প্রসঙ্গ দ্বিতীয় বিয়েঃ আমার বর্তমান বউকে রেখে আমি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাই
লিখেছেন লিখেছেন মেঘ কাব্য ০৬ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:০০:২৯ রাত
যেহেতু বর্তমান বউটি আমার কথার অবাধ্য সেহেতু আমি দ্বিতীয় বিয়ে করতে চাই, দ্বিতীয় বিয়ের ব্যপারে ইসলাম ধর্ম কি আমাকে অনুমোদন দিবে? বর্তমান বউ যেহেতু আমার কথার অবাধ্য সেহেতু ওর সাথে সহবাস করার মত মানসিকতা আমার তৈরি হচ্ছেনা।
এভাবে চলতে থাকলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এমন অবস্থায় আমি দ্বিতীয় বিয়ে করে যৌথ সংসার করতে চাই....!
আরও একটি বিষয়, বর্তমান স্ত্রীকে রেখে তার অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করার ব্যাপারে আমাদের দেশীয় আইনের কোন বাঁধা আছে কিনা? বাঁধা থাকলে সেটা কি রকম?
আসলে গত দেড় বছর ধরে আমি মানসিক অস্তিরতার মধ্যে আছি, মাঝে মাঝে ধম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। ডাঃ এর পরামর্শ নিতে গেলে ডাঃ পরামর্শ দেয় যেন টেনশন না করি......। কিন্তু আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিনা।
অভিঙ্গদের কাছে পরামর্শ চাই....! যাতে করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এবং সুপথ পেতে পারি।
বিষয়: বিবিধ
৩৪১২ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন। ইসলামী আইনে বাধা নাই।
বাংলাদেশে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া বিয়ে করলে আপনার এক বছর জেল ও আর্থিক দণ্ড হতে পাড়ে, যদি আপনার স্ত্রী মামলা করেন। তবে এতে আপনার দ্বিতীয় বিয়ে অবৈধ হবে না।
ইসলামে একাধিক বিয়ে করতে হলে আপনাকে সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ব্যবহার ও দায়িত্ব পালন করতে হবে, যা কঠিন, ব্যালান্স করে চলতে হবে।
বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গে যেহেতু বনিবনা হচ্ছে না, তাকে ধরে রাখার কি দরকার? এ ব্যাপারে ইসলামের বিধান সুস্পষ্ট। চেষ্টা করুন স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে। এই বিষয়ে দিক নির্দেশনা পাবেন আশরাফ আলী থানবী (র) -এর 'মুসলিম দাম্পত্য জীবন” ও 'বেহেস্তী যেওর' বই দুটিতে। অভিজ্ঞ আইনজীবী ও স্থানীয় উলামা / মুফতির পরামর্শ নিন।
এত ব্যক্তিগত বিষয় ব্লগে না দেওয়াই ভালো। পোষ্টটি পরোক্ষভাবে দিতে পারতেন। ধন্যবাদ।
আপনি কি প্রবাসী?
তাকে যদি তাকে রাখতে পারলে ভাল। আর না পারলে দিয়ে দেয়া ভাল। তাকে রেখে আরেকটি বিয়ে করলে আপনি সমতা বজায় রাখতে পারবেন না তা বুঝা গিয়েছে আপনার কথা থেকে। সমতা রক্ষা করতে না পারলে আরেকটা বিয়ে করে গোনাহের মধ্যে পড়ে যাবে। তবে বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।
আমার পরামর্শ হচ্ছে তাকে রাখার জন্য আরো চেষ্টা করুন।
সে আপনার কথা মত চলে না? তাহলে আপনিই তার কথা মতে চলুন (যদি গোনাহের কথা না হয়)। তাহলেই তো সমাধান হয়ে যায়।
তাকে ভালবাসা দিন। তার সামনে অন্তত তার কথা মত হ্যাঁ হ্যাঁ করুন। তার বাপের বাড়ির আত্মীয়স্বজনের সাথে ভাল ব্যবহার করুন। আপনার আত্মীয়স্বজনকে তার সামনে বেশি কিছু না দিয়ে গোপনে দিন। ঝগড়া হলে পরাজয় মেনে নিন। রাগ আসলে কিছুক্ষন দূরে থাকুন। তার সামনে বলুন ঠিক আছে ঠিক আছে। পরে তার অপছন্দ হলেও কাজ করে যান। আবার সে রাগ করলে আপনি বলুন আচ্ছা ভুল হয়ে গেছে।
এভাবে কিছু দিন পরে এমনিতেই সব ঠিক হয়ে যাবে। জোর করে ঠিক করা যাবে না।
ইগোতে লাগবে , তবে that's the right way to get free.
মন্তব্য করতে লগইন করুন