এই চুলের ফ্যাশন কি ইসলামে যায়িজ?
লিখেছেন লিখেছেন আলিম হায়দার চৌধুরী অনিক ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:০৫:৩৬ সকাল
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক রাসূল সঃ ও তারা সাহাবাগণ ও সালাফে সালেহীন এর প্রতি॥
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমরা খেয়ালই করিনা যে বিষয়ের উপর আমাদের প্রিয় ও শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ এর কঠিন নিষেদ রয়েছে।
আমাদের সমাজে বিশেষ করে কি শিশু কি তরুন কি কিশোর কি যুবক দেখা যায় চুলের মধ্যে বাহারী ঢং।(কিন্তুএসব ব্যাপারে আমাদের বেশিরভাগ পরিবারের অভিভাবকদের কোনো খবর নেই ॥কিন্তু আমরা সবাই রাসূল সঃ এর অনুসারী বলে দাবী করি)
।
এর মধ্যে হালের ফ্যাশন যেটা সবথেকে বেশী জনপ্রিয় সেটা হলো মাথার দুপাশে কেটে একদম ছোট করা বা বেল করা আবার কেউ কেউ বেলের মধ্যে বিভিন্ন রেখা টেনে দেয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে আরো বিভিন্ন ধরনের ছবি দৃশ্যও আঁকা হয়।
,
ইসলাম কি এইসব চুলের কাট কে সমর্থন করে?
উত্তরঃ হারাম ।
দেখুন হাদীসের মাধ্যমে
,
সহীহ বুখারী
তাওহীদ পাবলিকেশনস
অধ্যায়ঃ পোশাক
অনুচ্ছেদঃ কাযা অৰ্থাত্ মাথার কিছু চুল মুড়ানো ও কিছু অংশে চুল রেখে দেওয়া
৫৯২০ নং হাদীস
ইবনু উমার হতে বর্ণিত
তিনি বলেনঃআমি রাসূল সঃ কে কাযা থেকে নিষেধ করতে শুনেছি।রাবী উবাইদুল্লাহ বলেন আমি জিজ্ঞেস করলামঃ কাযা কি ?তখন আব্দুল্লাহ আমাদের ইঙ্গিতে দেখিয়ে বললেন
শিশুদের যখন চুল কামানো হয় তখন এখানে ওখানে চুল রেখে দেয়॥এ কথা বলার সময় উবাইদুল্লাহ তাঁর কপাল ও মাথার দুপাশে দেখালেন॥উবাইদুল্লাহকে আবার জিজ্ঞেস করা হল বালক ও বালিকার জন্যে কি একই নির্দেশ? তখন তিনি বললেন আমি জানিনা। এভাবে তিনি বালকের কথা বলেছেন।
উবাইদুল্লাহ বলেন আমি এ কথা আবার জিজ্ঞেস করলাম।
তিনি বললেন পুরুষ শিশুর মাথার সামনের ও পিছনের দিকের চুল কামানো দোষনীয় নয়। আর অন্য ব্যাখ্যা মতে কাযা বলা হয় কপালের উপরে কিছু চুল রেখে বাকী মাথার কোথাও চুল না রাখা । তেমনিভাবে মাথার চুল একপাশ থেকে অথবা অপর পাশ থেকে কাটা।
৫৯২১
ইবনু উমার হতে বর্ণিত রাসূল সঃ কাযা থেকে নিষেধ করেছেন।
সহীহ মুসলিম
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অধ্যায়ঃ পোশাক ও সাজসজ্জা
৫৩৭৬ নং হাদীস
যুহায়র ইবনু হারব রহঃ ইবনু উমার রা থেকে বণিত যে রাসূলুল্লাহ সা কাযা করতে নিষেধ করেছেন
রাবী উমার ইবনু নাফি বলেনঃ আমি নাফি রহঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন কাযা কি ?
তিনি বললেন শিশুর মাথার চুল কতাংশ মুড়ানো এবং কতাকংশ রেখে দেওয়া
৫৩৭৭ নং হাদীস
আবু বাকর ইবনু শাইবা ও ইবনু নুমায়র রহঃ উবায়দুল্লাহ রহঃ উক্ত সনদে হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন
তবে উসামা রহঃ বর্ণিত হাদীসে কাযা শব্দের ব্যাখ্যাটিকে উবায়দুল্লাহ রহঃ এর উক্তি বলে উল্লেখ করেছেন
৫৩৭৮
মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না ও উমায়া ইবনু বিসতাম রহঃ উবায়দুল্লাহ থেকে উক্ত সনদে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন
তারা দুজন ব্যাখ্যাটিকে (মূল) হাদীসের অন্তর্ভুক্ত করেছেন
সুনান আবু দাউদ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অধ্যায়ঃ পোশাক
,
অনুচ্ছেদঃ চুলের গোছা সম্পর্কে
হাদীস নঃ৪১৪৫
আহমদ বিন হাম্বল রহঃ ইবন উমার রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
কাযঈ থেকে নিষেধ করেছেন। আর কাযঈ হলো বাচ্চাদের মস্তক মুন্ডনের পর মাথার উপরিভাগে কিছু লম্বা চুল রাখা॥
৪১৪৬
মূসা ইবন ইসমাঈল রহঃ ইবন উমার রা থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাযঈ থেকে নিষেধ করেছেন
আর তা হলো বাচ্চাদের মস্তক মুন্ডনের পর সেখানে কিছু চুলের গোছা অবশিষ্ট রাখা
৪১৪৭
আহমদ বিন হাম্বল রহঃ ইবন উমার রা থেকে বর্ণিত একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাহম একটি বাচ্চাকে এ অবস্হায় দেখেন যার মাথার কিছু চুল মন্ডন করা হয়েছে এবং কিছু অবশিষ্ট আছে
তিনি তাদের এরূপ করতে নিষেধ করে বলেন হয়তো সব চুল মুন্ডন করবে নয়তো সব রেখে দিবে।
সুনান ইবনে মাজাহ
পোশাক পরিচ্ছেন
৩৬৩৭ নং হাদীস
ইবনে উমার রাঃ থেকে বর্ণিত
তিনি বলেন
রাসূল সঃ কাযা নিষিদ্ধ করেছেন
রাবী জিজ্ঞাসা করেন কাযা কি?
ইবনে উমার রা বলেন কাযা হলো শিশুর মাথার একাংশের চুল কামানো এবং একাংশের চুল রেখে দেওয়া
,
৩৬৩৮
ইবনে উমার রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সঃ মাথার অংশবিশেষের চুল কামাতে নিষেধ করেছেন॥
এখনও কি আমরা আমাদের সন্তান এবং ভাইবোনদের এসব চুলের কাট দিবো?
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর কুরআন রাসূল সঃ সহীহ সুন্নাহ এর অনুসরণ করার তৌফিক দিন ।আমিন
বিষয়: বিবিধ
২৪২৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহ খায়ের ।
আসলে এইসব কাটিং ফাটিং তারাই করে যাদের মধ্যে কোরআন হাদীসের জ্ঞান নেই অথবা কম।
বেশ বলেছেন
আসলে সত্যি কথা কি এমনি ধীরে ধীরে আমরা রাসূল সঃ এর কথার বাহিরে চলে যাচ্ছি
আপসোস আলেম ওলামাদের প্রতি আপসোস অভিভাবকদের প্রতি
মন্তব্য করতে লগইন করুন