ইসলামে নারীর অধিকার
লিখেছেন লিখেছেন ওসমান গনি ১১ জুলাই, ২০১৫, ০২:৩১:২৪ দুপুর
ইসলাম আল্লাহতায়ালার তরফ থেকে মানব জাতির জন্য একমাত্র পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা যা সুষম জীবন বিধান হিসাবে স্বীকৃত সত্য। কিসে মানুষের কল্যাণ আর কিসে অকল্যাণ তা সৃষ্টিকর্তাই সবচেয়ে বেশি ভালো জানেন। এটাই বাস্তবতা। সে কারণেই তিনি এই দুনিয়ায় মানুষ সৃষ্টির পর তাদেরকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ছেড়েও দেননি বরং তাদের চলার পথকে হেদায়াতের পথে পরিচালিত করে সহজ, সরল ও শান্তিময় করার নিমিত্তে যুগে যুগে নবী রাসুলদের (আ.)প্রেরণ করেছেন। আমরা জানি হযরত আদম (আ.) থেকে নবুয়তের যে শুভ সূচনা হয়েছিল তা সর্বশেষ নবী ও রাসুল, মানবতার মুক্তি দূত হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (স.) এর মাধ্যমে পূর্ণতা লাভ করে আর মানব জাতির পথ নির্দেশক হিসাবে আল্লাহতাআলার তরফ থেকে তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন আর তাঁর মাধ্যমে আল কুরআনকে তাঁর ২৩ বছরের নবুয়তী জিন্দেগীতে পথ প্রদর্শক হিসাবে ধাপে ধাপে অবতীর্ন করেছিলেন। নবুয়ত প্রাপ্তির সাথে সাথে তিনি আরব দেশে নারীদের অবমাননাকর জীবন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন আর নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হলেন। জনৈক সাহাবী আল্লাহর নবীকে (স.) জিজ্ঞাসা করলেন কার খেদমত করব ? নবীজি বললেন মায়ের, অতপর সাহাবী আবার জিজ্ঞাসা করলেন এরপর কার এবারও নবীজি বললেন তোমার মায়ের, তৃতীয় বারও একই পশ্নের উত্তরে তিনি একই উত্তর দিলেন চতুর্থবার শুধু বললেন তোমার বাবার খেদমত করো। এভাবে আল্লাহর নবী (স.)মাতৃত্বকে তিন গুণ বেশী সম্মানিত করলেন।
প্রকৃত অর্থে ইসলামই নারীর মর্যাদাকে উচ্চকিত করেছে ও তাদেরকে মহিমান্বিত করেছে। উপরন্তু নারীদেরকে বর্বর মানুষের অত্যাচার, নিপীড়ণ ও অবিচারের হাত থেকে রক্ষা করার নিমিত্তে বহুবিধ পদক্ষেপের কথা বলেছে, এটি এখন দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে গেছে। বন্তুতপক্ষে আরবের জাহেলী যুগে নবী করিম (স.) এর আগমনের পূর্বে নারীদের কোন অধিকারই ছিলনা বরং তারা ভেগ্যপণ্যের মত ব্যবহৃত হতো। তারা তখন দাস-দাসীর চেয়েও খারাপভাবে অত্যাচারিত হতো। তাদের কোন দাবী, কোন অধিকার তখন স্বীকৃত ছিলোনা। আশ্চর্যের বিষয় হলো বিয়ের কোন পক্ষ হিসাবে নারীদের স্বীকার করা হতোনা। তারা শুধু সন্তান জন্মদান ও পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবহৃত হতো। তাদের কোন স্বাধীনতা ছিলনা। কোন সম্পত্তির মালিক হওয়ার অধিকার ছিলনা। যুদ্ধকালীন সময়ে মেয়েরা উপহার সামগ্রীর মত লেনদেন হতো। সে সময় কোন মেয়ে সন্তানের জন্ম কোন পরিবারের জন্য অসম্মানের বিষয় ছিলো। এমনকি অধিকাংশ ক্ষেত্রে কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দেয়া হতো তা ভাবতেও গা শিউরে উঠে।
ধীরে ধীরে নবী করিম (স.) মানবজাতিকে আল্লাহ ও রাসুলের পথে ডাকলেন। সকল পঙ্কিলতা, অনাচার বিশেষতঃ নারীদের উপর অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন। খোদ আল্লাহতায়ালা নারীদের উপর নির্যাতনের বিরূদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারণ করলেন। সুরা নাহলের ৫৮-৫৯ নং আয়াতে আল্লাহ কন্যা সন্তান জন্মদানে আরবদের মনোকষ্ট ও তাদেরকে মাটিতে পুঁতে ফেলার কর্মকে অতি নিকৃষ্ট হিসাবে বর্ননা করেছেন। সুরা তাকবীরের ৮-৯ আয়াত থেকে বুঝা যায় ঐ সমস্ত পাপীদের কিয়ামতের দিন আল্লাহতায়ালা জিজ্ঞাসা করবেন কোন অপরাধে মাসুম বাচ্চাদের তোমরা জীবন্ত কবর দিয়েছিলে ? আশ্চর্যের বিষয় হলো আরব দেশের বাইরেও মহিলাদের অবস্থা কোনক্রমেই সুখকর ছিলোনা। ইউরোপীয় দেশ, ইংল্যান্ড, ইন্ডিয়া, মিশরেও তখন মেয়েদেরকে দাসীর চেয়েও অধিকতর খারাপ চোখে দেখা হতো ও খারাপভাবে ব্যবহার করা হতো।এমন কি মেয়েদেরকে মানবজাতির অন্তর্ভূক্ত বলে মনে করা হতোনা। উপরন্তু পশু ও মানুষের মধ্যবর্তী কিছু মনে করা হতো। এ রকম একটি ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ইসলাম ১৫ শত বছর পূর্বে নারীর মর্যাদাকে সমুন্নত করেছে ও পুরুষের মত নরীদের সকল মানবিক ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে ।
পাক কুরআনের সুরা আন নিসার ১৯-২০ নং আয়াতসহ সমগ্র সুরাতে নারীদের অধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আসল কথা হলো নারীদের অধিকাংশই তাদের অধিকার বিষয়ে সচেতন নয়। তারা তাদের স্রষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা তথা অধিকার বিষয়েও ওয়াকিবহাল নয়। যার ফলে তারা সর্বত্র ঠকছে ও নির্যাতিত হচ্ছে। অথচ ইসলাম একজন নারীকে পুরষের মতই সম মর্যাদাসম্পন্ন বলে মনে করে। বরং ক্ষেত্র বিশেষে নারীদের অধিকার বেশীই স্বীকৃত হয়েছে। বস্তুত একজন নারীকে একজন পুরুষের সম আত্মা দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ বলেন “হে মানুষ তোমরা তোমাদের মালিককে ভয় কর যিনি তোমাদের একটি মাত্র সত্তা থেকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তিনি তার থেকে জোরা পয়দা করেছেন। অতঃপর তার থেকে বহু সংখ্যক নর নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো যার পবিত্র নামে তোমরা একে অপরের কাছে অধিকার ও পাওনা দাবী করো এবং সম্মান করো গর্ভধারিনী মাকে অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষè দৃষ্টি রাখেন”। সুরা নিসা আয়াত-১। আমাদের প্রিয় নবী (স.) বলেন বাস্তবিকই নারীরা পুরুষের অর্ধাঙ্গিনী (আবু দাউদ)। ইসলামী আইনে একজন নারী স্বাধীন এবং নিজের অধিকারের ক্ষেত্রে একচ্ছত্র অধিকারভোগী। তার নিজের উপর যেমন অধিকার, আল্লাহর প্রতিও সে দায়িত্বশীল এবং সমগ্র মানবজাতির প্রতিও, যেমনটি একজন পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এমনকি শেষ বিচার দিনে পুরুষের মতই সম শাস্তি অথবা পুরষ্কার পাওয়ার অধিকার ভোগ করবে নারীরা।
ধর্ম গ্রহণ ও পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও নারীদের অধিকার স্বীকৃত। আল্লাহ বলেন “ ধর্ম তথা জীবন ব্যবস্থা গ্রহনের ক্ষেত্রে কোন জোর জবরদস্তি বা বাধ্য বাধকতা নেই। সত্যিই শুদ্ধ পথ অশুদ্ধ পথকে আলাদা করেছে। তোমাদের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি বাতিল মতাদর্শকে অস্বীকার করে আল্লাহর দেয়া বিধানের উপর ঈমান আনে,এর মাধ্যমে সে যেন একটি শক্তিশালী রশি ধরলো যা কোনদিনই ছিঁড়ার মত নয়”। সুরা বাকারা আয়াত- ২৫৬। মুসলিম নারী শিক্ষা অর্জনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেনা উপরন্তু আল্লাহর রাসুল (স.) বলেন জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর জন্য ফরজ বা বাধ্যতামূলক”। নারীরা মসজিদে যাওয়ারও অধিকার রাখে। আল্লাহর রাসুল(স.) বলেন“কোন নারী মসজিদে যাওয়ার জন্য দাবী করলে তাকে তার থেকে বঞ্চিত করা যাবেনা”। প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের অনেক দেশে নারীদেরকে পুরুষদের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। নারীরা যদিও চাকরী করার সুযোগ পায় তথাপি তারা সাধারণত কম বেতনে চাকরী করতে বাধ্য হয়। ইসলাম নারীদের চাকুরীর সুযোগও দান করেছে এবং তা পুরুষের সম অধিকার সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে কোন বৈষম্য চলবেনা। এমন কি তাদেরকে আলাদা মর্যাদা ও মূল্যবোধে সম্মানিত করা হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার হলো একজন নারী তার পিতার সম্পত্তিতে যেমন ভাইয়ের অর্ধেক ভাগ পাবে তেমনি স্বামীর সম্পত্তির ২ আনা তথা ১২.৫ শতাংশ সম্পদও তার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। তাছাড়া বিয়ের সময় প্রদত্ত মোহরানার ১০০% তার নিজের অধিকারভূক্ত, উপরন্তু স্ত্রী এবং মায়ের ভরন পোষন পরিচালনা করা স্বামী ও সন্তানের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ইসলামী আইনে তাদের শাস্থির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া কোন মহিলা যদি নিজে ব্যবসা করে ও নিজের উপার্জিত সম্পত্তির কোন অংশ স্বামী বা সন্তানদের দিতে অপারগতা পোষন করে তাতেও তার অধিকার ক্ষুন্ন করা যাবেনা। স্বামী অনুমোদন তথা গ্রহনে মেয়েদের অধিকার অগ্রগন্য। যদি কোন মহিলা স্বামীর সংসার করতে নারাজ হয় অথবা সে যদি নির্যাতনের কারনে অথবা বৈষম্যের কারনে তালাক প্রার্থনা করে তাহলেও নারী সে অধিকার পাবে। নারী প্রকাশ্যে কাজ কর্মে ও প্রয়োজনে ভ্রমনের সূযোগ পাবে। সমাজ তার সে অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে সমস্যা হলো নারীদের আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (স.) প্রদত্ত এ সমস্ত অধিকার প্রাপ্তি কে নিশ্চিত করবে ? এজন্য রাষ্ট্রকেই এগিয়ে অসতে হবে সর্বাগ্রে আর রাষ্ট্র যদি আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয় তাহলে সেজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তথা দায়িত্বশীলরা কি আদৌ আল্লাহর শাস্তি থেকে নিস্তার পাবে ? তদুপরি ব্যক্তি চরিত্র সংশোধনে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে এবং এজন্য একযোগে কাজ করতে হবে।
এক নজরে ইসলামে নারীদের জন্য স্বীকৃত কিছু অধিকার নিন্মে প্রদত্ত হলোঃ
১.নারীর বিদ্যা অর্জনের অধিকার। ২. তার নিজস্ব সম্পত্তি তার মালিকানায় রাখার অধিকার। ৩. অর্থ উপার্জন ও অর্থ ভোগ করার অধিকার। ৪.কর্মে সম স্বীকৃতি ও সম অর্থ উপার্জনের অধিকার। ৫. প্রকাশ্যে মতামত প্রকাশ ও প্রদানের অধিকার। ৬.যুক্তি প্রদর্শন ও নিজস্ব বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের অধিকার। ৭.প্রার্থী হওয়া, ভোট কেন্দ্রে গমন ও ভোট প্রদানের অধিকার । ৮.স্বামীর সংসারে সকল সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির অধিকার। ৯.নিজের পছন্দমত বিয়ে করার অধিকার। ১০.স্বামীর নিকট থেকে তালাক নেয়া ও দেয়ার অধিকার। ১১.নিজের অর্থ নিজের দখলে রাখার অধিকার। ১২.স্বামী পছন্দ করার অধিকার। ১৩.নিজের অমতে প্রস্তাবিত বিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার অধিকার। ১৪.তালাকের পর পূনর্বিবাহের অধিকার। ১৫.পিতার সম্পত্তির অধিকার। ১৬.স্বামীর সম্পত্তির অধিকার। ১৭. নগদ মোহরানা পাওয়ার অধিকার। ১৮.সুন্দর ব্যবহার পাওয়ার অধিকার। ১৯.ইজ্জত-আব্রুর গ্যারান্টি পাওয়ার অধিকার। ২০. পুরুষের মত সমান ও সুন্দর পরিবেশে কাজ করার অধিকার। ২১.শরিয়তের বিধিবিধান মেনে চলার অধিকার। ২২. সকল গণতান্ত্রিক কর্মপরিকল্পনায় অংশগ্রহনের অধিকার। ২৩.জোর করে ধর্মান্তরিত না হওয়ার অধিকার। ২৪.স্বামীর প্রাক্কালে স্বামী ও স্বামীর অবর্তমানে অথবা অপারগতায় সন্তানদের নিকট থেকে ভরণ-পোষণ পাওয়ার অধিকার। ২৫.নজিরে পছন্দমত একাধকি সন্তান জন্ম দেয়ার অধিকার।
তাছাড়া--
একটা নারীর যখন জন্ম হয়, ইসলাম বেল “যার ঘরে প্রথমে কন্যা সন্তান হয় সেইঘর বরকতময়”।
নারী যখন যুবতী হয়, ইসলাম ঘোষনা দেয় যে তার মেয়েকে সঠিকভাবে লালন পালন করে ভালপাত্র দেখে বিয়ে দেয়,তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।
নারী যখন বিবাহিত, ইসলাম বলে “সেই পুরুষই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম”।
নারী যখন সংসারী, ইসলাম বলে “স্ত্রীর দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকানো সওয়াবের কাজ। এমনকি স্ত্রীকে আদর করে মুখে এক লোকমা খাবার তুলে দেয়াও”।
নারী যখন গর্ভবতী, ইসলাম বলে “গর্ভাবস্থায় যে নারী মারা যায় সে শহীদের মর্যাদা পায়”।
নারী যখন মা, ইসলাম বলে “মায়ের পদ তলে সন্তানের বেহেশত”। এবার বলুন ইসলাম আমাদের মা বোনদের কতটুকু সম্মান দিয়েছে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এ কথা স্পষ্ট হয়ে গেলো যে ইসলাম নারীদের বিষয়ে অত্যন্ত নান্দনিক এবং প্রয়োজনীয় সকল অধিকার নিশ্চিত করেছে। অথচ আমাদের সমাজে এ বিষয়ে যথেষ্ঠ অপপ্রচার রয়েছে যা সত্যের অপলাপ বৈ কি ? এ মূহুর্তে দরকার সত্য জানার ও বুঝার সর্বোপরি দরকার দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। আমাদের বিশ্বাস মানবজাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ইসলামের শ্বাশ্বত জীবন বিধান বিশ্ববাসীকে নতুনভাবে আকৃষ্ট করবে ও মুসলিম নারীদের মত অন্যান্য ধর্মাবলম্বী নারীদের অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে, এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
বিষয়: বিবিধ
১৬২৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে ধন্যবাদ। আমার প্রকাশিত নারী সংক্রান্ত পুস্তিকাটি এখনও দিতে পারলাম না..
আপনার লিখনি খুবই ভাল লাগতেছে। কিন্তু সময়ের অভাবে ভাল করে কমেন্ট করতে পারছি না..এ জন্য দু:খিত। ভাল থাকবেন..
অথচ পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ স্বয়ং পুরুষদের বলে দিয়েছেন যে সামর্থ্য থাকলে ৪ টা পর্যন্ত বিয়ে করার ------ নারীদের জন্য আল্লাহর আইনের বিপরীতে গিয়ে এই আইন করার কি খুব দরকার ছিল ?
০০ একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে গিয়ে স্বামী তার স্ত্রীকে প্রহার করতে পারে । এটাও পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ বলে দিয়েছেন ।
এর বিপরীতে মনুষ্য আইন আছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন নামে।
আল্লাহর আইনের বিপরীতে গিয়ে কি এরকম আইন বানানো জরুরী হয়ে গিয়েছিল ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন