রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ মায়ানমারের সাথে যুদ্ধে জড়ানোর ফলাফল কি হতে পারে?
লিখেছেন লিখেছেন নৈশ শিকারী ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:১২:৩৮ দুপুর
বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত বিষয় হচ্ছে মায়ানমারের রোহিঙ্গা নিধন ইস্যু।বিশ্বের সমস্ত চাপকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মায়ানমার আর্মি তাদের হত্যাযজ্ঞ এখনো অব্যাহত রেখেছে যা অত্যন্ত দুঃখ জনক। আপাতদৃষ্টিতে একটা ব্যাপারে সবায় একমত যে, রোহিঙ্গা সম্প্রদায় শুধু মাত্র মুসলিম হওয়ার অপরাধে তাদের উপর এই নির্যাতন জারী আছে; কিন্তু বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করলে আরো অনেক সত্য আমাদের সামনে আসে যা হয়তো অনেকের চিন্তারও বাহিরে। এবিষয় নিয়ে আমি আপনাদের সামনে আমার নিজস্ব কিছু ভাবনা ও মতামত উপস্থাপন করছি, যা হয়তো আপনাদের চক্ষুপর্দা উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।
মায়ানমারে বর্তমানে যে গণহত্যা চলছে তা কিন্তু শুধু মায়ানমারের একার সিদ্ধান্ত না এটা আমরা সহজেই অনুমান করতে পারি, কেননা তাদের এই গণহত্যায় পশ্চিমা বিশ্বের নিস্তব্ধতা আমাকে এটা ভাবতে বাধ্য করেছে। আমরা জানি যে, আমেরিকা, ইসরাইল এবং রাশিয়ার মতো পশ্চিমা দেশ গুলোর অন্যতম প্রধান ব্যবসাই হচ্ছে অস্ত্র ব্যবসা। তাই সমগ্র বিশ্বের কোথাও না কোথাও অস্থিতিশীল যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করা তাদের ব্যবসারই একটা অংশ। সহিংসতা মুক্ত পৃথিবী মানে পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনীতি ধ্বংস হওয়া সেজন্য তারা আলকায়দা, আইএস এর মতো কথিত সংগঠন গুলো তৈরি করে নিজেদের অস্ত্র ব্যবসাকে চাঙ্গা রেখেছে। এখন মূল কথায় আসি, মায়ানমার মূলত রোহিঙ্গাদেরকে তাদের মাথা ব্যাথা মনে করে অনেক আগে থেকেই, কিন্তু রোহিঙ্গাদেরকে সমূলে বিনাশ করার চিন্তা আগে কখনোও তাদের মাথায় আসেনি কেন? আর বর্তমান সময়ে হঠাৎ করে সবায়কে গণহত্যা করা এবং খেদিয়ে বাংলাদেশের দিকে পাঠানোটা অত্যন্ত রহস্যময় বিষয় না? আবার ইসরাইলীরাও একই সময়ে মায়ানমারের কাছে অবাধে অস্ত্র বিক্রয় করছে; পাঠকবৃন্দ সম্ভবত এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে, রোহিঙ্গা নিধনের ইঙ্গিত কোথা থেকে আসছে! আর উক্ত গণহত্যায় আমেরিকা, চীন, ভারত, কোরিয়া এবং রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশগুলো মৌন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ইহদী গোষ্ঠীর এক হঠকারী কুপ্ররোচনার ফলে লাভবান হচ্ছে ইসরাইলীরা, উগ্র মুসলিম বিরোধিরা সহ আরও অনেকে।
পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে আবেগ প্রবন জাতি সম্ভবত বাঙ্গালিরাই। এটা বলার কারন আমরা শক্তি সামর্থ না থাকা সত্যেও শুধু দেশপ্রেমের আবেগে তাড়িত হয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং স্বাধীনতার সংগ্রাম করেছি যার সুফল আজ পুরো জাতি ভোগ করছে। মায়ানমারের বর্তমান হত্যাযজ্ঞের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে দেখতে পারবেন যে, তাদের সেনারা রোহিঙ্গাদের গুলি করে হত্যার পাশাপাশি নৃশংস ভাবে শরীর গুলোকে টুকরো টুকরো করছে, আগুন দিয়ে পোড়াচ্ছে অথবা জীবন্ত চামড়া ছাড়িয়ে নিচ্ছে! তারা কি একটু কম নিষ্ঠুরতা অবলম্বন করে এই হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারতো না? তাদের এই নিষ্ঠুরতা কি তাদের জাতিগত নিষ্ঠুরতা? নাকি এই নিষ্ঠুরতা প্রয়োগ করে মুসলিম বিশ্বের সুপ্ত চেতনাকে জাগিয়ে তাদেরকে যুদ্ধের দিকে ধাবিত করতে চাচ্ছে; কিংবা মুসলিম বাঙ্গালি তথা আমাদেরকে এবং আমাদের আবেগ প্রবন সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে যুদ্ধের আহবান জানাচ্ছে? আর মায়ানমার যে আমাদের যুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে তার প্রমাণ আমরা পাই বারবার তারা আমাদের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করছে তা থেকে। যদি যুদ্ধের আহবান জানিয়েও থাকে তাহলে কেন তাদের এই চাওয়া? এই ব্যাপারটি খোলাসা করার আগে আপনাদের সামনে আরো কিছু বিষয় আলোকপাত করা একান্ত প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক সময়ে একটা সংবাদ আমার খুব চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে আর তা হল, মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক তেলের মজুদ গুলো ফুরিয়ে আসছে! বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশী তেলের মজুদ রয়েছে সৌদিতে। ২০১১ সালের জরিপ অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদক কোম্পানি আরামকোর তথ্যানুসারে সেখানকার বর্তমান তেলের মজুত প্রায় ২৬৮ বিলিয়ন ব্যারেল! যা সারা পৃথিবীর আবিষ্কৃত তেলের মজুতের ৫ ভাগের একভাগ। এত বড় তেলের মজুত থাকা সত্যেও তা কিন্তু অফুরন্ত নয় কেননা বৈশ্বিক চাহিদা পূরণের জন্য তাদের প্রতিনিয়ত তেল রপ্তানি করা লাগছে; আর এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের তেলের মজুত প্রায় শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে সৌদি থেকে সবচেয়ে বেশী তেল আমদানি কারক দেশ আমেরিকা! আমেরিকার সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি এই তেল। তেল ছাড়া তাদের দেশের শিল্প এবং বানিজ্যের চাকা সচল রাখার জন্য বিকল্প কোন রাস্তাও নাই। তাছাড়া সৌদি সরকারও নিজের দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য সংরক্ষণের নিমিত্তে অতি সত্তর তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই আমেরিকা তাদের দেশের উন্নয়ের চালিকাশক্তি অব্যাহত রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আমেরিকা যে তেলের জন্য সন্ত্রাসবাদ দমনের অজুহাতে পৃথিবীর ইতিহাসে কলঙ্কিত দুই যুদ্ধ রচনা করেছিল তা ওপেন সিক্রেট বিষয়। স্বীয় সৃষ্টকৃত উসামা বিন লাদেন নামের জঙ্গি সম্রাটের কাঁধে বন্দুক রেখে টুইনটাওয়ার হামলার ছক সাজিয়ে ছিল আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সি আই এ এবং তৎকালিন বুশ প্রশাসন নিজে। সাম্প্রতিক কালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটা সাক্ষাতকারে এই ঘটনার সত্যতার প্রমাণ আরো দৃঢ় হয়; মি. পুতিন দাবী করেন যে তার কাছে এমন একটি গোপন ভিডিও আছে যা দিয়ে তিনি প্রমাণ করতে পারবেন যে, ৯/১১ হামলার দায় সম্পূর্ণ আমেরিকার!! এই হামলাকে পুঁজি করে মুসলিমদেরকে বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী প্রমাণ করে; মূলত তেলের জন্য আফগানিস্তানে যুদ্ধ করাই আমেরিকার আসল উদ্দেশ্য ছিল। আবার ইরাক যুদ্ধের দিকে তাকালেও আপনারা একই ব্যাপার উপলব্ধি করতে পারবেন। যে দেশ নিজের অর্থনীতির চালিকাশক্তি অব্যাহত রাখার জন্য নিজের দেশেই টুইনটাওয়ারে হামলার মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার মানুষের প্রান নিতে পারে, একই ইস্যুকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তান এবং ইরাকের মত শান্তিপ্রিয় মুসলিম রাষ্ট্রে যুদ্ধ পরিচালনার মাধ্যমে লাখো বেসামরিক মুসলিমকে হত্যা করে তাদের রক্ত নিয়ে হোলি খেলতে পারে, সেই দেশের পক্ষে কি তেলের বিকল্প অফুরন্ত গ্যাসের প্রাচুর্য সহ আরো নানা খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ আমার সোনার বাংলাদেশে, মায়ানমারের রোহিঙ্গা নিধনের প্রতিবাদ স্বরূপ পদক্ষেপের দায়ে আমাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে খনিজ সম্পদের জন্য যুদ্ধ পরিচালনা করার চিন্তা করাটা কি অসম্ভব??? একবার চিন্তা করে দেখুন!
ইসরাইলী সরকারের রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে একটি কূটচাল আমাদের দেশকে দ্বিমুখী সমাস্যায় ফেলেছে। মায়ানমার আন্তর্জাতিক ভাবে এটা প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে যে, রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসবাদ কায়েমকারী জঙ্গিগোষ্ঠী এবং তাদেরকে হত্যা করাটা অত্যন্ত জরুরী আর পশ্চিমা বিশ্বের নিস্তব্ধতা এটা বোঝাচ্ছে যে, তারা এই মিথ্যাচার মেনেও নিয়েছে। এমতাবস্থায় মানবতার খাতিরে আমরা যখন তাদের গণহত্যার প্রতিবাদ জানাবো কিংবা তাদের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবো তখন আমরাও হব জঙ্গিবাদ সমর্থনকারী এবং জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা জাতি। এর ফল স্বরূপ আমেরিকার মত পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের দেশে তাদের কু-লিপ্সা চরিতার্থ করার প্রয়াসে যুদ্ধ করার একটা জায়েজ তরিকা পেয়ে যাবে। আমেরিকা যদি আমাদের দেশে যুদ্ধ করার চিন্তা করে তাহলে হয়তো আমাদের কথিত বন্ধুরাষ্ট্র, আমেরিকার অন্যতম গুণগ্রাহী ভারত সার্বিক ভাবে তাদের সমর্থন এবং সহায়তা করবে এতে কোন সন্দেহ নাই। আবার আমেরিকা পক্ষীয় অনেক মুসলিম দেশ সহ পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ মিত্র রাষ্ট্রও এই অন্যায়ের সমর্থন দিবে। পক্ষান্তরে আমেরিকা বিরোধি শক্তি গুলোও কিন্তু বসে বসে আঙ্গুল চুষবে না, তারা চিন্তা করবে হাজার মাইল দূর থেকে আমেরিকা এসে আমাদের পার্শ্ববর্তী সম্পদে হাত দিবে তা কি করে হয়? এরচেয়ে বরং আমরাই এই সম্পদ ভোগ করতে পারি বাংলাদেশকে যুদ্ধে সাহায্যের বিনিময়ে! তখন চীন, উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলো আমেরিকার বিপক্ষীয় শক্তি রূপে আমাদের পাশে দাঁড়াবে নিজেদের নোংরা স্বার্থ হাসিলের জন্য। ফলাফল স্বরূপ দ্বিমুখী চাপে পরে আমাদের ১৭ কোটি মানুষের সোনার বাংলাদেশ পরিণত হবে কয়লা এবং পোড়া ছাইয়ের বাংলাদেশে!ব্যাপারটা শুধু এখানেই থেমে থাকবেনা বরং এটা ধীরেধীরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের রূপও লাভ করতে পারে।
এমতাবস্থায় এই সমাস্যার প্রতিকার আসলে কি? কিংবা কিভাবে আমরা এর থেকে পরিত্রাণ পাবো? এই প্রশ্নদ্বয়ের উত্তর দেয়া বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত কঠিন, আর এই সমাস্যার সমাধান সম্পূর্ণ রূপে করা আসলে সম্ভব না, কেননা আমাদের দেশের খনিজসম্পদের উপর পশ্চিমাদের লোলুপ দৃষ্টি অনেক আগে থেকেই, তাই বর্তমান সংকট সমাধান করলেও পরবর্তীতে কোন না কোন নতুন ষড়যন্ত্রের জাল তারা বিছাবেই। তবে আমরা এই প্রক্রিয়াটাকে ধীর গতির করতে পারি কৌশলের মাধ্যমে। বর্তমানে মায়ানমারের রোহিঙ্গা সমাস্যা যেহেতু আমাদের সামনে এসেছে তাই অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে এর মোকাবেলা করতে হবে। কোন ভাবেই কোন প্রকার আবেগ প্রবন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবেনা, কারণ একটা ভুল সিদ্ধান্ত সারা বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হতে পারে। যার যত টুকো সাধ্য আছে ঠিক ততো টুকু দিয়েই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাহায্য করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটা প্রমাণ করতে হবে যে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী কোন ভাবেই কোন প্রকার জঙ্গি তৎপরতার সাথে জড়িত না এবং তারা শান্তিপ্রিয় বেসামরিক জনগণ।
পশ্চিমাদের লোভি ষড়যন্ত্রের কাছে মানবতাকে কোন ভাবেই হেরে গেলে চলবে না, বরং আমাদের দেশের মিডিয়া সহ আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ মিডিয়ার কাছে মায়ানমার আর্মির নৃশংসতা তুলে ধরতে হবে; বিশেষ করে রোহিঙ্গা নারী এবং শিশুদের উপর হয়ে যাওয়া বর্বরোচিত অত্যাচারের চিত্র গুলো সারা পৃথিবীর সর্বস্তরের জনগণের কাছে আরো বেশী করে তুলে ধরতে হবে। আমাদের মনে রাখতে জনগনের চেয়ে বড় ক্ষমতার উৎস পৃথিবীতে আর কিছুই হতে পারেনা, এমনকি এসব জনগণকে যারা শাসন করে তারাও যতই ক্ষমতাশালী হোকনা কেন কেউই কিন্তু জনশক্তির উর্ধে নয়। তাই সমগ্র বিশ্বের মানবতাবাদী হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে এক প্লাটফর্মে দার করিয়ে সকলে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করতে হবে। যতই উস্কানি আসুক না কেন কোন ভাবেই আমাদের যুদ্ধে জড়ানো চলবেনা, অহিংস এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে এসব উস্কানির সমাধান করতে হবে। আর মায়ানমার সহ তাদের মদতদানকারী দেশগুলো চায় যেকোন ভাবেই হোক আমরা যেন আগে তাদের উপর আক্রমণাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করি, এরফলে আমাদের উপর তাদের একটা যৌথ অভিযান চালানোর মোক্ষম সুযোগ পাবে। তাই আমাদের কোন অবস্থাতেই আগে আক্রমণ করার চিন্ত করা উচিত হবেনা। তবে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিশালী মুসলিম দেশগুলো সহ অন্যান্য শক্তিধর দেশ একত্রে যদি মায়ানমারের উপর আগে প্রত্যক্ষ আক্রমণ চালায় তখন আমরা তাদের সাথে যৌথ অভিযানে অংশ গ্রহন করতে পারি, এর ফলে আমাদের দেশের উপর সহিংসতার ঝুঁকিও কমবে আবার অন্যায়ের সমুচিত জবাবও দেয়া হবে। আমাদের বুঝতে হবে যে, ১৯৫২সালের প্রেক্ষাপট, ১৯৭১ এর প্রেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট মোটেই এক নয়! তাই ১৭ কোটি বাঙালির জীবন হুমকির মুখে পরে এমন সব সিদ্ধান্ত আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলার বিরুদ্ধে সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের কালোহাত আমরা এভাবেই ভেঙ্গে দিব ইনশাআল্লাহ।
বিঃদ্রঃ এই লেখাটি সম্পূর্ণ আমার নিজের বিবেক, বুদ্ধি এবং চিন্তাশক্তি থেকে লিখেছি। যদি উক্ত লেখাটিতে কোন অসংলগ্নতা এবং ভুল পরিলক্ষিত হয় তাহলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং মন্তব্য করে আমার ভুলগুলো শুধরে দিবেন। আরেকটি কথা, দয়া করে কার্টেসি ব্যতিত লেখাটি কেউ কপি করবেন না; তবে চাইলে শেয়ার করতে পারেন, ধন্যবাদ।
বিষয়: বিবিধ
১২১০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধিষ্ণু জনসংখ্যার জন্য আরও অনেক ভুখন্ড দরকার।
পশ্চিমারা তাও তো সো-অফ করছে , এতদিনের প্রতিবেশী পরীক্ষিত বড় ভাইয়েরা তো চুপ মেরে বসে আছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন