♣♣ আপেল নয় কাঁচা মরিচ খান ♣♣
লিখেছেন লিখেছেন নাবিক ০৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:৩৩:৫৩ দুপুর
মরিচের আদি নিবাস আমেরিকা মহাদেশে। তবে বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্র রান্না ও ঔষধি হিসাবে মরিচ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
প্রায় ৭৫০০ বছর আগে থেকেই আমেরিকার আদিবাসীরা মরিচ ব্যবহার করে আসছে। ইকুয়েডরের দক্ষিণ পশ্চিমাংশে পুরাতাত্ত্বিকেরা ৬০০০ বছর আগেও মরিচ চাষের প্রমাণ পেয়েছেন।
মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন অংশে মরিচের চাষ করা হতো প্রাচীন কাল থেকেই।
ইউরোপীয়দের মধ্যে ক্রিস্টোফার কলম্বাসপ্রথম ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে মরিচের দেখা পান।
ভারতবর্ষে উৎপন্ন গোল মরিচেরমতো ঝাল বলে তিনি এগুলোকে Pepper নাম দেন। অবশ্য গোল মরিচের গাছের সাথে মরিচ গাছের সম্পর্ক নেই।
কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারের পর থেকে মরিচ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।
দিয়েগো আলভারেজ চানকা নামের একজন চিকিৎসক কলম্বাসের দ্বিতীয় অভিযানের সময়ে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ হতে মরিচ স্পেনে নিয়ে আসেন। তিনি ১৪৯৪ সালে মরিচের ঔষধী গুনাগুণ নিয়ে প্রবন্ধ লিখেন।
এতো গেলে মরিচের ইতিহাস, এবার চলুন মরিচের(কাঁচা মরিচের) চমতকার কিছু ঔষধী গুনাগুণ জেনে নিই। শরীরের নিত্যদিনকার পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য অনেকেই প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু জানেন কি? আপেলের বদল একটি কাঁচা মরিচ থেকেই আপনি আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে পারেন।
কাঁচামরিচ আমাদের অনেকের প্রতিদিনের খাবারের রুটিনে থাকে, আবার অনেকেই মরিচের ঝাল সহ্যই করতে পারেন না । মরিচ আমরা খাই শুধুমাত্র আমাদের রুচি বর্ধনের জন্য কিন্তু আমরা কি জানি আমাদের ত্বকের বলিরেখা দূর করতে অথবা ক্যালরি বার্ন করতেও সহায়ক এই কাঁচা মরিচ? প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি করে কাঁচা মরিচ থাকলে আপনি সহজেই বেশ কিছু সমস্যাকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন ।
*.গরম কালে কাঁচা মরিচ খেলে ঘামের মাধ্যমে শরীর ঠান্ডা থাকে।
*.এই গরমে হুটহাট করেই হয়ে যায় জ্বর, সর্দি, কাশি। কাঁচা মরিচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি শরীরকে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি থেকে রক্ষা করে।
*.প্রতিদিন খাবার তালিকায় অন্তত একটি করে কাঁচা মরিচ রাখলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না।
*.প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি কমে যায়।
*.নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে হৃদপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।
*.কাঁচা মরিচ মেটাবলিসম বাড়িয়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।
*.কাঁচা মরিচ রক্তের কোলেস্টেরল কমায়।
*.কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন আছে যা কার্ডিওভাস্ক্যুলার সিস্টেম কে কর্মক্ষম রাখে।
*.নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
*.কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন এ যা হাড়, দাঁত ও মিউকাস মেমব্রেনকে ভালো রাখতে সহায়তা করে।
*.কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা মাড়ি ও চুলের সুরক্ষা করে।
*.নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে নার্ভের বিভিন্ন সমস্যা কমে।
*.কাঁচা মরিচে আছে ভিটামিন সি। তাই যে কোনো ধরণের কাটা-ছেড়া কিংবা ঘা শুকানোর জন্য কাঁচা মরিচ খুবই উপকারী।
*.কাঁচা মরিচে আছে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
*.ছেলেদের প্রোস্টেট ক্যান্সার ঝুঁকি কমায়।
*.খাবার দ্রুত হজমে সহায়তা করে।
বিষয়: বিবিধ
২৬৫৫ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভিটামিন সি এর যেসব ট্যাবলেট বাজারে প্রচলিত তার মুল উপাদান ভিটামিন এক্সট্রাক্ট উৎপাদন করা হয় কাঁচামরিচ থেকেই। যে বিজ্ঞানি এটা আবিস্কার করে নোবেল পেয়েছিলেন তিনিও একদিন কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না খাবার খেতে গিয়ে আইডিয়াটা পেয়েছিলেন।
আপনি কাচা খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন? ক্লিয়ার করুন প্লিজ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন