নাবিকের ছবি ব্লগ (পাখির ছবি)
লিখেছেন লিখেছেন নাবিক ০১ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:০৫:৪২ দুপুর
- - - - - - - - - - -
☆ ছবির পাশাপাশি পাখি বিষয়ক মজার কিছু তথ্যও আপনাদের সাথে শেয়ার করিঃ- পাখিরা মনের আনন্দে নীল আকাশে উড়ে বেড়ালেও ওরা কিন্তু নীল রঙ চিনতে পারেনা। ব্যতিক্রম শুধু পেঁচা, পেঁচারা নীল রঙ চিনতে পারে। পেঁচা তার চোখের মণি ঘুরাতে পারেনা, কিন্তু মাথা না ঘুরিয়েই পিছনে কী ঘটছে না ঘটছে তা স্পষ্ট দেখতে পারে!!! একই ব্যাপার ঘটে টিয়া পাখির বেলাতেও, টিয়া পাখিরাও মাথা না ঘুরিয়ে পিছনের জিনিস স্পষ্ট দেখতে পায়। নিচের পেঁচাটাকে দেখুন, কত্তো কিউট তাইনা? এরপরেও কি কাউকে খোঁটা দেয়ার সময় বলবেন, "পেঁচার মতো মুখ??"
কাক ডাকলে আমরা কখনো বলিনা পাখি ডাকছে, বরং তাদের নামট বিকৃত করে বলি "কাউয়া ডাকছে।" অথচ পক্ষিকুলে এই কাউয়ারাই কিন্তু সবচেয়ে বেশি বুদ্ধির অধিকারী। সুতরাং এখন থেকে ওরা যখন ডাকবে, তখন কাউয়া ডাকছে না কহিয়া, পাখি ডাকছে বলে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করিবেন। ঠিকাছে???
আর যদি এইটাও না বলিতে চাহেন, তবে "বায়স" ডাকছে এইকথা বলবেন। "কাউয়া" মানে কাকের আরেকটা নাম হলো "বায়স।" কি মিষ্টি নাম তাইনা?
বাদুড় সব সময় ঘর থেকে বের হয়ে বাঁ দিকে ফিরে যাত্রা শুরু করে। আর স্তন্যপায়ীদের মাঝে শুধুমাত্র বাদুড়েরাই উড়তে পারে। বাদুড়ের পায়ের হাড় খুব নরম, এতটাই নরম যে, এরা কখনো হাঁটতে পারে না!
পাখিদের খাদ্য গেলার জন্য অভিকর্ষজ বলের
প্রয়োজন হয়? অর্থাৎ,
কোনো পাখিকে যদি চাঁদে নিয়ে খাবার
খেতে দেয়া হয় তবে সেটি খাবার
গিলতে পারবে না! কি সমস্যা দেখেছেন।।
উত্তর আমেরিকায় 'গোল্ডফিঞ্জ'
নামক
একটি পাখি আছে। ঋতু পরিবর্তনের সাথে
সাথে এই পাখিদের পালকের
রঙও পরিবর্তন হয়..!
"পেলিকান" নামক পাখির মুখগহ্বরে এমন পরিমাণ জায়গা রয়েছে যে, সেখানে কমপক্ষে ১০ লিটার পানি অথবা ৩০ পাউন্ড মাছ সঞ্চিত রাখা যাবে!!! কত্তো বড় মুখরে.....? ;-) নিচেই ওর ছবি আছে, বাট দেইখা তো মনে হয়না ওর মুখে এতো জায়গা। তথ্যটা সত্য নাকি বোগাস বুঝতে পারছিনা। :(
হামিংবার্ডের জিহবা দুই ভাগে বিভক্ত। খাওয়ার সময় এরা জিহবা টি একটি নলের মধ্যে ভাজ করে রাখে। এছাড়া হামিংবার্ডই একমাত্র পাখি যারা পিছন দিকে উড়ে যেতে পারে!
দল বেধে ওড়ার সময় পাখিরা অনেক সময় ভি বিন্যাসে থাকে। এর কারণ হলো এভাবে উড়লে ওদের শক্তি সঞ্চয় হয়।
মিষ্টি স্বাদ গ্রন্থি না থাকায় আপনি মিষ্টি কিছু খেতে দিলেও পাখিরা মিষ্টি স্বাদ পায় না। তাই শখ করে পোষা পাখিকে রসোগোল্লা খাওয়ানোর দরকার নাই।
কিছু কিছু টিয়া ৫০ বছরেরও বেশি বাঁচে। মানুষ প্রথম যেসব টিয়ার সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল সেগুলি ছিল ভারতীয় টিয়া। প্রায় ৩২৮ খ্রিস্টপূর্বে অ্যারিস্টটলের ছাত্র সম্রাট আলেকজান্ডার শিক্ষকের কাছে জীবিত টিয়া এনেছিলেন। আফ্রিকার গ্রে (gray) টিয়া কথা বলায় সবচেয়ে চৌকস, আমাজনের টিয়াও কথা বলে ভালো, যদিও এদের স্বর খুবই কর্কশ। টিয়ারা প্রাচীনকাল থেকেই পরিচিত। খাঁচায় পোষমানা পাখি হিসেবে এরা সবসময়ই জনপ্রিয়।
- - - - - - - - -
- - - - - - - - - - - -
শেষের কইতরের এই ছবিখানা বাদে বাকী সবগুলা ছবি কালেক্ট করা। কইতরের ছবিটা আমার থার্ডহ্যান্ড সিম্পুনি মোবাইল দিয়া তুলছি। :D :D ক্যামন হইছে কহেন তো শুনি???
বিষয়: বিবিধ
৩১২৩ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহান আল্লাহর সৃষ্টি কতই না সুন্দর।
ওয়য়য়য়য়াও কি দাররুন
একটটটটু ভাললললো কোরে দেখখখখি
ওর প্যান্ট চুরি হইছে তাই মনখারাপ শুনলাম আপনি নিয়েছেন
আমার প্রিয় পাখি হলো মুরগি,হাঁস ও কবুতর। বিশেষ করে রোষ্ট অবস্থায়!!
এটাও পাখি
কাক যে বুদ্ধিতে শ্রেষ্ঠ তা আমরা আদম আঃ এর পুত্রদ্বয়ের ঘটনা থেকেও জানি! তবে আপনি কিন্তু বাদুড় এর একখানা ছবিও দেন নাই!
দল বেধে ওড়ার সময় পাখিরা অনেক সময় ভি বিন্যাসে থাকে। এর কারণ হলো এভাবে উড়লে ওদের শক্তি সঞ্চয় হয়।
এর আরেকটি ব্যাখ্যা আছে- এই ভি এর সবার প্রথমে থাকে ওদের দলনেতা এবং সবশেষে থাকে প্রহরী পাখি! কোনো কারণ বশতঃ কোনো পাখি দল ছুট বা হারিয়ে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রহরী পাখি ছুটে তা খোঁজ নেয় এবং ফিরে এসে দলপতি কে জানায়!
এটা গ্রামের বাড়ি থেকে ফেরার পথে তুলেছি!
ফাটাফাটি পাখি পোস্টের জন্য শুকরিয়া। পরের বার কি মাছ পোস্ট দিবেন?
মন্তব্য করতে লগইন করুন