অব্যাহত কূটচাল এবং সংবিধানের দোহাই
লিখেছেন লিখেছেন সাইয়েদ ইকরাম শাফী ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৬:০৬:০৮ সন্ধ্যা
খালেদা জিয়ার মামলার ব্যাপারে অব্যাহত মিডিয়া ক্যাম্পেইন:
জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত থেকে চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতার হতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। খালেদাকে গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে। জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে গত বৃহস্পতিবার বিশেষ আদালতে যাননি না খালেদা জিয়া। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। ঢাকার বকশী বাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাফাই সাক্ষীর দিন এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেওয়ার দিন ধার্য করা হয়েছিল। জানা গেছে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য শেষ হলেই তাকে কারাগারে নেয়া হতে পারে। গোয়েন্দা সংস্থার একটি দায়িত্বশীল সূত্র আরো জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে সেলটি বিশেষভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর আগে থেকেই খালেদা জিয়া জেলে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারাও। কারাগারে যেতে হলে তাকে ‘সাময়িক’রাজনীতি থেকেও দূরে থাকতে হতে পারে। সে সময় বিএনপি কার নেতৃত্বে চলবে- এ নিয়ে দলের ওপর মহলে চলছে অপ্রকাশ্য আলোচনা। দলের অন্দর মহলের সূত্র থেকে জানা গেছে, ‘আপদকালীন’ সেই সময় ৩ বা ৫ সদস্যের একটি কমিটিকে দল পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে, যারা সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে কারো কারো পরামর্শ- পরিস্থিতি মোকাবিলায় দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের নেতৃত্বে ওই কমিটি কাজ করুক। কারণ জিয়া পরিবারের কেউ নেতৃত্বে না থাকলে সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বিভক্তির আশঙ্কা রয়েছে। তবে জোবাইদা রহমান নেতৃত্বে আসতে ‘আগ্রহী নন’ বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে পরামর্শ করতে সম্প্রতি বিএনপি সমর্থক এক বুদ্ধিজীবীর বাসায় দলের কয়েকজন নেতা ও থিঙ্কট্যাংকের কয়েক সদস্য বৈঠক করেছেন। সেখানে তিন সদস্যের একটি ‘আপদকালীন’ কমিটি করার পক্ষে মত আসে। জোবাইদা রহমানের প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়। এ ছাড়া দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ কয়েক নেতা বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। ওই সূত্রে জানা যায়, স্থায়ী কমিটির তিনজন সদস্য, একজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন উপদেষ্টা কিংবা প্রভাবশালী একজন যুগ্ম মহাসচিবের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের ‘আপদকালীন’ওই কমিটি করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। অবশ্য কেউ কেউ পরমার্শ দিয়েছেন তিন স্তরের কমিটি করতে; যাতে ওই সময় আন্দোলন হলে এবং কেউ গ্রেফতার হলে বিকল্প কাউকে তার স্থলাভিষিক্ত করা যায়। পুর্বপশ্চিম, ১৮ ফেব্রুয়ারি, 2017
এসব রিপোর্ট কতটুকু সত্য-মিথ্যা তা যাচাই করা বা সঠিক তথ্য জানা এখন খুবই কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বেশির ভাগ মিডিয়া এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। বেশ কিছুদিন থেকে বিএনপি সম্পর্কে নানারকম বিভ্রান্তি মূলক রিপোর্ট প্রকাশ করছে সরকার সমর্থক মিডিয়াগুলো। বিএনপি নেতারা কি করছেন, কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন-সেটা নিশ্চয় দলটির অভ্যন্তরীণ বা গোপন বিষয়। দলের গোপন বিষয়গুলো সাধারণত মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় না বা হবার কথাও নয়। আদালতের বিষয় তো আরো বেশি গোপনীয়। কিন্তু বর্তমানে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো হয়ে গেছে। মজার ব্যাপার হলো: আদালত কাকে কখন আটক করবে এবং কাকে কখন সাজা দেবে সে বিষয়গুলো আগাম প্রকাশিত হচ্ছে মিডিয়ায়। গোয়েন্দা সংস্থাও আগে ভাগে জেনে যাচ্ছে! এটা খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা। স্বাভাবিক অবস্থায় বা দেশে গণতান্ত্রিক ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার ক্ষমতায় থাকলে আদালতে কি হয় না হয়-সেটা সরকার, মিডিয়া, গোয়েন্দা সংস্থা বা অন্য কোনো সংস্থার জানার কথা নয়। স্বাধীন বিচার বিভাগ কখন কি করবে, কোন মামলার রায় কখন দেয়া হবে সেটা সরকার বা সরকারি অন্য কোনো সংস্থার মাথা ব্যথার বিষয় হতে পারে না। বর্তমানে রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা, সাজানো ও হয়রানী মূলক মামলা গুলোর ব্যাপারে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তি মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতা-পাতি নেতা থেকে শুরু করে সবাই নানারকম বক্তব্য পেশ করছেন। জবরদস্তি মূলক জগদ্দল পাথরের মতো জনগণের ঘাড়ে চেপে বসা অবৈধ সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বহু আগেই খালেদা জিয়ার বসবাসের জন্য কাশিমপুর কারাগার নির্ধারণ করে রেখেছেন! এতে সহজে বুঝা যায় সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাজা রেডি করে রেখেছে। এখন রায়টা ঘোষণা করা শুধু বাকী আছে! এ কারণেই বিচার বিভাগ নিয়ে নানা জনে নানারকম কথা বলছেন। বিচার বিভাগ নিয়ে বিতর্ক নতুন করে দানা বেঁধেছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে। ন্যায় বিচার পাবেন না বলে তিনি বার বার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। দু’টি মামলায় খালেদা জিয়াকে কোর্টে টানাটানি করছে বর্তমান অবৈধ সরকার। মামলা দু’টো হলো শহীদ জিয়াউর রহমান অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। এ মামলা সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে তা হলো: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত দুর্নীতি অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ এ টাকা দুর্নীতি বা আত্মস্মাৎ করা হয়নি। উল্টো ২০০৫ সালে ঢাকার কাকরাইলে ট্রাস্টের জন্য সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। সে সময় সরকারী নিয়মানুযায়ী জমির মূল্য কম দেখিয়ে (৬ কোটি ২৫ লাখ ৭ হাজার টাকা) রেজিষ্ট্রি করা হয়। কিন্তু জমির মালিককে মূল্য পরিশোধ করা হয় ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থাৎ লিখিত মূল্যের চাইতে জমির মালিককে ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বেশি প্রদান করা হয়েছে। যার বৈধ রশিদ রয়েছে। মূলতঃ এ টাকা আসে কূয়েতী এবং দেশীয় অনুদান থেকে। এখানে দুর্নীতির কোনো ঘটনাই ঘটেনি। গরীবদের সেবার ও কল্যাণের জন্য ট্রাস্ট করে তার জন্য সম্পদ কিনেছেন। অপর দিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। অথচ অরফ্যানেজ ট্রাস্টের টাকায় বগুড়ায় জমি কেনা হয়। বাদ বাকী টাকা এফডিআর করে জমা রাখা হয়েছে। এখান থেকে কেউ কোনো টাকা আত্মস্যাৎ করেনি। মূলত এ মামলাটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের আমলে। বেশ কয়েকজন টাউট আইনজীবী দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ফি নিয়ে মামলাগুলোর প্রসিডিউর করেছিলেন তাদের মধ্যে বর্তমান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অন্যতম। নিরপেক্ষ আদালতে সুষ্ঠু বিচার হলে এসব মামলা ধোপে টিকবে না। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় যে, বর্তমানে দেশের আদালত গুলোর অবস্থা সম্পর্কে মানুষ ভালো করেই জানে। ইতিমধ্যে অভিযোগ উঠেছে যে, পুরনো ঢাকার বকশী বাজারে যে আদালত গঠন করা হয়েছে তার বিচারক আলী আহমদ জমাদার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। সরকার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিচারপতি এবিএম খাইরুল হককে অপব্যবহার করে কেয়ার টেকার সরকার আইন বাতিল করিয়েছে। আরেক ছাত্রলীগ নেতাকে দিয়ে সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
খালেদা জিয়ার নামে কিছুদিন আগে নাইকো দুর্নীতি মামলা চালু করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, কানাডিয়ান কোম্পানী নাইকোকে কাজ দিয়ে তিনি দেশের ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। অথচ একই অভিযোগ শেখ হাসিনার নামে ১৩ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা অপচয়ের মামলা করা হয়েছিল, হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে এই মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। অথচ খালেদা জিয়ার অংশটি চালু রাখে তারা। গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় কমলাপুর টার্মিনালে ঠিকাদার নিয়োগ করায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে মর্মে দাবী করা মামলা করা হয়েছে। আসলেই যার কোনো ভিত্তি নেই। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ি চৌদ্দগ্রাম সহ আরো কয়েকটি স্থানে বোমা হামলার অভিযোগে খালেদা জিয়ার নামে মামলা করেছেন হাসিনা। সরকার তার ভাড়াটে সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী দিয়ে খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাজনৈতিক হয়রানী মূলক মামলার ব্যাপারে সাঁড়াশি মিডিয়া ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে।
হাসিনার হুমকি ও বাঙ্গালীকে হাইকোর্ট দেখানো:
এদিকে শেখ হাসিনা বিএনপি ও দলীয় প্রধান খালেদা জিয়াকে নানারকম হুমকি-ধমকি দিয়ে চলেছেন। জার্মানীর নিউনিখে গিয়ে দলীয় সভায়ও বাকওয়াজি এবং বাগাড়ম্বর করেছেন তিনি। খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচন হতে পারবে না বলে বিএনপির হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হবেই। মিউনিখে শুক্রবার জার্মান আওয়ামী লীগের সংবর্ধনায় তিনি বলেন, “যদি সত্যি কোর্টের কাছে এভিডেন্স থাকে চুরি করেছে, তাহলে শাস্তি হবে। “সে জন্য তারা ইলেকশনই হতে দেবে না। একটা চোর…এতিমের টাকা যে চুরি করে খায় তাকে রক্ষার জন্য ইলেকশন হতে দেবে না। কতো আবদারের কথা, কতো আহ্লাদের কথা! “এতো আহ্লাদ যখন, তখন গরিব মানুষের টাকা কয়টা দিয়ে দিলেই হত।” আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার কিংবা জেলে পাঠানোর কোনো ভাবনা সরকারের নেই। আদালতে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে সে কারাগারে যাবে কিনা, সে মাফ পাবে কিনা সেটা আদালত বলতে পারবে। সময় ও স্রোত যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না, তেমনি বাংলাদেশের সংবিধান ও নির্বাচন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না।” বিডিনিউজ২৪ ১৮/০২/২০১৭।
জনগণের মতামত ছাড়া ক্ষমতা দখলে রাখার ব্যাপারে শেখ হাসিনার বিন্দুমাত্র অনুশোচনা ও শরম নেই। হাসিনা প্রমাণ করলেন তিনি একজন প্রকৃত সিভিল ডিক্টেটর! হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগের অভিধানে যে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলতে কিছুই নেই-সেটাও আবার প্রমাণ করলেন তিনি। প্রকৃত তথ্য হলো: হাসিনা নিজেই ১৩টি দুর্নীতি মামলার আসামী ছিলেন। যাতে প্রায় পনের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও অপচয়ের অভিযোগ ছিল। ২০০৮ সালে সরকার গঠন করার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে একে একে সবগুলো মামলা বাতিল করেন হাসিনা নিজেই। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতি হচ্ছে: ১। আজম জে চৌধুরীর কাছ থেকে ৮টি চেকে ৩ কোটি টাকা ঘুষ নেয়া। ২।নুর আলীর কাছ থেকে চেক ও ফ্লাটে ৫ কোটি টাকার ঘুষ নেয়া। ৩। খুলনায় ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য তাজুল ইসলাম ফারুকের কাছ থেকে ২ সুটকেসে নগদ কোটি টাকা ঘুষ নেয়া। এর মধ্যে তাজুল ইসলাম ফারুককে কিছু দিন আগে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ড কারা ঘটাতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। সব মিলিয়ে হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলার মধ্যে ৬টি নির্বাহী আদেশে তুলে নেয়া হয়। অবশিষ্ট ৯টি মামলা কোয়াশ করা হয় দলীয় বিচারপতি দিয়ে। এটাই হলো জনগণের মতামতকে দলিত, মথিত ও পদদলিত করে সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন করা সরকারের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার আমলনামা। যিনি জামিনে থেকে নয় বরং ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তার গলায় আওয়াজে কি শক্তি-কি তাকৎ! “চোরের মায়ের বড় গলা” বাংলা ভাষার একটি বিখ্যাত প্রবাদ। এ প্রবাদটি একেবারে একশ ভাগ সত্য ও বাস্তব প্রমাণ করছেন হাসিনা ও তার পারিষদবর্গ। দেশবাসীর অজানা নয় যে, ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের আমলে বেগম খালেদা জিয়াকে তার ২ সন্তান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে নিয়ে দেশ ত্যাগের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। দেশ ত্যাগ করলে তাকে কোনোরকম হয়রানী বা তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা-মোকদ্দমা করা হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। তিনি এ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রথমে তারেক রহমান ও পরে আরাফাত রহমানকে আটক করা হয়। ২ সন্তানকে আটক করার পরও খালেদা জিয়া কোনো চাপের কাছে নতি শিকার করেননি। পরে তাকেও আটক করা হয়। এরপর চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সে প্রস্তাবেও তিনি রাজি না হয়ে বলেছিলেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য আমি দেশের চিকিৎসক দিয়েই চিকিৎসা করাব। খালেদা জিয়াকে সৌদি আরব পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানকে ৩দিন ঢাকা এয়ারপোর্টে বোর্ডিং করে রাখা হয়েছিল। এ সময় সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল: খালেদা জিয়া যদি স্বেচ্ছায় সৌদি আরব যেতে রাজি হন তাহলে তাকে সৌদি রাজকীয় মেহমান হিসেবে গ্রহণ করা হবে। তবে জবরদস্তি মূলক তাকে পাঠানোর চেষ্টা হলে ভিসা দেয়া হবে না। ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকারের কোনো অন্যায় চাপের কাছে খালেদা জিয়া কখনো নতি স্বীকার করেননি। অন্য দিকে শেখ হাসিনা ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকারের সাথে গোপন আতাত করে ২০০৮ সালের ১১ জুন চিকিৎসার নাম করে লন্ডন হয়ে সুইডেন উড়াল দিয়েছিলেন। ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকার কোনো মতে খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠাতে পারলে হাসিনা আর সহজে বাংলাদেশে ফিরতে পারতেন না। মূলত খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ ও দৃঢ় রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে সে সরকারের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের আতাতের নির্বাচনে ক্ষমতা হাতে পেয়েছেন হাসিনা। এরপর পরেই ইতিহাস তো সবারই জানা। হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগের কাছে যদি বিন্দুমাত্র রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও ভদ্রতা থাকতো তাহলে তারা আজীবন বিএনপি ও দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে থাকতেন। খালেদা জিয়ার দৃঢ়তার কারণেই ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনরা মাইনাস টু ফর্মূলা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। সঠিক ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় যে, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দৃঢ় অবস্থানের কারণেই ২য় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন হাসিনা। কৃতজ্ঞতা দূরে থাক ন্যূনতম ভদ্রতা, শালীনতা, শিষ্টাচার এ দলটির কাছে নেই। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একদলীয় সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে দখল করা ক্ষমতা আর ছাড়তে রাজি নন হাসিনা! তিনি ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার স্বপ্ন দেখছেন এবং সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য বিএনপিসহ রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে একের পর এক কূটচাল, ষড়যন্ত্র ও ব্লু-প্রিন্ট তৈরী করছেন। দলীয় বিচারপতি দিয়ে মিথ্যা, সাজানো, প্রহসন ও রাজনৈতিক হয়রানী মূলক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার পাঁয়তারা করছেন। এ ব্যাপারে তিনি হর-হামেশা নানা কিসিমের হুমকি-ধমকি দিয়ে চলেছেন।
আবার সংবিধানের দোহাই দেয়ার অপকৌশল:
শেখ হাসিনা বলেছেন, সময় ও স্রোত যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না তেমনি বাংলাদেশের সংবিধান ও নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। আসলে কি তাই? সংবিধান তো জনগণের জন্য। নির্বাচন হলো জনগণের মতামত প্রকাশ ও ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। সাজানো ও একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো দলের ক্ষমতা দখলের জন্য নয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো: কোনো সংবিধান কাউকে ক্ষমতা কুক্ষিগত ও চিরস্থায়ী করার সুযোগ দেয় না। তিনি যে একক সিদ্ধান্তে সংবিধান পরিবর্তন করেছেন-তার জন্য কি জনগণের মতামত নিয়েছেন? সবাই জানে যে, তিনি সংবিধান পরিবর্তন করেছেন শুধুমাত্র ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য। সংবিধানের এ পরিবর্তনে দেশ তথা দেশের মানুষের বিন্দুমাত্র স্বার্থ জড়িত নেই। দখলে নেয়া ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে তিনি এখন বাঙ্গালীকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন? হাসিনা এবং তার পারিষদবর্গ অবিরাম সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন। ক্ষমতায় থাকলে সংবিধান হলো হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগের জন্য মহা পবিত্র গ্রন্থ! আর ক্ষমতার বাইরে থাকলে সেটা তাদের জন্য বাতিল কাগজ। ক্ষমতা পেয়ে আওয়ামী লীগ বোধ হয় ভুলে গেছে সংবিধান কোরআন-এর আয়াত নয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে তাদের মতামত প্রকাশের সুযোগ দিতে হলে হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে নানারকম ধানাই-পানাই করে কোনো লাভ হবে বলে না এবং পার পাওয়া যাবে না।
সেনা সদরে ইন্ডিয়ান সরকারি অফিস-কিসের আলামত?
সরকারি বার্তা সংস্থা বাসস গর্বের সাথে জানিয়েছে যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের ভেতরে ইন্ডিয়া সরকারের একটি অফিস খোলা হয়েছে! ইন্ডিয়া সফরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে ’বিশেষ সুবিধা’ দিতে নাকি সদর দপ্তরের ভেতরে অফিস স্থাপন করা লাগে! বাসস এর রিপোর্ট মতে, সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ঢাকা সেনানিবাসের ভেতরে এক বিশেষ ভিসা ক্যাম্পের আয়োজন করে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন। শনিবার ইন্ডিয়ান হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ঢাকা সেনানিবাসের সেনা মালঞ্চে এই ভিসা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মাহফুজুর রহমান যৌথভাবে এই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন। এর আগে ২০১৬ সালের জুন মাসেও ঈদের ছুটি উপলক্ষে ইন্ডিয়ান হাইকমিশন ভিসা ক্যাম্পের আয়োজন করে। প্রশ্ন হচ্ছে, বারবার এভাবে কেন সেনা সদরের মতো স্পর্শকাতর জায়গাকে ভিন্ন দেশের সরকারি লোকজনের জন্য সহজগম্য করে তোলা হচ্ছে? বিশেষ করে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিডিআর বিদ্রোহে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৭ জন অফিসারকে হত্যার পেছনে যে দেশটির হাত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়-সে দেশের উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদেরকে কেন সেনা সদরে অফিস খুলে নিয়মিত যাতায়াতের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে? জনমনে এ নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আভ্যন্তরীণ গোপনীয়তা লংঘন করে একটি পক্ষ ইন্ডিয়াকে সেনাবাহিনীর উপর খবরদারি করার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। সরকার ইতিমধ্যে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নিরপেক্ষতার প্রতীক হিসাবে মানুষ এখনো সেনাবাহিনী নিয়ে গর্ব করে। জনপ্রতিনিধিত্বহীন ও অবৈধ সরকার নানা অপকর্ম ও বিতর্কিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে জাতীয় প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকেও ধ্বংস করতে চায়?
বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক পরিপক্কতার পরিচয় দিতে পারছেন না:
সবাই জানে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির পর থেকেই বিএনপি বিধ্বস্ত। ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকারের দূর্নীতি বিরোধী অভিযান ছিল মূলত বিএনপি নির্মূল অভিযান। সে সরকারের মূল টার্গেট ছিল বিএনপি। বিএনপি’র ভেতরের লোক দিয়েই দলটিকে ভাঙ্গার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে শত চেষ্টা করেও সে সরকার বিএনপিকে ভাঙতে পারেনি। তবে সংস্কারপন্থী নামধারী মীর জাফরদের দিয়ে দলটির যথেষ্ট ক্ষতি করা হয়েছে। সে ক্ষতি বিএনপি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। গণতন্ত্রের মুখোশপরা ফ্যাসিবাদী চরিত্রের রাজনৈতিক দল আওয়ামী ক্ষমতা হাতে পাওয়ার পর তো বিএনপিকে হামেশা নির্মূল করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। দলীয় প্রধানের রাজনৈতিক মামলা নিয়ে বিএনপি নেতাদের জড়িয়ে সরকার সমর্থক মিডিয়া গুলোতে যেসব রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে সেটা রীতিমতো উদ্বেগের বিষয়। সত্য-মিথ্যা যাচাই করতে পারছি না। কারণ দেশের প্রায় পুরো মিডিয়া এখন সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে, দলীয় প্রধানের মামলা ও সাজার ব্যাপারে বিএনপি নেতারা যেসব কথা সরকার সমর্থক মিডিয়া গুলোকে বলছেন বলে প্রকাশিত হচ্ছে সেটা মোটেও রাজনৈতিক পরিপক্কতার পরিচয় নয়। খালেদা জিয়ার মামলা গুলো মিথ্যা, সাজানো ও রাজনৈতিক হয়রানী মূলক মামলা। আগেই বলেছি যে, নিরপেক্ষ আদালতে এসব মামলা টিকবে না। রাজনৈতিক মামলাকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করতে হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একদলীয় সাজানো নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ জনগণ বিএনপি’র প্রতি যে সমর্থন জানিয়েছিল তার চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছুই নেই। জনসমর্থন ও জনপ্রতিনিধিত্বহীন একটি সরকার যেভাবে বিএনপি’র মত এতো বড় একটি দলকে নাস্তানুবাদ করছে-সেটা কিন্তু সাধারণ মানুষ মোটেও ভালো দৃষ্টিতে দেখছে না। এর আগে জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ক্যান্টনমেন্ট-এর শহীদ মইনুল রোডের বাড়ী থেকে খালেদা জিয়াকে উচ্ছেদ করার পরও বিএনপি কোনো জোড়ালো প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি। এখন শুনছি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়টিও নিলামে তোলা হবে! ইতিমধ্যে জিয়াউর রহমানের কবর নিয়েও হাসিনা ও তার পারিষদবর্গ নানা কথা বলছেন এবং এটা স্থানান্তর করার বিষয়েও নাকি ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এখন সাজানো ও মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার বিষয়ে আস্ফালন করা হচ্ছে। একটি জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকারের একটার পর একটা কূটচাল, অপকৌশল ও ষড়যন্ত্রের কাছে বিএনপি যেভাবে আত্মসমর্পণ করছে-সেটা সাধারণ মানুষের কাছে মোটেও ভালো ঠেকছে না।
গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থের বিষয়ে জোড়ালো ভূমিকা নেয়া দরকার:
বোদ্ধা মহল মনে করছেন, নিম্নের কয়েকটি অতি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্বার্থের বিষয়গুলো বিএনপি মোটেও জোড়ালো ভাবে তুলে ধরতে পারছে না। বিষয় গুলো হলো: ১। অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকার গঠন। ২। রাজনৈতিক মামলায় দলীয় প্রধানসহ নেতৃবৃন্দকে হয়রানী বন্ধ করা। ৩। জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকার কর্তৃক বিদেশের সাথে কোনো চুক্তি না করা। ৪। দলীয় বিচারপতি দিয়ে মীমাংসিত বিষয় কেয়ার টেকার সরকার আইন বাতিল করে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরীর জন্য একক ভাবে আওয়ামী লীগ দায়ী-বিষয়টি জোড়ালো ভাবে তুলে ধরা। ৫। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে মূলতঃ অঘোষিত ভাবে হাসিনা ডাইন্যাস্টি কায়েম করা হয়েছে-এ বিষয়টিও চাপা পড়ে যাচ্ছে। ৬। খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখার যে কোনো ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও কূটচাল বরদাস্ত করা হবে না। ৭। হাসিনা বা তার অবৈধ দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে কোনো অবাধ ও সুষ্ঠূ নির্বাচন হবে না বা আয়োজন করা সম্ভব নয়। এসব জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিএনপিকে বুলন্দ আওয়াজ তুলতে হবে। বিএনপি নেতাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকারের কোনো অন্যায় চাপের কাছে খালেদা জিয়া নতি স্বীকার করেননি। তিনি বলেছিলেন, দেশের জন্য আমার ২ ছেলেকে কোরবানী দিলাম। তার ১ ছেলে ইতিমধ্যে কোরবানী হয়ে গেছে। ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকারের নির্যাতনের শিকার হয়ে তার কনিষ্ঠ সন্তান আরাফাত রহমান পুরোপুরি সুস্থ হবার আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। দেশের অসীম সঙ্কট, মানসিক চাপ, সন্তান হারানোর বেদনা এবং অবৈধ সরকারের নানারকম কূটচাল-ষড়যন্ত্রের শিকার দলীয় প্রধানকে চাপ মুক্ত করার জন্য কি করছেন বিএনপি নেতারা?
বিষয়: রাজনীতি
১০০৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন