বর্তমান অবস্থা আমাদেরই হাতের কামাই
লিখেছেন লিখেছেন ওসমান গনি ১৫ জুলাই, ২০১৫, ১২:০২:৫৮ রাত
দেশের অধিকাংশ মানুষ যখন প্রকৃতিগত ভাবে একই চরিত্রের হয়ে যায়, অসত্য যখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে পড়ে, তখন সমাজ দেহে একটি নেতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় । তখন কেউ কারো কথা শুনে না ,সর্বত্র একটি অরাজকতা বিরাজ করে। বেশিরভাগ মানুষ এজন্য কোনো না কোনো ভাবে কম বেশী দায়ী। আলেমেরা যখন সঠিক কথা বলেন না, বুদ্ধিজীবি,সমাজপতিরা যখন শক্তিমানের পক্ষে তাল মিলায় তখন শাসক শ্রেণি বেপরোয়া হয়ে যায়। তার অনিবার্য পরিণতি হলো সমাজের বিশৃংখল অবস্থা। সারা মুসলিম জাহানের একই দৃশ্য। সুতরাং এদেশের বর্তমান অবস্থা আমাদেরই হাতের কামাই। দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া সমগ্র মুসলিম বিশ্বে একই অবস্থা বিরাজ করছে। সে হিসেবে বর্তমান নেতিবাচক পরিবর্তন অধিকাংশ লোকের কামনা-বাসনার ফসল্ বৈ কিছু নয়।
বেশীরভাগ লোক তো আল্লাহর দ্বীনকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত দেখতে চায় না। উপরন্তু ক্ষেত্র বিশেষে তারাই দ্বীনের বড় শত্রু হয়ে দাঁড়ায়। তাহলে আল্লাহর কি গরজ? আল্লাহ এসব জাতির জন্য এ রকম অধপতিত কিছু নির্ধারণ করেন। তাতে আশ্চর্য হওযার কিছুই নেই। সঠিক পথের অনুসারী যারা তারা তখন অসহায় ,কোনঠাসা বরং নির্যাতনের শিকার। তাদের কথা কেউ শুনেনা,শুনবে কেনো তাদের হাতে তো কোনো ক্ষমতা নেই । এ যুগে মানুষ শক্তিমানের পুজা করে। বৈধ অবৈধ ধার ধারে না।সুতরাং নিঃসন্দেহে বলা যায় বর্তমান সামাজিক অবক্ষয় সংখ্যাগরিষ্ট মানুষেরই হাতের কামাই।দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি শুদ্ধতার পথে ফিরে না আসে তাহলে আরো বিপর্যয়ের জন্য অপেক্ষা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
দিন দিন মানুষের, আচার- ব্যবহার, স্বভাব -চরিত্র, কথা-বার্তা, মন -মানষিকতা, চাল- চলন, মেজাজ যেন কেমোন হয়ে যাচ্ছে। একটি ড্রাষ্টিক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আমরা কখন কি বলছি, কেন বলছি,কিভাবে বলছি তার কোন হিসাব নেই। এক কেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে মানুষ। স্বার্থপরতায় আকন্ঠ নিমজ্জিত। ভিনদেশি সংস্কৃতি আমাদের বিবেককে ধ্বংস করে ফেলেছে। যার প্রভাব রাস্ট্র থেকে পরিবার ও সমাজ পর্যন্ত গড়িয়েছে। যার মূল কারণ আমরা রিলিজিয়ন থেকে দূরে সরে যাচ্ছি ধীরে ধীরে এবং সবাই মিলে-মিশে এ কাজটি করছি। মিডিয়া করছে,সমাজ চালকেরা করছে, আলেম ওলামারা করছে, কে করছে না?
আমরা প্রতিহিংসা চাইনা, চাই সম্প্রীতি, হানাহানি চাইনা চাই একতা । ক্ষমতা কারো জন্য চিরস্থায়ী বন্দেবস্ত নয় । ক্ষমতার পালাবদল ঘটতেই থাকে। বস্তুতঃ ক্ষমতায় থাকা মানে বিপদ। জনগণের সকল ভাল মন্দ বিষয়ে আল্লাহর দরবারে জবাব দিতে হবে পরকালে। জররা জররা হিসাব দিতে হবে এটি আল্লাহর ঘোষণা। ছাড়াছাড়ি নাই। ক্ষমতার স্বাধ মিটে যাবে পুরাদস্তুর। বুঝতে পেরেছেন ক্ষমতাবানরা? ভাল করে শুনুন ক্ষমতার মজা হয়তো দারুণ তবে হযরত ওমরের রা: কথা শুনুন। ওমর রা: বলেন আমার শাসনামলে একটি কুকুরও যদি না খেয়ে মারা যায় তার জন্য আমি ওমর দায়ী থাকবো। এরাই প্রকৃত শাসক। খোদা ভীতিতে এরা ছিল এক পা খাড়া। নয়াদিল্লীর মুখ্য মন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন ওমরের শাসন আমার পছন্দ। অথচ মুসলমানেরা তাদের নবীর খোলাফায়ে রাশেদিনের পক্ষে নেই।কি লজ্জাকর বিষয় যা ভাবতেই গা শিউরে উঠে। বলতে গেলে আমাদের আগাগোড়াই ঠিক নাই, নাই শিক্ষা, নাই জ্ঞান, টুটো জগন্নাত ! কিন্তু বাহাদুরির অন্ত নেই। বাগাড়ম্বরতায় উস্তাদ । আজব দেশ আর আজব দেশের আজব মানুষ! শবে ক্বদরের রাতে আসুন সত্য ও শুভত্বের পথে সুন্দর পরিবেশের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে ফরিয়াদ জানাই সকলে মিলে সকলের জন্য এবং বলি হে খোদা আমাদের হুঁশ দাও একটি পথ বাতলে দাও। সঠিক পথ দেখাও যে পথ চির সত্যের, চির অম্লান। আমাদেরকে ক্ষমা করো হে রব্ব।
বিষয়: বিবিধ
৯৪৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন