ইসলামী বিষক্রিয়া : লাজুক স্বভাবের মেধাবী ছাত্রী যেভাবে আত্মঘাতী!
লিখেছেন লিখেছেন অপি বাইদান ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:৩৫:৪৬ রাত
ফার্মাকোলজির সেই ছাত্রীটিই হয়ে গিয়েছিল জঙ্গি! বনেদি পাকিস্তানি পরিবারের মেয়ে তাশফিন মালিক বড় হয়ে উঠেছিল সৌদি আরবে। বাহারুদ্দিন জাকারিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মাকোলজির ডিগ্রি নিয়ে ২০০৭ সালে মালিক ফিরে আসে পাকিস্তানের মুলতানে। তার পৈর্তৃক বাড়ি থেকে একশো মাইল দূরে।
সেই তাশফিন মালিক, সান বার্নারডিনোতে হামলার পর যার বুলেটে ক্ষতবিক্ষত দেহটি পড়ে ছিল রাস্তায়।
২৯ বছর বয়সী তাশফিনের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী আবিদা রানি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২০০৯ সাল থেকেই দ্রুত বদলে যেতে শুরু করে তাশফিন। ফার্মাকোলজি নিয়ে পড়াশুনো ছেড়েছুড়ে ঝুঁকে পড়ে ইসলামিক স্টাডিজে। ওই সময় প্রায় প্রতি দিনই তাশফিন যেত শহরের বিভিন্ন মাদ্রাসায়। সারা সন্ধ্যাটা ওই মাদ্রাসাগুলিতেই কাটাত তাশফিন।
বান্ধবী রানি জানিয়েছেন, বরাবরই খুব লাজুক স্বভাবের ছিল তাশফিন। বাইরে তো বটেই, ঘরেও বোরখা পরে থাকত। ক্লাসে কখনো প্রথম বেঞ্চে বসতে চাইত না। অচেনা যুবকদের সঙ্গে চট করে কথা বলতে চাইত না।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক আতিফ নিসার আহমেদ জানিয়েছেন, ‘গোঁড়া হলেও খুবই শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিল তাশফিন। বোরখা পরা অবস্থায় ছাড়া নিজের ছবি তুলতে দিতে চাইত না।’
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন