এটি সে বছর- ২০১৫, ২০১৬ শান্তির বছর হোক
লিখেছেন লিখেছেন ওসমান গনি ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৪:০২:৪৪ বিকাল
২০১৫ সাল বিভিন্ন কারণে আলোচিত বছর হিসাবে স্বরণীয় হয়ে থাকবে। আইএসএল এর উত্থান এ সময়ের সবচেয়ে বেশি আলোচিত ঘটনাপ্রবাহ। এ সালে বিশ্ব রাজনীতিতে সমীকরণ হয়েছে, বিশেষ করে আমেরিকা পরাশক্তি ও অন্যান্য বিশ্ব শক্তির আইএস বিরোধী প্ল¬টফরমে একত্রিত হওয়া বিস্ময়কর বৈকি ? নিজেদের মধ্যে বিবেদ থাকলেও মুসলমানদের বিষয়ে তারা ঐক্যবদ্ধ এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। মুসলমানদের দূর্দশা এ সময় সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। যে দিকে যান, যে দিকে তাকান মুসলিম হত্যাযজ্ঞ এক সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রবিহীন মুসলিম স্বাধীনতাকামী কিংবা চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব একত্রিত হয়েছে। এখানে নির্যাতিত ও সন্ত্রাসী একাকার হয়ে গেছে। মুসলিম জনগোষ্টি নিজেদের মধ্যে রক্তের হোলিখেলা খেলছে । শেষ পর্যন্ত ইরান বিশ্ব শক্তির সাথে পারমানবিক বিরোধ নিয়ে চুক্তিতে উপণিত হতে সক্ষম হয়েছে। সৌদি নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়, ইয়েমেনে সৌদী জোটের হামলা নৃশংসতায় রূপ নেয়।
বছরের শেষ প্রান্তে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অকস্মাৎ পাকিস্তান সফর সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তবে নানা মুনির নানা মত। কেউ বলে এটি কুটনৈতিক চাল্, কেউ বলে পারমানবিক যুদ্ধের শংকা থেকে এসব কিছু। সে যাই হোক ভবিষ্যতেই কেবল এসব কিছুর সমাধান হতে পারে। আমেরিকা বলছে পাকিস্তান আগামী ২০২০ সালের মধ্যে চীন, ফ্রান্সকে ডিঙিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পারমানবিক শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটি গাল গল্প কিনা তা আমরা জাননিা। তবে এটি ভারতসহ অনেক দেশকে ভাবিয়ে তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে ভারত-পকিস্তান পারমানবিক যুদ্ধে ২০০ কোটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এটি চাট্টিখানি কথা নয়। পৃথিবীর প্রায় এক চর্তুতাংশ বনি আদম ধ্বংসের কিনারে এসে দাঁড়াবে! এ ধ্বংসযজ্ঞের হাত থেকে বাংলাদেশ কি বাদ যাবে? বাংলাদেশ তো ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তি সংগ্রহ করবেনা, পারমানবিক বোমা তৈরি তো এদেশের জন্য নিষেধ হয়ে আছে। তাহলে শক্র রাষ্ট্রের হাতে এত পারমানবিক বোমা,এত ক্ষেপনাস্ত্র ? আমরা তো আতংকিত না হয়ে পারিনা। আরো কি ওদের তো হাজার হাজার কিলোমিটার দূরত্ব সম্পন্ন বেলেষ্টিক ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তি আছে। তাহলে আমাদের কি হবে? বন্ধুরাষ্ট্র ভারত,তাদেরও তো আরও বেশী শক্তি আছে। ভারত চিরদিন আমাদের বন্ধু হয়ে থাকবে তো ? রাজনীতিতে শত্রু-মিত্র চিরদিন এক থাকেনা এটিই বাস্তবতা। এ সময় বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক নাজুক অবস্থায় নিপতিত। বাংলাদেশ বিরোধিদের হাতে যদি এ রকম বিদ্ধংসী অস্ত্র থাকে তাহলে আমাদরেও কি প্রস্তুত থাকা উচৎি নয় ? এটি ভেবে দেখা উচিৎ। এ অবস্থায় আমরা আতংকিত না হয়ে পারি না।
ফ্রান্সে আইএসের নামে হামলা, তুর্কি সেনা কর্তৃক রাশিয়ান বিমান ভুপাতিত ও এ সময়ের অত্যন্ত আলোচিত ঘটনা। তুর্কিরা কেন এ সংঘর্ষে জড়ালো তা বুঝা যাচ্ছেনা। আমেরিকার কুট চালে ও ষড়যন্ত্ররে ফাঁদে তুর্কিরা পা দিয়েছে কিনা আমরা জানিনা। তবে শেষ পর্যন্ত তুর্কি-রাশিয়া সংঘাতে ন্যাটো তুর্কিদের একনিষ্ট সমর্থক থাকবে,পাশে থাকবে সবসময় এটা হলফ করে বলা যাবেনা। সতরাং তুর্কিদের সচেতনভাবে এগুনো উচিৎ। আইএস বিরোধী মেরুকরণে চীন-ন্যটো একিভূত হয়েছে। দীর্ঘদিন চীন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলেও এবার ইঙ্গ-মার্কিন রাশিয়া, ফ্রান্স ও চীন একাট্টা। তাহলে বুঝা গেল মুসলিম নামধারী বিপথে চলা চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে বিশ্ব শক্তি এক। এই একতা শেষ পর্যন্ত ইসলাম নির্মূলে রূপ নেয় কিনা দেখার বিষয়। সে যাই হোক মূসলমানদের অবস্থা সারা বছরব্যাপী ক্ষয়িঞ্চু ও নড়বড়ে ছিল এটি দূর্ভাগ্যের বিষয়। একটা মুসলিম দেশও আপনি খুজে পাবেন না। যেখানে কোনো না কোনোভাবে হানাহানি চলছেনা। নিজেরা নিজেরা মারামারি করেই সর্বশান্ত হওয়ার পথে মুসলিম বিশ্ব।
বার্মার মুসলমানদের উপর বর্মী বাহিনী ও তাদের লেলিয়ে দেয়া মগদের নৃশংস আচরণ সর্বকালের রেকর্ড ভংগ করেছে। এমনিতে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা দীর্ঘদিন থেকে রাষ্ট্রবিহীন জনগোষ্টিতে পরিণত হয়েছে। উপরন্তু বার্মায় লক্ষ লক্ষ মুসলামনকে হত্যা করা হয়েছে। নারী শিশু বৃদ্ধ সহ কেউ এই নৃশংসতার হাত থেকে রেহাই পায়নি। বর্মী মগ ও সরকারী বাহিনী মিলে মাইলের পর মাইল ঘর-বাড়ী জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিয়েছে পরিকল্পিতভাবে। সেখানে জাতিগত শুদ্ধি অভিযানে মুসলিম জনগোষ্টি নির্মূল হওয়ার পথে। নির্লিপ্ত জাতিসংঘ, নির্লিপ্ত বিশ্ব সমাজ,নির্লিপ্ত মুসলিম বিশ্ব। শক্তিমান মুসলিম দেশগুলোও এখানে চুপ। কাছের দেশ বাংলাদেশ,মালয়েশিয়া,ইন্দোনেশিয়া,পাকিস্তানও চুপ। রোহিঙ্গাদের নিয়ে ইমরান খানের একটি বিবৃতি শুনেছিলাম শুধু।
এ সময় পাকিস্তানের অভ্যন্তরে চরমপন্থীদের তান্ডব চরম নৃশংসতায় রূপ নেয় যা কোনো মতেই মেনে নেয়া যায়না। আর এতে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ভ্রাতৃঘাতি এ সংঘর্ষে বহু গ্রাম শহর বিরান হয়ে গেছে। পেশোয়ারে স্কুল শিশুদের উপর গণহত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকেব। ইসলামের নামে চরমপন্থীদের এ নৃশংসতা চরম বর্বরতায় রুপ নেয়। বস্তবতা হলো চরমপন্থীরা মুসলমান হওয়ার কথা তো দুরে থাক এরা ইসলামের দুষমন ও ইসলামী শিক্ষা বিরোধী হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র কায়েম হয়েছে বলে দাবী করা হয়। কিন্তু সে গণতন্ত্রের ভীত কতটা শক্ত হয়েছে তা ভুক্তভোগিরাই কেবল জানেন। এখনও এ দেশে গণতন্ত্রের নামে কি যে সব চলছে তা ভাবাই যায়না। গণতন্ত্রের নামে অগণতান্ত্রিক কার্যক্রম চলছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় পরমত সহিষ্ণুতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটি আমাদের দেশে এখনও প্রাতিষ্টানিক রূপ পরিগ্রহ করেনি।
এমনিভাবে লিবিয়া,সিরিয়া,ইউক্রেন,মধ্য আফ্রিকা,ভারত, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বে চরম অশান্তি বিরাজ করছে। বিগত দিনে মার্কিনীরা দুনিয়াব্যাপী শত শত সামরিক ঘাটি স্থাপন করে সুদূরপ্রসারী নীল নক্সা নিয়ে বিশ্বকে করতলগত করতে চাইছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রাশিয়া নতুনভাবে বিশ্ব নেতৃত্বে আসার খায়েস দেখাচ্ছে। সিরিয়াকে ঘিরে তার অবস্থান মোটেই সুখকর নয়। এভাবে বলতে গেলে মুসলিম দেশ ও অন্যান্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দেশসমুহ বৃহৎ শক্তিবর্গের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ভারত-পাকিস্তান পারমানবিক যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। এটি তো বিশেষজ্ঞদেরও আশংকা। এ যুদ্ধের পরিণতি কতই ভয়াবহ তা ভাবতেই গা শিউরে উঠে।
এক কথায় ২০১৫ সালে সৃষ্ট জাতিগত সন্ত্রাস কিংবা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস যাই বলিনা কেন ২০১৬ সালে কি পরিণতিতে উপনীত হয় বা তার প্রতিক্রিয়া কতই ভয়াবহ ও তা কি রকম ধ্বংসযজ্ঞে রুপ নেয় তা ঠিক করে বলা যাবেনা। ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া ও আমেরিকা আবার মুখোমুখি হবেনা তার নিশ্চয়তা কোথায় ? চীন সাগরে সৃষ্ট কৃত্রিম দ্বীপ নিয়ে চীন-আমেরিকা বৈরিতা চরম আকার ধারন করবেনা তাও কিভাবে হলফ করে বলা যায়? ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে বিশ্বযুদ্ধ হবেনা কে বলতে পারে ? আমরা জানি সৌদী আরবে প্রখ্যাত শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমেরী হত্যাকান্ড নিয়ে ইরান সৌদী দ্বন্ধ চরমে পৌঁচেছে। ইতোমধ্যে তেহরানে সৌদী দুতাবাসে হামলার কারণে সৌদীরা ইরানের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। এতে দুই পক্ষেরই বাড়াবাড়ি রয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। এভাবে মধ্যপ্রাচ্যে ইরান জিসিসি দেশ সমূহের মধ্যে নতুন করে সংঘাত কোথায় গিয়ে ঠেকে আল্লাহই ভালো জানেন। সব কিছু মিলিয়ে মুসলমানেরাই ক্ষতিগ্রস্ত। বছরের শুরুতেই শুরু হওয়া সৌদি-ইরান দ্ধন্ধে ঘৃতাহুতি ঢালবেনা শত্রুরা আর তা সংঘাতে রুপ নেবেনা তা কিভাবে বলা যায়? আমরা আশা করবো উভয় দেশেরই শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।শান্তি ফিরে আসবে। ইতোমধ্যে নতুন করে রাশিয়া আমেরিকাকে রাশিয়ার জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে চিহিৃত করেছে আর এতে দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ সময় প্রাচ্য-পশ্চাত্যে বাক স্বাধীনতার নামে ইসলাম, তার নবী,বিভিন্ন ধর্ম ও আল্লাহতায়ালাকে নিয়ে চরম অবমাননাকর লেখাকে সমর্থন ন্যক্কারজনক পর্যায়ে উপনীত হয়। মুসলিম দেশসমূহ বিরোধীদের জামাই বাবুর আদরে অভ্যর্থনা জানালেও অমুসলিম দেশ সমূহে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও বৈরীতা চরম আকার ধারণ করে। কোনো কোনো দেশে রাষ্ট্রীয় মদদে মুসলিম নিধনযজ্ঞ সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বলা যায় এক শ্রেণীর নির্বোদ লেখক ইসলাম ও তার নবীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর লেখার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদকে উসকে দিচ্ছে। এ সময় মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য ও হানাহানি এত চরম আকার ধারণ করে যা তাদেরকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে উপনিত করেছে। যার ফায়দা লুটছে মুসলিম বিদ্বেষী শক্তিসমুহ। পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ যে, বলা যায় ইসলাম আল্লাহ প্রদত্ত সর্বশেষ আসমানী জীবন বিধান না হলে অচিরেই পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিবে যেতো। এ সময় শিয়া সুন্নি বিরোধ, সুন্নী-ওহাবী বিরোধে মুসলিম দেশ সমূহে চরম অসহিষুতা বিরাজ করলেও বরিোধী শিবিরে পরম সখ্যতা লক্ষ্যনীয়। উদ্বেগের বিষয় হলো শিয়া সুন্নি সংঘাতে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে আর এভাবে মুসলিম বিশ্ব বিভক্ত হয়ে পড়ছে লজ্জাজনকভাবে ।
এমন পরিস্থিতিতে ২০১৬ কেমন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এই হানাহানি থেকে যদি তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সূচনা হয় তাতে অবাক হওয়ার কি আছে।বাস্তব কথা হলো মুসলমানদের কোনো প্রসাতুতি নেই। এত কিছুর পরও বলা যায় মুসলিমবিশ্বসহ সারা বিশ্বে স্থিতিশীলতা ফিরে আসারও সম্ভবনা রয়েছে। নতুন বছরে রাষ্ট্রসমুহ চরম হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে সুন্দর এ পৃথিবীকে ধ্বংসও করতে পারে আবার শুভ বুদ্ধির উদয় হতে পারে ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির নতুন প্রয়াসও তরান্বিত হতে পারে। আমরা আশাবাদী হতে চাই। আমাদের সুন্দর এ পৃথিবীকে আরও শতাব্দির পর শতাব্দী ধরে টিকিয়ে রাখতে চাই। এজন্য সকল হানাহানি ও বৈষম্য পদদলিত করে বিশ্ব শান্তির জন্য একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। মনে রাখতে হবে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে দ্বন্ধ কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। কেননা সব ধর্মের চেতনাই শান্তির পক্ষ। ইসলামরে কথা বলাই বাহুল্য কেননা ইসলাম শব্দরে র্অথই হলো শান্তি।
আমরা বলি মানবতার কল্যানের জন্য ইসলামের আবদানকে খাটো করে দেখা যায় না। ইসলামকে কমন শত্রু হিসেবে পরিচিহ্নিত করা মোটেই ন্যায় সংগত নয়। বস্তুত পরাশক্তি ও বিশ্ব শক্তিসমুহ যদি পরষ্পর পরষ্পরের বিরুদ্ধে সংঘাতে লিপ্ত না হয় তাহলে একটি শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টি হতে বাধ্য। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাষ্ট্র সমূহ যদি বৃহৎ শক্তিসমুহের দাবার গুটিতে পরিণত হয় তাহলে শান্তি আসবে কিভাবে। ২০১৬ বিশ্ব শান্তির বর্ষ হোক, চিরস্থায়ী শান্তি সৃষ্টি হোক এ কামনা রইলো। নতুন বছরে মানব কল্যানে সবোর্চ্চ অবদান রাখার জন্য বৃহৎ শক্তিবর্গ একতাবদ্ধ হবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি। বৈরিতা ভূলে গিয়ে এক স্রষ্টার সৃষ্ট বনি আদম হিসাবে মানবতাবোধকে উজ্জীবিত করে বিশ্ব শান্তির জন্য সকলে একযোগে কাজ করবে ও বিশ্বে স্থায়ী শান্তি অর্জনে সকলে অবদান রাখবে এ আশাবাদ পূন:ব্যক্ত করছি।
বিষয়: বিবিধ
১৭৭২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
৭ শতকে আমেরিকার জন্ম হয় নি। কিন্তু তখনো ইসলামের চার খলিফার তিন জনই মুসলিমদের হাতে খুঁন হয়েছে। নবী মোহাম্মদের অতি প্রিয় স্ত্রীর সাথে তারই ঘনিষ্ঠ জনেরা খুঁনাখুনি করছে। নবীর দহিত্র ইমান হোসেনকে নবীর সাঙ্গপাঙ্গরাই খুঁন করে নবীবংশ নিঃবংশ করেছে। ইমাম হোসেনের ছিন্ন মস্তক নিয়ে দামেস্কের রাজপথে মুসলিমরা আনান্দ মিছিল করেছে।
এরপরও ইসলাম??
বিশ্ব এক বছরে পরিবর্তিত হবেনা। কিন্তু এগিয়ে যাবেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন