জীবন যখন বাস্তবতার মুখোমুখি!!!
লিখেছেন লিখেছেন আজিজ বিন আনোয়ার ১০ জুলাই, ২০১৫, ১০:৩২:৪৮ রাত
বাস্তবতা নাকি কঠিন যা এড়ানোর জো নেই! যদিও আমি আবেগ মিশ্রিত বাস্তবতা ছাড়া কাঠখট্টা বাস্তবতায় বিশ্বাসী নই। যা হোক মূল ঘটনায় চলে যাওয়া যাক, তবে হ্যা গল্পটা কিন্তু বাস্তব মেকি নয় মোটেও।
জুনের আট তারিখ, সোমবার, সন-২০১৫। ৭ম সেমিষ্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ মনে মনে ভাবলাম যাক এবার একটু অবসর পাওয়া যাবে, কতদিন হল মজা করে নজরুল, শরৎ, রবিন্দ্র পড়ি না। কিন্ত ওই যে! আপনারা যেটাকে বলেন বাস্তবতা, তারই মুখোমুখি দাড়ানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হলো।
খবরটা আগেই জানা ছিল, দুপুর ২টা নাগাদ হাসপাতালের রিসিপশনিস্ট পদে চাকরির জন্য ভইভা দিতে হবে । আমি কিছুটা দোটানায় ভুগছিলাম কারণ একদিন আগে ডপার্টমেন্টের এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে প্রকাশনায় কাজ করার অফার পেয়েছিলাম, পরে ভাবলাম যাক চাকরি তো আর সারা জীবনের জন্য না, একবার ঘুরেই আসা যাক!
স্যুটেড-বুটেড হয়ে যখন ভাইভার জন্য বের হচ্ছি তখন বাজে প্রায় তিনটা, যা হোক বের হলাম ভাইভা দেওয়ার জন্য কিন্তু বিধি বাম! জায়গা মতো পৌছে পড়লাম এক মহা ফ্যাকড়ায়, চক্ষু হসপাতাল খুজে না পেয়ে গ্রামের মানুষের মতো মাঝে মাঝে হাতে ঠিকানার কাগজটা নিয়ে রোড ও বাড়ির ঠিকানা মিলানোর জন্য এদিক ওদিক চাওয়া-চাওয়ি, হাটা-হাটি শুরু করলাম।
প্রায় আধ ঘন্টা খোজার পরও যখন খুঁজে পেলাম না তখন মাথার চাদি গরম হওয়া শুরু করল, এদিকে গরমে ঘেমে-নেয়ে মনে হচ্ছিল কেউ যেন এক মগ পানি দিয়ে শার্টের পিছনটা ভিজিয়ে দিয়েছে!
অবশেষে যখন খুঁজে পেলাম তখন তো একেবারে আক্কেল গুড়ুম! বাস থেকে যেখানে নেমেছিলাম হাসপাতালটা সেখান থেকে সামনেই, যা হোক দুর্ভোগ কপালে থাকলে তা তো মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
হাসপাতালে পৌছে আবার এক ঝামেলায় পড়লাম। ডা: মনিরুজ্জামান নাকি এখন সময় দিতে পারবেন না, তিনি রুগি দেখায় ব্যস্ত আছেন, দেখা করতে হলে বসতে হবে।
যা হোক অপেক্ষার প্রহর গুনতে গুনতে রাত আটটা বাজল কিন্তু ডাক্তারের আর দেখা মেলে না। একটু পরে রিসিপসনিস্টদের মধ্য থেকে একজন এসে আমার (CV) টা নিয়ে ডাক্তার সিদ্দিককে দেখাল, একটু পর আমাকে জানানো হলো আগামীকাল আসতে হবে।
যা হোক চাকরি তো আর মামির হাতের মোয়া নয়! কি আর করা আজকের মতো ফিরতে হলো , অপেক্ষা এবার আগামীকালের......
বিষয়: বিবিধ
১১০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন