বেনামাজী কাফেরের সমতুল্য!
লিখেছেন লিখেছেন দাওয়াত ১১ আগস্ট, ২০১৫, ১২:০৩:৪৪ দুপুর
বিভিন্ন মানুষের ঈমান বিভিন্ন স্তরের।
মানুষের ব্যক্তিগত কার্যকলাপের মাধ্যমে এসকল বিষয় ফুটে উঠে।
এই আলোকে ঈমানের শ্রেনীবিন্যাশও করা যায় যেমন মজবুত ঈমান, দূর্বল ঈমান, অতিদূর্বল ঈমান। শ্রেনীবিন্যাস যাই হোক না কেন মূলত তার কৃতকর্মের বহিঃপ্রকাশই তার ঈমানের স্তর নির্ধারন করে দেয়। সৃষ্টির এ দূর্বল প্রাণী মানুষ যা চিন্তা করে কিংবা যা করে তা তার চলনে বচনে কম-বেশী প্রকাশ পায়।
একদিন এক ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি - “আমি নামাজ পড়িনা তাতে কি? আমার ঈমান তো ঠিকই মজবুত আছে।”
আমি তাকে বললাম, আপনি কুরআন-হাদীসে বিশ্বাস করেন?
তিনি বললেন, অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস করি।
আমি বললাম, আপনি বর্তমানে কি করছেন?
বললেন, চাকুরী করি।
আমি বললাম, কর্মক্ষেত্রে যদি আপনি আপনার বসের আদেশ না শুনেন আপনার চাকরী কি থাকবে?
বললেন, অবশ্যই থাকবেনা।
আমি বললাম, আমরা সবাই অাল্লাহর গোলাম হিসেবে আল্লাহ আমাদেরকে অর্ডার করেছেন দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করার জন্য। এখন যদি আমরা আল্লাহর অর্ডারকে অমান্য করি তবে আমাদের কি পরিনতি হবে? আমাদের মৃত্যু হতে পারে আল্লাহর একজন অবাধ্য নাফরমান বান্দা হিসেবে। আর এ অবস্থায় কারো মৃত্যু হলে কবরে স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে যাবে অবর্ণনীয় আজাব।
আরো বললাম, সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে- যে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দিল যে কুফরী করিল। আর যে কুফরী করিল সে এক হিসেবে কাফের-মোনাফেক হয়ে গেল।
সমাজে যত খারাপ লোকই হোক তাকে হঠাৎ কেউ কাফের বলে আখ্যায়িত করলে তার মন-মেজাজ কেমন হবে? অথচ কুরআন-হাদীস অনুযায়ী কে কাফের-মোনাফেক। তাকে এ অবস্থা থেকে ফিরে আসতে হবে একমাত্র তওবার মাধ্যমে।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন