দ্যা কিং অফ পপ ৫৭ তম "স্মরণে কিছু লেখা'' মাইকেল জ্যাকসন

লিখেছেন লিখেছেন আলিম হায়দার চৌধুরী অনিক ২৭ আগস্ট, ২০১৫, ১১:৩৫:৪৫ রাত

পৃথিবীর ক্ষণস্হায়ী জীবনে মানব জাতির বিনোদনের শর্টকার্ট ও উপস্হিত পছন্দ হলো সংগীত।

আদিম সভ্যতা থেকেই সুর সংগীতের আবির্ভাব ঘটেছিলো।

সভ্যতার ক্রমবিকাশে সংগীত আজ অবদি তার জায়গা দখল করে আছে।

পৃথিবীর প্রতিটি দেশীয় সংগীত চর্চার মাধ্যমে অনেকেই নিজেকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন এক সুউচ্চ মর্যদায় ।

এমনিই একজন মহান শিল্পীর ৫৭তম জন্মদিন এই আগষ্ট মাসের ২৯তম তারিখে।

যিনি তাঁর সংগীতকে এমন এক সুউচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে যা এর আগে কোনো শিল্পী গীতিকার যাই বলি না কেনো লোক তা করে দেখাতে পারেনি।

তিনি তাঁর অসাধারণ গান ,সুমধুর কন্ঠ, স্টাইল ,নাচের মাধ্যমে সারা বিশ্ব মাতিয়েছেন।

তিনি আর কেউ নন সর্বকালের সেরা সংগীত শিল্পী MJ- Michael Jackson মাইকেল জ্যাকসন (মিকাঈল)।

এই অসাধারণ মানুষটিকে নিয়েই কিছু লেখার চেষ্টা করলাম।

মাইকেল জ্যাকসন একজন খ্যাতিমান আমেরিকান পপ সংগীত শিল্পী।

আমেরিকান বললে ভূল বলা হবে শিল্পীর কোনো দেশ বা জাতি ধর্ম নেই আর তাঁর মতো একজন মহান সংগীত এবং নৃত্য শিল্পীর বেলাতে তো এই কথা কোনো ভাবেই প্রযোজ্য নয়।

মাইকেল জেকসন পুরো নামঃ MICHAEL JOSEPH JACKSON.

জোসেপ ওয়াল্টার জ্যাকসন( Joseph walter jackson) ক্যাথেরিন ইস্টার ক্রুস( Katherine esther scruse) দম্পতির ঘরে ১৯৫৮ সনের ২৯শে আগষ্ট আমেরিকার মহাদেশের ইন্ডিয়ানার গ্রে সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তী।

এই দম্পতির আট সন্তানের মধ্যে মাইকেলের স্হান সপ্তম।

১৯৬৩ সালে তিনি জ্যাকসন ফাইভ নামক সংগীত দলে মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই যোগদান করেন।

(জ্যাকসন ফাইভ এর অন্যান্য সদস্যরা হলেনঃ

*সিগমান্ড এস্কো জ্যাকসন।

*টরিয়ানো আদ্রিল জ্যাকসন।

*জারমাইনা লা জাউনি জ্যাকসন।

*মারলন ডেভিড জ্যাকসন।

*স্টিভেন রানডেল জ্যাকসন।

মাইকেল জ্যাকসনের দুই বোন ছিলো যাদের একজনের নাম-মাউরিন রিলিট্টি জ্যাকসন ও জ্যানেট দামিতা জো জ্যাকসন।)

কে জানতো এই পাঁচ বছরের বালকটিই এদিন হবে পৃথিবীর সংগীত ইতিহাসের সবচেয় উজ্জল নক্ষত্র।

১৯৭১ সালে মাইকেল এককভাবে গান গাওয়া শুরু করেন।

মাইকেল জ্যাকসন সেই ছোটবেলা থেকেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেন জ্যাকসন ফাইভে সংগীত দলে থাকাকালীন সময়ে।

মাইকেল একসঙ্গ সংগীত শিল্পী, ব্যবসায়ী,নৃত্যশিল্পী, অভিনেতা ,সুরকার, গীতিকার, সংগীত আয়োজক, প্রযোজক সমাজসেবক ইত্যাদি আরোও অনেক কিছু।

মাইকেল জ্যাকসন মূলত

স্টিলটাউন(Steeltown,)Motown(মোটাউন),Epic(এপিক),Legacy(লিগেচি),MJJ Production (এমজেজে প্রোডাকশন) নামক মিউজিক কোম্পানীগুলো থেকে এলবাম বের করেন।

মাইকেল জ্যাকসন তাঁর গানে নিজে কন্ঠ দিতেন এবং গিটার কি বোর্ড ড্রামস এবং বিট বক্সিং ব্যবহার করতেন।

মাইকেল জ্যাকসন জীবদ্দশায় অসাধারণ অনেক গান ও কিছু এলবাম উপহার দিয়েছে শ্রোতা এবং ভক্তদের।

এইসব জনপ্রিয়গান ও এলবামের জন্য তিনি আজও ভক্ত ও শ্রোতাদের মনে অমলিন।

মাইকেল জ্যাকসন কে "কিং অব পপ" বলে সবাই এক নামে চেনে।

তবে অনেক সংগীত বোদ্ধারা মাইকেল জ্যাকসনের সাথে স্বদেশী রবি উইলিয়ামসের তুলনা করেন।আমি রবি উইলিয়ামসের গান যা শুনেছি তাতে অনেক ভালো একজন শিল্পী মনে হয়েছে।

আমার বিচারে মাইকেল জ্যাকসনই সেরা।

মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর পর একটি জরীপে এই রবি উইলিয়ামস ভোটে হারিয়ে দেন মাইকেল জ্যাকসনকে।

প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান হিসেবে ১৯৮০ সালে সকলকে হারিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেন মাইকেল জ্যাকসন।

জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল MTV তখন মাইকেল জ্যাকসনের গান প্রচার করে তাদের শক্ত ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে। এলবামগুলোর নাম দেওয়া হলোঃ

Michael jackson album

Ben

*.Release date: August 4, 1972

*.Label: Motown

*

Music & Me

*.Release date: April 13, 1973

*.Label: Motown

Forever, Michael

*.Release date: January 16, 1975

*.Label: Motown

Off the Wall

*.Release date: August 10, 1979

*.Label: Epic

Thriller

*.Release date: November 30, 1982

*.Label: Epic

Bad

*.Release date: August 31, 1987

*.Label: Epic

Dangerous

*.Release date: November 13, 1991

*.Label: Epic

HIStory: Past, Present and Future, Book I

*.Release date: June 16, 1995

*.Label: Epic

Invincible

*.Release date: October 30, 2001

*.Label: Epic

Michael

*.Release date: December 10, 2010

*.Label: Epic

Xscape

*.Release date: May 9, 2014

*.Label: Epic

The Best of Michael Jackson

*.Type: Best of

*.Release date: August 28, 1975

*.Label: Motown

One Day in Your Life

*.Type: Best of

*.Release date: March 25, 1981

*.Label: Motown

*.Type: Greatest hits

*.Release date: 1983

*.Label: Motown

Singles Pack

Type: Box set

*.Release date: 1983

*.Label: Epic

Greatest Hits

*.Release date: 1984

*.Label: Motown

Farewell My Summer Love

*.Release date: May 8, 1984

*.Label: Motown

Anthology

*.Release date: November 14, 1986

*.Label: Motown

Their Very Best – Back to Back

(with Diana Ross/Gladys Knight/Stevie Wonder)

*.Release date: 1986

*.Label: Motown

Love Songs

(with Diana Ross)

*.Release date: 1987

*.Label: Motown

Singles Souvenir Pack

*.Release date: 1988

*.Label: Epic

Motown's Greatest Hits

*.Release date: 1992

*.Label: Motown

Tour Souvenir Pack

*.Type: Box set

*.Release date: 1992

*.Label: Epic

The Best of Michael Jackson & The Jackson 5ive

*.Release date: 1997

*.Label: Motown

The Very Best of Michael Jackson with The Jackson Five

*.Release date: 1999

*.Label: Mootown

20th Century Masters – The Millennium Collection:

The Best of Michael Jackson

*.Release date: 2000

*.Label: Motown

Greatest Hits: HIStory, Volume I

*.Release date: November 13, 2001

*.Label: Epic

Number Ones

*.Release date: November 18, 2003

*.Label: Epic

Off the Wall/ Thriller

*.Release date: 2004

*.Label: Epic

Bad/ Dangerous

*.Release date: 2004

*.Label: Epic

The Ultimate Collection

*.Release date: November 17, 2004

*.Label: Epic

The Essential Michael Jackson

*.Release date: July 19, 2005

*.Label: Epic

Blood on the Dance Floor: HIStory in the Mix/ Invincible

*.Release date: 2006

*.Label: Epic

Visionary: The Video Singles

*.Release date: February 20, 2006

*.Label: Epic

Les 50 plus belles chansons

*.Release date: 2007

*.Label: Motown

King of Pop

*.Release date: August 22, 2008

*.Label:Epic

Gold

*.Release date: August 26, 2008

*.Label: Motown

Dangerous/ Dangerous – The Short Films

*.Release date: 2008

*.Label: Epic

The Collection

*.Release date: June 29, 2009

*.Label: Epic

The Definitive Collection

*.Release date: August 25, 2009

*.Label: Motown

La Légende de la Pop

*.Release date: 2009

*.Label: Pias France

The Indispensable Collection

*.Release date: June 21, 2013

*.Label: MJJ Productions

The Ultimate Fan Extras Collection

*.Release date: June 24, 2013

*.Label: MJJ Productions

মাইকেল জ্যাকসন অসংখ্য গান উপহার দিয়েছেন সারা বিশ্ববাসীকে ।তন্মধ্যে যেসব গান এখনো মানুষের মনকে নাচিয়ে তুলে সেই গানগুলো হলো

*Beat It

*Jam

*Dangerous

*History.

*Thriller

*Bad

*who Is It

*Billie jean

*Black or White

*Remember the time

*Smooth Criminal

*You are not alone...(মাইকেল জ্যাকসনের এই গানটি ৩৭বছর টপ চার্টে শীর্ষস্হান দখল করেছিলো।)

*You rock My World

*They dont care about us

*DirtY Daina

*Rock with u ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

গান যেমন মাইকেল জ্যাকসন ছাড়া পূর্ণতা পায়না তেমন মাইকেল জ্যাকসন নামটি গান না থাকলে এতো মর্যাদা পেতো না। এই দুটোই একটি আরেকটির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

মাইকেল জ্যাকসন সংগীত কে অসম্ভব সুন্দর কিছু গান ও এলবাম উপহার দিয়েছেন কিন্তু সংগীত মাইকেলকে কি দিয়েছে আসুন দেখে নেই।

সংগীত মাইকেল জ্যাকসনকে যেমন দিয়েছে পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্ত পর্যন্ত সীমাহিন জনপ্রিয়তা তেমনি দিয়েছে জশ প্রতিপত্তি সবকিছু।

এই সংগীতের মাধ্যমে মাইকেল অর্জন করেছে অসংখ্য পুরষ্কার ।তাঁর পুরষ্কারের সংখ্যা প্রায় ৭৫০ এর কাছাকাছি।

সংগীতের এমন কোনো পুরষ্কার নেই যে তাঁর স্পর্শ করা হয় নি।

সব পুরষ্কারের বিবরণ এখানে দেওয়া সম্ভব হবে না।

উল্লেখযোগ্য কিছু পুরষ্কারের কথা বলছিঃ

American Music Award পেয়েছেনঃ ২৬বার।

American Video Award পেয়েছেনঃ ২২ বার।

World Music Award পেয়েছনঃ ৩৮ বার।

Billboard Award পেয়েছেনঃ ৮৬বার।

BRIT Award পেয়েছেনঃ ১৭ বার।

MoBo Award পেয়েছেনঃ ০৩বার।

সংগীতের সবচেয়ে মূল্যবান পুরষ্কা Grammy Award অর্জন করেনঃ ১৩ বার।

Guinness World Record স্হান করে নিয়েছেনঃ ৩১ বার।

MTV Award পেয়েছেনঃ ৭৫বার।

RIAA Award পেয়েছেনঃ ১০০বার।

Soul Train Award পেয়েছেনঃ ২২বার।

NAACP Image Award পেয়েছেনঃ ৩৬ বার।

মোট ৭৫০ এর বেশী পুরষ্কার অর্জন করার কৃতিত্ব আছে তাঁর সংগীত জীবনে।

একজন মানুষ এতো পুরষ্কার অর্জন করার কৃতিত্ব শুধুমাত্র মনে হয় এই MJ এরই আছে।

এছাড়াও আরো কিছু পুরষ্কার তিনি অর্জন করেনঃ

১৯৯০ সালে American Cinema Awards এর Entertrainer of the Decade পুরষ্কার লাভ করেন।

২০০৪ সালে African Ambassadors Spouses Association "the golden elephant award "পুরষ্কার অর্জন করেন।

১৯৮৯ সালে American Dance Award লাভ করেন।

১৯৯৩ সালে দুইবার American Society Of Composers Authors and Publishers Award কর্তৃক Remember the time এবং In the closet এর জন্য Best of R&b অর্জন করেন।

Thriller এর জন্য ১৯৮৪ সালে American video award কর্তৃক Best long form এবং Best Home video পুরষ্কার জিতে নেন এই মার্কিন শিল্পী ।

২০১০ সালে Apollo legend award অর্জন করেন।

International Lifetime Achivement award লাভ করেন ২০১০ সালে Barbados Music Award থেকে।

Bami Award ২০০২ সাল অর্জন করেন Pop Artist of Millenniumপুরষ্কার।

Bad এলবামটির জন্য Bet এবং Bet hall of fame লাভ করেন ১৯৮৯ এবং ১৯৯৫ সালে।

Blockbuster Entertainment ১৯৯৬ Favorite Pop Male Artist অর্জন করেন।

Black Gold Award কর্তৃক আয়োজিত

Top Male Vocalist

Thriller: Best album

Billie Jean:Best Single Of the year

Beat It: Best Video Performance

পুরষ্কার লাভ করেন ১৯৮৩ সালে।

Best Video Choreography এর জন্য ১৯৯৭ সালে Bob Fosse Award পুরষ্কার পান।

Boy Scouts Of America ১৯৯০ পুরষ্কার লাভ করেন।

পাঁচবার Bravo Magazine Award লাভ করেন।

১৯৯৪ সালে Children choices award পুরষ্কার লাভ করেন।

২০১০ সালে Angel Award লাভ করেন Children uniting oscar natoin celebration এর পক্ষ থেকে।

CNN এ থেকে দুইবার পুরষ্কার লাভ করেন।

Crenshaw community yarth &foundation ১৯৯৪।

Congressional Black Caucos ১৯৭৫।

Critics Choice Awards ১৯৮৯।

Crystal Glove Awards ১৯৮৪।

দুইবার জয় করেন Danisj Grammy Award ১৯৯৬।

Dutch Music Factory Award এর পক্ষ থেকে ১৯৯৭ সালে Best Live Show এবং Best Live Singer নির্বাচিত হন।

১৯৮৪ -৮৮-৯১ সালে Ebony Magazine পুরষ্কার জয়লাভ করেন।

জার্মানির সঙ্গীতাঙ্গনে জন্য ECHO Award লাভ করেন ১৯৯৩ সালে।

যেই সালে আমি জন্মগ্রহণ করি ১৯৮৯ এ তখন মাইকেল Entertainment Award পুরষ্কার অর্জন করেন।

Fisk University থেকে মাইকেল জ্যাকসনকে ১৯৮৮ সালে Doctor Of Human Letter ডিগ্রী প্রদান করা হয়।

মাইকেল জ্যাকসনের মোট ৭৫কোটি এলবাম সারা বিশ্বে বিক্রীত হয়।যা একক স্হান দখল করে আছে।

মাইকেল জ্যাকসনকে সংগীত খ্যাতি, জনপ্রিয়তা, ভালোবাসার পাশাপাশি দিয়েছে অঢেল ধন সম্পদ।

এই ধন সম্পদ শুধুমাত্র নিজের জন্যই ব্যয় করেন নি করেছেন আত্মমানবতার সেবায়।

৩৯টি দাতব্য সংস্হাকে ৩০কোটি মার্কিন ডলার অনুদান দেন।

যেসব সংস্হাগুলোকে এই অনুদান প্রদান করেন সেগুলোর কিছু নামঃ

AIDS Project L.A.

*.American Cancer Society

*.Angel Food

*.Big Brothers of Greater Los Angeles

*.BMI Foundation, Inc.

*.Brotherhood Crusade

*.Brothman Burn Center

*.Camp Ronald McDonald

*.Childhelp U.S.A.

*.Children's Institute International

*.Cities and Schools Scholarship Fund

*.Community Youth Sports & Arts Foundation

*.Congressional Black Caucus (CBC)

*.Dakar Foundation

*.Dreamstreet Kids

*.Dreams Come True Charity

*.Elizabeth Taylor Aids Foundation

*.Juvenile Diabetes Foundation

*.Love Match

*.Make-A-Wish Foundation

*.Minority Aids Project

*.Motown Museum

*.NAACP

*.National Rainbow Coalition

*.Rotary Club of Australia

*.Society of Singers

*.Starlight Foundation

*.The Carter Center's Atlanta Project

*.The Sickle Cell Research Foundation

*.Transafrica

*.United Negro College Fund (UNCF)

*.United Negro College Fund Ladder's of Hope

*.Volunteers of America

*.Watts Summer Festival

*.Wish Granting

*.YMCA - 28th Street/Crenshaw

এছাড়াও লিউকোমিয়া এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে নিজ উদ্যোগে ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।শিশুদের জন্য Heal The World নামে একটি গান রচনা করেন যা মানুষের চোখে ব্যাপকভাবে নজর কাড়ে।

শিশুদের ভবিষ্যত, নিরাপত্তা,এবং স্বাস্হ্যগত উন্নয়নের মূল লক্ষ্য নিয়ে ১৯৯২সালে গড়ে তোলেন Heal The World Foundation. ২০০০সালে Heal The World Foundation এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় Heal The Kids.

শিশু এবং দূর্ভীক্ষে নিপীড়িত মানুষের জন্য তিন কোটি ডলার দান করেন।

এছাড়াও ১৯৯৬ সালে মাইকেল জ্যাকসনের অনুদান দিয়ে দুই লক্ষ সত্তর হাজার লোকের কর্মসংস্হানের ব্যবস্হা করা হয়।

দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকলেও বিভিন্ন কেলেংকারীতে জড়ানোর অভিযোগ উঠে তার উপর ॥১৯৯৩সালে তার বিরুদ্ধে শিশু যৌন নির্যাতন মামলা করা হয়। সম্ভবত ২০০৫ সালেও তার উপর এইরকম আরেকটি অভিযোগ আনা হয়।

এছাড়া ১৯৯৬ সালে লিসা মেরী প্রিসলির সাথে সংসার বিচ্ছেদ এবং ডিবোরাহ এর সাথে সংসার বিচ্ছেদ ইত্যাদি কেলংকারীতে জড়িয়ে পড়েন কিংস অফ পপ খ্যাত মাইকেল জ্যাকসন।

ভক্তদের ভালোবাসাতে শিক্ত মাইকেল জ্যাকসন ছুটে গেছেন পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে , করেছেন নান্দনিক স্টেজ পারফরমেন্স সারা বিশ্বে,

প্রদর্শন করেছেন নিজের সৃষ্টিশীল নাচ এবং শুনিয়েছেন অসাধারণ গান ।

মাইকেল জ্যাকসনের বিশ্ববিখ্যাত কনসার্ট ভ্রমণগুলো

History Tour -১৯৯৬ সালের ৭ই সেপ্টম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর ১৯৯৭ সালের মধ্যে প্রাজ্ঞ,চেক প্রজাতন্ত্র,হনলুলু,হাওয়াই, জার্মানী ,ব্রিমেন ,দক্ষিণ আফ্রিকাতে কনসার্ট করেন এই কিংবদন্তী।এই সময়ে চার কোটি পাঁচ লক্ষ ভক্তের সামনে ৫৮টি শহরে মোট ৮২টি কনসার্টে গান এবং নৃত্য প্রদর্শন করেন।

Dangerous Tour- জুন মাসের ২৭ তারিখ ১৯৯২ থেকে শুরু করে ১৯৯৩ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত জার্মানী মেক্সিকো ও নানা শহরে মোট তিনকোটি পাঁচ লক্ষ ভক্তের সামনে মোট ৬৭টি কনসার্টে অংশ নেন মাইকেল।

দুইকোটি ভক্তের সামনে মোট ৫৫টি কনসার্টে অংশগ্রহণ করে সাত কোটি পাঁচ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেন এই মার্কিন শিল্পী তাঁর Victory Tour এ ।সময়কাল ছিলো ১৯৮৪ সালের জুলাই মাস থেকে শুরু করে ডিসেম্বর মাসের ৯তারিখ ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট থেকে কানাডা ভ্রমণে।

Bad Tour শুরু করেন সেপ্টম্বর মাসের ১২ তারিখ ১৯৮৭ সাল থেকে জানুয়ারী মাসের ২৪ তারিখ ১৯৮৯ সালে মোট চার কোটি চার লাখ ভক্তের সামনে ১৩২টি কনসার্টের মাধ্যমে আয় করে দশ কোটি পঁচিশ লক্ষ মার্কিন ডলার।

১৯৮১ সালে আমেরিকার মোট ৩৯টি শহরে The Triumph Tour কনসার্ট করে মাইকেল।

ব্রিমেন,ব্রিটেন,হল্যান্ড,ফ্রান্স,কেনিয়াতে মাইকেল ২২জানুয়ারী ১৯৭৯ সালে Destiny Tour কনসার্ট করেন।

এছাড়াও এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ ১৯৭৯ সালে পুনরায় আমেরিকার Cleveland,ohio সফর করেন এবং আমেরিকার মোট ৮০টি শহর সফর শেষ করেন Wasington DCতে ।

১৯৭৮ সালের ২২ জানুয়ারী মাসে আমেরিকা এবং ইউরোপ সফরে বের হন ।

১৯৭৭ সালে Avenues Silver Jubliee celebration এর উদ্যোগে স্কটল্যান্ড সফর করেন।

এছাড়াও জ্যাকসন ৫ এর হয়ে ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৭৫সাল পর্যন্ত এশিয়ার বিভিন্ন দেশসহ নানা দেশে অসংখ্য কনসার্ট করেন।

মাইকেল জ্যাকসন চল্লিশ বছরের জীবনে তিনি সবসময়ই ছিলেন সবার আলোচনার বিষয়।কখনও গান কখনও নাচ কখনও কেলেংকারী কখনও আত্মমানবতার নিবেদিত প্রাণ কখনও নিজেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে।

মার্কিন কিংবদন্তী কৃষ্ণাঙ্গ এই শিল্পী হঠাত্‍ করেই কৃত্রিম উপায়ে ১৯৮০ সালে নিজের শরীর এবং রং ফর্সা করে আলোচনাতে আসেন।

মাইকেল কেনো গায়ের রং কৃত্রিমভাবে ফর্সা করলেন তা নিয়ে অনেকেই নানা ধারণা পোষন করেছেন

কিন্তু সে ব্যাপারে আমি চুপ থাকলাম কারণ এই ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।মজার বিষয় বারবার কসমেটিক্স সার্জারী করার ফলে মাইকেল জ্যাকসনের ছোট্ট নাক টি মাঝে মাঝে লেপ্টে যেতো।

সাদা হোক কালো যেটাই হোক মাইকেল ভক্তদের হৃদয়ে চিরঞ্জীব।

এছাড়াও ২০০০সালে MOBO Music Awards এর পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার।

১৯৯০ সালে Music Connection এর পক্ষ থেকে Man of the Decade পুরষ্কার।

Music Video Producers মাইকেল জ্যাকসনকে

১৯৯১সালে Thriller এর জন্য Hall of FameInducted

1992Billie Jean এর জন্যHall of Fame Inducted পুরষ্কার।

১৯৯২ শালে Beat It এর জন্য Hall of Fame Inducted পুরষ্কার প্রদান করে।

এছাড়াও Muz-TV Awards

NAACP Image Award

NARM Gift of Music Awards

The Harry Chapin Memorial Humanitarian Award

NRJ Awards

Oneness Awards

Operation One to One Awards

Jackson was honoured with an Operation One to One award

Organisation of African Unity Award

Orpheus Award

People's Choice Award

Pocono Film Festival Award

Popcorn Magazine

Pop Rocky Magazine

Presidential Awards

Pro-Set Los Angeles Music Awards

Puls Music TV

Radio Music Awards

Rock and Roll Hall of Fame Award

RTL Television Award (Germany)

Rolling Stone Awards

Reader's Poll Awards

Sixteen' and 'Spec' Magazines Awards

Smash Hits Awards

Smash Hits Poll Awards

Sony Entertainment Awards

Sony (Music) Turkey Awards

Hall of Fame Award

The Sun Newspaper Award

United States Congress Award

United States National Recording Registry Award

Vanity Fair Awards

Video Software Dealer Association Awards

VH1 Awards

United Negro College Fund Awards

The Village Voice Jazz & Pop critics’ poll Awards

World Awards

World Music Awards

Viewer's Choice Awards

Emmy Awards পুরষ্কারগুলো উল্লেখযোগ্য ।এসব পুরষ্কার মাইকেল একের অধিকবার অর্জন করেছেন।

১৯৯২ সালে মাইকেল জ্যাকসনকে আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার প্রদান করেন National Association of Black Owned Broadcasters সংস্হাটি ।

NME Magazine Awards সহ অনেক পুকষ্কার মাইকেল জ্যাকসন তাঁর ঝুড়িতে রেখেছেন।

১৯৬৪ সাল থেকে মাইকেল জ্যাকসন নামটির সাথে পরিচয় ঘটেনি এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত তাঁর গানের ভক্ত।

মাইকেলের শুধুমাত্র গান নয় তার সাথে ছিলো অসাধারণ নৃত্য।মাইকেল জ্যাকসন তাঁর এই নাচের মাধ্যমে তাঁর জনপ্রিয়তাকে এভারেষ্টের চূড়ায় নিয়ে গেছেন ।

পৃথিবীর ইতিহাসে মাইকেল তাঁর সৃষ্টিশীল নাচ এবং প্রদর্শনের জন্য সারা বিশ্বে জনপ্রিয়। তাঁর জনপ্রিয় নাচগুলোর মধ্যে Moon Walk চাঁদে হাঁটা Michael Jackson Robotic dDance Moves& Grooves ,পায়ের আঙ্গুলের অগ্রভাগে ভর দিয়ে দাঁড়ানো ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।



Motown এর ২৫ তম স্টেজ শো তে মাইকেল জ্যাকসন প্রথম MoonWalk ডান্স টি প্রদর্শন করেন। যদিও না তিনি প্রথমবারের এই প্রদর্শনীতে মোটেও সন্তুষ্ট ছিলেন না তবে এটা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় একটি ডান্স হিসেবে ব্যাপক সাড়া ফেলে ।যা এখনো নৃত্যজগতে একটি মূল্যবান বিষয়।

Moonwalk মূলত সামনের দিকে হাঁটার ভঙ্গিমা করে পিছনে চলে যাওয়া।

মাইকেল জ্যাকসন প্রজন্মের পর প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীদের কাছে একটি আদর্শ এবং অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

মাইকেলের পরিবার মূলত আফ্রো আমেরিকান।আর্থিক অস্বচ্ছলতার দরুণ মাইকলেকেও কফিকলে কাজ করতে হয় ।

১৯৭২সালে মাইকেল "বেন" নামে প্রথম একক এলবাম প্রকাশ করেন।এরপরের এলবামটি হলো "অফ দ্যা ওয়াল" এর Dont stop till U get enough এবং Rockin With Uএই গান দুটি মাইকেলকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তোলে।

এছাড়াও নিম্নোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো Hall Of Fame Dancer এর সাক্ষাত্‍কার নেবার সৌভাগ্য লাভ করে।

.Italian Vogue Magazine

*.Access Hollywood ২০০৬

*.Jesse Jackson Interview ২০০৫

*.At Large With Geraldo Rivera Interview ২০০৫

*.CBS '60 Minutes' interview ২০০৩

*.VIBE Magazine Interview ২০০২

*.Online Audio Chat ২০০১

*.TV Guide Interview ২০০১

*.USA Today Interview

*.TV Guide Interview ১৯৯৯

*.The Mirror (Newspaper) Interview ১৯৯৯

*.Barbara Walters

*.OK!

*.Molly Meldrum Interview ১৯৯৬

*.VH1 Interview

*.Simulchat ১৯৯৫

*.Prime Time Live ১৯৯৫

*. The Oprah Interview ১৯৯৩

মাইকেল জ্যাকসনের Thriller এলবামটি পৃথিবীর একমাত্র এলবাম যেটি পাঁচ কোটি কপি বিক্রীত হয়েছে যা গিনেস বুক অফ ওয়াল্ড রেকর্ড।শুধু মাত্র আমেরিকাতেই বিক্রয় হয় দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষেরও বেশি কপি।

১৯৯৩ সালের ৩১ জুন NBC টেলিভিশন চ্যানেলে transmission Of Super BowLXxVii কর্তৃক আয়োজিত মাইকে জ্যাকসনের অর্ধেক সময়ের ছিলো পৃথিবীর একসঙ্গে দেখার রেকর্ড যার দর্শকের পরিমাণ ছিলো ১৩৩কোটি চার লক্ষেরও অধিক।

You are not alone গানটির জন্য ৩৭ বছর বিলবোর্ডের টপ চার্টে এক নং স্হান দখল করেছিলেন।

এর আগে Earth Song টির জন্য ০৫ নং স্হানে ছিলেন।

১৯৮৭ সাল থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে Bad Tourটি মাইকেল জ্যাকসনের বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ আয় করে ১২৪কোটি ডলার।

আমেরিকার বাহিরেই একশো কোটি মাইকেলের এলবাম সমগ্র বিশ্বে বিক্রীত হয়েছে।

The Making Of Thriller ভিডিও চিত্র হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বিক্রীত হওয়া ভিডিও চিত্র।

আবারো মাইকেলের পুরষ্কারের দিকে নজর দেই ।

Grammy Award প্রকৃত নাম Grampphone Award. সংগীতাঙ্গনে অসাধারণ অবদানের জন্য আমেরিকা কর্তৃক পুরষ্কার প্রদান করা হয়।

এই পুরষ্কার হলো এমন একটি পুরষ্কার যেই পুরষ্কারকে পৃথিবীর সংগীতাঙ্গনে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরষ্কার বলে বিবেচনা করা হয়।একজন ভালো শিল্পীর চোখে সবসময়ই Grammy Award এর স্বপ্ন এঁটে থাকে।

মাইকেল জ্যাকসন মোট ১৩ বার এই পুরষ্কারের স্বাদ গ্রহণ করেছে।

এক নজরে মাইকেল জ্যাকসনের Grammy Award তালিকাঃ

Past GRAMMY Awards

১৯৯৫ - ৩৮তম GRAMMY Awards

Best Music Video, Short Form

Winner

Scream

*

১৯৮৯ - ৩২তম GRAMMY Awards

Best Music Video - Short Form

Winner

Leave Me Alone

*

১৯৮৫ - ২৮তম GRAMMY Awards

Song Of The Year

Winner

We Are The World

*

১9৮৫ - ২৭তম GRAMMY Awards

Best Video Album

Winner

Making Michael Jackson's Thriller

*

১৯৮৩ - ২৬তম GRAMMY Awards

Best Pop Vocal Performance, Male

Winner

Thriller

*

Best Rock Vocal Performance, Male

Winner

Beat It

Best R&B Vocal Performance, Male

Winner

Billie Jean*

Best Rhythm & Blues Song

Winner

Billie Jean

*

Record Of The Year

Winner

Beat It

*

Album Of The Year

Winner

Thriller

*

Best Recording For Children

Winner

E.T. The Extra-Terrestrial

*

Producer Of The Year (Non-Classical)

Winner

Michael Jackson& Quincy Jones

১৯৭৯ - ২২তম GRAMMY Awards

Best R&B Vocal Performance, Male

Winner

Don't Stop 'til You Get Enough

১৯৯৬সালে French Film Awards - Le Film Fantastique হতে

Earth Song এর জন্য Best Video

,

Friday Night Videos কর্তৃক আয়োজিত

১৯৮৯ সালে

Greatest Artist of the Decadeএবং

Number One Artist পুরষ্কার লাভ করেন।

মাইকেল জ্যাকসনকে G&P Foundation Angel Ball কর্তৃক প্রদানকৃত Angel Of Hope Award হয় ২০০০সালে ক্যান্সার প্রতিরোধে অসামান্য অবদানের জন্য।

Genesis Awards কর্তৃক আয়োজিত

১৯৯৬ সালে Earth Song এর জন্য Doris Day Music Award পুরষ্কার লাভ করেন।

১৯৮৮ সালে Guild Hall Party কর্তৃক আয়োজিত

Bad World Tour এর জন্য Sword of Commemoration পুরষ্কার অর্জন করেন।

Guitar World Magazine

Beat It এর জন্য

Greatest Guitar Solo of All Time পুরষ্কার অর্জন করেন এই কৃষ্ণাঙ্গ সংগীত শিল্পী।

১৯৯৫ সালে Harry Chapin Memorial

এর Humanitarian Awardএর পুরষ্কার লাভ করেন।

১৯৮০ এবং ১৯৮৪ সালে মাইকেল জ্যাকসন Hollywood Walk of Fame Star এর খেতাব অর্জন করেন।

একজন আন্তর্জাতিক শিল্পী হিসেবে মাইকেল জ্যাকসন বিশ্বের দশটি দেশ থেকে বিভিন্ন পুরষ্কার অর্জন করেন।

দেখে নেই সেই পুরষ্কার গুলোর কিছুঃ

১৯৮৩ সালে

Thriller এলবামের জন্য অস্ট্রেলিয়া Album of the Year এবং

" Billie Jean এর জন্য Single of the Year অর্জন করেন

১৯৮৩ সালে ব্রাজিল তাঁকে

International Artist of the Year প্রদান করে।

গেবন দেশ থেকে ১৯৯২সালে

National Honour of Merit খেতাব অর্জন করেন।

১৯৮৩ সালে গ্রীস

Thriller এর জন্য Record of the Year পুরষ্কার প্রদান করে।

ইতালী কর্তৃক ১৯৮৩ সালে Artist of the YearWon

জাপান মাইকেল জ্যাকসনকে

১৯৮৩ Best Male Vocalist

১৯৮৩Artist of the Year

১৯৮৩ThrillerAlbum of The Year

১৯৯০ Role Model Award পুরষ্কারে ভূষিত করে।

১৯৮৩ সালে নেদারল্যান্ডস

Thriller কে Album of the Year

১৯৮৩ সালে

Thriller কে Most Important Foreign Album এর পুরষ্কার প্রদান করে।

দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৯১সালে মাইকেল জ্যাকসনকে আজীবন সম্মাননা পুরষ্কার প্রদান করে।

সুইডেন ১৯৮৭ সালে

Best Vocal Artist

১৯৮৩ সালে যুক্তরাজ্য Artist of the Year

Thriller এর জন্য Album of the Year প্রদান করে।

১৯৯২ সালে International Monitor Awards কর্তৃক

Black Or White ভিডিওর জন্য The Best Special effects প্রদান করে।

এছাড়াও

Internet Worldwide Top 100 Male Stars পুরষ্কার ১৯৯১ সালে প্রদান করে।

Hong Kong Hit Radio Awards

১৯৯৬ সালে Best International Male Artist

" You Are Not Alone গানটি Best Song of the Year অর্জন করে।

আইরিশরা ১৯৯৬ সালে Best International Male Artist

১৯৯১ Kora All-African Music Awards সংগীতে অসাধারণ অবদানের জন্য মাইকেল জ্যাকসনকে আজীবন সম্মাননা পুরষ্কারে ভূষিত করে।

Live! Magazine থেকে মাইকেল কে

Legend of Live Entertainment এবং

Most Memorable Male Performer পুরষ্কার প্রদান করে

ব্যাক্তিগত জীবনে মাইকেল জ্যাকসন ১৯৯৪ সালে সেই সময়ের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী এবং গীতিকার লিসা মেরী প্রিসলির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এই পপ সম্রাট দুই বছর সংসার করার পর ১৯৯৬সালে তাদের দুজনার মাঝে ছাড়াছাড়ি হয়।

এর পর ডিবোরাহ নামক এক নার্সকে বিয়ে করেন মাইকেল জ্যাকসন।

কৃত্রিমভাবে সেই ঘর থেকে মাইকেলের প্রথম সন্তান প্রিন্স মাইকেল জ্যাকসন জন্মগ্রহণ করে ১৯৯৭ এবং ১৯৯৮ সালে মেয়ে প্যারিস মাইকেল জ্যাকসন জন্মগ্রহণ করে।

মাইকেলের এই সংসারটিও ভেঙে যায় দুই বছরে ১৯৯৯ সালে।

মাইকেল জ্যাকসনের তিন ছেলে মেয়ে প্রিন্স মাইকেল জ্যাকসন,প্যারিস মাইকেল জ্যাকসন এবং জ্যাকসন জুনিয়র।

জুনিয়র জ্যাকসনের মাতার নাম প্রকাশিত হয় নি।

পিটার প্যান উপন্যাস এর অনুপ্রেরণায় তৈরী করেন তাঁর প্রিয় বাসস্হান "নেভারল্যান্ডস রাঞ্চ"।

১৯৮৮ সালে গলফ কোর্স নির্মাতা উইলিয়াম বোনের কাছ থেকে এই খামার বাড়ীটি ক্রয় করেন মাইকেল।

এই "নেভারল্যান্ড রাঞ্চ" ছিলো শিশুদের জন্য জীবন্ত স্বর্গ।

দুই হাজার সাতশ একর জমির উপর নান্দনিক অট্টালিকা, সিনেমা হল,

নানা রকম শিশুদের মূর্তী

ছোট জাহাজ

রেলগাড়ী,

বিনোদন পার্কসহ নানা স্হাপত্য শৈলী,







যা সত্যিই চোখ ধাঁধানো চমত্‍কার ।

"নেভারল্যান্ড রাঞ্চ"দেখলেই বোঝা যায় ছোটকালে এমনই একটি প্রাসাদের স্বপ্ন দেখতেন মাইকেল।



পশু পাখিদের প্রতি মাইকেল জ্যাকসনের ছিলো নজরকড়া ভালোবাসা।

যার প্রমাণ মিলে নিজ উদ্যোগে তৈরী করা "নেভারল্যান্ড রাঞ্চ" এর মধ্যে চিড়িয়াখানার মাধ্যমে।

নেভারল্যান্ড রাঞ্চ চিড়িয়াখানার মধ্যে যা ছিলোঃ অজগর সাপ নাম তার Crushar Muscles and Madonna.

সিম্পাঞ্জীর নাম Bubbles.

লালামাটির নাম Louie And Lola

রামটির নাম Mr.tibbs

হাতিটির নাম Gypsy

বাঘটির নাম Thriller and sabu

টিয়া পাখিটির নাম Ricki

কুকুরগুলোর না Shadow spanky and Sasha.

অর্থাভাবে ২০০৮ সালে মাইকেল ২৩.৫মিলিয়ন ডালের এই নেভারল্যান্ড রাঞ্চের ভার তুলে দেন কলোনি ক্যাপিট্যাল নামক কোম্পানীর হাতে।

মাইকেল জ্যাকসন একটি নাম একটি ইতিহাস শত শত সাফল্যের নাম।

ক্যারিয়ারের সবসময়ই ছিলেন তুমুল আলোচনায়।

সর্বশেষ জন্ম দিয়ে গেছেন এমন একটি আলোচনা যা পৃথিবী ধ্বংস পর্যন্ত মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হবে।

খ্রিষ্ট ধর্ম থেকে ধর্মান্তিরত হয়ে মাইকেল জ্যাকসনের ইসলাম গ্রহণ।

মাইকেল জ্যাকসন কি মুসলিম হয়েছেন কিনা তা নিয়ে অনেক কথা আছে।

তবে এই খবরটি শিরোনামে আসে ২১ নভেম্বর ২০০৮ সালে।

বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয় মাইকেল জ্যাকসনের মুসলিম হবার খবর।সারাবিশ্বে যখন মাইকেলের মুসলিম হবার খবর যখন শীর্ষ তালিকাতে তখনও মাইকেলের পরিবার ছিলো চুপ স্বয়ং মাইকেলের মুখ থেকেও এই ব্যাপারে কোনো খবর পাওয়া যায় নি।

মুসলিম হয়ে নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন মিকাঈল এই খবরটিও প্রকাশিত হয়।এছাড়াও মাইকেল জ্যাকসনের কিছু ছবি আরবীয়দের পোশাকে বাহারাইনের আরবদের সাথে তোলা এবং দুবাইয়ে বোরখা পরিধান করা কিছু ছবি নতুন করে শিরোনামে আসে।

মাইকেল জ্যাকসনের মুসলিম হবার কথা শুনার পর আল-কায়েদা নেতা আইমান আল-জাওয়াহেরী পর্যন্ত তাঁকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানান।

১৯৮৯ সালে একটি প্রেস কনফারেন্সে মাইকেলের একটি মন্তব্য বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল যেখানে তিনি বলছিলেন, ‘আমি ইসলামকে আমার ভাইয়ের মধ্যে দেখেছি। আমি ইসলাম সম্পর্কে বই-পত্রও পড়েছি এবং কোন একদিন ইসলামের এই প্রশান্তি, স্থিরতার মাঝে নিজের অনুভূতিতে একান্তভাবে পেতে ইচ্ছা করি।’ এরপর থেকে মাইকেলের জীবনে অনেক ঝড়ঝাপ্টা নেমে আসে। নানা অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।এরপর কয়েক বছর তিনি ইংল্যান্ডে অবস্থান করেন এবং তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু ক্যাট স্টিভেন্সের (ইউসুফ ইসলাম) সাহচর্যে কিছুদিন সময় কাটান। দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক প্রখ্যাত মুসলিম সঙ্গীতশিল্পী জাইন ভিখার সাথেও এ সময় তার বন্ধুত্ব হয়, যিনি Give Thanks to Allah শিরোনামে একটি গান রচনা করেন। জাইন ভিখা চেয়েছিলেন মাইকেল নিজের কণ্ঠে এই গানটি গাইবেন। কিন্তু সে সময় হয়ে উঠেনি। গানটির ভাষা ছিল এরূপ-

Give thanks to Allah/ For the moon and stars

Prays in All day full/ What is end what is was.

আমেরিকাতে ফেরার পর পুনরায় বিচার শুরু হলে বাহরাইনের বাদশাহর পুত্র বন্ধু শেখ আব্দুল্লাহ বিন হামাদ আল-খলীফা-এর আমন্ত্রণে তিনি বাহরাইনে চলে আসেন। সেখানে তিনি প্রায় তিন বছর অবস্থান করেন এবং ইসলাম সম্পর্কে আরো পড়াশোনা করেন। এমনকি সালাতের নিয়ম-কানুন ও পবিত্র কুরআন পাঠ পর্যন্ত শিক্ষা করেন বলে জানা যায়। অতঃপর ২১ নভেম্বর’০৮ লস এঞ্জেলসে এক বন্ধুর বাসায় অনাড়ম্বরভাবে ইসলাম গ্রহণ করেন।

জীবনের শেষ প্রেস কনফারেন্সে যখন তিনি পুনরায় সঙ্গীত জগতে প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা দেন তখন তিনি বলেন, ‘এটাই হবে আমার জীবনের সর্বশেষ কনসার্ট (This Is It)। আসছে জুলাইয়ে সবার সাথে দেখা হবে’…। তাঁর পরিকল্পনা ছিল এই কনসার্ট থেকে ঘোষণা করবেন যে, তিনি সঙ্গীতজগত থেকে স্থায়ীভাবে বিদায় গ্রহণ করছেন। আর সম্ভবত এটাই তাঁর অভিপ্রায় ছিল যে, এখানেই তিনি তাঁর ইসলাম গ্রহণের কথা ঘোষণা করবেন। কেননা তিনি রিহার্সেলের সময় জাইন ভিখার উপরোক্ত গানটিও গেয়েছিলেন যা তাঁর অসম্পূর্ণ স্টুডিও রেকর্ডে পাওয়া গেছে। ২৫ জুন রাতে কাজ শেষ হওয়ার পর তার প্রডাকশন ম্যানেজারের সাথে কোলাকুলি করার সময় তিনি বলেন, ‘দুই মাসের রিহার্সেলের পর আমি এখন কনসার্টের জন্য পুরো প্রস্ত্তত।

শুভরাত্রি। কাল তোমাদের সাথে আবার দেখা হবে।’ অতঃপর কিছুক্ষণবাদে রাত ১২-টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর ঘণ্টাখানিক পরে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হলে রাত ২.২৬ মিনিটে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতাল থেকে বলা হয় ঘুমের ঔষধের মাত্রা বেশী হওয়ার কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন। কিন্তু তাঁর পরিবার সেটা মেনে নেয়নি। তাঁর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান নিয়েও চলে দীর্ঘ নাটকীয়তা। তাঁর পরিবার ও ভক্তদের পক্ষ থেকে দাবী করা হয় যে, এ মৃত্যুর পিছনে কোন মহলের অশুভ হাত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন হয়।

মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু পর তার শেষকৃত্য নিয়েও তৈরী হয়েছিলো নানা গুঞ্জন।

তাঁর মৃত্যুর পর ৭ জুলাই যখন অন্ত্যেষ্টক্রিয়া সম্পাদনের জন্য ৩২মিলিয়ন দর্শক তাকিয়ে ছিলো টিভি পর্দায় লস এঞ্জলেসের স্টাপল সেন্টারে তাঁকে কি ইসলামিক রীতিতে সমাধিত করা হবে কিনা।

কিন্তু সেখানে তাঁর এই কাজ সম্পাদন করা হয় নি। পরবর্তীতে তাঁর নেভারল্যান্ড রাঞ্চ এ অতি গোপনীয়তার সাথে লাশ সমাধিত করা হয়।

এর পর ৩ সেপ্টম্বরে ক্যালিফোরনীয়ার ফরেস্টলোন মেমোরিয়াল পার্কে অন্যান্য হলিউড তারকাদের সাথে কবরস্হ করা হয় এই কিংবদন্তী শিল্পীকে।

মাইকেল জ্যাকসন মুসলিম নাকি অমুসলিম সেটা আজো পৃথিবীর কাছে অজানা আর চিরজীবন অজানাই থাকবে।

তবে আল্লাহসুবানুতায়ালাই সব থেকে ভালো জানেন মাইকেল জ্যাকসন বা মিকাঈল কি মুসলিম নাকি অমুসলিম।

যদি মুসলিম হয় তাহলে আল্লাহ পাক তাঁকে বেহশত দান করুক সেই প্রার্থণাই করি।

মুসলিম হবার জন্য যেসব তথ্য প্রমাণগুলো দেওয়া হলো এর জন্য ইসলামিক ব্লগার মুখতারুল আলম ভাইকে ধন্যবাদ।

আসছে ২৯আগষ্ট ৫৭তম জন্মদিনে এই কিং অফ পপ

,হল অফ ফ্রেম ড্যান্সার মাইকেল জ্যাকসনের প্রতি রইলো শ্রদ্ধা ভালোবাসা।

"মাইকেল তুমি বেঁচে থাকবে স্মরণে বরণে প্রতিটি মানব হৃদয়ে চিরঞ্জীবি হয়ে।

বিষয়: বিবিধ

৪৩৩২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

338200
২৮ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:১১
নাবিক লিখেছেন : তিনি মুসলমান হয়েছিলেন কিনা সেটা এক রহস্য হয়েই রয়ে গেছে। চমতকার পোস্টটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
২৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:০৯
279817
আলিম হায়দার চৌধুরী অনিক লিখেছেন : ধন্যবাদ।
338290
২৮ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৫
হতভাগা লিখেছেন : নিল আর্মস্ট্রং , মাইট টাইসনও ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছিলেন বলে শোনা যায় । ইসলামী রীতি অনুযায়ী তারা নামাজ , কালাম পড়তেন কি না তা শোনা যায় না। তাদের আগেরকার জীবন বদলে ফেলেছিলেন কি না শোনা যায় নি।

এগুলো মুসলমানদের পঁচানোর জন্যই প্রচার করা হয় কি না তা আল্লাহই ভাল জানেন ।
২৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:১৫
279818
আলিম হায়দার চৌধুরী অনিক লিখেছেন : ভালো বলেছেন
338335
২৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:১৬
আলিম হায়দার চৌধুরী অনিক লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
338911
৩১ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৯:২৬
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : মাইকেল জ্যাকশনের সম্পর্কে বেশ কিছু জানলাম।
339493
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ১১:২৪
আলিম হায়দার চৌধুরী অনিক লিখেছেন : ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File