মেয়েটির মনের গভীরে কেউ সহসাই জাইগা পাই না।

লিখেছেন লিখেছেন মেঘ কাব্য ০৪ আগস্ট, ২০১৫, ০২:৩৮:৫৩ রাত



অসম্ভব মায়াবি চেহারা তার।সেই

টানা টানা চোখ আর মায়াবি

চেহারা।আর দিঘল কাল চুল।

এক নজরে পছন্দ করবে সবাই।কিন্তু

মেয়েটা খুব চাপা স্বভাবের।আর ওর

মনের গভীরে কেউ সহসাই জাইগা পাই

না।

মেয়েটা মোটামুটি ভাল স্টুডেন্ট। সব

মিলিয়ে স্যার ম্যাডামদের ও আদরের

ছাত্রি।

খুব কেয়ারিং মাইন্ডের।

ও তার নামই তো বলি নাই। নাম হচ্ছে

অধরা।

আর অপরদিকে আরেকজন নাম সাকিব।

সেও হেব্বি স্মার্ট। আর চোখে ভারি

ফ্রেম এর চশমা। লাভ্লি লুকিং।ফর্সা

চেহারা।নাক্টা চোখা।হাইট টা

পারাই পাচ ফিট ৯ এর মত।সব মিলায়ে

পারফেক্ট।

আর সে পড়াশুনাতেউ কিন্তু খুব এক্টা

খারাপ না।কিন্তু ওকে সবাই অন্য এক্টা

কারণ এ পছন্দ করে সেই টা হল সে

সাংস্কৃতি মনা।নাচ, গান, অভিনয় কি

পারে নাহ।

আর অধরা তো চিরজীবন অধরাই থক্তে

চাই সবার কাছে। কিন্তু পারে না সে

নিজেকে সাম্লাতে। একসময়

সাকিবের অজানা মায়ায় বন্দি হয়ে

পড়ে সে ।

তারা দুই জন খুব ভাল বন্ধু কিন্তু অধরা

ওকে খুব পছন্দ করে ফেলে।

আর সাকিবকে দেখলেই ওর বুকের ভেতর

টা কেপে ওঠে।।

খুব ইমোশনাল হয়ে পড়ে বাট প্রকাশ করে

না।

একদিন কলেজ ফাংশন। সাকিব

যথারীতি ওর কাজ করছে। আর অধরাও

কিছু পারে না তা না। বাট করে না।

লজ্জা পাই খুব।কিন্তু সাকিব যেহেতু ওর

বেস্ট ফ্রেন্ড। তার ওর রিকুয়েস্ট এ

ছোট্ট এক্টা পাতফরম করবে।

কিন্তু তার জন্য ওর কিছুটা প্রাক্টিস

দরকার। আর প্রাক্টিস করানোর

দায়িত্তে ওভিয়াসলি সাকিব। বাট

অধরার পার্টনার অন্য জন।

অধরা অন্য পার্টনার এর সাথে পারফরম

করতে খুব হেজিটেট ফিল করছে। তারপর

ও করছে কারণ ওর সাকিব তো ওর পাশেই

আছে।যদিও কখনোও হইত ও অধরার মনের

কথা জানবে না বাট এখন তো ওর

পাশে আছে এতেই খুশি অধরা।

দেখতে দেখতে ফাংশন এর দিন চলে

আসল।অধরা খুব ভয় পাচ্ছে কি হবে কি

না হিবে! বাট সাকিব ওকে সাহস

দিচ্ছে তুই পারবি । এতেই অধরা খুশি।

আসলে অসহায় মেয়েগুলা এক্টুতেই খুশি

হয়।

সাকিব খুব ব্যাস্ত।কিন্তু অধরা ওকে খুব

কাছে পেতে মন চাইছে। কিন্তু

চাইলেই তো আর সব পাউয়া যাই না।

দুপুরে খাউয়ার সময় দেখে সাকিব

প্রাকটিস করছে এক্টা ডুয়েট ডান্স এর।ও

বসে বসে ওর ডান্স দেখে না খেয়ে

অন্তত ওর মুখ টা তো দেখতে পারছে

এরেই অধরা খুশি।

পারফরম এর আগ মুহুরতে কস্টিউম পরেছে

সাকিব। খুব কিউট লাগছে তো অধরার

সাকিব কে। ও সাকিবের কাছে

যেতে চাই। ঠিক তখনই সাকিব ডাকে

এই অধরা এদিকে আই তো এক্টু।

অধরা মন্ত্র মুগ্ধের মত ওর কাছে যায়। তখন

সাকিব বলে চল তো এক্টু কাজ আছে।

আমার সাথে আই।

দুই জনে একসাথে এক্টা ক্লাস রুমে যাই।

আপাতত ক্লাস রুম ফাকা কেউ নাই।

শুধু ওরা দুই জন ছাড়া। অধরা সাকিবের

পারফিউম এর গন্ধে মাতোয়ারা। এত

সুন্দর গন্ধ মানুষ টা পাই কই থেকে! "

অধরা ভাবে নিজের অজান্তেই।

সেদিন অধরা চুল ছেড়ে কলেজ আসছিল

বাট সেই চিরাচরিত সাদামাঠা

ভাবে।

কখন ও ওকে কেউ সাজতে দেখেছে

বলে মনে হয় না। ও ন্যাচারাল সুন্দর। সব

কিছুতেই মেকাপ ছাড়া মানিয়ে

যায়।

যাই হোক সাকিব এতক্ষন ওর দিকে

চেয়ে ছিল। অধরার চুল গুলা ঊড়ছে

বাতাসে। এলোমেলো করে দিচ্ছে

আর সাকিবকে জানি ডেকে বলছে দে

না এক্টু চুল গুলা ঠিক করে। এক্টু দিলে

কি হয়। প্লিজ দে না।

সাকিব যেন চুলের ভাষাগুলা বুঝতে

পারে। ও অধরার চুলগুলা দুই হাত দিয়ে

ঠিক করে দেয় আর বলে.. ভাল করে

পারফরম করবি,, বুঝলি পাগ্লি মেয়ে।

অধরা ওর স্পর্শ খুব ফিল করে। ওর ফর্সা

গাল দুটা লাল টুকটুক হয়ে যায়। আর অধরা

মনে মনে ভাবে এই হয়ত ওর জীবনের

শেষ স্পর্শ সাকিবের কাছ থেকে

পাউয়া। ওর সারাজীবন মনে থাকবে।

এক মুহুরতেই এত্ত কিছু ভেবে ফেলে

অধরা। তারপর যখন চেতনা ফিরে পাই

তারাতাড়ি বলে আচ্ছা ঠিক মতই করব

ভুল হবে না এক্টুও।তুই আছিস না। সাকিব

হেসে বাইরে বের হয়ে আসে। কিন্তু

অধরা তো এখন শুধুই কল্পনার রাজ্যে

বিচরণ করছে....................

------------অধরা

বিষয়: বিবিধ

১৭২৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

333538
০৪ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
হতভাগা লিখেছেন : অধরা সাকিবের কাছে ধরা দিতে চাইছিল । সাকিব তাকে অধরাই থাকতে দিল।
333601
০৪ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০২:২৬
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : এনজয় করলাম। চালিয়ে যান, সাথে আছি..

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File