মুসলমান হয়ে ইসলাম ছাড়া আর কোন রাজনীতি করতে পারে না।

লিখেছেন লিখেছেন সুমন আহমেদ ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:০৯:৪৮ দুপুর

# আল্লাহ তাঁর রাসুল (সা) কে জমিনে প্রেরন করেছেন সকল মানব রচিত মতবাদের উপর দ্বীনে হক্ কে বিজয়ী করার জন্য।

দুনিয়াতে যত নবী রাসুদল গন প্রেরিত হয়েছেন তাঁদের জীবনের মিশন একটাই ছিল। আল্লার জমিনে তাঁর আইন প্রতিষ্টিত করা।

আমাদের নবী হযরত মোহাম্মদ (সা) নবুয়ত প্রাপ্তির পর দীর্ঘ তেইশ বছর, সংগ্রাম সাধনা করে, আল্লহর নাজিল কৃত কোরআনের আইন কায়েম করে সেই দায়িত্ব পালন করে গেছেন।

যারা নবীর উম্মত বা অনুসারী তাদের কাজও তো এটাই। অনুস্বারী যার হবে কাজ তো তার বলা, দেখানো পদ্ধতিতে করতে হবে তবেই তো তাকে অনুস্বারী বলা যাবে।

ডাক্তারি করার জন্য ডাক্তার কে অনুস্বরন না করে কামার বা কুমার কে অনুস্বরন করলে যেমন ডাক্তার হওয়া যাবেনা। ঠিক তেমনি রাসুল (সা) এর প্রকৃত অনুস্বরন করা ছাড়া উম্মত হওয়া যাবেনা।

এর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত সাহাবায়ে কেরাম (রা) গন। তারা অনুস্বরন করে দেখিয়ে গেছেন কি ভাবে রাসুল (সা) এর উম্মত হিসাবে অনুস্বরন করতে হবে। এর আর কোন বিকল্প নাই।

রাসুল (সা) এর অবর্তমানে সেই দায়িত্ব তাঁর উম্মতে উপর দেওয়া হয়েছে। যারা আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা) এবং কোরআনের উপর বিশ্বাস আছে বা রাখে তাদের কাজ বা দায়িত্ব এটাই।

আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা) কে মুখে বলবে বিশ্বাস করি আর কাজ করবে বিপরীত এটা কখনই মানা বা অনুস্বরন নয়। কোরআনের একটি আয়াতকে নামানলে বা অস্বিকার করলে সে নবীর উম্মত বা মুসলিম থাকতে পারে না।

সুতরাং মুসলমান হয়ে কোরআন বিরোধী আইন চালু করার বা রাখার চেষ্টা করলে সেটা তো মুসলমানের কাজ হবেনা। সুদ,ঘুষ, মদ, জুয়া, ব্যবিচার যে আইনে বৈধতা দেয়। সে আইন কায়েমের রাজনীতি কোন মুসলমান কখনই করতে পারেনা।

আমরা যারা মুসলমান বা মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়ে কোরআনের আইন বিরোধী মতবাদের জন্য রাজনীতি করি। তাদের প্রতি অনুরোধ জানা দরকার ষ্টাডি করা জরুরী ঠিক করছি কিনা?

এবং নিজে চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার এটা জায়েজ কি না? আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন তাঁর পথে ফিরিয়ে আনুন। সঠিক বোধশক্তি দান করুন।

বিষয়: বিবিধ

১১৭৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

339935
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:২১
আফরা লিখেছেন : খুব ভাল লাগল সুন্দর লিখার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।

আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন তাঁর পথে ফিরিয়ে আনুন। সঠিক বোধশক্তি দান করুন।আমীন
339941
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩৬
সুমন আহমেদ লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকেও সুন্দর মন্তব্যের আমরাসবাইকে আল্লাহ হেফাজত করুন এবং রাখুন।
339951
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:১৫
শফিউর রহমান লিখেছেন : দুনিয়াতে চলার জন্য মানুষের সামনে দুইটাই মাত্র রাস্তা আছে - এর বাইরে আর কোন রাস্তা নাই। এর মধ্যে একটি রাস্তা চলে গেছে জান্নাত পর্যন্ত এবং আর একটি রাস্তা গেছে জাহান্নাম পর্যন্ত। আল্লাহর দেয়া এবং আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর প্রদর্শিত রাস্তাই হলো একমাত্র রাস্তা, যা গেছে জান্নাত পর্যন্ত। এর বাইরে যত রাস্তাই আছে (লিখিত বা অলিখিত, নামে-বেনামে, দৃশ্য-অদৃশ্য) সবগুলোই হলো শয়তান প্রদর্শিত রাস্তা, যা চলে গেছে জাহান্নাম পর্যন্ত। এই সমস্ত রাস্তার নাম কমুনিষ্ট, সমাজতন্ত্র, সেকুলার বা জাতিয়তাবাদী বা অন্য যা-ই কিছু হোক না কেন।

আল্লাহর রাস্তার বাইরে যে কোন রাস্তার উপরে বিশ্বাষ করা, চলা এবং আহ্বান করা, প্রতিষ্ঠিত করা বা করার চেষ্টা করা সবগুলোই জাহান্নামের পথ। যতক্ষণ পর্যন্ত ঐ পথ থেকে তওবা করে ফিরে না আসবে - সে নামাজ পড়ুক, রোজা রাখুক, বা হজ্ব করুক - ফলাফল একই।
339953
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৫
সুমন আহমেদ লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
340027
০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:০৮
অপি বাইদান লিখেছেন : ডাক্তারি করার জন্য ডাক্তার কে অনুস্বরন না করে কামার বা কুমার কে অনুস্বরন করলে যেমন ডাক্তার হওয়া যাবেনা। ঠিক তেমনি রাসুল (সা) এর প্রকৃত অনুস্বরন করা ছাড়া উম্মত হওয়া যাবেনা।

মধ্যপ্রাচ্যের আল্লার মুমিনরা তো সেই কাজটি করে। সেখানে ইসলামের শরিয়া, খেলাফত, কিসাস, কতল, জেহাদ.... সবই বহাল আছে। তারপরও কেন মুমিন মুল্লুক ছেড়ে আয়লানের মত অভাগারা ইউরোপের দিকে ঝাপিয়ে পরে???
340321
০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:০৪
সুমন আহমেদ লিখেছেন : মধ্য প্রাচ্যের লোকেরা সত্যিকার অনুস্বরন করলে যেতে হোত না। অার দুনিয়া সব মুলমান সত্যিকার মুসলমান হয়ে একজোট থালে আজ এই দশা হতো না। দেখেন না রাসুল কে মান আবার অমুক তমুক নেতার আদর্শে আদর্শিত।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File