নৈতিকতার অবক্ষয় রোধে ইসলামী শিক্ষার গুরুত্ব

লিখেছেন লিখেছেন ওসমান গনি ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৩:২৪:১৯ দুপুর

নৈতিকতা বলতে আমরা বিবেকের তাড়না কিংবা নীতিকথার প্রতিফলনকে বুঝি। অবক্ষয় মানে অধপতন বা বিনাশ। আর ইসলামী শিক্ষা মানে ইসলামের মৌলিক সমন্বিত শিক্ষাসমুহ। আর উপরের বিষটিকে আমরা এভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি তা হল নীতি-নৈতিকতার অধপতন প্রতিরোধে ইসলামী শিক্ষার গুরত্ব ও বিশেষত্ব।

প্রথমেই আমরা অবক্ষয়ের কিছুটা নমুনা পেশ করতে চাই । সারা দুনিয়ায় মানবজাতি আজ বিভ্রম-বিভ্রাটের পিছনে হন্যে হয়ে ঘুরছে। দিকে দিকে আজ ধ্বংসের তান্ডবলীলা। নীতি নৈতিকতার কোন বালাই নেই। নৈতিকতার মরা লাশ পরিলক্ষিত হচ্ছে সর্বত্র। মানুষ আজ বিত্ত বৈভব ছাড়া কিছুই বুঝেনা। বিশ্বব্যাপী আজ অবক্ষয়ের মহড়া চলছে। আজকে মানব জীবন এক ভয়াবহ দুশ্চিন্তা এবং সমস্যায় নিপতিত। সব চেয়ে বিচিত্র ব্যাপার হল-মানুষ বস্তুগত সমস্যার ব্যাপক উন্নতি বিধানে সমর্থ হলেও নৈতিক জীবন বোধ পরিগঠনে কিংবা উন্নয়নে বিশেষ কোন ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। এক কথায় অনৈতিকতার বিপর্যয় রোধে বাস্তুবভিত্তিক অবদান রাখতে প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্যের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি ব্যর্থ হয়েছে। তাই তো দেশে দেশে হিরোইন কিংবা নারী পাচারের মত মানবতা বিরোধী জমজমাট ব্যবসা আমরা অবলোকন করছি। এইডস এর ভয়াবহতা সর্বগ্রাসী রূপ পরিগ্রহ করেছে। মাদকাসক্ত কিংবা মাদক দ্রব্যের অবৈধ এবং অবাধ ব্যবহার ও তার ভয়াবহ পরিণতি উন্নত কিংবা উন্নয়নশীল বিশ্বের সকল সরকার এবং চিন্তাশীল মানুষদেরকে বিব্রত, বিষিয়ে এবং ভাবিয়ে তুলেছে। সর্বত্র যেন বাঁচও বাঁচাও রব-শুনা যাচ্ছে। এই সমস্যাটি যেন আনবিক তোমার চেয়েও মারাত্মক । তবে কি বিশ্ব মানবতা এই জঘন্য অবস্থা থেকে আদৌ মুক্তি পাবে না ? মুক্তি কি আজ সূদূর পরাহত। শান্তির কি তিরোধান হল ? তবে আমরা মনে করি এখনও সময় একেবারে শেষ হয়ে যায় নি। তাইতো নৈতিকতার বিনাশ রোধে বিশ্বব্যাপী আজ নূতন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে। এখন আশার ক্ষীণ আলো পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে আমাদের বিশ্বাস একমাত্র ইসলামী শিক্ষাই অনৈতিকতার মহামারী থেকে বিশ্ব মানবতাকে বাঁচাতে পারে। কেননা ইসলামই এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বক্তব্য রেখেছে।

ইসলাম শব্দের অর্থই হল বিশ্ববিধাতার কাছে নির্দ্বিধদায়-নিংসংকোচে আত্মসমর্পণ করা। (| (Unconditional Surrender to Almighty)) অর্থাৎ একজন মুসলমান ইচ্ছায় হোক অনিচ্ছায় হোক আল্লাহর আনুগত্য করতে বাধ্য। এখানে স্বেচ্ছাচরিতা স্থান নেই । এক কথায় অনুগত বান্দাহ্। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র এবং সর্বশেষ জীবন ব্যবস্থা । সুতারাং স্বভাবতই ইসলাম মানবতার বিধান, কল্যাণের বিধান এবং চিরন্তন ও শাশ্বত জীবন বোধের জীবন বিধান। আমরা জানি মানুষের জীবন সংগ্রাম নির্ভর । এক কথায় "Life is full of action and exploration" জীবনের এই সংঘাতে তথা জীবন যুদ্ধে প্রকৃত অর্থে জয়ী হতে হলে চাই একটি ঐশী ব্যবস্থার অনুসরন এবং অনুশীলন, আর যথার্থ ইসলামী শিক্ষা কিভাবে মানবীয় মূল্যবোধকে শাণিত ও পরিশীলিত করে, অনৈতিকতার উচ্ছেদ সাধনের মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে সহায়ক তা আলোচনায় প্রবৃত্ত হব।

ইসলাম মনে করে মানুষ আত্মাহীন জড় পদার্থ নয়। বরং আত্মমর্যাদাসম্পন্ন-আত্মা সর্বস্ব নৈতিক জীব। অতএব দেহের দাবীকে অস্বীকার করে আত্মার পরিশুদ্ধি কিংবা আত্মার পরিশুদ্ধিতে প্রবৃত্ত না হয়ে এককভাবে প্রবৃত্তির গোলামে পরিণত হওয়া কোনটাই ইসলামে গ্রাহ্য নয়। সুতরাং দেহ ও মনের সুসামঞ্জস্য কল্যাণ বিধানে ইসলামের আহবান চিরন্তন। আর এ কারণেই ইসলামী শিক্ষা হৃদয় বৃত্তিকে জাগিয়ে তোলে। দূনিয়াদারীর এই ঘুর্ণিপাকে নিছক পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যকে বিশেষভাবে সমীহ করে, দেহ ও মনের উৎকর্ষ সাধন ও মননশীলতা সৃষ্টিতে সচেষ্ট।

কবি মিল্টন এর ভাষায় Education is the harmonious development of body mind and soul. অর্থাৎ শিক্ষা হলো শরীর ,মন ও আত্মার সমন্বিত উন্নয়ণ। মিল্টন এখানে পাশ্চাত্য জগতের অনৈতিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে অন্য নৈতিক ও আধ্যাত্মিক শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলেছেন। এখানে ইসলামের সাথে কিছুটা মিল রয়েছে। তবে হ্যাঁ ইসলাম প্রচলিত বস্তুবাদী শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে এক Line of Demarcation তথা পাথক্য রেখা টেনে দেয়। ইসলামী শিক্ষা মানুষকে নৈতিকতার ভিত্তিতে শাসন করে থাকে। মানুষ যে Rational being নৈতিক জীব’ তা সুপ্রমাণিত করে রেশানেলিটি সৃষ্টির মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষা মানব সমাজকে সুন্দর ও শাশ্বতের পথে আহ্বান করে থাকে। আর এই আহ্বান ষড়রিপুর তাড়নাকে উপেক্ষা-উৎখাত করে নিছক মানবিক চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে, পরকালীন জবাবদিহীতার ভয়ে সচেতন হয়ে, যাবতীয় লোভ লালসা ও দুনিয়াবী দূর্বলতার বেদীমূলে কুঠারাঘাত করে সত্যের লাল সূর্যটিকে ছিনিয়ে আনার ঐতিহাসিক আহ্বান। পবিত্র কুরআনের বাস্তব এবং কার্যকর শিক্ষাসমুহ যদি মানব জাতি পড়তে শিখে, হৃদয় কন্দরে আশ্রয় দেয় আর আচরণীয় বিষয়ে প্রস্ফুটিত করে তাহলে একজন মানুষ নিশ্চয়ই সৎ, সত্যবাদী ও সহনশীল ব্যক্তিতে পরিণত হবে।

আল্লাহ মিথ্যুকদের উপর অভিসম্পাত দিয়েছেন। আর এ বাণী একজন মানুষকে মিথ্যাচার কিংবা প্রবঞ্চক হওয়া থেকে বিরত রাখবে। ইসলামী শিক্ষা মানুষের জীবনের অত্যন্ত অন্তর্নিহিত সত্য বিষয়কে বাস্তবতার নিরিখে বিশ্লেষণ করে তা সমাধানের যথার্থ প্রয়াস চালিয়ে থাকে। আমরা শুরুতেই আলোচনা করেছি যে, ইসলামী শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্যই হল মানুষকে আল্লাহর বান্দাহ তথা একজন অনুগত বান্দাহ হিসাবেই প্রতিষ্ঠিত করা। সুতরাং এখানে নিছক দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠা লাভের পরিবর্তে দুনিয়া ও আখেরাতের বেলেন্সড জীবন গঠনের স্বপক্ষে জোরালো ভূমিকা আমরা দেখতে পাই। সুতরাং একজন মানুষ প্রকৃতই যদি ইসলামী শিক্ষায় দীপ্তিমান হয় তাহলে প্রচলিত ঘুষ, ব্যভিচার, হত্যা, নেশাগ্রস্থতা, স্বজনপ্রীতি, উগ্র জাতীয়তাবাদ, কিংবা অবৈধ সম্পদ আহরণের প্রচেষ্টা কোনটাই তাকে আচ্ছন্ন করতে পারবে না। এক কথায় পরকালীন জবাবদিহীর চিন্তা চেতনা একজন মানুষকে ভীতি এবং বিবেকের বিবেচনায় উদ্বুদ্ধ করে।

আমরা মনে করি পৃথিবীতে সকল অশান্তি ও অনৈতিকতার মূল কারণ অসৎ নেতৃত্ব তথা মানুষের উপর মানুষের প্রভূত্ব এবং তাদের পরকালীন জবাবদিহি মানসিকতার অভাব। পক্ষান্তরে ইসলাম মানুষকে মানুষের মতই গড়ে তুলতে চায়। খন্ডিত চিন্তা চেতনার পরিবর্তে একটি অখন্ড নীতিবোধের স্বপক্ষে ইসলাম মানবজাতিকে আহ্বান করে। সুতরাং ইসলামী শিক্ষা একজন মানুষকে সতর্ক-সচেতন এবং সুনাগরিক হিসাবেই গড়ে তোলে। এভাবে ইসলাম বাস্তব এবং সংগত শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিকতার অযাচিত এবং অবাঞ্চিত পদস্খলনকে চুড়ান্তভাবে রোধ করতে সক্ষম।

আমরা সকলেই স্বীকার করব যে, জীবন সম্বন্ধে ভ্রান্ত এবং খন্ডিত ধারণা বর্তমান বিশ্বের বস্তুতান্ত্রিক সমাজবাদী এবং জড়বাদী সভ্যতার সমাজ দেহকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। আর রক্তক্ষরণ হচ্ছে সমাজ দেহ থেকে প্রতিনিয়ত। তার পরেও একদিকে যেমন উন্নত বিশ্ব এই অনভিপ্রেত সমস্যাকে মোকাবেলার জন্য সচেষ্ট - অন্যদিকে গরীব এবং উন্নয়নশীল দেশের কেউ কেউ উন্নত বিশ্বের এই সোনার হরিণটিকে ধরার জন্য তৎপর। অথচ সম্মিলিতভাবে যদি আমরা এই সমস্যাটিকে সমাধানে বদ্ধপরিকর না হই তা হলে বিশ্ববাসী অচিরেই বিকলাঙ্গ হয়ে পড়বে। কালো আর ধলোর ব্যবধান, ধনিক বণিকের অবৈধ শোসন-শাসন কিংবা দেশে দেশে সংঘাত-সংঘর্ষ যেভাবে বেড়েই চলেছে - তা প্রতিরোধের জন্য বিশ্ববাসীকে অবশ্যই ইসলামের বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ও দর্শনে অবশ্যই অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত হতে হবে। অর্থাৎ দুনিয়ার এই স্বল্পকালীন ও যৎসামান্য সুখ শান্তিকে যদি অগ্রাহ্য করে মানুষ পরকালীন অফুরান সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের অন্বেষায় বিভোর হয় তাহলে আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীটি নিঃসন্দেহে বেহেশতী সুবাসে ও শোভায় সু-শোভিত হবে। আর একমাত্র যথার্থ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থাই একটি উন্মাদ, অধৈর্য এবং নিছক পেট সর্বস্ব জাতিকে সর্বাঙ্গীন কল্যাণ ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে দৃষ্টাšন্ত স্থাপন করতে সক্ষম।

প্রকৃতপক্ষে ইসলামী শিক্ষা কিভাবে অনৈতিকতার বিষবাষ্প থেকে একটি জাতিকে নৈতিক মূল্যবোধে চেতনাদীপ্ত করে শ্রেষ্ঠ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমাদের প্রিয় নবীর সাহাবীদের জীবনে কিংবা খোলাফায়ে রাশেদীনের সেই স্বর্ণযুগের অম্লাান ইতিহাসকে আমরা স্মরণ করতে পারি। যা বিশ্ব ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত রয়েছে। সেই সময়কার আরব জাতি শান্তিতে এবং সমরে যে সকল ঐতিহাসিক এবং উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তা চিরদিনই সত্যাশ্রয়ী মানব মনকে দোলা দিয়ে থাকবে। কি আনছার কি মুহাজির - সকলেই যেন দ্বীনের শিক্ষায় এক একজন আলোকবর্তিকা। সে সময় একজন সুন্দরী রমনী একাকী নির্ভয়ে মরুভূমির একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভ্রমণ করতে পারত। কি চমৎকার দৃষ্টান্ত! কয়দিন আগেও যে মানুষটি নারীর ইজ্জ্বত-আব্রুর শ্রেষ্ঠ যম ছিল সেই মানুষটিই আজ ঐ নারীর ইজ্জ্বত রক্ষাকারী ব্যক্তিত্ব। কিভাবে একটি হিংস্র ও বর্বর জাতি এত অল্পসময়ের মধ্যে জ্ঞানে-গুণে এবং নৈতিকতায় এতটুকু শ্রীবৃদ্ধি করতে পেরেছিল তা যেন ভাবতেই অবাক লাগে। মানুষ যদি তার জীবনের সকল সফলতা-ব্যর্থতা এবং দুঃখ বেদনাকে নিছক পরকালীন জবাবদিহির চিন্তা চেতনায় সাজিয়ে তোলে তাহলে অনৈতিকতার এই করাল গ্রাস থেকে মানবতাকে উদ্ধার করা মোটেই দূরুহ নয়। আর এ জন্য ইসলামী শিক্ষার ব্যাপক প্রচার এবং প্রসার একান্তই প্রয়োজন।

এতক্ষণের আলোচনা থেকে এ উপলব্ধি টুকু আমরা করতে পারি যে, একমাত্র ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে উঠা শিক্ষাই আজকের এই ঝঞ্জা- সংক্ষুব্ধ ধরণীতলে স্থায়ী শান্তি স্থাপন এবং নৈতিক অবক্ষয় রোধে স্বার্থক হবে। আজকের ঝবপঁষধৎ তথা জড়বাদী এবং মানবতা বিরোধী শিক্ষা পৃথিবীতে অনাচার এবং পশুবৃত্তিকে উদ্বেগজনকভাবে বাড়িয়ে তুলেছে। তাই আজকে প্রয়োজন ইসলামী রেঁনেসার। অধপতনের এ সময়ে বিশ্বমানবতা ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিতে অন্য সকল সময়ের চেয়ে বেশী আগ্রহান্বিত বলে আমাদের বিশ্বাস। তাইতো পাশ্চাত্যের আমেরিকান সমাজ বিজ্ঞানী Albert Schezer তার The teaching of Reverence for life নামক গ্রন্থে আধুনিক Secular ও লিবারেল শিক্ষা ব্যবস্থায় নৈতিক ও আধ্যাত্মিক পূণ:জাগরণের ঐতিহাসিক পরিবর্তনকে অত্যাবশ্যকীয় বলে সবিনয় উল্লেখ করে বলেছেন "Our age must achieve spiritual renewal new co renaissance must come the renaissance in which mankind discovered that ethical action is the supreme truth and the supreme utilization by which mankind will be liberated." “অর্থাৎ আমাদের সময় অবশ্যই আধ্যাত্মিক পূণঃজাগরন অবলোকন করবে যার মাধ্যমে মানব জাতি আবিষ্কার করবে যে নৈতিক বিষয়ই সর্বোচ্চ সত্য এবং তার সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে মনুষ্যত্ব মুক্তি পেতে পারে”। আমরা মনে করি শিক্ষা ক্ষেত্রে আকাংখিত এই নৈতিক এবং আত্মিক পূনর্জাগরণের জন্য একটি আদর্শভিত্তিক পূর্ণাঙ্গ ইসলামী শিক্ষা বিবর্তন ও প্রবর্তন একান্তই অপরিহার্য, যা সুবিন্যস্ত ও সুশৃঙ্খল প্রকৃতি ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা সর্বপ্রকার মন্দ প্রবৃত্তি স্তব্ধ করে একটি নৈতিক সত্ত্বা গঠনে সহায়ক এবং মানুষের সহজাত সম্ভাবনাময় প্রকৃতির উৎকর্ষ সাধনে ও সত্যিকার মানুষ সৃষ্টিতে তথা নিছক একটি যৌন আবেগসম্পন্ন জীব-ধারণার বিপরীতে একটি গঠনমূলক নৈতিক জীবনবোধের উপর ক্রিয়াশীল, অবিবেচনা ও অনৈতিকতার বিরুদ্ধে সর্বপ্রকার অবক্ষয় রোধে সর্বোতভাবে পারঙ্গম, যা যুগে যুগে সুপ্রমাণিত এবং মূল্যবোধের অবক্ষয়ের এই ক্রান্তিলগ্নে বিবেকহীন জড়বাদী সভ্যতার দেহপল্লবে শেষ চিকিৎসা ও শেষ রক্ষার মতই মহৌষধ হিসেবে পরিচিহ্নিত হবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

বিষয়: বিবিধ

২৩৯৭ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

359724
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ০৮:৩৮
শেখের পোলা লিখেছেন : লেখাটি বড় হলেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ৷ ধন্যবাদ৷ কিছু অংশ ডবল হয়ে গেছে৷
359758
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ রাত ১১:০২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ।
আসলে ধর্মবিহিন কোন নৈতিকতা নাই।
359796
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
ওসমান গনি লিখেছেন : সবুজ ভাই ও ভাই শেখের পোলা অনেক ধন্যবাদ সত্য কথা বলার জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File