নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসি ভাইদের কাছে আমার কিছু প্রশ্ন; আশা করি সকলে উত্তর দিবেন।

লিখেছেন লিখেছেন নৈশ শিকারী ০৪ আগস্ট, ২০১৫, ০১:৩৫:২৭ দুপুর

ভাই আমি অতি সাধারণ একজন মুসলমান, হয়তো আপনাদের মতো স্কলার ধারি শিক্ষিতও না অথবা অনেক বিষয়ে আপনাদের চেয়ে অনেক কম বুঝি তাই, স্রষ্টার অস্তিত্ব যদি সত্যিই না থাকে তাহলে আমার করা প্রশ্ন গুলোর সঠিক এবং প্রাসঙ্গিক উত্তর দিয়ে তা প্রমান করবেন বলে আশা রাখি।

আমার বিবেক যা বলে তাতে মনে হয়না কোনও বুদ্ধিমান ব্যাক্তি স্রষ্টার চেয়ে কাল্পনিক বিগব্যাং কে না দেখে কিভাবে বিশ্বাস করে; অথচ ঈশ্বরকে বিশ্বাস করে না কোন যুক্তিতে? ১কোষী একটা জীব থেকে র‍্যান্ডম মিউটেশন এবং ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে পুরো প্রাণি কূলের সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপারটা অতিকাল্পনিক হয়ে যায়না? আপনাদের এই তত্ত্ব মেনে নিতে গেলেও তো ন্যাচারাল সিলেকশন এবং মিউটেশন পিছনে একটা অদৃশ্য শক্তির হাত লক্ষনীয় হয় কেননা প্রমিত হারে মিউটেশনের ফলে সৃষ্ট একটা নিদৃষ্ট প্রাণির জন্মের ক্ষেত্রে তথা ন্যাচারাল সিলেকশনের ক্ষেত্রে প্রাণির গঠন তন্ত্রে কোনও হেরফের হলোনা কেন? সাধারণত বিজ্ঞানীরা নতুন কোনও আবিস্কার, ল্যাবে পরীক্ষার জন্য শতবার বিফলের পরে সফল হয় কিন্তু প্রকৃতির নিয়ম কেনো র‍্যান্ডম মিউটেশনের ক্ষেত্রে নির্ভুল ভাবে প্রথম বারেই সফল হলো?

আর বিবর্তন বাদ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বিবর্তনের নিয়ম থেমে থাকার কথা না; তাহলে বিবর্তিত মানুষের ভবিষ্যৎ কি? আর পৃথিবির বর্তমান প্রানিকূলের ভবিষ্যৎ কি? মিউটেশনের ফলে বর্তমান যুগের অর্ধ বিবর্তিত প্রানি কূল কোথায়? এরকম কোনও প্রানি কেনো পাওয়া যাচ্ছেনা? মানব সৃষ্টির বয়স ২৬লাখ বছর হলে মানুষও তো বিবর্তিত হয়ে অন্য প্রাণীতে রূপ লাভ অথবা অর্ধ বিবর্তিত প্রাণীতে রূপ লাভের কোন লক্ষন কেন দেখা যাচ্ছেনা?

আরেকটা কথা পৃথিবীতে বিজ্ঞান আগে আসছে নাকি ধর্ম আগে আসছে? ধর্ম যদি আমাদের সমাজ বদ্ধতা না শিখাতো তাহলে আমাদের জীবনও সাধারণ পশুদের মত হত, পশু যেমন জৈবিক চাহিদার সময় নিজের মায়ের, বোনের সাথেও সহবাস করে আমরাও ঠিক তা করতাম, মা এবং বোন যে আমাদের আদরের এবং সম্মানের এই শিক্ষাটা আপনার বিজ্ঞান দেয়নাই; দিয়েছে ধর্ম, তাছাড়াও সততা, নৈতিকতা, শিষ্টাচার বোধ সবই আমরা ধর্ম থেকে পেয়েছি। তাই ধর্মকে অস্বীকার করে বিজ্ঞানকে আলিঙ্গন কিছুতেই যুক্তি যুক্ত হতে পারেনা, আর পৃথিবীর এতো প্রানিকূলের মধ্যে শুধু মানুষই কেনো একমাত্র বুদ্ধিমান জীব হলো? বুদ্ধির দিক দিয়ে মানুষের সমান অথবা মানুষের কাছাকাছি কোনও প্রাণির জন্ম কেনো হলোনা? এখন যদি বানর অথবা ডলফিনের উদাহরন দেন তাহলে বোকামি করবেন কেননা তারা মানুষের চেয়ে বুদ্ধির দিক দিয়ে রাত আর দিনের পার্থক্যের চেয়ে দূরে।

মহাবিশ্বের এই সুনিয়ন্ত্রিত পদ্ধতি, গ্রহ নক্ষত্রের নিয়ন্ত্রিত কক্ষ পথ পরিভ্রমণ এই সবকিছুই কি এমনি এমনি হচ্ছে? আর আমদের সৌর জগতের মধ্যে শুধু পৃথিবির মধ্যেই কেন প্রান ধারনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হলো? পৃথিবির নিয়ন্ত্রিত বায়ু স্তর, তাপের সমতা এইগুলা সবই কি এমনিই পরিচালিত হচ্ছে? পৃথিবী যদি তার কক্ষ পথ থেকে একটু দূরে সরে যায় তাহলে বরফ শিতল হয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে, আর বর্তমান অবস্থা থেকে একটু উপরে চলে গেলে তাপ মাত্রা বেড়ে সব জ্বলে যাবে তবে এই সুনিয়ন্ত্রিত ব্যাবস্থা কার ধারা পরিচালিত হচ্ছে? পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহের আকৃতি প্রায় নিখুঁত গোলাকার হলো কি করে? অবিশ্বাসীদের কাছে প্রশ্ন গুলো রইলো।

এই ব্লগটা যখন আমি সামুতে প্রকাশ করেছিলাম তখন কিছু গুগোল বিজ্ঞানী নাস্তিক আমার সাথে তুমুল তর্কে জড়িয়েছিল, পোস্টের চেয়ে এই ব্লগের কমেন্ট গুলো ধৈর্য নিয়ে পড়লে ব্যাপক বিনোদন তো পাবেনই তাছাড়া অনেক কিছু শিখতেও পারবেন, লিংক: http://www.somewhereinblog.net/blog/Nights/30055670

বিষয়: বিবিধ

১৯৭৩ বার পঠিত, ২৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

333590
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:০২
নাবিক লিখেছেন : একমত্র আল্লাহই সমগ্র পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা, রিযিকদাতা, পালনকর্তা। নাস্তিকরা এইটা ভালো ভাবেই জানে, কিন্তু মুখে স্বিকার করবেনা কখনো।
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:২৭
275668
নৈশ শিকারী লিখেছেন : যথার্থ বলেছেন ভাই, মুখে স্বীকার করলেতো উল্লুক গুলার জাত যাইব।
333592
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:১০
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আল্লাহু আকবার।
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:২৯
275669
নৈশ শিকারী লিখেছেন : আল্লাহ পাক মহান এবং তিনিই সর্বজ্ঞ।
333597
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:২০
হতভাগা লিখেছেন : নিজেদের মুক্তমনা বোঝাতে তারা এসব ভাব নেয় । ধর্ম , ইসলাম নিয়ে যতই চিল্লা ফাল্লা করুক না কেন তাদের সৎকার যেন ধর্মীয়ভাবে না হয় সেটা তাদের বলতে কদাচ শোনা যায় ,
তাদের সমমনারাও সেই সৎকারে সামিল হয় ।

ধর্মহীন মানুষ পশুর তুল্য । আর পরকালে শুধু মানুষ ও জিনের বিচার হবে । ওরা পরকাল মানে না ।

তাহলে কি ওরা পশু ?
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:৩৬
275671
নৈশ শিকারী লিখেছেন : আপাত দৃষ্টিতে তারা নিজেকে সভ্য এবং সুশিক্ষিত হিসেবে প্রকাশ করলেও মন মানসিকতার দিক দিয়ে পশুরই সমতূল্য, আর সেই হিসেবে তাদের পশু বললেও ভূল হবেনা।
333603
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:৩৯
এম আবদুল্লাহ ভূঁইয়া লিখেছেন : নাস্তিক্যবাদিদেরমতে

‘যা দেখি না তা মানি না’

এই কথাটা কত টুকু যুক্তিযুক্ত তা বিজ্ঞানের আলোকেই জেনে নি ,

আজ ফেইজবুকে মুফাস্সুল ইসলাম নামক এক ভদ্র লোক এক নাস্তিকের সাথে তার কথোপকোথনের একটি বিডিও প্রকাশ করেছেন,

ঐ নাস্তিক ভদ্রলোকটির যুক্তি হল "যা দেখি না তা মানি না" সেই হিসাবে স্রষ্টাকে দেখা যায়না তাই স্রষ্টাকে মানা যাবেনা বা স্রষ্টার অস্তিস্তকে বিশ্বাস করা যাবেনা ।এই অজ্ঞতাপূর্ণ বাক্যটি উচ্চারণ করে এমন এক মহান স্রষ্টাকে দর্শন লাভ করার আকাঙ্খায় জেদ ধরে বসে আছেন, অথচ সেই স্রষ্টার অসংখ্য অগণিত সৃষ্টিকেই তারা দেখার যোগ্যতা রাখেন না।সেখানে স্রষ্টাকে দেখবেন কি ভাবে ।

তাই আমার এ প্রবন্ধে বিজ্ঞানের আলোকেই তার যুক্তিটা খন্ডন করবো ইনশাআল্লাহ ।

১-- যেমন, যে বাতাসের সাগরে মানব সম্প্রদায় ডুবে আছে, সেই বাতাসের উপাদান অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন ইত্যাদি মৌলিক পদার্থগুলোকে মানুষ মোটেই দেখতে পায় না।

প্রতিবার নি:শ্বাস নেয়ার সময় কোটি কোটি অক্সিজেন পরমাণু গ্রহণ করছে কিন্তু এর একটি পরমাণুকেও দর্শন লাভ করতে পারছে না। অথচ শুধুমাত্র একটি অক্সিজেন পরমাণুতে আটটি ইলেকট্রন, আটটি প্রোটন ও আটটি নিউট্রন কণিকা বর্তমান আছে। মানুষের সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করেও এই মৌলিক কণিকাগুলোর দর্শন লাভ করা সম্ভব নয়।

তাই বলে কি বস্ত্তবাদে বিশ্বাসীরা ‘যা দেখিনা তা মানি না’ এই নীতির উপর ভিত্তি করে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন এবং তাদের ভিতরে অবস্থিত মৌলিক কণিকাগুলোর অস্তিত্বকে অস্বিকার করার দুঃসাহস দেখাবেন ?

এটা একটা মৌলিক প্রশ্ন ।

২---- হাবিশ্বের সূচনা লগ্নে Stable Atom হিসেবে মৌলিক পদার্থ হাইড্রোজেনই সর্বপ্রথম আবির্ভূত হয়। বর্তমান মহাবিশ্বের শতকরা ৭৫ ভাগ পদার্থই হচ্ছে এই হাইড্রোজেন নামক মৌলিক পদার্থ। প্রতিটি নক্ষত্রের ভেতর জ্বালানি হিসেবে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে। সমগ্র মহাবিশ্বটি এই হাইড্রোজেন নামক মহাসুক্ষ্ম পরমাণুতে ভরপুর। বস্ত্তবাদীরাও অদৃশ্য হাইড্রোজেন দ্বারা এ মহাবিশ্বটি পূর্ণ হয়ে আছে বলে বিশ্বাস করেন। অথচ তারা এই অদৃশ্য হাইড্রোজেনের স্রষ্টাকে অদৃশ্যের অজুহাতে তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে শুধু মানব সভ্যতার সাথেই প্রতারণা করছেন না, তারা নিজেরাও নিজেদেরকে প্রতারিত করছেন।

অদৃশ্য সৃষ্টি মানবেন আর অদৃশ্য স্রষ্টা মানবেন না এটা কোনো ধরণের মূর্খতা? দ্বিমুখী নীতির এর চেয়ে নির্লজ্জ উদাহরণ আর কী হতে পারে?

৩--- এই মহাবিশ্বে শূন্য বলতে কিছুই নেই। কার্যত সর্বত্র শক্তি, তেজস্ক্রিয়তা ও মহাসুক্ষ্ম কণিকা দ্বারা ভরপুর। দৃষ্টি আওতার বহির্ভূত বলে আমরা তা দেখতে পাই না। প্রায় ভরশূন্য মহাসুক্ষ্ম কণিকা নিউট্রিনো প্রায় আলোর গতিতে সকল প্রকার বস্ত্তকে ভেদ করে মহাবিশ্বব্যাপি পরিভ্রমণরত রয়েছে। প্রতি ইঞ্চি জায়গা দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৫০ মিলিয়ন (১ মিলিয়ন = ১০ লক্ষ) মহাসুক্ষ্ম নিউট্রিনো কণিকা অতিক্রম করে চলে যাচ্ছে। এদের গতিপথ কেউই রুখতে পারে না।

এমন কি একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের ভিতর দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ বিলিয়ন (১ বিলিয়ন=১০০০ মিলিয়ন) পরিমাণ নিউট্রিনো কণিকা ভেদ করে চলে যাচ্ছে। অথচ আমরা তা অনুভব করতে পারি না। অদৃশ্য নিউট্রিনো কণাগুলোর এসব নীরব কর্মকান্ড প্রমাণ করছে যে, ‘যা দেখিনা তা মানি না’ উক্তিটি শুধু অজ্ঞ বা মূর্খলোকদের জন্যই সাজে, জ্ঞানী ব্যক্তিদের জন্য কখনোই তা শোভনীয় নয়।

৪-- ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস নামক দুইটি মহাসুক্ষ্ম জগৎ রয়েছে। এদের আকৃতি ও গঠন আমাদের দৃষ্টি শক্তির আওতার বহির্ভূত, তাই আমরা এদেরকে দেখতে পাই না। এরা এতই ক্ষুদ্রজগতের বাসিন্দা যে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে এরা রীতিমত আসা, যাওয়া করলেও আমরা এদের দেখতে বা অনুভব করতে পারি না। এদের কারণেই আমরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হই, কখনো বা মৃত্যুও ঘটে। এই মহাসুক্ষ্ম ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া জগৎও যেন ঐ সব বস্ত্তবাদে বিশ্বাসী বিজ্ঞানীদের প্রশ্ন করছে-হে জ্ঞানী সমাজ কেন মিথ্যা ভান করছ? আমাদের না দেখেও যদি শুধুমাত্র আমাদের উপস্থিতির চিহ্ন দিয়ে বিশ্বাস করা যায় তাহলে স্রষ্টাকে না দেখে তার অনন্য, মহাবিস্ময়কর, কল্পনাতীত অগণিত জীবন্ত দর্শণ দেখার পরও কেন তাকে অস্বীকার করা হবে? এর কি কোনো যুক্তি আছে? এটাতো স্পষ্টত আত্মপ্রবঞ্চনার শামিল।

উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো অনেক বেশি সুক্ষ্ম বলে আমরা তা দেখতে পাই না। কিন্তু মজার ব্যাপার হল এই মহাবিশ্বের বেশির ভাগ বৃহত জিনিসই আমরা দেখতে পাই না। মাথার উপর কি বিশাল বিস্তৃত আকাশ।

তাতে অবস্থান করছে লক্ষ কোটি মহাজাগতিক বস্ত্ত।

যেমন, ধুমকেতু,

কোয়াসার,

ব্লাকহোল,

সুপার নোভা

, নিউট্রন স্টার,

গ্যালাক্সী ইত্যাদি।

এই বস্ত্তগুলো কতটা বিশাল তা শুধু গ্যালাক্সীর কথা বিবেচনা করলেই বুঝা যাবে। এক একটি গ্যালাক্সীর আয়তন এক থেকে দেড় লক্ষ আলোকবর্ষ।

আমরা আমাদের সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহাবিশ্বের যতটুকু অবস্থান অবলোকন করতে পেরেছি বিজ্ঞানীদের অনুমান তা মোট মহাবিশ্বের বড়জোড় দশ ভাগ হবে। এই দশ ভাগের মধ্যেই চারশ কোটি গ্যালাক্সীসহ বিলিয়ন বিলিয়ন মহাজাগতিক বস্ত্তর সন্ধান পাওয়া গেছে।

তাহলে সহজেই অনুমান করা যায় বাকি ৯০ ভাগ মহাবিশ্বে গ্যালাক্সীর মত কিংবা তার চেয়ে বহুগুণ বড় কত বিলিয়ন বিলিয়ন মহাজাগতিক বস্ত্ত অবস্থান করছে। আজ পর্যন্ত আমরা যার সন্ধান লাভ করতে পারিনি।

১৮৮০ সালের পর থেকে আধুনিকবিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা শুরু হলেও তা ত্যাপকতা লাভ করে ১৯ শতকের গোড়ার দিকে। কিন্তু তখনো মহাকাশ সম্পর্কেবিজ্ঞানীরা তেমন কিছুই জানতেন না, কারণ তখনো টেলিস্কোপ (Telescope) আবিষ্কার হয়নি। ১৯২০ সালেইডুইন হাবেল টেলিস্কোপ আবিষ্কার করেন। এজন্যে তখনো সবাই মহাকাশ বলতে আমাদের সৌরজগৎ সহ খালিচোখে দেখা যায় এই নগণ্য আকাশকেই মনে করতো। এর বেশি কল্পনাও করতে পারতো না। শুধু কি মহাকাশবিজ্ঞান। বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখাতেই মানুষের জ্ঞান ছিল আজকের তুলনায় অতি নগণ্য। আজ হতে মাত্র এক থেকেদেড় শত বছর পূর্বে যদি বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষের জ্ঞানের অবস্থা হয় এতটাই নাজুক তবে চিন্তা করুন আজ থেকে১৪০০ বছর পূর্বে বিজ্ঞান সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান কতটা সীমাবদ্ধ ছিল। থাকবেই বা কী করে?

তখনকার যুগতোবিজ্ঞানের যুগ ছিল না, তখনকার যুগ ছিল জমাট বাধা অন্ধকার ও কুসংস্কারের যুগ। গোটা মানব সম্প্রদায়নানাবিধ কুসংস্কারে আছন্ন ছিল। কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হচ্ছে আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে অন্ধকারঅনুন্নত, জ্ঞানের আলোহীন পরিবেশে আরব মরুর বুকে সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে তার প্রিয় বাণী বাহকের কাছেঅবতীর্ণ করলেন এমন কিছু বাণী যার মাধ্যমে সেই কুসংস্কার আছন্ন যুগেই পবিত্র কুরআনের মাধ্যমে মানব জাতিকে জানিয়ে দিলেন গ্যালাক্সী সম্পর্কে। আরো জানালেন বিগ ব্যাংগ থিওরী, মাধ্যাকর্ষণ শক্তি, Cosomic String,অভিকর্ষবল, ব্ল্যাকহোল, সম্প্রসারণ শীল মহাবিশ্ব, গ্যালাক্সিদের পশ্চাদ মুখিবেগ সম্পর্কে।

এভাবে আরো শ’খানেক বিষয়ে উদাহরণ আছে। উক্ত বিষয়গুলোসম্পর্কে পবিত্র কুরআনই যে মানব জাতিকে সর্বপ্রথম ধারণা দিয়েছেএ ব্যাপারটি নিশ্চিত করার জন্যে এবং এ ব্যাপারে সন্দেহ পোষনেরসমস্ত পথ বন্ধ করে দেয়ার জন্যে উক্ত বিষয়গুলো পবিত্র কুরআনেরযে সূরার যে আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে তা যথাক্রমে তুলে ধরছি। ২৫নং সূরার ৬১নং আয়াতে, ২১নং সূরার ৩০নং আয়াতে, ৩৫ নংসূরার ৪১নং আয়াতে, ৫১নং সূরার ৭নং আয়াতে, ৭৯নং সূরার১নং আয়াতে, ৫৬নং সূরার ৭৫ ও ৭৬ নং আয়াতে, ৫১ সূরার৪৭নং আয়াতে এবং ৫৭নং সূরার ৪নং আয়াতে এসব বিষয় সম্পর্কেআলোচনা করা হয়েছে। একবার চিন্তা করুন যেখানে আজ হতে এক থেকে দেড় শত বছর পূর্বে উক্ত বিষয়গুলোসম্পর্কে মানুষ কল্পনাও করতে পারতো না সেখানে আজ থেকে দেড় হাজার বছর পূর্বে কিভাবে ১টি গ্রন্থে সুস্পষ্টভাবেএই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হল? নিঃসন্দেহে এর রচয়িতা মহান স্রষ্টা নিজেই। আর তিনিই সেই মহাপরাক্রমশালী সৃষ্টিকর্তা , তিনিই সেই আল্লাহ , তিনিই সকলের পালনকর্তা মহান রাব্বুল আলামিন । তিনিই একমাত্র সকল প্রশংসা আর এবাদতের উপযুক্ত।

মাইকেল ফ্যারাডে যখন মৃত্যু শয্যায় তখন তার এক সহকর্মী তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, ফ্যারাডে স্রষ্টা সম্পর্কে এখন তোমার ধারণা কী? মৃত্যুপথ যাত্রী ফ্যারাডে প্রশ্নটি পুনরাবৃত্তি করে বললেন, ধারণা? স্রষ্টাকে অশেষ ধন্যবাদ আমাকে আর কোনো ধ্যান ধারণার উপর নির্ভর করতে হবে না। আমি কাকে বিশ্বাস করতাম জানতে পেরেছি।

পরিশেষে ১৬শ’ শতাব্দির বিখ্যাত বিজ্ঞানী ও দার্শনিক ফ্রান্সিস বেকনের একটি বাণী স্বরণ করিয়ে দিয়ে এখানেই ইতি টানছি। ফ্রান্সিস বেকন বলেছিলেন-সামান্য দর্শন জ্ঞান মানুষকে নাস্তিকতার দিকে নিয়ে যায়, আর গভীর দর্শন জ্ঞান মানুষকে ধর্মের পথে টেনে আনে

আজকে যে সকল তরুন নাস্তিক্যবাদের দিকে ধাবীত হচ্ছে তাহল অল্প বিদ্যা ভয়ংকর হওয়ার সাথে সাথে পারিবারীক ভাবে সন্তানদের কে ধর্মীয় শিক্ষার নাগালে রেখেই প্রাচ্যাত্বের শিক্ষায় শিক্ষিত করার কারনে।

তথ্য সূত্র :



২। Al-Quran, Cosmology and Big Bang. Anwar Hussain.

৩। The Quran, The Universe and the origi

http://351224351224.blogspot.com/2015/04/blog-post.html
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:৫৭
275682
হতভাগা লিখেছেন : দুর্দান্ত যুক্তি । এই কমেন্ট নাস্তিকদের বনে লুকোতে সাহায্য করবে ।
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:৫৯
275685
নৈশ শিকারী লিখেছেন : বড় প্রতিউত্তর করে আপনার মন্তব্যটার মানকে ক্ষুদ্র করবোনা শুধু বলবো অসাধারন যুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়েছেন, এমন সুন্দর এবং চিন্তাশীল একটা মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
333630
০৪ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:১০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চমৎকার পোষ্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
০৪ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪২
275756
নৈশ শিকারী লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
333637
০৪ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৪
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : নাস্তিকেরা কারো কথায় কান দেয়না তাদের হূদয় গোমরা হয়ে গেছে... আপনার কথা গুলো আমরা শুনেছি এবং ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
০৪ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৪
275757
নৈশ শিকারী লিখেছেন : ধৈর্য নিয়ে পড়েছেন সেজন্য অনেক ধন্যবাদ।
333641
০৪ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:০১
জবলুল হক লিখেছেন : আপনার ক্ষুরধারা,চমৎকার এই লেখনীর জন্য ধন্যবাদ।
০৪ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৬
275758
নৈশ শিকারী লিখেছেন : আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
333645
০৪ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৪৮
রক্তলাল লিখেছেন : দয়া করে সামুর কোনো রেফেরেন্স না দেয়াটাই ভাল।
এক জায়গায় ধর্ম এবং বিজ্ঞানকে বিপরীতে দাড় করিয়েছেন। ঠিক না।

বাংলাদেশের নাস্তিক আর আমুলীগের লোকের গলা খুব বড়। ওদের বড়গলায় চিল্লাতে চিল্লাতে এমন একটা ভাব তৈরী করেছে যে তারাই বিজ্ঞানের বাপ মা।
অথচ ওদের বেশীরভাগের লেখাপড়া কলকাতাকেন্দ্রিক কাম বিষয়ক সাহিত্য আর সংস্কৃত নিয়ে।
আরেকটা কথা "যা দেখিনা তা বিশ্বাস করিনা"
কথাটা রূপক অর্থে নিয়েও যদি বলা যায় বিজ্ঞান বা ফিজিক্স যা প্রমাণ করতে পারেনা তা বিশ্বাস করিনা।
এই ব্যাপারে সমস্যা হল - বিজ্ঞান বা ফিজিক্স হল এমন কিছু যা শুধু আমাদের ছোট্ট মস্তিস্কের মধ্যে যতটুকু ধারণ করা সম্ভব হয়। আইনস্টাইন ও বুঝতে পারেননি কোয়ানটাম মেকানিকস কিভাবে কাজ করে। প্ল্যাটো এখনকার ক্লাস টু এর ফিজিক্সও বুঝতেন না। ল' অফ ফিসিক্স, বিজ্ঞান, জ্ঞান এসব কিছু শুধুই আমেদের ক্ষুদ্র মগজ যতটুকু perceive বা conceive করতে পারে। তাছাড়া পুরো ব্যাপারটাই একটা ইলুশন হতে পারে।
সৃষ্টি দিয়ে স্রষ্টাকে প্রমাণ করা বা না করা সম্ভব নয় এবং উচিৎও না।
স্রষ্টা,আল্লাহ কোনো সৃষ্টির মুখাপেক্ষী নয়। এবং তিনি তাঁর সৃষ্টি যেকোনো ভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।

জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করা উচিৎ শুধু পৃথিবীতে বসবাসের ভালোর জন্য, স্রষ্টাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য নয়।


০৪ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
275769
নৈশ শিকারী লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, সামুর যেই ব্লগের রেফারেন্সটা দিয়েছি ঐ ব্লগটাও আমার লেখা, আর ঐ ব্লগের লিংকটা দিয়েছি কিছু নাস্তিকের মূর্খতা প্রকাশ করার জন্য এখানে অন্যায়টা কোথায় দেখলেন? সামুর ঐ ব্লগটার কমেন্টে অনেকের জন্য শিক্ষণীয় অনেক কিছু রয়েছে তাই লিংকটা শেয়ার করেছি, ব্লগিং এর উদ্দেশ্য নতুন কিছু শিখা এবং কাউকে শিখানো আমিও সেই চেষ্টাটা করেছি।

বিজ্ঞান আর ধর্মকে আমি কোথায় বিপরীতে দাড় করালাম? বরং আমি ইসলাম এবং বিজ্ঞানের সাম্যতা প্রমাণের যথা সাধ্য চেষ্টা করেছি, তবু যদি আপনি বলেন আমি বিজ্ঞান আর ইসলামকে বিপরীতে দাড় করিয়েছি তাহলে বলতে হয় আপনি আমার পোস্টের ভাবার্থটাই বুঝেন নাই, যাই হোক শুভ কামনা রইলো ভাল থাকবেন।
333667
০৪ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : আর বিবর্তন বাদ যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে বিবর্তনের নিয়ম থেমে থাকার কথা না; তাহলে বিবর্তিত মানুষের ভবিষ্যৎ কি? আর পৃথিবির বর্তমান প্রানিকূলের ভবিষ্যৎ কি? মিউটেশনের ফলে বর্তমান যুগের অর্ধ বিবর্তিত প্রানি কূল কোথায়? এরকম কোনও প্রানি কেনো পাওয়া যাচ্ছেনা? মানব সৃষ্টির বয়স ২৬লাখ বছর হলে মানুষও তো বিবর্তিত হয়ে অন্য প্রাণীতে রূপ লাভ অথবা অর্ধ বিবর্তিত প্রাণীতে রূপ লাভের কোন লক্ষন কেন দেখা যাচ্ছেনা?
-ধন্যবাদ প্রথমেই। আমি ১৯৯৩ সালে আমার এক হিন্দু প্রফেসরকে প্রাণিবিদ্যা পড়ানোর সময় এ প্রশ্ন করেছি। তিনি কোন উত্তর দিতে পারেন নি..
০৪ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৪
275770
নৈশ শিকারী লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ, আসলে এই প্রশ্নের ১০০% সঠিক উত্তর দেয়ার ক্ষমতা পৃথিবির কোনো বিজ্ঞানীর নাই।
১০
333668
০৪ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৬
আবু জারীর লিখেছেন : যৌক্তিক এবং সুন্দর প্রশ্ন করেছেন। ওরা এর জবাব দিতে পারবেনা দিবেও না। নাস্তিকেরা মূলত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।
ধন্যবাদ।
০৪ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৭
275772
নৈশ শিকারী লিখেছেন : "নাস্তিকেরা মূলত
বুদ্ধি প্রতিবন্ধী।"

শতভাগ সহমত, এবং আপনাকেও ধন্যবাদ।
১১
333694
০৪ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:৪১
আবু জান্নাত লিখেছেন : সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
০৪ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:২৬
275831
নৈশ শিকারী লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ, আল্লাহ পাক আপনার মঙ্গল করুক।
১২
334195
০৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:৪৪
প্রক্সিমা লিখেছেন : 'অর্ধবিবর্তীত প্রানী' ব্যাপারটি অসাধারন লেগেছে ।
০৬ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:১৯
276316
নৈশ শিকারী লিখেছেন : কষ্ট করে মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File