প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর কর আরুপের মতো জঘন্য সিদ্ধান্ত হতে সরে আসুন।
লিখেছেন লিখেছেন নবাব চৌধুরী ২৮ জুলাই, ২০১৫, ০৬:০০:৪০ সন্ধ্যা
আমায় একজন করাসক্ত অর্থমন্ত্রী দেন, আমি আপনাকে একটা করযুক্ত শিক্ষা ব্যাবস্থা দেবো।
সেবার যবে প্রথম বারের মতো আমাদের ল, স্টুডেন্টস ফোরাম থেকে পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছিলো প্রথমেই আমরা একটা বিশাল সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম সংকটটির নাম ফান্ড সংকট, আমরা তখন সিদ্ধান্ত নিলাম একটা কূপনের ব্যাবস্থা করা যায় যেটা শুধু আমাদের স্যারদের জন্য যার শুভেচ্ছা মূল্য হবে ৩০০ টাকা।
আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যারেরা সেটা হাস্যমুখে বরণ করে নিয়েছিলেন এবং উনারা প্রত্যেকেই দুইটা/তিনটা করে কুপন কিনেছিলেন এতে করে আমাদের ঐ ফান্ডে অতিরিক্ত জমা পড়েছিলো প্রায় ৫০০০ টাকা যা দিয়ে ফান্ড সংকট একেবারে উধাও হয়ে গিয়েছিলো আমাদের স্যারেরা আমাদের প্রশংসা করে বলেছিলেন তোমাদের এই কাজটাতে সৃজনশীলতার ছোঁয়া ছিলো, আমরা হয়েছিলাম অনুপ্রাণিত।
কেমন হতো?আমরা যদি এরকমভাবে চিন্তা করতাম আমাদের ডিপার্টমেন্ট এ যারা নতুন ভর্তি হয়েছে এদেরকে একটু ভর্তা বানাই, এরাতো নতুন, নিরীহ, আমরা যা বলবো এরা তাই শুনবে, সুতরাং এদেরকেই আমরা বানাই আমাদের বলির পাঠা, এরাই বহন করুক আমাদের সকল সংকটের ভার।
এটা নিতান্তই অন্যায় হতো এবং বহন করতো ব্যবস্থাপনা শিল্পে আমাদের বিশাল অদক্ষতার পরিচয়।
একথা অনস্বীকার্য বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল সাহেব কর ব্যাবস্থাপনায় এনেছেন একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো online based TIN number ব্যাবস্থা খুবই চমকপ্রদ বিষয় বটে।
যদি কেউ একটা কম্পিউটার কিনেন তাহলে তার উপরে কাউকে ভ্যাট দিতে হবেনা কারন হিসেবে দেখানো হয়েছে এতে করে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধিত হবে।
খুবই চমকপ্রদ।
একেক যায়গায় একেক রকমের কর হার যার ফলে কারচুপি করা হতো যায়গার নাম বদল করে তিনি এসে একেক যায়গায় একেক রকম হারের কর ব্যাবস্থার পরিবর্তন করে একটা গড় করলেন, এটাও প্রশংশনীয়।
আরও বিবিধ পরিবর্তন।
প্রশংসা পেতে পেতে টাকলুর মাথায় আজকা আচুল(আগাছা জাতীয় চুল) গজিয়েছে, ঈদৃশ চুলের খাঊজে তিনি এবার কর আরূপ করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উপর।আসুন এবার আমরা যাই আমাদের সেই পিকনিকের গল্পে।
আমরা যদি ছোট সেমিস্টার এ পড়ুয়া ছোট ভাই বোনগুলোর উপর এরকম ব্যাবস্থা করতাম তাহলে সেটা হয়ে যেতো করাসক্ত এই মুহিতের কার্যক্রমের শামিল।
আমাদের আর আআমেরিকান দের মধ্যে একটা মিল কি জানেন?ওদের এখানে যে যতো বেশী গরিব সে ততো বেশী কর প্রদান করে, ওরা এটা বিশ্বাস করে এতে করে গরীবেরা ধনী হতে আরম্ভ করবে ভ্যাটের জ্বালায়।
আর আমাদের এই বাংলাদেশে যারা অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী অর্থাৎ যারা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় যায়গা পায়না তারা ভ্যাটের জ্বালায় হলেও মেধাবী হওয়ার চেষ্টা করবে।
এটা ঠিক সরকারের আয়ের সর্বোচ্চ উৎ স হলো রাজস্ব এর অর্থ এই নয় শিক্ষা ব্যাবস্থার সাথে এটাকে জড়িয়ে ফেলবেন।
কর আরুপের আরও ঢের যায়গা আছে, ওদিকে হাত বাড়ান এদিকে নয়।
জানেনতো মৌচাকে হাত দিতে হয়না এতে করে হাত ফুলে বঠ গাছ হয়ে যেতে পারে।একদিকে আপনারা করলেন বিনামূল্য বই বিতরণ কর্মসূচি আরেকদিকে করলেন করযুক্ত শিক্ষাব্যাবস্থা ককর্মসূচি! নিজেদের সাথেই নিজেরা সাংঘর্ষিক হয়ে গেলেন না?
বিষয়: বিবিধ
৯৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন