জমিদার বাড়ির ছবির পিছনের ইতিহাস রক্তাক্ত পেইন্টিংস

লিখেছেন লিখেছেন আলিম হায়দার চৌধুরী অনিক ১২ জুলাই, ২০১৫, ০৯:২৬:৫৪ রাত

প্রথম খন্ড

অতীত সময়ের কথা। এখনো রোমন্হন করলে শিহরীত হই , ঘটনাটির সামনে যখন নিজের অবয়ব কে দাঁড় করি তখন বয়স ত্রিশ এর কোঠা ছুঁই ছুঁই । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি নামকরা প্রাইভেট কোম্পানীতে মধ্য ঊর্ধ্বতন অফিসার । তাই বিরত দিবস ছাড়া তেমন অবসর পেতাম না । সাপ্তাহিক বন্ধ দিনে সকল ফ্রেন্ড মিলে ক্যাফে শপে বৈঠুকি আসর মাত করতে নিজের দেহের বিপরীত অবস্হান গাঁড়তে হতো ॥ তাই করা হতো । সরকারী বন্ধের দিনগুলোতে বিশেষ করে যেসব বন্ধের দিনগুলো তে দুএকদিন পেতাম তখন কলেজ লাইফ থেকে উত্পন্ন শখের কাজে রাখতাম ধরে । সেই দিন অফিস থেকে ফিরেই ক্লান্ত প্রাণ নিয়ে বিছানার সাথে আলিঙ্গন করে আমার দেহ ॥ কতটুকু সময় ছিলাম বিছানাতে জানিনা । সবটুকু চেতনায় যখন ফিরে আসি , ওয়াশরুমে গিয়েই পরিষ্কার হয়ে বের হলাম ।তখনি সেখান হতে দেখতে পেলাম দরজা খোলা আর আমার মুঠোফোনের আলো জ্বলছে ,একটু কৌতুহলী ভয় মনে মনে দরজাও খোলা মোবাইলের আলো ও জ্বলছে । প্রথমেই দরজাটা বন্ধ করলাম। মোবাইলের সামনে গিয়ে দেখলাম একটা কল এসেছে । তখন মনে পরলো ধুর দরজা আসার পর আমি লক না করে ঘুমিয়ে পরি ।শুধু শুধু ভয় পেলাম । (এতক্ষণ পর প্রকাশ করলাম আমি মৃদুল চক্রবর্তী চাকুরীর পাশাপাশি একজন শখের আলোক চিত্রশিল্পী। দৃশ্য বন্দী করাই আমার শখ ) (কলটা রিসিভ করলাম ) কথোপকথন… আমি :হ্যালো অপরপ্রান্ত থেকেঃ কি কেমন আছেন মৃদুল সাহেব ? আমিঃ জি! আছি রাত আর দিনের মাঝে যেমনটা ভালো নিজেকে রাখা যায় তেমনি আছি , আরবীতে বললে আলহামদুলিল্লাহ । অপরপ্রান্ত থেকেঃ হুম , কথা তো বেশ ভালোই গুছিয়ে বলতে পারেন। মুখ হতে ভালো বাক্য ত্যাগে আপনার জুড়ি অবশ্য পিছনের দিনগুলোতেই জানা আছে । আমি: ভাই এতোটুকু নই যে আমি তা নিজেরই জানা আছে আমি কতটুকু। বলেন হঠাত্ কল করলেন কেনো ? অনেকদিন যাবত আপনার কোনো পাত্তা পেলাম না। কোথায় ছিলেন এতোদিন ? অপরপ্রান্ত থেকেঃ নচিকেতার ভাষ্যমতে হ্যাঁ আছিতো এই বেশ ভালোই আছি। আরে ভাই আমি তো আগের অফিসেই আছি আপনিতো চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে । আপনাকে আমরা সবাই অনেক মিস করি , বস ও আপনার কথা বলেন মাঝে মাঝে । আমি: ও আচ্ছা । অপরপ্রান্ত থেকে : ও মৃদুল সাহেব যেই কারণে আপনাকে কল করা , আপনার তো ফটোগ্রাফীর শখ ! আমি আপনাকে একটা ঠিকানা দিবো, কালকে তো অফ ডে সময় থাকলে ঘুরে আসতে পারেন । রাতেই যেতে পারবেন। আমার কখনও যাওয়া হয় নাই তবে আমার একজন পরিচিত লোক সেখানে একটা কাজে যায়। সেই আমাকে ঠিকানাটা দিলো আর আমি দিলাম ভাবলাম আপনার কাজে লাগবে ॥ আমি :আপনি কখনো যান নাই, কিন্তু আমাকে পাঠাচ্ছেন! বুঝলাম না ব্যাপারটি। অপরপ্রান্ত থেকে : আরে ভয়ের কোনো কারণ নেই , শহর থেকে যেতে দু থেকে তিন ঘন্টা লাগবে । (এতক্ষণ যার সাথে আলাপচারিতা হলো সে আমার পুরোনো অফিসের কলিগ । চঞ্চল ঘোষ ।) তার দেয়া কথা মতোই রাতেই ঠিক করলাম ঐখানে যাবো ॥ তাড়াতাড়ি করেই একটু খেয়েই ক্যামেরা পানি আর কিছু খাবার ঘুছিয়েই গাড়ি নিয়ে বের হয়ে পড়লাম । শহরের নিয়ন আলোকে পিছনে রেখে আমার গাড়ি ছুটে চলছে অজানা কোনো গন্তব্যে ।তখন রাত বারোটার কাছাকাছি। অনেকক্ষন গাড়ি চালানোর পর মনে হলো শহর থেকে অনেকটা দূরে চলে এসেছি। চোখের পাতাটাও বন্ধ হয়ে আসছে , এক কাপ চা খেতে পারলে মন্দ হতো না । কিন্তু এত রাতে চা ঘড়ির কাটাতে রাত দুটো ভাবতেই কেমন কেমন না । যাক একটু যেতে না যেতেই দেখতে পেলাম রাস্তার পাশে মৃদু আলো । কাছেই যেতে দেখলাম রাস্তার একটা বড় আমগাছের পাশে ঠুকরির মতো একটা দোকান , গাড়ি একপাশে রেখে সামনে গেলাম , দেখলাম হাঁটুর উপর মাথা ভর দিয়ে বসে আছেন । আমি: চাচাবাবু শুনছেন ? ( কোনো সাড়া শব্দ নেই ) আমি আবার এই যে চাচা আপনি শুনছেন( একটু জোর গলায় বললাম ) চাচা মাথা উপরের দিকে তুলে বললো কি চাই? আমি : জি চাচা চা হবে ? (লাল লাল চোখ দুটো ঘুমে একদম নিভু নিভু হয়ে আছে মুখে মেসতার ছাপ মুখে সাদা দাঁড়ি এসব নিয়ে যখন আমার দিকে তাকালো সত্যি কথা আমার মনে হয় হৃদপৃন্ড একমিনিট এর মতো নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিল ।) চাচাঃ চা এর দোকান চা তো থাকবোই তয় টাহাটা একটু বেশী দেওন লাগবো , আমি : তাহলে হুম দেন এক কাপ । চা তে চুমুক দেওয়আর পর সেকি অনূভুতি ।এতো ভালো চা। সত্যিই এক কথায় চমত্কার আমি : চাচা চাতো খুব ভালো হয়েছে , চাচা কাপা স্বরেঃ হুহুহুম । আমি : এই যে এতো রাতে বসে থাকেন চা বিক্রি করেন , ভয় লাগেনা ,? রাতে তো ঠান্ডাও বেশ ভালো পরে বসে থাকেন কেনো ? চাচাঃ চা খাওয়া শেষ হয়েছে ? আমি চা কাপ দিকে তাকিয়ে দেখি চা যতটুকু দিয়েছে ঠিক ততটুকুই আছে , আমি যে এতক্ষণ খেলাম সেটা কোথায়! যাক সেসব কথা বাদ দিয়ে বললাম চাচা আমার কথা তো উত্তর দিলেন না । চাচাঃ তোমার মতো মধ্যরাতের মুসাফীরদের এক কাপ চা খাওয়ানোর জন্যই আমি এখানে আসি এটা আমার পেশা নয় নেশা॥ আমাকে সবাই মাঝ পথের চায়ের কারিগর বলে ই জানে! চাচাঃ হুম চা টা কেমন হলো ভালো ? আমি: হ্যাঁ খুউউউব ভালো ॥ চাচাঃ হুম এবার চায়ের কাপ টা দেও দেহি , আমি আবার চায়ের কাপের দিকে তাকিয়ে দেখি চা সেই আগের মতো কাপের পুরোটা অংশে আছে । আমি বলি কোথায় চা তো এখনো শেষ হয় নাই ॥ চাচবাবুঃ দেখি কি বলো , এই কথা বলেই উনি কাপ টা আমার হাত থেক কেড়ে নিয়ে উপুর করে ফেললেন ॥ আমি একটা জোরে চিত্কার দিয়ে বললাম কি করেন চা তো সব নিচে পড়ে গেল যে॥ চাচা আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন ।

আমি: একি এক ফোঁটা চা পরলো না কাপ থেকে , চাচা : আরে চা অনেক আগেই তুমি শেষ করে ফেলেছো , তোমার খেয়াল নেই আমি ঠিকই খেয়াল করেছি । আমি : আপনি তো নিচের দিকেই মুখক তাক করেছিলেন খেয়াল করলেন কখন ? চাচাঃ খেয়াল করাই যে আমার কাজ, এই যে তোমার এতো রাতে চা খাওয়া দরকার সেটা খেয়াল করেই তো আমি এখানে এসেছি। আমিঃ মানে বুঝলাম না। চাচাঃ এতো কিছু বুঝবার লাগবোনা। যাবা কোথায়? আমি : ও আচ্ছা চাচা আমি আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করবো ভেবেছিলাম ? বলতে পারেন নাথনপুর গ্রাম টা কোন দিকে? ( এই কথা শুনেই চাচা যেনো একটু চমকে উঠলেন ) চাচা : কি নাথনপুর ? আমি :জি নাথনপুর । চাচা: তোমার সাহস তো কম না এতো রাতে নাথনপুর কেনো যাচ্ছো ? আমি : কেনো কি হয়েছে কোন সমস্যা? চাচা: নাথনপুর এলাকা টা একটা খারাপ এলাকা তুমি কি জানো কিছু এই সম্বন্ধে ? আমি :না তো কেনো খুব কি খারাপ গ্রাম নাথনপুর ? চাচ :আগে বলো কেনো যাচ্ছো ? আমি :না তেমন কোনো কারণ নেই আমার কিছু ছবি তোলা লাগবে তাই যাচ্ছি। চাচা: থাকবে কতদিন ? আমি : না তেমন না যেতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণ আর ছবি তোলা হয়ে গেলেই বিকেলেই চলে আসবো ॥ চাচা : খারাপ বলতে রাতের সময় পথঘাট এর অবস্হা খারাপ। সাপ জোঁকের ভয় একটু বেশী তাই বললাম আর কি ? আচ্ছা যাও তবে সাবধানে যেও ॥ আমি : আচ্ছা। তবে যেতে সময় কতক্ষণ লাগবে ? চাচা : আরো দুঘন্টার মতো লাগবে। আমি : সিগারেট হবে চাচা? গোল্ড ফ্লেক? চাচা : এতো পুরোনো দোকানে গোল্ড ফ্লেক ! না নাই পাতার বিড়ি আছে দিউম না ? আমি : পাতার বিড়ি , দিলে দিতে পারেন ॥ চাচা: এই লেও ॥ ( আমাকে পাতার বিড়ি দিলেন কয়েকটা , আমি নিলাম নিয়ে যখন ধরাতে গেলাম , দেখি যে সিগারেট আগুন দিয়ে ধরাচ্ছি ॥) হঠাত্ চাচা বলে উঠলেনঃ এই তুমি কিতা করবার লাগিছো আগুন দিয়া মুখ পুরাইয়া লাইবা নাহি ॥ তখনই আমার ঠোঁটে আগুনের ছোঁয়া পাই ॥ আমি: ওহ্ । আমি আমি আমিতো সিগারেট ধরাচ্ছিলাম চাচাঃ দিলাম পাতার বিড়ি সিগারেট পেলে কোথায় হুম । আর যেটাই খাও আগে মুখে তো নিবা । ঐ দেহো পাতার বিড়ি তো টেবিলের উপর রাখছো তুমি । আমি তাকিয়ে দেখি সত্যি তো বিড়িগুলো সব টেবিলের উপর রাখা। আমাকে অন্যরকম দেখে, চাচাঃ অনেক ঘুম চোখে তোমার এই কারণেই এই রকম লাগছে । বিশ্রাম দরকার। আমিঃ না লাগবে না আমাকে নাথনপুর যেতে হবে শীঘ্রই । এই নেন আপনার টাকা ॥ চাচাঃ কিসের টাকা আমি তো চা খাইয়ে কোনো আনা পাই পয়সা নেই না । আমিঃ তো আপনি বললেন না টাকা একটু বেশী দেয়া লাগবে ॥ চাচাঃ ওটা আমি তোমাকে যাচাই করার জন্য বলেছিলাম হেহেহে। যাও তোমার দেরী হয়ে যাচ্ছে নাথনপুর থেকে আবার ফিরতে তখন এক কাপ খেয়ে যেও । ঐ সময় না হয় আনা পাই কিছু দিয়ে যেও ॥ যাক সেখান থেকে বিদায় নিলাম । গাড়ীতে উঠেই স্টাট দিয়েই পাশে তাকিয়ে দেখি আলো নেই । হয়তো চাচা আলো নিভিয়ে ফেলেছেন । ছুটে চলছে আমার গাড়ী ,প্রায় দেড় ঘন্টা ড্রাইভ করার পর একটা বড় আলো দেখে গাড়ী থামাই ॥ কখন যে ঘুমিয়ে পরি বুঝলামই না । ( সকাল হলো ) আমার চোখের উপর রোদের আলোতে ঘুম ভেঙে যায় । চোখ খুলে দেখি অনেকগুলো মাথা আমাকে ঘিরে আছে। আমি একটু ভয় পেলাম , পরে বুঝলাম এরা তো ছোট ছেলেমেয়েরা গাড়ীর ভেতরে কি সেটা দেখছিলো। এরপর আমি গাড়ী থেকে বের হলাম ॥ ফ্রেশ হয়ে কিছু খাবার মুখে তুলেই ক্যামেরা নিয়ে বের হয়ে বেরিয়ে পরি॥ একটু সামনে এগিয়ে দেখি তিনটি রাস্তা আমার চোখের সামনে। সবগুলোতেই লেখা নাথনপুর ॥ আমি মৃদুল নিজেকে বললাম তুই কোন পথে যাবি ? এই নিয়ে ভাবাভাবির অন্ত নেই যখন তখনই , আমার পিছন থেকে একজন লোক এসে বলল আপনি কি নাথনপুর যেতে চান ? তাহলে এই তিনটি পথেই যেতে পারেন । এক পথ থেকে রওনা দিন ॥ আমি একবার পুরো গ্রামটি ঘুরে দেখে নিলাম । যেই পথ দিয়েই যাই একটা বাড়ী দেখা পেলাম যেই বাড়ী গ্রামের একদম মাঝখানে অবস্হিত । আমি ধীরে ধীরে ছবি তুলতে খেয়াল করলাম অসম্ভব সুন্দর একটি গ্রাম তবে কিসের যেনো একটি নি:স্তব্দতা। লোকের সমাগম তো কমই এমন কি গরু ছাগলের ও তেমন দেখা নেই । শিশুরা কেমন যেনো চুপচাপ মায়ের কাছেই থাকতে পছন্দ বোদ করছে। আমি আমার জন্য প্রচুর ভালো দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করি । দেখতে দেখতে অনেক টা সময় যে পার হয়ে গেল খেয়ালি করা হয় নি । যখন বিকেল পাঁচটা বাজে আমার মনে হলো যে বাড়ীটাকে ঘিরে আছে পুরোটা গ্রাম সেই বাড়ীকে একবার ভালো করে দেখে আসা যাক । যেই ভাবা সেই কাজ আমি বাড়ীর সামনে । বাড়ীর বর্ণনা দিতে গেলে বলতে হয়, চার তলা রাজসিক প্রাসাদ , অত্যন্ত সুন্দর নান্দিক সব স্হাপত্ব্য শৈলী ।সিংহ দরজা , বাড়ীর উপরেই লেখা নাথনপুর জমিদার চৌধুরী বাড়ী । এক কথায় সৌন্দয্যের কোনো কমতি নেই যেনো বাড়ীটির । কিছু ছবি তুলেতে লাগলাম দূর হতে॥ তখন প্রায় স্বন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। একটু কাঁপা কাঁপা স্বরে কে যেনো বললো অপরিচিত লোকঃ ওহে বাপু কে তুমি ? কি করছো এই বাড়ীর সামনে ? (লোক টা একটা কালো চাদর গায়ে জরানো ) আমিঃ জি আমি বাড়ীটির কিছু ছবি তুলছি ॥ বাড়ীটি খুব সুন্দর অপরিচিত লোক : হ্যাঁ তবে বাড়ীর ইতিহাস টা খুবই খারাপ ॥ গ্রাম টাও ভালো না রাত হয়ে আসছে যতো অগ্রীম যেতে পারো ততই মঙ্গল ॥ আমি : জি আমি জানি আমাকে একজন বলেছে এলাকাটা ভালো না । অপরিচিত লোক: কে বলেছে ? আমি : চায়ের কারিগর বলেছেন ? এই কথা শুনেই তিনি বললেন চায়ের কারীগর তাকে কোথায় পেলে ? আমি : ঐ যে কাল রাতে তার দোকানে চা খেলাম ॥ অপরিচিত লোকঃ কি বলো সে তো আজ থেকে অনেক আগে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে! আমি : কি বলেন এসব না আমার কাছে তো সব জীবন্তই মনে হলো ॥ অপরিচিত লোকঃ তুমি কি চায়ের দোকানে কিছু অদ্ভুত ঘটনার সম্মুক্ষীন হয়েছো। যা তুমি করতে চাও নি বা কি করছো তাও বুঝতে পারোনি এসব কিছু অনূভব করেছো । আমি : জি করেছি , অপরিচিত লোক: চা খেয়েছিলে কিন্তু চা শেষ হয় না তাই না? আমিঃ জি! অপরিচিত লোকঃ এসব তার মৃত অতৃপ্ত আত্মার কারসাজি , মাঝরাতে মানুষ কে ভেলকি দেখানোই ওর কাজ। তোমাকে নিশ্চই পরে চা খাওয়ার জন্যেই তোমাকে বলেছে। আমিঃ জি, বলেছেতো। কিন্তু আপনি এতো কিছু জানেন কিভাবে ? আপনি বা কে?

অপরিচিত লোকঃ আমিই তো জানবো আমি যে এই গ্রামের চৌকিদার। আচ্ছা আমি এখন যাই আমার পুরো গ্রাম টা আবার ঘুরে ঘুরে পাহারা দিতে হবে। এই কথা বলেই তিনি কুঁজো হয়ে চলে যেতে লাগলেন । আমিও ধীরে ধীরে আবার রওয়ানা হলাম ।একটু পথ যাওয়ার পর পরই আমাকে একজন পান্জাবী পরা হাতে একটা লোক ডাক দিয়ে বললেন , শহর থেকে এসেছেন? ঐ লোকটার সাথে কি বলেছেন এতক্ষণ ? আমি : না উনি আমাকে চায়ের কারীগরের কথা বললেন তিনি নাকি মৃত ,এইসব!! পান্জাবীওয়ালা লোকঃ ওরা দুইজন ই মৃত। অনেক দিন আগে এই লোকটা এই গ্রামের চৌকিদার ছিলেন । কারা যেনো গলা কেটে রাতে মেরে ফেলে যায় সেই থেকে এর মৃত আত্মা সন্ধ্যা রাতে হেঁটে বেরায়। তবে এরা কারও কোনো ক্ষতি করেনাই এই অবদি । তোমার কি বিশ্বাস হচ্ছে না? আমি : না! পান্জাবী ওয়ালা লোক: আমি এই গ্রামের পাঠাগারের মালিক ঐ খানেই থাকি ॥ আর সবাইকে বইএর পড়া ছড়া গল্প শুনাই॥ যেখানে তোমার গাড়ী রেখে এসেছো॥ কথা বলতে বলতে আমি আমার গাড়ীর নিকট চলে আসি । তখন লোক টা বলে, আমার কথার প্রমাণ তুমি পাবে । আমার গাড়ী স্টাট নিয়ে নিয়েছে নাথনপুর থেকে আমার চলে আসা হচ্ছে। তখন রাত আটটা । হঠাত্ করেই দেখি আমার গাড়ীর সামনে একজন কোথা থেকে সলে আসলো আর ধাক্কা খেয়ে পরে গেলো আমি বের হয়ে দেখি সেই চৌকিদার গলা কাটা রক্ত ঝরছে॥ আমি দেখে ভয়ে একদম কাঠ হয়ে গেলাম একটু পরেই আমি গাড়ী তে উঠে দ্রুত চালাচ্ছি। এর এক ঘন্টা পরেই দেখি সেই দোকান সেই বড় আম গাছ। আম গাছে একটি পাতাও নেই ঝুলে আছে চা কারীগরের লাশ॥ আর আরেকজন হুবুহু আমাকে ডাকছে চা খাওয়ার জন্যে ॥ আমার পাঠাগারের লোকটার কথা মনে পরে গেল ॥ আমি আর কোনো দিকে না তাকিয়ে একটানে চলে এলাম শহরে ॥ এসেই দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেই আবার সব বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি! … চলবে!

বিষয়: সাহিত্য

১৫৮৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337003
১৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৫৪
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : কাহিনীটা গোয়েন্দা কাহিনীর মত। চালিয়ে যান দেখি সামনে কি আছে
337006
২০ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:১১
আলিম হায়দার চৌধুরী অনিক লিখেছেন : যখন নিজস্ব ধ্যান ধারণা দিয়ে লিখার চেষ্টা করতাম তখন ভাবতাম
এখন তো সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দৌড়তে পারিনা
ভাবনারাও মরে যাচ্ছে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File