বিজ্ঞানই আল্লাহর অস্থিত্বের হাজারো বলিষ্ট প্রমান দেয়।
লিখেছেন লিখেছেন সুমন আহমেদ ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:৫৪:০২ দুপুর
# বর্তমান এই বিজ্ঞানের অত্যাধুনিকতার যুগে আল্লাহর অস্থিত্ব নিয়ে যারা টানা টানি করে। এদের চাইতে (জাহেল) মুর্খ আর কে আছে?
বিজ্ঞানের গবেষনায় আজ যা আবিস্কার করা হচ্ছে চৌদ্দ শত ছত্রিশ বছর আগেই রাসুল (সা)এর মাধ্যমে আল্লাহ তা জানিয়েছেন।যারা সঠিক গবেষনা করেছেন তারা আল্লাহর অস্থিত্বের শক্তিশালী প্রমান পেয়েছেন।
আর এমন শক্তিশালী প্রমান পেয়েছেন যে মহান প্রভুর সামনে মাথা নতকরে ইসলাম গ্রহন করেছেন। আল্লাহ' আছেন,তিনি একক, সর্বক্ষমতার একছত্র মালিক তিনি, এর শত কোটি প্রমান বিজ্ঞান বলে দিচ্ছে।
এখনও যারা বলে এই বিজ্ঞানের যুগে আল্লাহ, কোরআন,রাসুল, এসব নিয়ে চলেনা। এদের চাইতে মুর্খ আর কে? এরা কি আসলে বিজ্ঞান নিয়ে একবারও চিন্তা করেছে? নাকি শুধু দোহাই দেয়।
কিয়ামত সংগঠিত হওয়ার বর্ননায় বলা হয়েছে, "যখন সাগর সমূহে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে" (সুরা- তাকবির, আয়াত নং ৬) । সাগরে পানি, তা'দিয়ে মানুষ আগুন নিভায় তাহলে আগুন ধরবে কিভাবে?
বিজ্ঞান এটাকে গবেষনা করে কি পেল? পানির মধ্যে দুটি উপাদান আছে, অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন। এ'দুটি উপাদানই জ্বলক অর্থাৎ হাইড্রোজেন নিজেই জ্বলে আর অক্সিজেন জ্বলতে সাহায্য করে।
সুতরাং এই বিজ্ঞানের যুগে আল্লাহ, তাঁর কোরআন, এবং রাসুল (সা) কে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করার জন্য, আমাদের চার দিকে যা আছে এই গুলি আরও যুক্তি দিয়ে সাহায্য করে বিবেক কে জাগ্রত করার জন্য।
এপরও যারা বিশ্বাস করেনা এরা অন্ধ -বোবা- কালা ওদের অন্তরকে মহর মেরে দেয়া হয়েছে। এরাই আল্লাহর অস্থিত্বের অশ্বীকার কারী নাস্তিক ।
বিজ্ঞানের যুগ বলে চিৎকার করে লাভ নাই।সত্যিকার ভাবে বিজ্ঞান বুঝলে চিন্তা, গবেষনা করলে, আল্লাহর অস্থিত্বকে অশ্বীকার করে নাস্তিক হওয়ার কোন সুযোগ নাই।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিজ্ঞানের কথা বললেন তো তাই এই আয়াতটা মনে পরে গেল_
তারা কোরানের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করবেনা এবং অতীতে তাদের পূর্ববর্তীগণেরও আচরণ এরূপই ছিল। যদি তাদের জন্য আকাশের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেই এবং তারা সারাদিন তাতে আরোহণ করতে তাকে, তবুও তারা বলবে,আমাদের দৃষ্টি সম্মোহিত করা হয়েছে, না, বরং আমরা জাদুগ্রস্হ হয়ে পরেছি। (সুরা হিজর, আয়াত:১৩,১৪,১৫)
এই হল এদের মানষিকতা।
হে মুহাম্মাদ! যদি আমি কাগজের উপর লিখিত কোন কিতাব তোমার প্রতি অবতীর্ণ করতাম, অতঃপর তারা তা নিজেদের হাত দ্বারা স্পর্শও করতো; তবুও কাফির ও অবিশ্বাসী লোকেরা বলত যে, এটা প্রকাশ্য যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়। (সূরা আনআম:৭)
হাসান ইবনে সাব্বাহ (রঃ)..আনাস বিন মালিক (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন,(কিয়ামতের আলামত হল) লোকেরা পরস্পরে প্রশ্ন করতে থাকবে যে, আল্লাহ যদি সবকিছুরই স্রষ্টা হন, তবে তার সৃষ্টিকর্তা কে? (বুখারী: ৬৭৯৮, ১০ম খন্ড)
সুতরাং, তাদের সামান্য হাঁসতে দাও, অতঃপর তারা অনেক বেশি কাঁদবে, এটা হল তাদের (কৃতকর্মের) পুরস্কার যা তারা উপার্জন করতো। (সুরাহ তওবাহ, ৮২)"
অতএব কাফিরদেরকে অবকাশ দাও, তাদেরকে অবকাশ দাও কিছুকালের জন্য।(সুরা আলা:১৭, ৩০ পারা)
অনন্তর যেদিন আমি তাদেরকে একত্রিত করব-যাতে কোন সন্দেহ নেই, তখন তাদের কি দশা হবে? এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যা অর্জন করেছে, তা সম্যকরূপে প্রদত্ত হবে এবং কারো প্রতি অত্যাচার করা হবেনা (সুরা আল ইমরান, আয়াত:২৫)
কিছুদিন আগে নাস্তিকতা নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলাম পড়তে পারেন
http://www.bd-monitor.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/66485#.VfLyCZZSiUq
মন্তব্য করতে লগইন করুন