সৃষ্টির উদ্দেশ্য ও দ্বীনের প্রচার
লিখেছেন লিখেছেন ওসমান গনি ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০১:২৬:৩৬ দুপুর
মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য কি?
আল্লাহ ফেরেশতাদের বললেন আমি প্রতিনিধি (মানুষ) প্রেরণ করবো, (ইন্নি জায়িলুন ফিল আরদি খলিফা)
কেন প্রতিনিধি ? তাদের দায়িত্ব বা কি?
আল্লাহ বলেন আমি মানব ও দানব জাতিকে সৃষ্টি করেছি কেবল আমার ইবাদতের জন্য।জীবন যাপনের জন্য কি একটি দ্বীনের দরকার নেই?
দ্বীন অর্থ কি আর সঠিক দ্বীন কোনটি?
দ্বীন অর্থ কি শুধু ধর্ম? না জীবন ব্যবস্থা?
একটি দ্বীনের দরকার আর তার নাম হলো ইসলাম,
আল্লাহ বলেন আমার নিকট মনোনিত একমাত্র দ্বীন হচ্ছে ইসলাম, |
তার কারণ হলো তিনি কোনো মানুষকে সৃষ্টি করে এমনি এমনি ছেড়ে দেননি। বরং তাদের জীবন যাপনের সকল দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ দ্বীনে কি আছে?
একটি পথমালা তৈরী করে দিয়েছেন ।
সেই হিসেবে মানুষের ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন,
রাজনৈতিক জীবন, অর্থনৈতিক জীবন ও,
সর্বোপরি ধর্মীয় জীবনের সকল দিক ও বিভাগের পরিপূ্র্ণ্ নির্দেশনা তিনি প্রদান করেছেন । এসব কিছু প্রচারের জন্য আখেরি নবী মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ (ছ.)কে নবী হিসাবে মনোনিত করেছেন।
দ্বীনের জন্য কি নাযিল করা হয়েছে?
এজন্য নবীজির উপর নাজিল করেছেন আল কুরআন।
কুরআন হলো সত্য-মিথ্যার পরখকারী।
কিসে মানুষের কল্যাণ কিসে অকল্যাণ সকল বিষয়ে আল্লাহতাআলা কুরআনে ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
বস্তুত নো ওল্ড টেষ্টামেন্ট,নো নিউ টেষ্টামেন্ট ,বাট কুরআন ইজ দা ফাইনাল টেষ্টামেন্ট। ইন ফেক্ট নো ইষ্ট নো ওয়েষ্ট ইসলাম ইজ দা বেষ্ট।
কুরআন কার বাণী কবে কখন কার উপর নাজিল হয় ?
কুরআন হলো আল্লাহ তায়ালার বাণী বা ঐশী গ্রন্থ।
কুরআন ক্বদরের রাতে অবতীর্ন হয়।
নবী করীম (সঃ) এর উপর ২৩ টি বছর ধরে এ বাণী নাযিল হতে থাকে।
জিবরাঈল (আঃ) ২৪ হাজার বার রাসুল (সঃ) এর নিকট অবতীর্ণ্ হন।
উত্তম ব্যক্তি কে ? কুরআনে কার কথা আছে?
আল্লাহর রাসুল (সঃ) বলেছেন “তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তি উত্তম যে নিজে.কুরআন শিখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।
এ কুরআনে সকল বিষয়ের সকল মানুষের কথা আছে।
কুরআন শিক্ষার গুরুত্ব কেন?
শয়তান দাবী করেছিল মানব সন্তানকে বিভ্রান্ত করবে।
নফসানিয়াতকে অবদমিত করার মহা ঔষধ এই কুরআন,
নফস ৩প্রকার- নফসে আম্মারা,নফসে লাওয়ামা ও নফসে মুতমায়িন্না
কুরআন কি নির্যাতিত,কিন্তু কিভাবে ?
পৃথিবীতে একটি বইয়ের নাম বলুন যেটি অর্থ ছাড়া পাঠ করা হয়?
সত্যিই কুরআন নির্যাতিত।
আর তা কিভাবে ভেবে দেখি।
কুরাআনের দাবী পাঁচটি
বিশ্বাস ও তাজিম
তিলাওয়াত ও তারতীল
আলোচনা ও চিন্তাভাবনা
ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে নির্দেশ ও প্রতিষ্ঠা
প্রকাশ ও প্রচার
নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত ও নামাজ পড়া জরুরী
নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত নিশ্চিত করতে হবে।
কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পেতে পারে।
কুরআন শুদ্ধ পড়া ওয়াজিব,..............
নতুবা বিকৃত অর্থ ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
উচ্চারণে ভূল / লিহানে জলি অর্থ বিকৃত করতে পারে।
উদাহরণ------
শুধু তেলাওয়াত করলে চলবে না ; অর্থসহ পাঠ জরুরী,
ইসলামের পথে ডাকা কি ফরজ?
আল্লাহ বলেন“ হে নবী প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তা ও সদুপদেশ সহকারে রবের পথে লোকদেরকে ডাকো ও বিতর্ক করো উত্তম পদ্ধতিতে”। সুরা নাহল- 12-125
আল্লাহ বলেন“এ বাণী তোমার প্রতি নাযিল করেছি যাতে তুমি লোকদের মাঝে তার শিক্ষা ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করতে পারো,যা তাদের জন্য নাযিল করা হয়েছে,যাতে তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে”। সুরা নহল-12-44
আল্লাহ বলেন“কুনতুম খাইরা উম্মতি………....
রাসুল (সঃ) বলেন- আদ্দুনিয়া মাজরাআতুল আখিরা অর্থ্যাত দুনিয়া পরকালীন জীবনের শস্যক্ষেত্র।
সেই হিসেবে দুনিয়ার জীবনে কল্যান অর্জনের মাধ্যমে পরকালীন জীবনকে সমৃদ্ধ করা মুখ্য উদ্দেশ্য।
এক কথায় সকল মানুষের দুনিয়ার জীবনকে কলূষমুক্ত করv ও পরকালীন জীবনকে মজবুত করা মূল লক্ষ্য।
আল্লাহ বলেন ইয়া আইয়ুহাল লাজিনা আমানু কু আন ফুসাহুম ওয়া আহলিকুম নারা।
নবী করিক ছ. বলেন“বল্লেগো আন্নি ওয়ালাউ আয়াতান। আমার একটি বাণী হলেও প্রচার করো।
ইসলামের পথে কিভাবে এবং কেন ডাকবেন?
ইসলাম বুঝাবেন তবে রাজনীতি নয়! বুদ্ধিমত্তা এপ্লাই করুন।
রাজনীতি না কররেও তাদেরকে ডানপন্থী বানানো যায়।
শহিদ হাসানুল বান্না বলেন“উই কল ইউ টু ইসলাম, দি টিচিংস অব ইসলাম,দা গা ইডেস্স অফ ইসলামি এন্ড ইফ দিস মিনস্ টু ইউ পলিটিক্স দেন দিস ইস আওয়ার পলিটিক্স।
আপনি কি সারা দুনিয়ায় পোলারাইজেশন দেখেন নি?
দি ক্ল্যাশ অব সিভিলাইজেশন বইতে লর্ড হানটিংটন কি বলেন? ক্ল্যাশ বিটিউইন ইসলাম এন্ড ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন।
জন মেজর কি বলেছিলেন বসনিয়া যুদ্ধের সময়? We can’t tolerate a sovereign state in the heart of Europe।
এ রকম পরিস্থিতিতে একতার নজরানা কি পেশ করতে হবে না?
কুরআন কি বলে “ওয়াতাসিমু বিহাবলিল্লাহি………….....
মুহাম্মদুর রাসুলিল্লাহি ওয়াল্লাজিনা………
বুদ্ধিবৃত্তিক ডমিনেশন জরুরী নয় কি?
শত্রুরা আমাদের লোকদের বিপথে নিয়ে যাচ্ছে না?
শয়তান তো বলেছিল আমি সামনে থেকে পিছন থেকে………......
আপনি যদি দাই ইলাল্লাহ না হন? কে হবে?
নো এক্সট্রিমিজম, বাট বি প্রাকটিকাল এন্ড পজিটিভ।
সবখানেই কুশলী হওয়া জরুরি।
নামাজ শিক্ষা ও ইসলাম শিক্ষা
নামাজের জন্য চোট ছোট সুরাগুলো মুথস্থ করা এবং
অর্থ ব্যাখ্যা শিক্ষা দেয়া যেতে পারে।
নামাজ শিক্ষার জন্য তাগিদ দিতে হবে।
ইসলামের কাজ নিজেরা করবে ।
অন্যদের মাঝেও প্রচারের অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করতে হবে।
এজন্য অনুপ্রেরণামূলক আলোচনা করা যেতে পারে।
উপসংহার
আসুন দুনিয়ার এ সংক্ষিপ্ত জীবনকে স্বেচ্ছাচারিতায় যেন ভরে না দেই। ভোগ নয় দূর্ভোগে থাকি। সুচিন্তিতভাবে জীবন পরিচালনা নিজেদের স্বার্থেই জরুরি। আমরা প্রত্যেকেই যদি স্ব স্ব দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করি তাহলে, একটি সুন্দর সুস্থ পরিবেশ গড়ে উঠতে পারে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। সকল মুসলিম জাতির নিয়ামক শক্তি।
জাতীয় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এগিয়ে যেতে হবে,
ইনশাআল্লাহ আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কামিয়াব হব।
আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন আমিন।
বিষয়: বিবিধ
২০২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন