**খোদাদ্রোহীদের এ অভয়ারন্য আমাদের নিজ হাতে তৈরী !**
লিখেছেন লিখেছেন প্রক্সিমা ০৫ আগস্ট, ২০১৫, ০৯:২২:২৪ রাত
৯৬' এর পর বিটিভির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এক বিশেষ চেতনা ব্যাবসায়ীদের রাজনীতির ভক্ত হয়ে গেলাম ।
চেতনা ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই মাথায় আগুন ধরে যেত ।
যাহোক এক বড় ভাইয়ের দাওয়াতে ইসলামী রাজনীতির গুরত্ব বুঝতে শুরু করলাম ।
তারপর যাচাই করার পালা ।ইসলামী দলগুলোর ব্যাপারে মনের মধ্যে ছিলো অগনীত প্রশ্ন ।উত্তর খুজতে খুজতে একটি দলকে ভালো লাগতে শুরু করে ।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো কেমন যেন অযৌক্তিক ও মিথ্যা প্রমান হতে লাগলো ।
ইতিমধ্যে তারা সরকার গঠনে অংশগ্রহন করলো ।
সর্বোচ্চ সততার সাথে তারা গুরুত্বপূর্ন দুটি মন্ত্রানালয় পরিচালনা করছিলো ।
ব্যাপারটা অনেক ভালো লাগলেও একটি ইসলামী দলের কাছ থেকে সবার আগে যেটা পাওয়ার কথা ছিলো সেটা না পেয়ে হতাশ হলাম ।
সেটা হলো নামাজের বিল সংসদে পাশ করানো ।
এরপর তাদের রাজনৈতিক বিভিন্ন প্রোরাগ্রামে উপস্থিত হওয়া ।
কয়েকজন কেন্দ্রেয়ী নেতার জনসভায় উপস্থিত হওয়ার সুযোগ হয়েছিলো ।
এরপর নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতী ,চলছে নির্বাচনী জনসভা ।
এরমধ্যে আমাদের স্থানীয় এক মাদ্রাসা প্রাংগনে অনুষ্টিত হয়েছিলো তাদের একটি জনসভা ।
সেখানে দলীয় প্রধান ও ছিলেন ।
দলপ্রধানের বক্তব্যে কেমন যেন একটা নতুনত্ব পেলাম ।
বিরোধীদের প্রতি নেই কোন আক্রমনাত্বক কথা যা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের বক্তব্যের প্রধান এবং একমাত্র অবলম্বন।
সম্পূর্ন ঠান্ডা মাথার বক্তব্য ।
বক্তব্যের পুরোটাই ছিলো শিক্ষনীয় বিষয়ে ভরপুর ।
হঠাত একটি নতুন শব্দের সাথে তিনি আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন ইতিপূর্বে যা কখোনো শুনিনি ।
শব্দটি হলো Blasphemy আইন ।
তিনি বললেন এবার যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি তবে Blasphemy আইন পাশ করবো ,ইনশা আল্লাহ।
ব্যাপারটা উনা যখন পরিস্কার করে দিলেন ।
তখন বুঝলাম ।
তবে আমার কাছে বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ন মনে হলো না কারন বাংলাদেশের মত একটি রাস্ট্রে
নাস্তিক বা খোদাদ্রোহী কয়জনই বা আছে যার জন্য আলাদা আইন প্রনয়ন করতে হবে !
আবারো হতাশ হলাম এই ভেবে যে তিনি নামাজের বিলের ব্যাপারে কিছুই বললেন না ।
বিষয়টি এখন খুব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি ।
তারা কত দূরদর্শী ও বিচক্ষন ছিলেন ।
এখন বুঝি খোদাদ্রহী নাস্তীকদের কতব্ড় থাবা উচিয়ে আছে এই ৯০ ভাগ মুসলিমের দেশে ।
নাস্তিকতা ও খোথাদ্রোহীতার
আজকের এই ভয়াবহ আগ্রাসন তারা ঠিকই আন্দাজ করতে পেরে ছিলেন সবার আগেই ।
এখন বুঝি এত ব্ড় বড় ধর্মদ্রোহীদের অভয়ারোন্যের এই দেশে নামাজের বিল পাশ করানো ছিলো অনেকটাই পরিহাসের বিষয় তার আগে প্রয়োজন খোদাদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান তৈরী ।
আজ আরো বুঝতে পারলাম সেদীন যদি তারা সরকার গঠন করতে পারতেন ,
আজ অন্তত আগাচৌ ,লতিফ সিদ্দিকী ,রাজিব হায়দার ,অভিজিত্ রায় এর মত বেজন্মাদের জন্ম হতো না !
আজ খোদাদ্রোহীদের ফাঁসী চান কিন্তু এই জমিনে খোদাদ্রোহীর শাস্তি ফাঁসী আইনে আছে কি না সেটা একবার দেখে নিন ।
প্রতিদিন খোদাদ্রোহীদের ইসলাম বিদ্বেষী কথা শুনতে শুনতে কেমন যেন আমাদের গা সওয়া হয়ে যাচ্ছে যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক মারাত্বক বিপদের সংকেত বহন করছে ।
সত্যিই এ জাতির কপাল খারাপ ।
আপনি মানেন আর নাই মানেন ,
আমি মনে করি বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ দেশে জামায়াতে ইসলামীর বিরোধীতা করা আর খোদাদ্রোহীদের প্রমোট করা সমান কথা !
বিষয়: রাজনীতি
১২৯৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কিন্তু সমস্যাটি হলো এই আইন টি আসলে কি সেই বিষয়ে অনেক আলিম এর ধারনাই ভুল।
যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
অনেক ধন্যবাদ ।
আল্লা খুশি হবে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় যে সারাজীবন ইসলামের বিরোধীতা করলো মোল্লাদের বিরোধীতা করলো তার মৃত্যু পরবর্তী কর্মটি ইসলামিক রীতিতেই করতে বাধ্য করলো তারই সহযোদ্ধাগন ।
কতবড় খারাপ কপাল ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন