জামায়াত নেতাদের শিক্ষা
লিখেছেন লিখেছেন সুমন আহমেদ ২০ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:২৬:৪৭ বিকাল
খুবাইবের ফাঁসী আর জামায়াত নেতাদের শিক্ষা !
.
হজরত খুবাইব (রা.) ইসলামের একজন শ্রেষ্ঠ শহীদ এবং সাহাবী !
.
নির্যাতনের সর্বপ্রকার ভয়াবহতা, নির্মমতা সহ্য করে যিনি ঈমানের ওপর ছিলেন অটল !
.
কুরাইশরা খুবাইবের নির্যাতন এবং ফাঁসির দৃশ্য দেখানোর জন্য মানুষদেরকে ডাকল !
.
১ম তাকে হাত পা শিকলে বেঁধে ধাক্কাতে ধাক্কাতে ফাঁসীর মন্চে নিয়ে যেতে লাগল !
.
তখন উপস্থিত দর্শকেরা হাত তালি দিয়ে এই নির্মমতাকে উৎসাহ দিচ্ছিল !
.
ঠিক এমনি মূহুর্তে তিনি অনুমতি চাইলেন ,ফাঁসির পূর্বে দু’রাকাত নফল নামাজ পড়তে !
.
দুই রাকাত নামাজের জন্য অনুমতি দেয়া হল এবং তিনি নামাজও শেষ করলেন !
.
নামাজ শেষে উপস্থিত লোকদের উদ্দেশ্যে খুবাইব রাঃ বললেনঃ
আল্লাহর শপথ ...
.
"আমি মৃত্যুর ভয়ে নামাজ লম্বা করছি তোমরা এ ধারণা করবে বলে মনে না হলে ,আমি নামাজ আরো দীর্ঘ করতাম" !
.
তারপরেই ফাঁসীর মঞ্চ থেকে খুবাইবের কন্ঠে ভেসে আসল নিচের কবিতাটি !
.
কবিতার দুইটি শ্লোক নিম্নরূপ : “আমাকে যখন মুসলিম হবার কারণে হত্যা করা হচ্ছে ,
.
তখন মৃত্যুকালে আমি যে যাতনাই ভোগ করি তাতে আমার কিছুই আসে যায় না" !
.
কবিতার শ্লোকটি দ্বীপ্ত কন্ঠে ঘোষণার পরেই কাফিররা তার ওপর সেই পৈশাচিক ও অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে দিলো !
.
ইবনে হারেস মুবাইয়া আবদী খুবাইব রাঃ এর গলায় ফাঁসীর রশি পরিয়ে দিল !
.
মানুষ তো দূরের কথা একটি নিরেট পশুকেও জীবিত অবস্থায়, তার দেহ থেকে প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ একের পর এক কেটে বিচ্ছিন্ন করার মতো নির্মমতা প্রদর্শন করতে
পারে না !
.
অথচ মানুষরূপী জালেমরা জীবিত অবস্থায়ই খুবাইব (রা)-এর শরীর থেকে তার অঙ্গ-প্রতঙ্গগুলি কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয় !
.
হজরত খুবাইব (রা.) এর শরীর থেকে তখন ভীষণভাবে রক্তপাত হচ্ছিল !
.
শত নির্যাতন-নিপীড়ন সত্ত্বেও আল্লাহর নির্ভীক সৈনিক খুবাইব (রা.) বলিষ্ঠ ঈমানী চেতনায় অটল !
.
কিছুক্ষণ পরেই সত্যের এ মহান সৈনিক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শাহাদাতের পেয়ালা পান করেন !
.
অহির মাধ্যমে রাসূলে করীম (সা.) প্রিয় সাহাবী খুবাইবের
শাহাদাতের ঘটনা জেনে বললেন: খুবাইব তোমার প্রতি সালাম !
.
রাসূল সাঃ আমর ইবন উমাইয়া দাসরীকে শহীদের লাশের খোঁজে মক্কায় পাঠালেন !
.
আমর রাতের অন্ধকারে শঙ্কিত চিত্রে ফাঁসীর মঞ্চে যান এবং অতি গোপনে ফাঁসির রশিটি কেটে দেন !
.
শহীদ খুবাইব রাঃ পবিত্র দেহ মাটিতে পড়ে যায় !
.
আমর ইচ্ছা করছিলেন, লাশটি কাঁধে করে ফিরবেন, কিন্তু মঞ্চ থেকে নেমে লাশের কোনো চিহ্ন পেলেন না !
.
কারণ কাফেররা খুবাইবের দেহকে আঘাতে আঘাতে খন্ড বিখন্ড করে দেয় যার কারণে তিনি লাশটি কাঁধে নিতে পারলেন না !
.
খুবাইবের এ শিক্ষা থেকে জামায়াতের নেতারাও আজ একই পরিক্ষায় উত্তীর্ন !
.
যার প্রমান শহীদ মোল্লা ভাই এবং প্রিয় কামরূজ্জামান ভাই !
.
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকেও শহীদি মৃত্যু দান করূন !
.
আমীন !
বিষয়: বিবিধ
১১২৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনার সুন্দর লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ
অথচ ভাবিনা এই দেহ মাত্র ৫০/৬০ বছর পরে ধূলায় মিশবে, কেউ হয়ত মনেও রাখবেনা।
১০০ বছর পরে কেউ হয়ত ভূলেও ভাববেনা আমরা কে কোথায় বসবাস করেছি, কার কত শান শওকত ছিল।
এই মৃত্যুর ভয়ে আর এতটুকু আয়েশের জন্য অত্যাচারীর বিরুদ্ধাচারণ করিনা। উপহাস!
জীবন আমাদের এমন বাচ্চামী দেখে আর উপহাসের হাসি হাসে!
মন্তব্য করতে লগইন করুন