চরমোনাই সমর্থকদের চোখে আল্লামা সাঈদী
লিখেছেন লিখেছেন প্রক্সিমা ২৭ জুলাই, ২০১৫, ০৬:৪০:৪৪ সন্ধ্যা
চরমোনাই পীর সমর্থক
ভাইদের সাথে বসলে বা আলোচনা উঠলেই তারা আল্লামা
সাইদীকে মুনাফেক প্রমান করার জন্য একটি সুন্দর মুখস্ত গল্প পরিবেশন করে থাকেন ।
তেমনি কিছুদিন আগে কথা হচ্ছিলো একজন মুজাহিদ কমিটির সদস্যের সাথে।
তিনি বয়সে মুরুব্বি হলেও জামায়াত বিরোধীতার সমস্ত মন্ত্র মুখস্ত রেখেছেন।
প্রথমে তিনি কথা বলছিলেন অন্যন্য পীর বা তরিকের সাথে চরমোনাই এর পীরের
তুলনামূলক পার্থক্য নিয়ে ।
যা হোক এবার আমি বললাম
শুনলাম আপনাদের একজন পীর সাহেবকে সৌদি সরকার আটক করেছেন ।
এ ব্যাপারে আপনাদের অবস্থান কী ?
তিনি বললেন দেখো বিষয়টি নিয়ে অনেকে হাসি তামাসা করে।
কিন্তু আমি তাদেরকে বলি
যুগে যুগে যারাই ইসলামের কথা বলেছে তারাই জালিম সরকার এবং বাতিলের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে ।
এর হাজারো নজির আছে ইসলামে ।
আর এ ব্যাপারে আমরা প্রতিবাদ ,সংবাদ, সম্মেলন ও বিবৃতি দিয়েছি
তাছাড়াও উর্ধ্বতন পর্যায় লবিং করছি উনাকে ছাড়ানোর জন্য ।
তবে এখন আমরা মোটামুটি আশ্বস্ত ।
কথার প্রেক্ষাপটে বললাম আল্লামা সাইদি ও তো নির্দোষ তার মুক্তির ব্যাপারে আপনারাতো কোন বিবৃতি দিলেন না ?
তিনি বললেন যুদ্ধাপরাধ ব্যাপারে সাইদি সম্পূর্ন নির্দোষ এটা আমরাও জানি ও মানি ।
তবে সে মুনাফেক আর মুনাফেক
আল্লাহর শত্রু ।
এরপর বললাম কিভাবে ?
তিনি শুরু করলেন সেই মুখস্ত কাহিনি।
আশা করি কাহিনিটি পাঠকদের সবার ই জানা।
তবুও কাহিনির summary হচ্ছে ।
আল্লামা সাঈদি নাকি কোন এক সময় ইসলামী শাসন তন্ত্র আন্দোলনে যোগ
দিয়েছিলেন এবং কোর আন শরিফ ছুয়ে কসম করেছিলেন যে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন থেকে কখনো পিছপা হবেন না !
কিন্তু গোলাম আযমের চক্রান্তে ! তিনি কসম ভংগ করেন ।
এবং মওদুদীবাদে যোগ দেন !
এরপর তিনি মওদুদীর ১৪ গোষ্টি উদ্ধার করলেন (কোন অশ্লীল ভাষা ব্যাবহার না করে) ।
আমি বললাম সাঈদীকে তো আপনাদের সাথে বেইমানী !
করার জন্য ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে না তাকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে সম্পূর্ন রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ।
তিনি বললেন মুনাফেকরা বাতিলের দ্বারা এভাবেই ধ্বংশ হয় ।আর আমরাতো সাইদিকে আর আলেম ই মনে করি না ।
আল্লামা সাইদি সম্পর্কে প্রায় সকল চরমোনাই সমর্থকের ই এই একই চিন্তাধারা !
এবার আমার কথা
যুগে যুগে হক্বপন্থীরা সবসময় মজলুমের পাশে দাড়িয়েছে এমন কি victim যদি অমুসলিম ও হয় তবুও ।এটাই ইসলামের সৌন্দর্য ।
যেমন একটি হাদিস থেকে জানলাম কোন এক বিষয় নিয়ে একজন মুসলিম ও অমুসলীমের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয় ।
সেটার বিচার করেন আমাদের নবী সঃ ।
কিন্তু বিচার চলে যায় মুসলিম মানুষটির বিপক্ষে ।এতে তার বিচার মনপুত হল না
তাই সে এ ব্যাপারে নালিশ করল উমর রাঃ এর কাছে তারপর উমর রাঃ ক্ষিপ্ত হয়ে মুসলিমটির শিরোচ্ছেদ করলেন ।
তো কাহিনী যাই ঘটে থাকুক ঘটনাটি আল্লামা সাঈদীর বিরুদ্ধে একটি অপপ্রচার মাত্র কারন আল্লামা সাইদী বাংলাদেশের ইসলামি সমাজের একটি Power ।যখনি চরমোনাই সমর্থকেরা জামায়াত শিবিরের সমালোচনা করে ।
তখনি কোন না কোন ভাবে সাইদির ব্যাপারটি উঠে আসত কারন মওদুদীর সমালোচনার অনেক রাস্তা তাদের ছিল কিন্তু সাইদীর সমালোচনার তেমন কোন ইস্যু তাদের হাতে ছিলো না ।
কিন্তু তারা এই Power কে থামানোর জন্য উক্ত ঘটনাটি বিকৃত ভাবে প্রচার করতে থাকে ।
বিষয়: রাজনীতি
২২৯২ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সব মিলিয়ে চর্মনাই অর্থ চামড়া নাই
সুতারাং ওদেরতো কোন চামড়া নাই মুখে তাইতো যাতা তাহা বলতে পারে
thanks.
কিন্তু বিরোধীতার নামে পশুবৃত্তি চর্চা রক্ত হোলিতে মেতে উঠা মানুষের পর্যায়ে পড়েনা।
কোনো জালিম যখন ক্ষমতায়, এই অবস্থায় যার শরীরে আঁচড় পড়েনা, বুঝতে হবে সে জালিমেরই কেনা গোলাম, আল্লাহর নয়।
এসব কিছু শুনা কথা। আল্লাহই ভালো জানেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন