মুমিন ভাইরা একটু ভেবে দেখুন- নাস্তিক্যবাদ কতটা উস্কানিমূলক.......
লিখেছেন লিখেছেন অপি বাইদান ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০১:১৯:২৭ দুপুর
হে নাস্তিক, মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল রক্তাক্ত বধ্যভূমি এবং তাহলো নিকৃষ্ট ঠিকানা। [সুরা নাস্তিকতা আয়াত ৭৩]
অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুসলিমদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁত পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নাস্তিকতা কায়েম করে, চাঁদা দান করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় নাস্তিকরা অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সুরা নাস্তিকতা আয়াত ৫]
যখন নির্দেশ দান করেন নাস্তিকদিগকে তোমাদের নেতা যে, আমি সাথে রয়েছি তোমাদের, সুতরাং তোমরা নাস্তিকদের চিত্তসমূহকে ধীরস্খির করে রাখ। আমি মুসলমানদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই তাদের গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। [সুরা আল হত্যা আয়াত ১২]
আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং নাস্তিকতার সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে নাস্তিক নেতা তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন। [সুরা আল হত্যা আয়াত ৩৯]
সুতরাং যদি কখনো তুমি মুসলমানদের যুদ্ধে পেয়ে যাও, তবে তাদের এমন শাস্তি দাও, যেন তাদের উত্তরসূরিরা তাই দেখে পালিয়ে যায়; তাদেরও যেন শিক্ষা হয়। [সুরা আল হত্যা আয়াত ৫৭]
কেউ স্বেচ্ছায় নাস্তিকতা ত্যাগ করলে তার শাস্তি সম্পর্কিত হাদিসঃ
সুষুপ্ত পাঠক থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওমর ফারুক লুক্সের এর নিকট কয়েকজন নাস্তিকতা ত্যাগকারীকে ধরে আনা হল। তিনি তাদের পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিলেন। এ-খবর দাঁড়িপাল্লা ধমাধম এর নিকট পৌছলে তিনি বললেন, আমি হলে পুড়িয়ে হত্যা করার আদেশ দিতাম না। কেননা হুমায়ুন আজাদ বলেছেন, ‘তোমরা মুসলমানদের দেবতার শাস্তি দানের বস্তু (আগুন) দ্বারা শাস্তি দিও না।’ আমি বরং এদেরকে হত্যা করতাম। কেননা হুমায়ুন আজাদ বলেছেন, ‘যে নিজের নাস্তিকতা পরিবর্তন করবে, তাকে হত্যা করে ফেলবে।’ (সহীহ হুমায়ুন আজাদ, হাদীস ৬৯২২, জামে তিরমিযী, হাদীস ১৪৫৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৩৫১, মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৮৭১)
অভিজিৎ রায় থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আরজ আলী মাতুব্বর ইরশাদ করেছেন, যে নাস্তিক সাক্ষ্য দেয়, আল্লাহ বিল্লাহ বলে মাবুদ নেই আর আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী নই, তিন কারণের কোনো একটি ব্যতীত তার রক্ত প্রবাহিত করা হালাল নয় : অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, বিবাহিত ব্যক্তি জেনা করা, নাস্তিকতা ত্যাগ করে উম্মত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া। (সহীহ আরজ আলী মাতুব্বর, হাদীস ৬৮৭৮, জামে তিরমিযী, হাদীস ১৪০২, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হাদীস ১৮৭০৪, বায়হাকী ৮:১৯৪ ইত্যাদি)
উপরের আয়াতগুলো কোরআন থেকে নেয়া, সেখানে অমুসলিম, পৌত্তলিক এবং ইসলাম ত্যাগকারীদের সম্পর্কে কথাগুলো বলা হয়েছে। এবং নিচের হাদিস গুলো হাদিস গ্রন্থ থেকে নেয়া। শুধু অমুসলিমদের জায়গাতে মুসলিম, এবং মুসলিমদের জায়গায় নাস্তিক লেখা হয়েছে। এখন বলুন তো, বক্তব্যগুলো আপনার কাছে যথেষ্ট উস্কানিমূলক এবং ঘৃণা সৃষ্টিকারী বলে কী মনে হচ্ছে? নাস্তিকরা এরকম একটা ধর্মগ্রন্থ লিখলে, সেটা কতটা আপত্তিকর হবে?
তাহলে, উস্কানিমূলক গ্রন্থ হিসেবে কোন গ্রন্থগুলোকে নিষিদ্ধ করা উচিত?
বিষয়: বিবিধ
১৬৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন