ফার্স্ট ক্লাস ও থার্ড ক্লাস
লিখেছেন লিখেছেন নাবিক ২৬ জুলাই, ২০১৫, ১১:৩৭:০০ সকাল
অশিক্ষিত লোকেরাও অনেক সময় যুক্তির বলে প্রতিপক্ষকে স্তব্ধ করে দিতে পারে। সত্যের পক্ষে থাকলে এমনটাই হয়। আর মিথ্যার পক্ষ নিলে যতো বড় শিক্ষিত ব্যক্তিই হোক না কেন সে পড়াজিত হয়ে যাবে। যেমনঃ
এক বিত্তবান মুসলিম ব্যক্তি ছিলো। সে লেখাপড়া কিছুই জানতো না। এমন কি নাম দস্তখতও করতে পারতো না। লেখা-পড়া না জানলেও তিনি ছিলিন প্রখর মেধার অধিকারী।
একদিন ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে তিনি রেল ষ্টেশনের দিকে যাত্রা করলেন। পথে দেখা হলো এক খৃষ্টান পাদরীর সাথে, কুশল বিনিময়ের পর পাদরী সাহেব তার খৃষ্টন ধর্মটি সত্য হওয়ার যুক্তি দিয়ে বয়ান শুরু করে দিলেন।
পাদরী বলতে লাগলেন, "দেখুন জনাব পৃথিবীর পাঁচ'শ কোটী মানুষের মধ্য খৃষ্টান জন-সংখ্যাই বেশী। সুতরাং খৃষ্টানরাই আল্লাহর কাছে পছন্দনীয় হবে। বাকী সবাই পথভ্রষ্ট হয়েছে।"
এই কথা শুনে সেই অশিক্ষিত মুসলিম লোকটি তার সওয়ারী থেকে নেমে পাদরীর কাছে গিয়ে বললো, "আমার সঙ্গে একটু রেল ষ্টেশনে চলুন পাদরী সাহেব, সেখানেই আমি বুঝিয়ে দেবো জনসংখ্যায় বেশী যারা তারা ভালো না জনসংখ্যায় কম যারা তারা ভালো।"
ষ্টেশনে যাওয়ার পর পাদরী বললো, "ঠিক আছে এখন বুঝিয়ে দিন।"
লোকটি বললো, "তার আগে আপনি বলুনতো এইযে রেল গাড়ী দেখছেন, এর ফার্স্ট ক্লাসে লোক বেশী থাকে নাকি থার্ড ক্লাসে বেশী থাকে?"
পাদরী বললো, "হুহু এটাতো জানা কথাই, ফার্স্ট ক্লাসে লোক কম আর থার্ড ক্লাসে বেশী থাকে।"
লোকটি মুচকি হেসে বললো, "ঠিক তেমনি ভাবে আমরা মুসলমানরা সংখ্যায় কম বলে আমরা হলাম ফার্স্ট ক্লাস। আর সংখ্যায় বেশী হওয়ায় আপনার হলেন থার্ড ক্লাস। এবার বুঝেছেন তো কারা ভালো আর কারা পথভ্রষ্ট।"
এই কথা শুনে পাদরী নির্বাক স্তব্ধ হয়ে গেলো, মুখ দিয়ে আর কোনো কথা বের হলোনা।
সুত্রঃ এলেম ও আমল
বিষয়: বিবিধ
১১১৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন