সংরক্ষন করা হোক মুক্তিযুদ্ধের এসব স্মৃতিচিহ্ন গুলোকে ।

লিখেছেন লিখেছেন মোশারফ রিপন ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৯:২৫:৩২ রাত

নাগেশ্বরীতে ১৯৭১ সালে স্থানীয় দোসরদের সহায়তায় পাকবাহিনীর

নৃশংসতায় শহীদ হওয়া

নিরীহ নিরপরাধ অনেকের

লাশ রয়েছে চার বধ্যভূমি ও

দুই বধ্যকূপে। সংরক্ষণের

অভাবে স্বাধীনতার ৪৫

বছরেও তা আজো অবহেলিত

ও অরক্ষিত।

নাগেশ্বরী বধ্যভূমি:

৬ জুলাই ১৯৭১ হানাদার বাহিনী

রাজাকারদের সহায়তায়

নেওয়াশীর জয়মঙ্গল থেকে

২২, বামনডাঙ্গার আনছার

হাটের ১১ এবং ভিতরবন্ধ

থেকে তিনজন নিরীহ

নিরপরাধ গ্রামবাসীকে

ধরে এনে নাগেশ্বরী

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

সংলগ্ন স্থানে ব্রাশ

ফায়ারে হত্যা করে। পরে

সেখানেই ওই ৩৬ জনকে

মাটি চাপা দেয়।

নিলুর

খামার বধ্যভূমি: ১৬

নভেম্বর মুক্তিবাহিনীর

প্রবল আক্রমণে টিকতে না

পেরে পশ্চাত্পসারণরত

পরাজিত পাক হানাদার

বাহিনী ক্ষিপ্ত হায়েনার

মত উপজেলার তিন স্থানে

গণহত্যা চালায়। পবিত্র

শবে-কদরের দিনে

পাকবাহিনী সন্তোষপুরের

আলেপেরতেপথি,

চরুয়াটারী,

কাইটটারী,

সূর্যেরকুটি, সাতানি,

ব্যাপারিহাটসহ কয়েকটি

গ্রামে অতর্কিতে হামলা

চালালে ভীত-সন্ত্রস্ত

নারী-পুরুষ নিলুরখামার

গ্রামে আশ্রয় নেয়। এ সময়

পাকিস্তানিরা ওই

গ্রামটিকে তিনদিক থেকে

ঘিরে নির্বিচারে

গুলিবর্ষণ ও বাড়ি-ঘরে

অগ্নিসংযোগ করে। আপর

আলী, বাচ্চানী খাতুন,

মইনুদ্দিন মুন্সী, আব্দুস সালাম

মুন্সী, হাজেরা খাতুন,

আজিজুর রহমানকে আগুনে

পুড়িয়ে মারে এবং বেয়নেট

খুঁচিয়ে ও গুলি করে ৭৯ জন

নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে

হত্যা করা হয়। সেদিনের

তাণ্ডবের বীভত্সতার

সাক্ষী হয়ে গুলিবিদ্ধ ও

আগুনে পোড়া ক্ষত নিয়ে

বেঁচে আছেন ওই গ্রামের

রোকেয়া বেগম, মালেকা

বেগম, জামাল, মিছির

আলীসহ কয়েকজন।

হানাদাররা চলে গেলে

পালিয়ে বেঁচে যাওয়া

আতঙ্কিত মানুষরা ফিরে

এসে লাশগুলো একত্রিত করে

গ্রামের একপ্রান্তে গর্ত

করে সারিবদ্ধভাবে মাটি

চাপা দেয়।

হাসনাবাদ

বধ্যভূমি: নিলুর

খামার গণহত্যার দিনে ২৫

পাঞ্জাব রেজিমেন্ট

রাজাকার ও পাকবাহিনীর

একটি দল সকালে হাসনাবাদ

ইউনিয়নের মনিয়ার হাট,

শ্রীপুর, হাজির হাট,

টালানাপা গ্রামে তাণ্ডব

চালায় ও মাষকলাইয়ের

স্তূপে আগুন দিয়ে অন্তু

মিয়াকে হাত পা বেঁধে

নিক্ষেপ করে। পুড়ে মৃত্যুবরণ

করে সে। হানাদার

বাহিনীর নির্বিচার

গুলিবর্ষণে ২৯ নিরীহ

গ্রামবাসী শহীদ হন।

এখানেও কোনো স্মৃতিবেদী

নেই।

চর

বেরুবাড়ী বধ্যভূমি: ১৯

নভেম্বর, ঈদ-উল ফিতরের

আগের দিন পাকবাহিনী চর

বেরুবাড়ী প্রাইমারি

স্কুলের সামনে বিভিন্ন

গ্রাম থেকে ধরে আনা

নিরীহ নিরপরাধ ১৯ জনকে

সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে

গুলি চালায়।

বধ্যকূপ:

উপজেলা স্বাস্থ্য

কমপ্লেক্স চত্বরের পরিত্যক্ত

ইদারা ও দক্ষিণ ব্যাপারি

হাটে নাগেশ্বরী-কুড়িগ্রাম

আঞ্চলিক সড়ক সংলগ্ন

পরিত্যক্ত ইদারা দুটি

“বধ্যকূপ”। মুুক্তিযুদ্ধ

চলাকালীন সময়ে পাক

হানাদার বাহিনীর হাতে

নিহত অজ্ঞাত সংখ্যক

শহীদের দেহাবশেষ রয়েছে

এ দুটি বধ্যকূপে।

বিষয়: বিবিধ

১০১২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380890
২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ০৩:১৯
হতভাগা লিখেছেন : চিকন আর লম্বা পোস্ট ।

এটা কি গদ্য না পদ্য ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File