শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা: ) এর আগমনের বিষয়ে বিভিন্ন ধর্মের ভবিষ্যৎ বানী ও অনুসন্ধান।

লিখেছেন লিখেছেন নৈশ শিকারী ২১ আগস্ট, ২০১৫, ১২:০৯:২২ দুপুর

"হে লোকগণ, শ্রবন কর। প্রশংসিত জন (নরাশংস) এর সদা প্রশংসা কীর্তণ করি। সে পলাতককে আমরা ষাট হাজার নয় জন শত্রুর মধ্যে পাইলাম।" (অথর্ববেদ, অথ কুন্তাপ সুক্তানিঃ ১)

"সহায় বিহীন সুশ্রবা (প্রশংসিত) নামক রাজার সাথে যুদ্ধ করার জন্য বিশ নরপতি ও ষাট হাজার নিরানব্বই অনুচর এসেছিল।" (ঋগবেদ, মন্ডল-১, সুক্ত-৫৩, মন্ত্র-৯) উল্লেখ্য যে নরাশংস, সুশ্রবা ও মোহাম্মদ এর দ্বারা একই অর্থ - প্রশংসিত ব্যাক্তিকে বোঝায়।আর যার প্রশংসাকীর্তন হচ্ছে সেই, মোহাম্মদ(স) যখন দেশত্যাগী পলাতক তিনি ছিলেন তখন আরববাসীরা সহায় বিহীন। আর তখন আরবের লোকসংখ্যা ছিল প্রায় ষাট হাজার এবং ছিল বিশ নরপতি - বিশগগোত্রের বিশ সর্দার বা গোত্রপতি।

"সদা প্রভু সীনয় হতে এলেন, সেয়ার হতে তাদের প্রতি উদিত হলেন; পারান (আরব) পর্বত হতে আপন তেজ প্রকাশ করলেন।" (বাইবেল, দ্বিতীয় বিবরণঃ ৩৩; ২) [বাইবেলের বর্ণনামতে পারান হল আরবদেশ। (আদিপুস্তকঃ ২১; ২১)]

সুতরাং দেখা যাচ্ছে আরব দেশের পর্বত হতে শেষ নবীর প্রকাশ ঘটবে। আর মোহাম্মদ (স) এর নবীত্বের ঘোষণা বা স্বীকৃতি আসে এই আরবের হেরা পর্বতের গুহায়। "যিনি স্ত্রীগণের সাথে বিশটি উটে প্রবাহমান।" (অথর্ববেদ, অথ কুন্তাপ সুক্তানিঃ ২)

উল্লেখ্য যে কয়েকজন স্ত্রীদের সাথে নিয়ে উটের বাহনে মরুভূমিতে যাতায়াত করতেন মোহাম্মদ(স)।||

"এই শিশুর এই তরুনের কাজ বড়ই বিচিত্র। সে স্তন্যপানের জন্য মায়ের কাছে যায় না। এর মায়ের স্তন্য গ্রহন নেই, তবু এ জন্মমাত্রই মহান দেবপ্রদত্ত কার্যভার গ্রহন করল।" (সামবেদ, আগ্নেয় কান্ডঃ ৬৪)

উল্লেখ্য যে মোহাম্মদ(স) শিশুকালে তার মাতার দ্বারা প্রতিপালিত হননি এবং মায়ের দুধ পান করেননি বরং হালিমা নামী এক ধাত্রীর স্তন্য পান করে ও তার দ্বারা প্রতিপালিত হয়ে শৈশবকাল কাটান তিনি।"

"দশ হাজার অনুচর সহ -"••• নিখিল বিশ্বের হিতকারী দশ হাজার অনুচরসহ বিখ্যাত হবেন।" - [ঋগবেদঃ(৫;২৭; ১) (১;৯৪; ১৬) (১; ৯৬; ৯) (১; ৯৮ ; ৩) (১; ১০৫; ১৯) (১; ১0৭ ; ৩) (১; ১০৯; ৮)]

"দেখ, সদাপ্রভু দশ হাজার সাধুগণের সহকারে আগমন করেছেন।" ( যীহুদাঃ ১; ১৪)

"তিনি দশ হাজার সাধুগণের সাথে এলেন। ( বাইবেল, দ্বিতীয় বিবরণঃ ৩৩; ২) আর মোহাম্মদ(স) যুদ্ধজয়ী হয়ে দশ হাজার অনুচরসহ মক্কায় আগমন করেন। (Washington Irving, Life of Muhammad, page-17)

"অতএব আমি তোমাদের বলছি, পরমেশ্বরের রাজত্ব তোমাদের নিকট হতে কেড়ে নেওয়া হবে এবং তা এমন এক জাতিকে প্রদান করা হবে যারা তার ফল আনয়ন করবে।" (বাইবেল, মথিঃ ২১; ৪৩) অর্থাৎ যীশুর পরবর্তী নবী বা ঋষির রাজত্ব হবে যীশুর রাজ্য ইসরাইলে নয়, অন্য রাজ্যে। আর মোহাম্মদের(স) রাজ্যও ছিল ইসরাইলের বাইরে আরবে তথা বাইবেল মতে ।

"•• কিন্তু তিনি, আমার পর যিনি আবির্ভুত হবেন তিনি আমার অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী। আমি তার জুতা বহন করারও যোগ্য নই।" (বাইবেল, মথিঃ ৩; ১১)

অর্থাৎ তার সন্মান হবে যীশুরও উপরে। যা একমাত্র মোহাম্মদ (স) এর জন্যই প্রযোজ্য হতে পারে।

"আমি তোমাদের সাথে আর বেশি কিছু বলিতে চাই না। কারণ এই জগতের সম্রাট আসিতেছেন।" (বাইবেল, জোহনঃ ১৪; ৩০). ।" অতএব এরপর আর এই জগতের সম্রাট শেষ নবী/ঋষিকে চিনে নিতে সন্দেহের কোন অবকাশ থাকে কি ?

বিষয়: বিবিধ

২৫৫৬ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337299
২১ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০১:৫৯
নাবিক লিখেছেন : দারুণপোস্ট,অনেক ভালো লাগলো
২১ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৪০
278994
নৈশ শিকারী লিখেছেন : জাযাকাল্লাহ; ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইলো।
337334
২১ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৯
শেখের পোলা লিখেছেন : কিন্তু সেই সম্রাটকে তারা অস্বীকার করে৷ এমনই নরাধম এরা৷ ধন্যবাদ৷
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:১০
279077
নৈশ শিকারী লিখেছেন : "এমনই নরাধম এরা৷"

১০০% সহমত, আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
337374
২১ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:৪৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:১১
279078
নৈশ শিকারী লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
337412
২১ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৫৯
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : এই বিষয়ে ডাঃ জাকির নায়েক এর লেকচার শুনেছিলাম, আপনার লেখাটিও ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:১৪
279079
নৈশ শিকারী লিখেছেন : আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইলো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File