ওহে খ্রীষ্ঠান সম্প্রদায় নিজেদের আত্মার প্রতি সদয় হোন আর ফিরে আসুন চিরন্তন সত্যের পথে
লিখেছেন লিখেছেন ওসমান গনি ১২ জুলাই, ২০১৫, ০৫:২৯:৫৩ বিকাল
বর্তমান পৃথিবীতে খ্রীষ্টানরা বৃহত্তম সম্প্রদায়। সংখ্যার দিক থেকে প্রায় ২ বিলিয়ন বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। বস্তুতঃ এ বিশাল জনগোষ্টী তাদের নবী সম্পর্কে কিংবা তাদের ধর্ম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পোষণ করতে ব্যর্থ হলে মিথ্যা জয়যুক্ত হবে আর এটা কোনক্রমেই মেনে নেয়া যায় না। আমরা জানি, যে সকল লোক নিজেদেরকে প্রফেট যীশুর আদর্শের সাথে যুক্ত করেছেন বলে দাবি করেন তাদেরকে খ্রীষ্টান বলা হয়। খ্রীষ্টানরা আরও দাবি করেন যে, যীশুর পথই সঠিক পথ আর তারা সে পথেই চলছে। কিন্তু তাদের ধর্মের মূল পুস্তিকাগুলো কোথায় অথবা বর্তমান বাইবেল কোত্থেকে এসেছে অর্থাৎ এই বাইবেল আল্লাহ তাআলার তরফ থেকে নাজিলকৃত সেই ইঞ্জিল বা বাইবেলটি কিনা তা কি তারা জানে? নতুবা ওল্ড টেষ্টামেন্ট, নিউ টেষ্টামেন্ট এর মাধ্যমে এত পরিবর্তন কেন এবং এ সব কিছু কি স্রষ্টা কতৃক প্রেরিত ইঞ্জিল থেকে সংকলিত? কে বা কারা এই গ্রন্থগুলো লিখেছে? কোন অথরিটিতে তারা এ বইগুলো লিখেছে? অভিযোগ আছে লেখক-ধর্মগুরুরা মূল গ্রন্থের সাথে মিশ্রিত করে নিজেদের সুবিধা অসুবিধা মিলিয়ে এ সব কিছু লিখেছেন। এটা আমরা এ জন্যই বলছি যে খৃষ্টানরা তাদের আসল ইঞ্জিল কিতাব বা তার কোন অংশ বিশ্ববাসীকে দেখাতে পারছেন না, যে কারণে সেই কিতাবের সাথে আমরা বর্তমান বাইবেলকে মিলিয়ে দেখতে বা সত্য মিথ্যা পরখ করতে পারছি না। অথচ ধর্মীয় পন্ডিতেরা তো ধর্মগ্রন্থ লিখতে পারেন না। এটা অমার্জনীয় অপরাধ মানব জাতীর সাথে প্রতারণার শামিল।
অভিযোগ আছে মহান আল্লাহ ইহুদী কতৃক নির্যাতিত হযরত ঈসা আ.কে উর্ধ্বাকাশে উত্তোলন করার পর কতিপয় খ্রীষ্টান পাদ্রী নিজেদের মনগড়াভাবে বাইবেলকে বিকৃত করে রটিয়েছে যে, যিশু ক্রুশ বিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। এভাবে নাকি তাঁর অনুসারীদের পাঁপ মোচন করেছেন। আবার সেটা মনে করে যদি খ্রিষ্টানরা পাপ করতে দ্বিধাবোধ না করেন তাহলে অবাক হওয়ার কি আছে? কিন্তু একজনের পাপ আর এক জনে মোচন করা কিম্বা একজনের পাপের জন্য আর একজন দায়ি হওয়া তাদের ধর্ম সহ কোনো ধর্মে তা সমর্থন করে না। আবার এও রটিয়েছে যে, যিশু আল্লাহর পুত্র। অর্থাৎ, যিশুর পিতা স্বয়ং আল্লাহ (নাউযুবিল্লাহ)। অথচ পাক কুরআনে আল্লাহ বলেন, তিনি (আল্লাহ) কারো সন্তান নন, তারও কোন সন্তান নেই।” (সূরা ইখলাস)। এভাবে তারা যিশুকে ঈশ্বর ডাকতে শুরু করল। এখন প্রশ্ন হলো যদি কোনো ব্যক্তি ঈশ্বর হবেন, তবে তাঁর মৃত্যু হয় কীভাবে। শুধু তাই নয়, আল্লাহ কতৃক হযরত ঈসা আ. এর উর্ধ্বাকাশে গমনের পর খ্রিষ্টান পাদ্রীরা আসমানী কিতাব ইঞ্জিলকে পরিবর্তন করে লিখেছেন বাইবেল।
তেমনি ভাবে তারা আল্লাহকে গড, ঈসা আ. কে যীশু, মুসলিম ও ইসলামকে খ্রীষ্টান, ইব্রাহীম আ.কে ব্রেহেম, দাউদ আ.কে জ্যাকব, মরিয়ম আ.কে মেরী, সোলাইমান আ.কে জন ইত্যাদি বিকৃত নামে ডাকতে ও ব্যবহার করতে থাকেন। এভাবে পরিবর্তন করতে করতে তাদের মধ্যে আন্তঃকোন্দল সৃষ্টি হলো এবং বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট ও নিউ টেস্টামেন্ট নামক দুটি সংস্করণ বের হলো। এ জন্য আল্লাহ এ সব আসমানী কিতাব পরিবর্তনকারীদের জন্য যে শাস্তি নির্ধারিত করেছেন, তা পালনকারীরা পালন করার অপরাধে যে সব শাস্তি পাবে, তার মোট শাস্তির সমপরিমাণ হবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এ ধরণের মহা পাপ যাতে আর না হয় সেজন্য পবিত্র কুরআনের জিম্মা আল্লাহ নিজেই নিয়েছেন। তাই মানুষ ও জ্বীন যে কোন অপরাধ করার অবকাশ পেতে পারে কেবলমাত্র একটি অপরাধ ছাড়া, তাহলো পবিত্র কুরআনের রদবদল করা। অবাক ব্যাপার হলো তাদের নবীর সালাম বিনিময়ের পরিবর্তে তারা গুড মর্ণিং, গুড আফটার নূন, গুড ইভিনিং, গুড নাইট বলে সম্বোধন করে কেবল সময়কে গুড বলা হচ্ছে। আবার হ্যাপি বার্থ ডে, হ্যাপি নিউ ইয়ার ইত্যাদি দ্বারা সময়কে হ্যাপী বলা হচ্ছে। এ সব সম্বোধন করার দরকারটা কী? বা এসব কার বিধান? নবী যীশু কি এগুলোর প্রবক্তা ছিলেন? খ্রীষ্টানদের কাছে এসবের কোনো সদুত্তর নেই।
আশ্চর্য ব্যাপার হলো বর্তমান বিশ্বে শত শত ভাষায় বাইবেল দেখা যায়। আমাদের জানতে ইচ্ছা করে আল্লাহ তাআলার তরফ থেকে এই শত শত ভাষায় কী কখনও বাইবেল নাজিল হয়েছিল? যদি নাজিল না হয়ে থাকে তাহলে এত সব ভাষায় বাইবেল আসল কোত্থেকে? কে বা কারা এ সব মনগড়া বাইবেল প্রচার করছে এবং কেন, কার স্বার্থে? এটা কি বিশ্ব মানবতার সাথে প্রতারণা নয়? আর ধর্মগ্রন্থগুলোর ধারাবাহিকতা যদি ঠিক থাকে তাহলে সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ ছ. এর অবস্থান কোথায়? তা কি খ্রীষ্টানরা জানে? শেষ নবী সম্পর্কে তাদের নবীর ভবিষ্যৎবাণীই বা কি ছিল তাও কি তারা জানে? জানলেও তারা কি তা মানে? আর তারা তাদের বর্তমান ধর্মের নাম খ্রীষ্ঠান ধর্মই বা পেল কোথায়? এ নাম কে রেখেছে? অথচ আমরা কুরআন থেকে সত্য জানতে পেরেছি যে হযরত ঈসা আ. আল্লাহর নবী ও রাসুল ছিলেন এবং তাঁর ধর্মের নামও ছিল ইসলাম। হযরত ঈসা আ. কেন, লক্ষ লক্ষ নবীর ধর্মের নামও ছিল ইসলাম। আবেগের বশবর্তী না হয়ে পবিত্র কুরআন ও ইতিহাস থেকে সত্য বিষয় জেনে নেয়ার জন্য খ্রীষ্টান ভাই বোনদের প্রতি আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি। তাছাড়া বাইবেলে কি খ্রীষ্ট ধর্ম বলে কোন ধর্মের নাম উল্লেখ আছে? তা কী তারা দেখাতে পারবেন? কিন্তু তারা তা দেখাতে পারবেন না। এর সদুত্তর তাদেরকে দিতে হবে ও সাথে সাথে আসল সত্য কী বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে। নতুবা তাদেরকে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে দুনিয়াতে ও পরকালে সমভাবে।
তাই সকলের স্বার্থে বিশেষ করে খ্রীষ্টানদের নিজেদের কল্যাণের স্বার্থেই সত্য ধর্ম বিষয়ে ভাববার, সত্য জানবার এবং এ বিষয়ে সময় ব্যয় করবার জন্য আহবান জানাচ্ছি। আর এভাবে আবারও বলছি, যে ধর্ম তারা অনুসরণ করছে তাদের বর্তমান ধর্ম কি সর্বশক্তিমান আল্লাহর নিকট থেকে আগত? তার প্রমাণ কি তাদের হাতে রয়েছে? এই ধর্ম কি আদৌ নবী যীশু কর্তৃক প্রবর্তিত? না তারা নিজেরা নিজেদের সুবিধামত বানিয়ে বানিয়ে বিকৃত করে এই ধর্ম তৈরী করে নিয়েছেন ও প্রচার করছেন? নবী যীশু বলেছিলেন, ধর্মকে অবলম্বন করে শেষ বিচারের দিন পরিত্রাণ পেতে হবে অথবা তিনি বলেছিলেন ধর্ম একজন মানুষকে দোজখ থেকে রক্ষা করবে এবং বেহেশতে প্রবেশ করাবে। সে ধর্ম কোনটি? যে ধর্ম তারা বর্তমানে অনুসরণ করছে সেটি কি না? তাছাড়া সে ধর্মের মাধ্যমে পরকালে আদৌ উপরোক্ত নাজাত পাওয়া যাবে কিনা তা কি তারা কখনও গভীরভাবে ভেবে দেখেছে? আল্লাহ বলেন, “এ দ্বীন (ইসলাম) তোমাদের পিতা ইব্রাহীমের দ্বীন, তিনিই তোমাদের নাম রেখেছেন মুসলমান।” (সূরা হাজ্জ: ৯০)। প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহর নিকট হযরত ইব্রাহীম আ. এর আবেদনের প্রেক্ষিতে তিনি তাঁর বংশধরের নাম মুসলিম জাতি দিয়েছেন। সে হিসেবে বর্তমানে যারা খ্রীষ্টান জাতি দাবিদার তারা আসলে মুসলিম জাতির অন্তর্ভূক্ত, যদি তারা কল্যাণের পথে ফিরে আসে। কারণ মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান ও সে মোতাবেক আমল থাকলেই মুসলিম জাতি দাবি করা যায়।
খ্রীষ্টানেরা যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো সত্য বলে মেনে নেয় ও মনে প্রাণে বিশ্বাস করে তাহলে তাদের দাবি অনুসারে সে সব বিষয়ে সাক্ষী সমেত প্রমাণও পেশ করতে হবে। অথচ এটি সত্য ও বাস্তব বিষয় হলো যে তাদের নিকট কোন সাক্ষ্য প্রমাণ নেই। তারা তাদের পূর্বসুরীদের কথাগুলো তোতা পাখীর মত আওড়াচ্ছে শুধু, আর চোখ কান বন্ধ করে তথাকথিত ধর্মতত্ত্বগুলো অনুসরণ করছে যুক্তি ও বৈজ্ঞানিক সত্যের বিপরীতে ও বাস্তবতাকে অস্বীকার করার মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, “হে নবী আপনি তাদেরকে জিজ্ঞেস করুন তাদের পূর্ব পুরুষেরা যদি কোন ভুল পথে পরিচালিত হয়ে থাকত তাহলেও কি তারা সে পথে পরিচালিত হবে?” কী শক্তিশালী যুক্তি চিন্তা করে দেখুন। মনে রাখতে হবে সর্ব শক্তিমান আল্লাহর সকল নবীরা এক আল্লাহর দিকেই মানব জাতিকে আহবান করেছেন এবং শিরক তথা অংশীবাদিতা ও বহু দেববাদ থেকে মানব জাতিকে সতর্ক করেছেন অথচ বর্তমান খ্রীষ্টান জাতি ট্রিনিটি বা তিন খোদায় বিশ্বাস করে। এই ভ্রান্ত মতবাদ ও বিশ্বাস নবী যীশুর উর্ধলোকে গমনের পর তারা নিজেরাই প্রবর্তন করেছে বলে চিন্তাশীল ব্যক্তিরা অভিযোগ করছেন ? তাহলে সে সব মানব সৃষ্ট মতবাদের মাধ্যমে পরকালে কীভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব? তারা কি তা আদৌ ভেবে দেখেছে কখনও?
খ্রীষ্টানেরা নবী যীশুকে খোদার পুত্র হিসাবেও বিশ্বাস করে এবং তাঁর ক্রুশ বিদ্ধ হওয়াকে নিজেদের পাপের প্রায়শ্চিত্ত মনে করে। এ বিশ্বাসের কারণেই তারা রোববার গীর্জায় যায় সেখানে পুরোহিতরা তাদের পাপ মোচন করেন। এই মিথ্যা বিশ্বাসকে তারা নিজেদের মাঝে প্রচার করে যা বিচার বুদ্ধি ও যুক্তির বিরুদ্ধে। কেন না কোন সৃষ্টিরই পাপী পূজারীদের পাপ মোচন করার কোন এখতিয়ার নেই। ইহা কত নির্বোধ ধারণা? এটি স্রষ্টার কাছেও অবাধ্যতা হিসাবে গণ্য হবে যখন এক পুজারী অন্য পূজারীর পাপ মোচন করছে। ধর্ম যেন খৃষ্টানদের কাছে খেল তামাশার পাত্রে পরিণত হয়েছে। আসমানী সকল ধর্মই ইসলাম ও তার মূল বাণী হলো-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। অর্থাৎ কেবল মাত্র এক আল্লাহর প্রতি আনুগত্য। যাকে বলা হয় তাওহীদ বা একত্ববাদ। তাই এখানে মূর্তি পূজার কোন সুযোগ নেই। অথচ খ্রিষ্টানরা যীশুর মূর্তি বানিয়ে তাকে চার্চে রেখে গড বলে পূজা অর্চনায় রত হয়।
আমাদের নবী স. বলেছেন, “আমি দুনিয়াতে এসেছি মুর্তি বিনাশ করতে।” যীশুসহ সকল নবীই একই কথা বলেছেন। তারপরও যারা মূর্তি পূজা ত্যাগ করবে না, তাদের জন্য রয়েছে চিরস্থায়ী জাহান্নাম। যার জ্বালানী হবে, মানুষ ও পাথর। তার কারণ হলো, মুশরিক মানুষেরাই মূর্তিপুজা করে আর মাটি ও পাথর দিয়েই মূর্তি তৈরী হয়। অর্থাৎ, মূর্তিপুজারী ও মূর্তি উভয় দলই গুরুতর শাস্তি পাবে। আল্লাহর স্পষ্ট ঘোষণা, তিনি শিরিকের (আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা) পাপ ক্ষমা করেন না। অথচ আধুনিক মনস্ক শিক্ষিত খৃষ্টানদের একঠি বড় অংশ এ সব যাচাই বাচাইহীন বিষয় মেনে চলছে। তবে হ্যাঁ তাদের মধ্যে সম্প্রতি পরিবর্তনের হাওয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষিত-আধুনিক খৃষ্ট নারীরা এত অপপ্রচারের পরও খৃষ্ট ধর্ম ত্যাগ করে দলে দলে ও বিনা প্ররোচনায় ইসলাম ধর্মে দাখিল হচ্ছে। এটাও একটা আর্শ্চযজনক ঘটনা। কেননা তাদের সকল অপপ্রচারের মূল টার্গেট হলো ইসলাম। অথচ বাস্তবতা হলো অপপ্রচার যত বাড়ছে মানুষ ইসলামে আকৃষ্ট হচ্ছে তত বেশী। আল্লাহ বলেন, “তারা চায় আমার আলোকে এক ফুঁৎকারে নিভিয়ে দিতে অথচ আমি আমার আলোকে আরও উজ্জ¦লতা দান করেই ছাড়ব”। বাস্তবেও কি আল্লাহর কথা সত্য প্রমাণিত হচ্ছে না? নয় এগারোর পর খোদ আমেরিকাতেই লক্ষাধিক মানুষ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। শত অপপ্রচারের পরও মানুষ এদিকে ঝুঁকছে।
সাম্প্রতিক সময়ে খৃষ্টান পাদ্রীদের প্রাপ্ত-অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়েদের সাথে বলাৎকারের অসংখ্য ঘটনা ফাঁস হয়ে যায় ও সমগ্র ইউরোপ জুড়ে এ জন্য তুলকালাম কান্ড ঘটে যায়। তাদের প্রধান ধর্মগুরু ষোড়শ বেনেডিক্ট নির্যাতিতদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পার পেতে চাইছেন। এ সমস্ত নষ্ট ভ্রষ্ট পাদ্রীরাই পাপ মোচন করছে পাপীদের! কী অবৈজ্ঞানিক, নির্লজ্জ ও ভয়ঙ্কর ব্যাপার তা ভাবতেও গা শিউরে উঠে। নিজেদের আগাগোড়া ঠিক নাই পাপিষ্ট মানুষ আর পাপ মোচন করে অন্যদের। কী আজে বাজে চিন্তা ও বিচিত্র অভিরুচি এদের। শুনতেও অবাক লাগে। অথচ এরা নিজেদের শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে আর সারা দুনিয়াকে দাবড়িয়ে চলে। লাজ লজ্জা বলে একটি কথা আছে। সেটিও তাদের অছে বলে মনে হয় না। অথচ ইউরোপের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো এ রকম একটা ধর্মকে অনুসরণ করে অহংকারে মদমত্ত হচ্ছে ও বাহাদুরি করছে। ইউরোপীয়ানরা মুসলমান মেয়েদের আল্লাহ প্রদত্ত বিধান মত বোরকা পরার অধিকার মানতে রাজী নয়। অথচ তাদের নবীর বিধানও এটা। জার্মানীতে বোরকা পড়ার অপরাধে প্রকাশ্য দিবালোকে কোর্ট প্রাঙ্গণে এক মিসরীয় মুসলিম নারীকে এক উগ্রপন্থী জার্মান নাগরিক কর্তক নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনা আমরা জানি। এ জন্য কী প্রতিকার করেছে তারা আমরা জানতে চাই। এটি কি আল্লাহর বিধানের বিপরীতে চরম অবাধ্যতা নয়? এর দায় থেকে কি খৃষ্টান জাতি কখনও রক্ষা পেতে পারে? একদিন না একদিন কি তার বিচার হবে না?
আমাদের জানতে ইচ্ছা করে তারা কি আদৌ পরকালে বিশ্বাস করে? যদি বিশ্বাস করে থাকে তাহলে তার কি কোন নমুনা অথবা প্রস্তুতি তাদের রয়েছে? অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তাদের ধর্মের অনুশাসনের বিরুদ্ধেই তারা চলছে বেপরোয়াভাবে। বলতে গেলে মুসলমানেরাই উল্টো তাদের নবী ও ধর্মের অনেক বিধি-বিধান মেনে চলছে। যেমন: মদ, জুয়া, জেনা-ব্যভিচার, বেশ্যাবৃত্তি, সমকামীতা ও মেয়েদের উলঙ্গপনা তো তাদের ধর্মেও নিষিদ্ধ। অথচ খ্রীষ্টানরা নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশায় বিশ্বাস করে ও তারাই এই পৃথিবীতে অশ্লীলতা ছড়িয়েছে বেশি। সে হিসাবে বর্তমান বিশ্বে তারাই সবচেয়ে পাপিষ্ট । তাদের দেশে বিবাহের বৈধ পন্থা প্রায় বিলুপ্তির পথে। অপর পক্ষে নারী পুরুষ অবাধ ও অবৈধ যৌন ভোগ-বিলাসে লিপ্ত রয়েছে অবলীলাক্রমে। এ সব লজ্জাকর কর্মকান্ড অহরহ ঘটছে বাধাবন্ধহীনভাবে সর্বত্র, এর ফলে অগণিত অবৈধ সন্তান জন্ম নিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এভাবে জারজ সন্তানে ভরে গেছে সে সব দেশ। এমনকি পিতৃ-মাতৃ পরিচয়হীন হাজার হাজার সন্তান বেড়ে উঠছে আগাছা পরগাছার মত সেখানে।
বিবাহিত কিংবা অবিবাহিত নারী পুরুষের অবৈধ যৌন মিলনকে তাদের দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। অধিকন্তু কোন কোন ইউরোপীয় দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র আরও আগবাড়িয়ে সমকামীতাকে রাষ্ট্রীয় বৈধতা দিতে পিছপা হয় নি। এটি অত্যন্ত গর্হিত কাজ যা বিষ্মিত হওয়ার মতই। দূর্ভাগ্যের বিষয় যে, রাষ্ট্র কর্তৃক পাশ করা এ সব আইনের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করার ক্ষমতা নেই পুরোহিতদের। নবী যীশু কি নারী পুরুষের অবৈধ মিলনকে এভাবে ছড়িয়ে দিতে অথবা এটিকে সরকারিভাবে অনুমোদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন? এরকম অশ্লীলতা ছড়ানো কি তাদের নবীর আদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নেয়া নয়? তাহলে তারা সৎ পথে আছে বলে কীভাবে দাবি করতে পারে? উল্লেখ্য, আমেরিকার খ্রিষ্টান নাগরিকরা অপরাধ প্রবণতার দিক দিয়ে পৃথিবীতে এক নম্বর, তাদের এক-চতুর্থাংশ মদ্যপ মাতাল। ৯৫% কুমারী বিয়ের আগেই সতীত্ব ত্যাগ করে হয়ে ওঠে জারজ সন্তানের প্রজননক্ষেত্র। অথচ তাদের দেশে এ সব কিছুকে জায়েজ করা হয়েছে। আর তারা দাবি করে তারা নাকি খাটি খ্রীষ্টান! এটা কি মিথ্যাচার নয়? এরকম অসত্য বিষয়কে সত্য বলে চালিয়ে দেয়ার প্রবণতাকে আমরা মুসলমানেরা নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়দের শুরু করা এ সব অবৈধ-অনৈতিক কাজ আধুনিকতার নামে অনুসরণ করা শুরু করে দিয়েছে এশিয়া, আফ্রিকার দেশসহ সারা পৃথিবী। সমগ্র পৃথিবীতে পাপপূর্র্ণ জীবন সম্প্রসারণের জন্যও তারা দায়ি। নিজেদের নবী যীশুর প্রবর্তিত ধর্মের সাথে বর্তমান খ্রীষ্টানদের কোন সম্পর্ক আছে কি? নবী যীশু মানুষকে এক এবং সর্ব শক্তিমান আল্লাহর দিকে আহবান জানিয়েছিলেন। তিনি মেয়েদের সতীত্ব এবং কুমারীত্ব রক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি আরও ঘোষণা করেন, “তোমরা কখনও স্বামী-স্ত্রী ব্যতিরেকে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ো না। আমি তোমাদের বলতে চাই যে, কোন ব্যাক্তি যদি পর নারীর প্রতি দৃষ্টি দিয়ে থাকে তাতে ঐ লোকের মহিলাটির প্রতি ভাবাবেগের সৃষ্টি হয়। আর এখন থেকেই যদি তোমার সোজা চোখ দুটি তোমাকে হোঁচট খাইয়ে দেয় তবে তাকে ছিন্ন কর এবং তোমার থেকে তাকে বের করে দাও।” (বাইবেল- মাথিউ ৫: ২৭-২৯)
নবী যীশু আ. আরও নির্দেশ দিয়েছিলেন সেই নবীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে যিনি তাঁর পরে আবির্ভূত হবেন। সেই মহাত্মার আগমন ঘটে গেছে পনর শত বছর পূর্বে, তিনি নবী যিশুর পরে এসেছিলেন তিনি বিশ্বমানবতার মহানবী হযরত মুহাম্মদ ছ. ব্যতিরেকে আর কেউ নন। দূর্ভাগ্যের বিষয় খ্রীষ্টানেরা সেই সত্য নবীকে বিশ্বাস করেতে রাজী নন। ইহা নবী যীশুর আদর্শকে প্রকাশ্যে অস্বীকার অবমাননা করার নামান্তর নয় কি? খ্রীষ্টানেরা তাদের মিশনারী কার্যকলাপ পৃথিবীব্যাপি জালের ন্যায় বিস্তৃত করেছে ও ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের মনগড়া ধর্মের প্রচার প্রচারণা এমন কি নির্লজ্জের মত মুসলমানদের প্রতিও আহ্বান করছে তাদের ধর্মে দিক্ষীত হওয়ার জন্য। অথচ নবী যীশু ঘোষণা প্রদান করেছিলেন এই বলে যে,“ আমাকে সর্বাগ্রে প্রেরণ করা হয় নি, তবে শুধুই ইসরাইল ভূমির হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য আমি প্রেরিত হয়েছি।” (বাইবেল- মাথিউ ১৫:২৪)।
বর্তমান বাইবেল অনেক পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের পরও ইহা নবী মুহাম্মদ ছ. সম্পর্কে অগ্রজ ধারণা প্রকাশ করেছে। ১৪ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “যখন তোমাদের সাথে থাকছি, আমি এ সকল বিষয় বলছি। কিন্তু সাহায্যকারী, পবিত্র আত্মা যাকে পিতা পরাক্রমশালী প্রেরণ করবেন আমার নামে, সেই সত্তা তোমাদেরকে সবকিছু শিক্ষা দেবেন এবং আমি যে সকল কথা বলেছিলাম সেগুলো সে সত্তা তোমাদের স্মরণ করিয়ে দেবেন।” অতঃপর ১৬ অধ্যায়ে লেখা হলো, “তথাপি আমি তোমাদেরকে সত্যি বলছি তোমাদের উপকারের জন্য। আমি চলে যাচ্ছি, কেননা আমি যদি চলে না যাই তবে সেই সাহায্যকারী সত্তা কিছুতেই তোমাদের নিকট আসবেন না। কিন্তু আমি যদি আমার পথে চলে যাই, নিশ্চয়ই আমি তাকে তোমাদের কাছে পাঠাব।” (জন ১৬:৭)।
কয়েক লাইন পরেই বলা হলো, “যা হোক সে সত্তা যদি আসেন, তিনি হবেন সত্যের প্রতিভূ, তিনি তোমাদের সকলকে সত্য পথে পরিচালিত করবেন। যেহেতু তিনি আবেগ তাড়িত হয়ে কোন কথা বলবেন না। কিন্তু তিনি যেসব বিষয় উর্ধ্বলোক থেকে অবহিত হবেন সে সকলই কেবল বলবেন এবং তিনি ভবিষ্যতের বিষয়গুলো ঘোষণা দেবেন।” (জন ১৬:১৩)।
নবী যিশু কি এ সকল বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ নবী মুহাম্মদ ছ.কে অনুসরণের কথা বলেন নি? খ্রীষ্টান সম্প্রদায় এখন কী বলবেন? তারা কি সত্য বলবে, না কি টাল বাহানা করতে থাকবে সেটি তাদের ব্যাপার। তবে তাদের সত্য মানার সাহস থাকা উচিৎ তাদের নিজেদের স্বার্থেই তথা সততার স্বার্থেই, পরকালীন মুক্তির স্বার্থেই এক কথায় দোজকের ভয়াবহ আগুন থেকে বাঁচার স্বার্থেই। তাদের উচিৎ মুসলমানদের সাথে একত্রে বসা পরস্পর কথা বলা ও সত্য উৎঘাটন করা। নতুবা এর পরিণতির জন্য তারাই দায়ি থাকবে।
পরবর্তী অসংখ্য পংক্তিতে যীশু সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যেখানে তাকে উর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়েছে। যেমন: পবিত্র বাইবেলে উল্লেখ আছে, “কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমরা আমাকে দেখতে পাবে না এবং আবার কিছুক্ষণের মধ্যে তোমরা আমাকে দেখতে পাবে এবং কেননা আমি পিতা পরাক্রমশালীর নিকট চলে যাচ্ছি।” (জন ১৬:১৭)। এ বিষয়টি পবিত্র কুরআনেও বর্ণিত হয়েছে, “তারা তাকে হত্যা করেছিল বললেও তা নিশ্চিত নয়। অথচ আল্লাহ তাকে তাঁর নিকট উঠিয়ে নিলেন।” (সূরা আন নিসা: ১৫৭-১৫৮)। আসল কথা হলো কুরআনের সাথে বাইবেলের কোন বক্তব্যে গরমিল পরিলক্ষিত হলে মনে করতে হবে বাইবেলে বিকৃতি ঘটেছে। কেন না কুরআন অবিকৃত, কুরআনে পরিবর্তন পরিবর্ধনের সাধ্য কারো নেই। অতঃপর সামনে এক ডজন পংক্তি আছে নবী যীশুর এ বিশ্বে পূণর্বার ফিরে আসা সম্পর্কে। “এ সকল বিষয় আমি তোমাদের বলেছি যে, আমার দ্বারা তোমরা শান্তি পেতে পার। এই দুনিয়াতে তোমরা হয়তো দারিদ্রক্লিষ্ট হচ্ছো কিন্তু সাহসী হও। আমি বিশ্বকে জয় করেছি।”(জন ১৬:৩৩)। কুরআন শরীফেও একই বিষয়ে কথা বলা হয়েছে।
ঈসা আ. এর উর্ধ্বাকাশে উত্তোলন ও দুনিয়াতে ফের আগমন সম্পর্কেও আমাদের নবী মুহাম্মদ ছ. একই কথা বলেছিলেন। এমনকি যীশুর প্রাকৃতিক মৃত্যু সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। বর্তমান বাইবেল কুরআনের সে বক্তব্যই প্রমাণিত করছে। সুতরাং খ্রীষ্টানদের উচিত নবী ঈসা আ. কে সঠিকভাবে মান্য করা মুহাম্মদ ছ.কে বিশ্বাসের মাধ্যমে। তাদের মনগড়া ধর্মে লেগে থাকা কিংবা তাদের ধর্মের প্রতি মুসলমানদের আহবান করা কোনটিই খ্রীষ্টানদের উচিত নয়। নবী ঈসা আ. পূর্বোল্লিখিত ভাবে বলেছিলেন, “তিনি শুধুমাত্র ইসরাইল জাতির ত্রাণকর্তা হিসাবে প্রেরিত হয়েছিলেন।” অতএব সারা বিশ্বে মিশনারী কার্যকলাপ ছড়িয়ে দেয়া খ্রীষ্টানদের উচিত নয়। আর যদি করে তা হবে আল্লাহ ও তাদের নবীকে অমান্য করা। আরও যুক্তিসংগতভাবে বললে বলতে হয়, তাদের অযৌক্তিক ও সত্যবর্জিত ধর্ম বিশ্বাসের মাধ্যমে তাদের পরকালীন জীবন নষ্ট করা উচিত হবে না।
আমাদের এই আবেদন এ জন্যই যে আহলে কিতাবের অনুসারী হিসাবে আমরা তাদেরকে ভালোবাসি ও তাদের কল্যাণ কামনা করি। আমরা এই নিবন্ধটি উপস্থাপন করছি খ্রীষ্টান ভাইদের উপকারার্থে, তাদেরকে অকল্যাণকর বিষয় থেকে রক্ষার জন্যে তথা পরকালীন জীবনে মুক্তি লাভের উদ্দেশ্যে। সুতরাং তাদের উচিত হবে না তাদের পন্ডিতদের মনগড়া তথা নিজস্ব তৈরি করা ধর্মে অনবরত লেগে থাকা অথবা এ ধর্ম দুনিয়াব্যাপী প্রচার করা। অতএব, আখেরি নবী হযরত মুহাম্মদ ছ.এর ওপর প্রবর্তিত ধর্ম ইসলামই একমাত্র গ্রহণযোগ্য জীবন বিধান।
পরকালের মুক্তির জন্য হযরত মুহাম্মদ ছ. ছাড়া উপায় নেই কেন না তাঁর সম্পর্কে হযরত ঈসার আ.এর সাক্ষী এখানে প্রণিধানযোগ্য। সেই মুক্তি বেহেশতে প্রবেশ নিশ্চিত করবে এবং দোযখ থেকে বাঁচা সম্ভব হবে। খ্রীষ্টানদের মধ্যে যারা চার্চে গিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং লোকদের পাপ ক্ষমা করার কথা বলেন, তারাই তাদের এই মনগড়া ধর্মের জন্য সর্বতোভাবে দায়ি। তারা খ্রীষ্টান সম্প্রদায়কে ইসলামের শাশ্বত আহবান থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে প্রভাবিত করছে তাদের বিশ্বময় সুবিধার জন্য। তার সাথে সাথে শাসকগোষ্ঠী, ধনিক-বণিক শ্রেণিসহ মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টও এ সব কাজে জড়িত। তারা সকলে খ্রীষ্ট ধর্মকে প্রপাগান্ডার মাধ্যমে প্রচার করছে, যদিও তারা জানে তাদের ধর্ম নিজেদের সৃষ্ট, অসত্য বিষয়ের উপর প্রতিষ্ঠিত ও যা নবী ঈসা আ. কর্তৃক অনুমোদিত নয়।
পরিশেষে আমরা বলবো ওহে খ্রীষ্টান ভাই-বোনেরা নিজেদের আত্মার উপর সদয় হও। নিজেদের প্রজ্ঞা চর্চা কর। ধ্বংসের পথে চলো না এবং অনন্তকাল শাস্তির বিধান তোমাদের মাথার উপর ঝুলছে। আমরা আন্তরিকভাবে সকল মানবগোষ্ঠীকে তাদের জীবন ও পরকাল সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করার জন্য উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। ধর্ম ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক খেলোয়াড়দের খপ্পরে পড়ে কেয়ামতের দিনের শাস্তির মুখোমুখি হয়ো না। মনে রেখো ধর্মের দরকার দুনিয়াতে যেমন তার চেয়েও বেশী মৃত্যুর পর শাস্তির হাত থেকে রেহাই পেতে। যেহেতু দুনিয়ার জীবন নিঃশেষ হয়ে যাবে। প্রত্যেকের উচিত, যে ধর্ম তারা অনুসরণ করছে তা সৃষ্টিকর্তার কাছে গ্রহণযোগ্য কিংবা প্রমাণিত সত্য কিনা যাচাই করা। এটি কোন প্রাধান্য বিস্তারের অথবা দুনিয়াতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের বিষয় নয়। বরং দুনিয়ার জীবনের পরের বিষয়ে নিবেদিত। সেখানে কেবল একঠি এবং একমাত্র সত্য ধর্ম বিশ্বাসের মাধ্যমেই পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে। মনে রাখতে হবে এক আল্লাহ ও তাঁর ধর্ম এক সুতারাং সত্য এক ও অভিন্ন। আর সেই কাংখিত সত্য ধর্ম হলো শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ ছ.এর প্রবর্তিত ধর্মই যার সুসংবাদ নবী ঈসা আ. পূর্বেই দিয়েছিলেন। সুপ্রিয় আবেগ তাড়িত সত্য বিরুদ্ধ ভাই বোনেরা দুনিয়ার বৈধ অবৈধ ধন-প্রাচুর্য ও তুলতুলে শরীরের জন্য দোযখের ইন্ধন হয়ো না। সবশেষে খ্রীষ্টানদের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন স্বরূপ এই লেখাটি নিবেদিত হলো যাতে তারা এ বিষয়ে সতর্কতার সাথে বেশি বেশি চিন্তা ভাবনা করে এবং নিজেদের ধর্ম ও জীবনকে পরিশুদ্ধ করে নেয়ার প্রচেষ্ঠা চালায়।
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন