ভুমিকম্পের কারণ সমুহ- গায়িকা, বাদ্যযন্ত্র এবং মদপান (তিরমিজী)
লিখেছেন লিখেছেন অপি বাইদান ০৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ০১:১০:৫৫ রাত
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন- "এই উম্মতের মাঝে ভূমিধ্বস, আকৃতি পরিবর্তন, সলিল সমাধি হবে। কোন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল ইয়া রাসূলাল্লাহ! তা কখন হবে? তিনি বললেন, যখন এই উম্মতের মাঝে গায়িকা, বাদ্যযন্ত্র এবং মদপান দেখা দিবে।" [তিরমিযী]
আল্লাহ সতর্ক করছেন- "এখনও কি এই জনপদের অধিবাসীরা এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত যে, আমার আযাব তাদের উপর রাতের বেলায় এসে পড়বে অথচ তখন তারা থাকবে ঘুমে অচেতন।" (সূরা আল-আরাফঃ ৯৭)
এবার সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া কিছু ভয়াভহ ভুমিকম্পে জান মালের ক্ষয় খতির পরিসংখ্যান দেখা যাক।
১। সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়া মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গান, বাজনা, বাদ্যযন্ত্র নিয়ে মসগুল।
পরিসংখ্যান- ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারতীয় মহাসাগরে সৃষ্ট '৯ দশমিক ১ থেকে ৯ দশমিক ৩' মাত্রার ভূমিকম্পটি ৩২ গিগাট্রন শক্তি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় আঘাত হানে। পার্শ্ববর্তী দেশ মালদ্বীপ এবং থাইল্যান্ডেও এই ভূমিকম্পের ধাক্কা লাগে। এই ঘটনায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষ রাতারাতি মারা যায় এবং আনুমানিক সাত বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণের ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে পরবর্তী সময়ে বিশ্লেষকরা জানান যে, ভূমিকম্পটি আট মিনিট থেকে দশ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
২। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরের লোকজনের মাঝে গায়িকা, বাদ্যযন্ত্র এবং মদপান ভিষন পছন্দের একটি বিষয় ।
পরিসংখান- পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির অংশে ২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর '৭ দশমিক ৬' মাত্রার এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। প্রাথমিক ধাক্কাতেই ৮৫ হাজার মানুষ নিহত এবং ৬৯ হাজার আহত হয়। পাশাপাশি জম্মুতে এই ভূমিকম্পের কারণে মারা যায় আরও ১৪ হাজার।
এর পরের তালিকায় রয়েছে- ইরাণ, তুরস্ক, আফগানিস্তান,পাকিস্তান, চিলী, উজবেকিস্তান, সিরিয়া, নেপাল এবং ভারতের আসাম, মনিপুর, গৌহাটি।
ব্যাতিক্রাম জাপান- জাপান ভুমিকম্প প্রবন অঞ্চল। তবে নিজেদের উন্নত বিজ্ঞান প্রযুক্তি, সতর্কতা এবং নির্মান কুশল প্রয়োগ করে ভুমিকম্পজনিত হতাহতের সংখ্যা ৯৫% নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়েছে। জাপানি প্রযুক্তিরকাছে মানুষ খেকো আল্লা এখন অনেকাংশেই অসহায়।
কিন্তু স্মরণ কালে- আশ্চর্যজনক ভাবে ভারতের বলিউড এবং আমেরিকার হলিউডে কোন বড় ধরনের ভুমিকম্পের খবর পাওয়া যায় না।
বিষয়: বিবিধ
১৮০৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি আপনার দোয়াতের জন্যে দোয়া করছি। ইতিহাসে অনেক ইসলাম বিরুধী ছিলো যারা ইসলামে এসেছে।
আর কত মরুভূমির বালিতে মাথাগুজে থাকবেন!! বিশ্বাসের ভাইরাস ঝেড়ে ফেলে ২১ শতকের বিজ্ঞান, মেধার আলো চোখ মেলে দেখুন। কালো কে কালো, সাদা কে সাদা বলতে শিখুন। মানুষ তো দেখেও সত্য বুঝতে পারে।
আমি জানি আপনাদের মত বুদ্ধি প্রতিবন্ধরা তা করবে না, পাছে জান্নতের ৭২ হুরীবেশ্যার মূলা হাতছাড়া হয়ে যায়।
তবে আপনার সাথে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ আখিরাতে। সেদিন আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করব ইনশাআল্লাহ...
আপনি হিন্দু ধর্মের কিতাবে আল্লার কথা আবিস্কার করেছেন। ধন্যবাদ। তাহলে তো প্রমান হয়ে গেল নবী মোহাম্মদ আসলে অন্যের কিতাব চুরি/চোট্টামি, নকলবাজি করে আল্লা নামক জগাখিচুড়ি পয়দা করেছেন। Make Sense?
সব শেষে আপনি আখিরাতের কথা বলেছেন!আপনাদের আখিরাত যদি এতই সত্য মধুর হবে তো রাজাকার নিজামী আরও কিছুদিন বেঁচে থাকার আসায় রিভিউ পিটিশন করতেন্না, বরংচ এক ফাল দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আল্লার কোলে চলে যেতেন। Make Sense, Now??
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন