জামায়াত-শিবিরের বিরোধীতা করার মতো আরামের কাজ এই পৃথীবিতে আর নাই !!
লিখেছেন লিখেছেন সুমন আহমেদ ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:৫৫:৫২ সকাল
কোন এক ভদ্রলোকের লেখার বিষয়ে শুভাকাংখীরা মেসেজগুলোতে প্রচন্ড প্রেশার দিচ্ছেন। কেউ কেউ দাবিও করেছেন আমরা যেন ইসলামের স্বার্থেই উপযুক্ত জবাব দেই, তাদের ভূল ধারনার অপনোদন করে দেই। আমি কারো লেখায় দেওয়া অভিযোগগুলো নিয়ে অথেনটিক আলোচনা করতে আগ্রহী হতাম যদি সে ইসলাম নিয়ে কথা বলতো। ঘটনাক্রমে সে ইসলামকে জামায়াতে ইসলামীর ভিতর গুলিয়ে ফেলেছে। তার মনে হয় এই বিষয়ে ধারনা নেই যে, জামায়াত ইসলামী একটি সুস্পষ্ট লক্ষ উদ্দেশ্য সফল করতে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্টানীক থিউরি প্রযোগ করে নিজেদের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা স্বাধীন চিন্তা শক্তির লোকদের সাথে রেখেছে, ইসলাম সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান রাখে এমন ব্যক্তিদের স্টাডীকেও অনুশরণ
করে চলছে এবং এই কাজ আজো অব্দি চলমান রয়েছে।
.
তারপরেও ইসলাম কায়েম করতে গিয়ে যে সকল কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বা যে সকল পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছে সেখানে গলদ থাকতেও পারে। কিন্তু জামায়াতে
ইসলামীর গলদ (?) কে কেউ যদি
ইসলামের গলদ মনে করেন এবং সেই সুত্রে ইসলামকে মুল্যায়ন করে, তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস করছে অথবা জেনে বুঝে চোখ বন্দ করে রেখেছেন। অন্যদিকে শুধুমাত্র জামায়াত ইসলামী করছে বলেই যে কোন কাজকে অনৈসলামিক বা ইসলামের সাথে
সাংঘর্ষিক মনে করেন অথচ ইসলাম সম্পর্কে তার সুস্পষ্ট অধ্যায়ণ নেই ধারনা নেই, এটাও এক ধরণের দুরোগ্য ব্যধি। এই ব্যধির আসল সিন্ড্রোম হলো এরা ইসলামের বিষয়ে সুস্পষ্ট জ্ঞান না রেখে এবং অথেনটিক উৎস থেকে কোন ধরণের তথ্য না নিয়ে
জামায়াতের ঘারে ইসলামকে মডারেট করা বা নতুন ইসলামকে উপস্থাপণ করার অভিযোগ করে বসে। আসল ইসলাম সম্পর্কে কেউ যদি অজ্ঞ হয়, তাহলে সে কি করে কারো বিরুদ্ধে ইসলামকে মডারেট করার মতো ভিত্তিহীন অভিযোগ আনতে পারে ?
.
ইসলাম কি ধরনের অর্থ ব্যবস্থার
দিকে মানুষকে ডাকে, কোন ধরনের অর্থ ব্যবস্থাকে সে সাপোর্ট করে এই বিষয়ে ধারনা না নিয়ে ইসলামী ব্যাংকের কাযক্রমকে দলিল করে জামায়াত ইসলামীকে পুজিবাদের দোষর বানানোর মতো অজ্ঞতাসূলভ চিন্তার প্রতিবাদ না করাই আসল প্রতিবাদ। আমাদের
হয়তো মনে নেই বা ভুলে গেছি যে, গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থা যখন নিখাদ সূদী, পুজিবাদী ধারণা ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠে তখন সেখানে কোন অবস্থায় নিখাদ ইসলামীক ব্যাংকিং কার্যক্রম
চালু করা সম্ভব নয়। তবে সম্পুরক সূদ থেকে মুসলিমদের উদ্দারে বিকল্প প্রজেক্ট চালু করার ভিতর যতটুকো সাফল্য পাওয়া সুযোগ এসেছে এতেই তো পুজিবাদীদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। বিষয়টি নজরে না রেখে সামগ্রিক ভাবে ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রমকে জামায়াতের অর্থ ব্যবস্থার থিউরি ভাবলে ভূল হবে বৈকি।
.
আল ওস্তাদ মাওলানা মওদূদী (র)
ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার যে সংজ্ঞা
এবং থিউরি কোরআন এবং হাদিসের তথ্যের ভিত্তিতে প্রদাণ করে আধুনীক পুজিবাদের বিপরিতে ইসলামী অর্থব্যবস্থার আধুনীক সচিত্র তথ্য উপস্থান করেছেন, সেই কাজ পুর্বেও এত সাবলিল ভাবে কেউ করেনি।
বর্তমানের মুসলিম স্কলরারদের মধ্যে আজো অব্দি কেউ তেমিন ধরনের চিন্তাধারা পেশ করতে পারেনি এবং মওদূদী রহ এর দেখানো থিউরির বিরুদ্ধে দালিলিক কোন প্রতিবাদ আজো
অব্দি করতে পারেনি। তবে কেউ কেউ সন্দেহের বশে আশংকা প্রকাশ করেছেন যে, এর ভিতর দিয়ে পুজিবাদের সূদী ব্যবস্থার দিকে আস্তে আস্তে ঝুকে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। তারা হয়তো
বুঝতে পারেননি, তিনি যে থিউরি
দিয়েছেন সেটা ইসলামী রাষ্ট্র
ব্যবস্থার জন্য, বুর্জুয়া রাষ্ট্রের
অধিনে থেকে দ্বীনের সামান্য খেদমতের নিমিত্তে গড়ে উঠা অর্থ ব্যবস্থার জন্য মোটেও নয়।
.
সার্বভৌমত্বের সংজ্ঞা এবং এর
ইসলামী শিক্ষা সম্পর্কে ভদ্রলোকের
জ্ঞান এবং গবেষনার ছিদ্রগুলোর দিকে তাকালে অবাক হতে হয়। যা হোক আগামীতে এই নিয়ে আলাদা আলোচনার ইচ্ছে রইলো। ইনশায়াল্লাহ !!!
বিষয়: বিবিধ
১১৬৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আসলে তাদের সমস্যা ইসলামেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন