রফেসর পল ডেভিস বলেন,
“the laws [of physics] … seem themselves to be the product of exceedingly ingenious design…. The universe must have a purpose.”
ব্রিটিশ গণিতবিদ প্রফেসর রজার পেনরোস এর মতে,
“I would say the universe has a purpose. It’s not there just somehow by chance.”
মহাবিশ্ব থেকে প্রাপ্ত সব তত্ত্ব ও তথ্য এটাই নির্দেশ করে যে হঠাৎ বা দুর্ঘটনা ক্রমে বা coincidence এর মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়নি। এটি মহান সৃষ্টিকর্তা দ্বারা পরিকল্পিত এবং পরিচালিত। এ সম্পর্কে কোরআনে বলা আছে,
"যারা বুদ্ধি-বিবেক ব্যবহার করে তাদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীর ঘটনাকৃতিতে, রাত্রদিনের অনবরত আবর্তনে, মানুষের প্রয়োজনীয় ও উপকারী সামগ্রী নিয়ে সাগর দরিয়ার চলমান জলযানসমূহে, বৃষ্টিধারার মধ্যে, যা আল্লাহ বর্ষণ করেন ওপর থেকে তারপর তার মাধ্যমে মৃত ভূমিকে জীবন দান করেন এবং নিজের এই ব্যবস্থাপনার বদৌলতে পৃথিবীতে সব রকমের প্রাণী ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেন, আর বায়ু প্রবাহে এবং আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালায় অসংখ্যা নিদর্শন রয়েছে।" সূরা আল বাক্বারাহ (১৬৪)
মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ হার এর বর্তমান অবস্থায় উপনীত হওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে আসছে।যদি এই হার সামান্য কম হত তবে আমাদের এই সৌর জগত সৃষ্টি হওয়ার আগেই পুরো মহাবিশ্ব আবার সঙ্কুচিত হয়ে মিশে যেত। যদি এই সম্প্রসারণের হার সামান্য বেশী হত তবে এই মহাবিশ্বের সবকিছু ইতস্তত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেত অন্তহীন অন্তরীক্ষে। ফলে সৌর জগত, তারকারাজি, ছায়াপথ এসব গড়ে উঠার সুযোগ পেত না। উপরের যেকোন একটি ঘটলেই আমাদের সৌর জগত, পৃথিবী প্রান তথা মানুষের জীবনধারণের উপযোগী হয়ে গড়ে উঠত না। কিন্তু এমনটা হয়নি। এর কারন সঠিক সম্প্রসারণ হার। কিন্তু এই সম্প্রসারণ হার আসলেই কতটুকু নিয়ন্ত্রিত? অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত গণিত ও পদার্থবিদ অ্যাডলিডে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোফেসর পল ডেভিস এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে কিছু গানিতিক গণনা এবং গবেষণা করেন। এই গবেষণার মাধ্যমে তিনি অভূতপূর্ব একটি ব্যাপার খুজে পান। তা হচ্ছে, যদি এই মহাবিশ্বের এই সম্প্রসারণের হার 1/10^18 অর্থাৎ ০.০০০০০০০০০০০০০০০০০১ পরিবর্তন হতো তবে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি হতো না। এই সম্প্রসারণ হার ঠিক ততটুকুই যতটুকু হলে মহাবিশ্ব নিজের মহাকর্ষ আকর্ষণ শক্তি অতিক্রম করতে পারে। এর সামান্য কম বেশী হলেই মহাবিশ্ব আজকের এই অবস্থায় থাকত না।
যদি বিগ ব্যাং এর শুরুতে মহাবিশ্বের সকল বস্তুর ঘনত্ব যা ছিল তার চেয়ে সামান্য বেশী হতো তবে আইনস্টাইনের রিলেটিভিটি সূত্র অনুযায়ী মহাবিশ্বের বস্তু সমূহের আকর্ষণের ফলে সম্প্রসারিত হতে পারত না। পুনরায় তারা একে অপরকে আকর্ষণ করে সঙ্কুচিত হয়ে যেত। আর যদি ঘনত্ব সামান্য কম হত তবে তা খুব দ্রুত সম্প্রসারিত হতো। তখন বস্তুকণাগুলো একে অপরকে আকর্ষণ করে ছায়াপথ, গ্যালাক্সি, সৌর জগত, গ্রহ ইত্যাদি গড়ে তোলার সময় পেত না। ফলে পৃথিবী তথা মানুষের সৃষ্টি হতো না। Allan Guth, যাকে বলা হয় father of the inflationary universe model, মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং সম্প্রসারণের উপর ব্যাপক গবেষণার মাধ্যমে এক অসাধারন ফলাফল পান। তিনি বলেন এই সম্প্রসারণের হার এতটাই নিয়ন্ত্রিত, যেখানে ভুলের সম্ভবনা ১/১০^৫৫ । এত সূক্ষ্ম এবং সুনিয়ন্ত্রিত ব্যাবস্থা বা প্রক্রিয়া কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা হতে পাওয়া অসম্ভব। বিগ ব্যাং যদি হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা হতো তবে এই প্রক্রিয়া এতটা সঠিক এবং উপযুক্ত ভাবে চলতে পারত না। তাই বলা যায় এটি অবশ্যই একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া যা মহান আল্লাহতায়ালা নিয়ন্ত্রন করছেন। নাস্তিক হওয়া স্বত্বেও পল ডেভিস একথা বলেন,
“It is hard to resist that the present structure of the universe, apparently so sensitive to minor alterations in the numbers, has been rather carefully thought out… The seemingly miraculous concurrence of numerical values that nature has assigned to her fundamental constants must remain the most compelling evidence for an element of cosmic design”
বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রাপ্ত এসব তথ্য পল ডেভিস কে বলতে বাধ্য করে যে এই মহাবিশ্ব একটি মহাপরিকল্পনার ফসল। অন্যকথায় এই মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করা হয়েছে। কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনার ফল নয়। এ সম্পর্কে কোরআনে বলা হয়েছে,
"যারা (নবীর কথা মেনে নিতে) অস্বীকার করেছে তারা কি চিন্তা করে না যে, এসব আকাশ ও পৃথিবী এক সাথে মিশে ছিল, তারপর আমি তাদেরকে আলাদা করলাম এবং পানি থেকে সৃষ্টি করলাম প্রত্যেকটি প্রাণীকে। তারা কি (আমার এ সৃষ্টি ক্ষমতাকে) মানে না?”
আমরা জানি, আমাদের এই গ্রহ পৃথিবী সৌর জগতের এগারোটি গ্রহের একটি। সৌর জগতের তৃতীয় গ্রহ। আসুন কিছু জিনিস বুঝার চেষ্টা করি। সূর্যের ব্যাস পৃথিবীর (যার প্রকৃত ব্যাস ১২২০০ কিমি) চেয়ে ১০৩ গুন বড়। তুলনা করতে গেলে আমাদের পৃথিবীটা হবে একটা মার্বেল এবং সূর্য হবে একটি ফুটবলের চেয়ে দিগুন বড়। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই স্কেল অনুযায়ী এই দুটোর মধ্যে দূরত্ব হতে হবে ২৮০ মিটার বা ৯২০ ফুট এবং সবচেয়ে দূরের গ্রহটি কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করবে। কিন্তু এই বিশাল সৌর জগতের বিশালত্ব ও আপনার কাছে ক্ষুদ্র মনে হবে যখন এটিকে আমাদের ছায়াপথের ( Milky way) এর অন্যান্য বস্তুর সাথে তুলনা করা হবে। ছায়াপথটি প্রায় ২৫০ বিলিয়ন নক্ষত্র(সূর্য) নিয়ে গঠিত।
আমাদের সবচেয়ে কাছেরটি হচ্ছে Alpha Centauri । যদি সূর্য এবং পৃথিবী ২৮০ মিটার দূরত্বে হয় তবে একই পরিমাপ ( অনুপাত) অনুযায়ী Alpha Centauri হবে প্রায় ৭৮০০০ কিঃমিঃ ( ৪৮৫০০ মাইল)। এখন এই আনুপাতিক দূরত্ব এবং এবং আয়তন বা আকৃতিকে আনুপাতিক হারে কমিয়ে আনি যেখানে পৃথিবী হবে ক্ষুদ্র বালি কনা যা খালি চোখে দেখা কষ্ট কর। তখন সূর্য হবে একটি চিনা বাদামের সমান যা পৃথিবী থেকে ৩ মিটার দূরত্বে থাকবে। আর Alpha Centauri সূর্য থেকে ৬৪০ কিমি দূরত্বে থাকবে এবং এর আকৃতি হবে একটা বড় ফুটবলের সমান। কিন্তু ছায়াপথটি আরও প্রায় ২৫০ বিলিয়ন তারকা দ্বারা গঠিত যাদের মধ্যে এর চেয়েও বেশী দূরত্ব বিদ্যমান। আমাদের সৌর জগত এর মধ্যে ছোট আকারের ব্যবস্থা।
তার চেয়েও মজার ব্যাপার হচ্ছে আমাদের ছায়াপথটি ও এই মহাবিশ্বের মধ্যে ক্ষুদ্র জায়গা দখল করে আছে যখন এটিকে আমরা এই মহাবিশ্বের প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ছায়াপথের সাথে তুলনা করবো। আর এদের মধ্যে দূরত্ব হবে সূর্য এবং Alpha Centauri এর মধ্যকার দূরত্বের কয়েক মিলিয়ন গুন। যখন পুরো মহাবিশ্বকে গণনায় আনব তখন সূর্য একটি ছোট কনার চাইতে বেশী কিছু নয়। আর আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী হবে একটি পরমাণুর মতো। তাহলেই ভাবুন আমারা কতটা ক্ষুদ্র এই মহাবিশ্বের বিশালতার তুলনায়। এখন যদি বিগ ব্যাং একটি অপরিকল্পিত এবং অনিয়ন্ত্রিত কাঁকতলিয় ঘটনা হয় তাহলে কিভাবে সৌর জগত ও পৃথিবীর মতো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ সঠিক এবং ত্রুটিহীন ভাবে সৃষ্টি হয়? বিজ্ঞানের অনেক নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষাও এতটা নিয়ন্ত্রিত ভাবে পরিচালনা সম্ভব হয় না। কোনো অতি উন্নত এবং শক্তিশালী মস্তিষ্কের পরিকল্পনা এবং নিয়ন্ত্রন ছারা কি এসব সম্ভব?
কিন্তু আমাদের নাস্তিক ভাইয়েরা, যারা নিজেদের বিজ্ঞান মনস্ক এবং বিজ্ঞানের পূজারি, মহাজ্ঞানী ভাবেন তারা এত সূক্ষ্ম এবং ত্রুটিহীন নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাকে কাঁকতলিয় বলার মতো অবৈজ্ঞানিক কথায় বিশ্বাস করে বসে থাকেন। যেসব ঘটনার উপযুক্ত ব্যাখ্যা তারা নিজেদের বিশ্বাস থেকে দিতে পারেন না, যেসব ঘটনা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব প্রমাণ করে সেসব ঘটনাকে উনারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব অস্বীকার করার জন্য কাঁকতলিয় বলে চালিয়ে দিতে চান। আর এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিতে এবং পরিচালনায় স্রষ্টার কতৃত্বের জ্বলন্ত সত্য অস্বীকার করার জন্য বা বলা ভাল মানুষের চোখকে ধুলো দেয়ার জন্য মাল্টি ভার্স তত্ত্বের মতো আজগুবি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী প্রদান করা হয় যা বিশ্বাস করার চেয়ে স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করা অনেক সহজতর। এই মহাবিশ্বের সৃষ্টির পিছনে একজন স্রষ্টা আছে এটাতো আর বিজ্ঞানীরা বলতে পারেনা, সেই জন্য বলে দিল যে জগতে অসীম সংখ্যক ইউনিভার্স আছে যেখানে এভরী পসিবল ঘটনাই ঘটছে। মানে আরও অনেক ইউনিভার্স আছে যেখানে ঠিক আপনার মতন আরেকটা মানুষ এখন ঠিক এই লেখাটাই পড়ছে, কিন্তু পড়ার পরে আপনি হয়তো যাবেন ভাত খেতে আর সে যাবে টয়লেটে, আর বাকি অসিম সংখ্যক আপনার ডুপ্লিকেটেরা আরও অসীম সংখ্যক সম্ভাব্য কাজ করতে যাবে।
অর্থাৎ এই থিউরী অনুযায়ী যা যা হওয়া সম্ভব তার সবই কোন না কোন ইউনিভার্সে ঘটছে। মহাবিশ্বের এই নিপুন সুশৃংখলতার যৌক্তিক উত্তর না দিতে পেরে বিজ্ঞানীরা এমন থিউরী দিল যেই থিউরীর সত্য হবার সম্ভাবনার চেয়ে একজন ইশ্বরের অস্তিত্বের সম্ভাবনাই বেশী। অনেকগুলো মহাবিশ্ব যদি থেকে থাকে তবে এখানেই নিয়ন্ত্রিত ভাবে এক্সপ্লোসান কিভাবে হলো? কাঁকতলিয় ভাবে। তাই না? গ্রহগুলোর সপ্রসারন হার নিখুত হলো কিভাবে? তাও কাঁকতলিয়,। গ্রহ নক্ষত্র গুলোর মধ্যে দূরত্ব এত নিখুত হলো কিভাবে? তাও কাঁকতলিয়। এমন আরও অনেকগুলো বিষয় কিভাবে মানুষের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে হলো? তাও কাঁকতলিয় ভাবে। তাই না? এতসব কাঁকতলিয় ব্যাপার এই মহাবিশ্বে কিভাবে ঘটলো? তাও কাঁকতলিয় ভাবে। কি দারুন কৌতুক। এই মহাবিশ্ব স্রষ্টার সৃষ্টি এবং স্রষ্টার অস্তিত্বের কথা নাস্তিকরা অস্বীকার করেন তাঁকে দেখছেন না বলে। তখন কোনো লজিক এ যেতে চাননা উনারা। কিন্তু মাল্টি ভারস থিয়রির মতো সাইন্স ফিকসান, অনেক গুলো মহাবিশ্ব আছে একথা না দেখেই বা কোন প্রমাণ না পেয়েই তা অন্ধের মত বিশ্বাস করেন তারা । আর ধার্মিকদের অন্ধ বিশ্বাসী বলে কৌতুক করেন। সত্যিই আজব চিজ। নিজের বিশ্বাস সম্পর্কে উনারা কিছুই বলেন না। আস্তিকদের প্রশ্ন করে বা ভুল ধরে নিজের বিশ্বাস দৃঢ় করতে চান। নিজেদের বিজ্ঞান মনস্ক বলে দাবি করেন।
কিন্তু মহাবিশ্বের সৃষ্টির ক্ষেত্রে নিজের বিশ্বাস অনুযায়ী যখন ব্যাখ্যা দিতে পারেন না তখন স্রষ্টার অস্তিত্ব স্বীকার না করে মাল্টি ভারস থেয়রির মত আজগুবি জিনিস বগলদবা করে লাফাতে থাকেন। বা অ্যান্থ্রপিক প্রিন্সিপাল লজিক এ বিশ্বাস করেন। কিন্তু স্রষ্টার অস্তিত্বের ক্ষেত্রে চাক্ষুস প্রমাণ চান, কোনো লজিক এ যেতে চান না। সত্যিই মজার উনাদের কাণ্ডকারখানা। মহাবিশ্বে মহাজাগতিক বস্তু সমুহের অবস্থান এবং এদের মধ্যে দূরত্ব পৃথিবীতে প্রানের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। কসমিক বল দ্বারা নক্ষত্রগুলোর মধ্যকার দূরত্ব এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে যা পৃথিবীকে মানুষের জীবনধারণের উপযোগী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। মহাজাগতিক বস্তু সমূহের মধ্যকার দূরত্ব যদি কিছু কম হোতো তবে মহাকর্ষীয় আকর্ষণ, গ্রহগুলোর স্বাভাবিক অবস্থা, তাপমাত্রা ইত্যাদির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটত। যদি মহাজাগতিক বস্তুগুলোর মধ্যে দূরত্ব কিছুটা বেশী হোতো তবে বস্তুগুলো সুপারনোভা অবস্থায় ছরিয়ে ছিটিয়ে যেত। ফলে গ্রহাণুগুলো একত্রীত হতে পারত না এবং আমাদের পৃথিবীর মতো গ্রহ তৈরি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ঘনত্বে পৌছাতে পারত না। মহাকাশ বিজ্ঞানী জর্জ গ্রিনস্টেইন এই অভাবনিয় ব্যবস্থার ব্যাপারে বলেন,
“ যদি তারকাগুলোর মধ্যবর্তী দূরত্ব কিছুটা কম হোতো তবে astrophysics খুব একটা পরিবর্তন হোতো না। পদার্থ বিদ্যার মৌলিক নিয়ম, যেসব নক্ষত্র, নেবুলা ইত্যাদির মধ্যে ক্রিয়াশীল সেসবও খুব একটা পরিবর্তিত হতো না। শুধু মাত্র ছোট খাট কিছু পরিবর্তন হোতো। যেমন, রাতে ঘাসের মেঝেতে শুয়ে রাতের যে আকাশটা দেখি তা কিছুটা উজ্জ্বল দেখাত। আর আরেকটি ছোট্ট পরিবর্তন হতো। তা হচ্ছে, রাতের এই উজ্জ্বল আকাশ দেখার জন্য আমি বা আপনি কেউই থাকতাম না। অন্যকথায়, নক্ষত্ররাজি এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে,এতটা নিখুত ভাবে করা হয়েছে যতটা এই পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্বের জন্য প্রয়োজন। এই অপরিসিম মহাবিশ্ব কোনো কাঁকতলিয় ঘটনার মাধ্যমে সৃষ্ট নয়। এটি একটি পরিকল্পিত এবং তৈরিকৃত ব্যবস্থা যা মহান আল্লাহতায়ালা নিয়ন্ত্রন করেছেন। কার্বন যাকে বলা হয় ‘Element of life ‘ অতিকায় নক্ষত্রগুলোর কেন্দ্রে অলৌকিক নিউক্লিয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। যদি এমন বিক্রিয়া না ঘটত তবে এই মহাবিশ্বে কার্বন বা অন্য পদার্থের সৃষ্টি হোতো না। ফলে কোনো জীবনেরও উৎপত্তি হোতো না। এই নিউক্লীয় বিক্রিয়াটিকে অলৌকিক বলা হচ্ছে কারন এই পরিবর্তন বা বিক্রিয়াটি সাধারন অবস্থায় ঘটে না।"
ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। নক্ষত্রগুলোর কেন্দ্রে কার্বন অণুগুলো সৃষ্টি হয় দুটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায়। প্রথমত ২ টি হিলিয়াম অনু একত্রীত হয়ে ৪ টি প্রোটন ও ৪ টি নিউট্রন বিশিষ্ট অস্থিতিশীল বেরিলিয়াম অনুর সৃষ্টি হয়। তখন এটি ৩য় হিলিয়াম অনুর সাথে যুক্ত হয়ে ৬ টি প্রোটন ও ৬ টি নিউট্রন বিশিষ্ট কার্বন অনুর সৃষ্টি করে।এই পদ্ধতিতে ১ম অবস্থায় উৎপন্ন হওয়া বেরিলিয়াম অনু পৃথিবীতে প্রাপ্ত বেরিলিয়াম অনুর চেয়ে ভিন্ন ধরনের। কারন আমাদের পর্যায় সারণীতে প্রাপ্ত বেরিলিয়াম অনু একটি অতিরিক্ত নিউট্রন ধারন করে। নক্ষত্রগুলোর মধ্যে প্রাপ্ত এই অস্বাভাবিক বেরিলিয়াম অনু বিজ্ঞানীদের ধাঁধায় ফেলে দেয়। কারন এটি অতিমাত্রায় অস্থিতিশীল। এতোটাই যে এটি তৈরি হওয়ার ১/১০^১৫ বা ০.০০০০০০০০০০০০০০১ সেকেন্ডের মধ্যে বিভাজিত হয়ে যায়। তাহলে এই বেরিলিয়াম অনু কিভাবে কার্বন অনু সৃষ্টি করে, যখন তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই ভেঙ্গে যায়? তাহলে কি কাঁকতলিয় ভাবে হিলিয়াম অনু বেরিলিয়াম অনুর সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন তৈরি করে? কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তাও তো সম্ভব নয়। কারন ২ টি অনু আলাদা ভাবে যুক্ত হয়ে ০.০০০০০০০০০০০০০০১ সেকেন্ডের মধ্যে যুক্ত হয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে না। বিজ্ঞানী পল ডেভিস এই বিক্রিয়াকে এভাবে ব্যাখ্যা করেন,
“নক্ষত্রগুলোর মধ্যে কার্বন অনু তৈরি হওয়ার নিউক্লীয় বিক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করে ফ্রেড হোয়ল আশ্চর্যান্বিত হয়ে যান এটা দেখে যে বিক্রিয়াটি সৌভাগ্যক্রমে ঘটে থাকে। একটি জটিল এবং প্রায় অসম্ভব এক পদ্ধতিতে অর্থাৎ ৩ টি উচ্চশক্তি সম্পন্ন হিলিয়াম অনুর নিউক্লীয় ফিউশন বিক্রিয়া দ্বারা কার্বন গঠিত হয়। এই বিক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট হারে এবং নির্দিষ্ট শক্তিতে ঘটে থাকে। সৌভাগ্যক্রমে, এই রেজোন্যান্স খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ঘটে থাকে। এমন একটি নিউক্লীয় বিক্রিয়া কাঁকতলিয় এর চেয়েও বেশী কিছু, এক কথায় এটি অসম্ভব। কারন ৩ টি নিউক্লিয়াস এর মধ্যে নিউক্লীয় বিক্রিয়া খুবই বিরল।“
যেহেতু পল ডেভিস একজন নিখাদ বস্তুবাদী এবং নাস্তিক, তাই তিনি এটিকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন একটি অর্থহীন শব্দ ‘সৌভাগ্যক্রমে’ দিয়ে। যেহেতু ‘অলৌকিক’ কথাটা তার বিশ্বাসের সাথে খাপ খায় না তাই তিনি অবৈজ্ঞানিক lucky fluke বা good fortune দ্বারা এটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। নক্ষত্রগুলোর মধ্যে Double Resonance এর মতো একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে থাকে। প্রথমত ২ টি হিলিয়াম অনু যুক্ত হয়ে বেরিলিয়াম অনু গঠিত হয়। এরপর ১/১০^১৫ সেকেন্ডের মধ্যে এটি ৩য়আরেকটি হিলিয়াম অনুর সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন অনুর সৃষ্টি করে। জর্জ গ্রিনস্টেইন ব্যাখ্যা করেন কেন এই Double Resonance অতি অসাধারন একটি প্রক্রিয়া। তিনি বলেন,
“There are three quite separate structures in this story—helium, beryllium, and carbon— and two quite separate resonances. It is hard to see why these nuclei should work together so smoothly… Other nuclear reactions do not proceed by such a remarkable chain of lucky breaks…It is like discovering deep and complex resonances between a car, a bicycle, and a truck.”
কেন এবং কিভাবে এই অদ্ভুত এক বিক্রিয়া এত নিপুনভাবে ঘটে থাকে? বিশেষ করে যার উপর আমাদের এবং সব প্রানের অস্তিত্ব নির্ভর করে? এখানে আমরা দেখতে পাই, জর্জ গ্রিনস্টেইন ( আরেকজন নাস্তিক বিজ্ঞানী) এই বিক্রিয়াটিকে ব্যাখ্যা করেন ‘a remarkable chain of lucky breaks’ এর মত অগ্রহণযোগ্য কথা দিয়ে। কারন কাঁকতলিয় ভাবেও এমনটা ঘটা অসম্ভব। কার্বন ছারাও অন্য কিছু মৌল যেমন, অক্সিজেন এমন অনন্য সাধারন পদ্ধতিতে তৈরি হয়। ফ্রেড হোয়েল এই প্রক্রিয়াটি আবিস্কার করেন এবং তার বই ‘ Galaxies, Nuclei and Quasars’ এ তিনি বলেন যে এমন একটি বিক্রিয়া কাঁকতলিয় ভাবে ঘটতে পারে না। একজন বস্তুবাদী হওয়া সত্ত্বেও তিনি স্বীকার করেন এই প্রক্রিয়া কোন পরিকল্পনারই ফল, কাঁকতলিয় কোন ঘটনা নয়। অন্য একটি আর্টিকেল এ তিনি বলেন,
"If you wanted to produce carbon and oxygen in roughly equal quantities by stellar nucleosynthesis, these are the two levels you would have to fix, and your fixing would have to be just about where these levels are actually found to be…A commonsense interpretation of the facts suggests that a super intellect has monkeyed with physics, as well as chemistry and biology, and that there are no blind forces worth speaking about in nature. The numbers one calculates from the facts seem to me so overwhelming as to put this conclusion almost beyond question”
এই অলৌকিক প্রক্রিয়াটি তাঁকে এতোটাই বিস্মিত করে যে তিনি বলেন বিজ্ঞানীরা এই জ্বলন্ত সত্যটা কখনোই অস্বীকার করতে পারবে না। এটি এই মহাবিশ্ব, পৃথিবী এবং প্রান বা মানুষ সৃষ্টি যে একটি পরিকল্পনার ফসল তার একটি উজ্জ্বল প্রমাণ। তিনি স্বীকার করেন যে এই মহাবিশ্ব কাঁকতলিয় ভাবে সৃষ্টি হয়নি, কোনো উদ্দেশ্যেই এর সৃষ্টি। এটি সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহতায়ালার মহান সৃষ্টি। এ সম্পর্কে কোরআনে বলা আছে,
"আমি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী যা আছে তা তাৎপর্যহীন সৃষ্টি করিনি। কেয়ামত অবশ্যই আসবে। অতএব পরম ঔদাসীন্যের সাথে ওদের ক্রিয়াকর্ম উপক্ষো করুন।" (১৫:৮৫)
"আমি এ আসমান ও যমীন এবং এর কাছের সমস্ত জিনিস খেলাচ্ছলে তৈরি করিনি।এসবই আমি যথাযথ উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি। কিন্তু অধিকাংশ লোকই জানে না। (৪৪:৩৮-৩৯)
ছায়াপথে আমাদের সৌরজগতের অবস্থান নিপুণভাবে পরিকল্পিত। এর trajectory গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে অনেক দূরে এবং গ্যালাক্সির সর্পিল বাহুগুলোর ( spiral arms) বাহিরে। গ্যালাক্সির সর্পিল বাহুগুলো নির্দিষ্ট কোণ এবং তল বজায় রেখে গ্যালাক্সির কেন্দ্র হতে বের হয়ে গেছে। পরপর দুটি বাহুর মধ্যবর্তী স্থানে খুব নগন্য সংখ্যক সৌর ব্যবস্থা আছে যার মধ্যে আমদের সৌরজগত একটি। এই সর্পিল বাহুগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে আমাদের সৌরজগতের অবস্থান কি কাঁকতলিয়? আসুন বোঝার চেষ্টা করি। যদি আমাদের সৌর জগতের অবস্থান গ্যালাক্সির সর্পিল বাহুর ভিতরে হোতো তবে আমাদের সৌরজগত গ্যস এবং গ্যসিয় বস্তু দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকত। ফলে আমারা এখন রাতের আকাশের তারকা সজ্জিত যে সৌন্দর্য দেখি তা এত পরিষ্কার দেখা যেত না।
আর যদি এই সৌরজগতের অবস্থান গ্যালাক্সির কেন্দ্রে হোতো তবে আমরা গ্যলাক্সির এই রহস্যময় সর্পিল রুপ দেখতে পেতাম না এবং আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পেতাম না। তাই সৌরজগতের এই অবস্থান শুধু আমাদের অস্তিত্বের জন্যই নয়, মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ছায়াপথ সাধারনত দুটি সর্পিল বাহুর মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থানরত তারকাগুলো খুব বেশী সময়ের জন্য তাদের এই অবস্থান ধরে রাখতে পারে না। কারন এসব তারকা সর্পিল বাহু দ্বারা শোষিত হয়। কিন্তু গ্যালাক্সিতে সর্পিল বাহু দুটির মধ্যবর্তী স্থানে আমাদের সৌরজগতের অবস্থান ৪.৫ বিলিয়ন বছর ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। এই সুস্থিতির কারন আমাদের সূর্যের অবস্থান এমন একটি trajectory তে যাকে বলা হয় ‘ Galactic Co-rotation Radius’ ।
গ্যলাক্সির দুটি সর্পিল বাহুর মধ্যবর্তী স্থানে কোনো তারকার সুস্থিত অবস্থান নির্ভর করে গ্যলাক্সির কেন্দ্র হতে এর দূরত্বের উপর। এটিকে অবস্থান করতে হবে Co-rotation Radius এ যাতে এটি সর্পিল বাহুগুলোর সমান গতিতে কেন্দ্রের চারিদিকে পরিভ্রমণ করতে পারে। আমাদের গ্যলাক্সির বিলিয়ন বিলিয়ন তারকার মধ্যে আমাদের সূর্যেরই এই বিশেষ অবস্থান এবং প্রয়োজনীয় দ্রুতি আছে। সর্পিল বাহুগুলোর ভেতরে অবস্থিত তারকাগুলোর মধ্যে প্রায়ই সংঘর্ষ হয়। এই বাহুর বাহিরে সুস্থিত অবস্থান করার কারনে আমাদের সৌরজগত এই মহাবিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। এছারাও এই অবস্থানের কারনে আমাদের সৌরজগত সুপারনোভা বিস্ফোরণের মারাত্মক ক্ষতির সিমার বাহিরে অবস্থিত। যদি আমাদের সৌরজগত গ্যালাক্সির অন্য কোনো অবস্থানে থাকত তবে আমাদের পৃথিবী এত বছর ধরে টিকে থাকতে পারত না। মাইকেল ডেন্টন তার ‘ Nature’s Destiny’বইটিতে বলেন,
"Thanks to the creation of our solar system in this special position, life—and human life— can be sustained on Earth. This is the reason why we can investigate the universe we live in and observe the unequalled, supreme, spectacular artistry in God’s creation."
এই মহাবিশ্বে আমাদের সৌরজগতের অবস্থান এটাই প্রমাণ করে যে এটি মহান আল্লাহতায়ালা মানুষের জীবন ধারনের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তিনিই স্তরে স্তরে সাজিয়ে সাতটি আসমান তৈরী করেছেন।
"তুমি রহমানের সৃষ্টকর্মে কোন প্রকার অসংগতি দেখতে পাবে না। আবার চোখ ফিরিয়ে দেখ, কোন ক্রটি দেখতে পাচ্ছ কি? তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ, তোমার দৃষ্টি ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসবে। (Qur’an, 67:3-4)
বিষয়: বিবিধ
১১৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন